Articles by "ভ্রমণ"
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের পর্যটন কেন্দ্র  লাল-শাপলার বিকি বিলের সৌন্দর্য রক্ষার্থে প্রশাসনের মাইকিং

রাহাদ হাসান মুন্না,,তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) : ভাঠির জনপদ হাওর বেষ্টিত সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার লাল শাপলার বিকি বিলের সৌন্দর্য রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে মাইকিং করা হয়েছে।রবিবার (১৮অক্টোবর) উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়নের কাশতাল গ্রামের পাশে পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় লাল শাপলার বিকি বিলের সৌন্দর্য রক্ষা ও জনস্বার্থে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহের নির্দেশেটাঙ্গুয়ার হাওর কেন্দ্রীয় সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির সহযোগিতায় সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মাইকিং করা হয়। 

জানাগেছে, স্থানীয় লোকজন গরু মহিষের গো-খাদ্য হিসাবে লাল শাপলার ডাটা গুলো ব্যবহার করছেন যার ফলে লাল শাপলার সৌন্দর্য বিলীন হয়ে যাচ্ছে।গত বছর ওই বিলে পর্যটকদের ভিড় থাকলেও এইবছরে তার আর নেই বলেই চলে।স্থানীয়রা জানান,লাল শাপলা ফুল যখন থেকে ফুটে উঠতে শুরু করেছে,তখন থেকে ফুলের সৌন্দর্য রক্ষার্থে মাইকিং সহ নিষেদাঙ্গা শুরু করলে ওই বিলের শাপলা সৌন্দর্য রক্ষা পেত।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, বিকি বিলের সৌন্দর্য রক্ষার্থে ও জনস্বার্থে বিকি বিল থেকে ডাটাসহ শাপলা আহরণে নিষেদাঙ্গা  জারি করা হয়েছে,এই আদেশ অমান্যকারীদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য,সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ গত বছরের ১২ অক্টোবর ওই  লাল শাপলার বিকি বিলকে উপজেলার নতুন পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন


ঝুঁকিপূর্ণ  নওগাঁর আস্তান মোল্লা সড়ক; চলাচল স্থগিত


কাজী কামাল হোসেন,নওগাঁ : ঢেউয়ের আঘাতে প্রতিদিনই ভাঙছে নওগাঁ সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী  হাঁসাইগাড়ী বিলের নান্দনিক আস্তান মোল্লা  সড়ক। সড়কটি বন্যার পানির ঢেউয়ের আঘাতে প্রতিবছরই ভাঙনের শিকার হচ্ছে। এবছরে নওগাঁয় অতি বন্যায় ইতোমধ্যে সড়কের একাংশ ভেঙে বিলের সাথে বিলীন হয়ে গেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। ঐতিহ্যবাহী সড়কটিকে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় জনগণ ব্যক্তি উদ্যোগে বাঁশের খুঁটি ও কচুরিপানা দিয়ে সড়কটি রক্ষার চেষ্টা করছেন যা একেবারে অসম্ভব এবং অপ্রতুল। স্থানীয় সাংসদ সহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা রাস্তার ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পরিদর্শন করেছেন এবং রাস্তায় সকল প্রকার যানবাহন চলাচল স্থগিত করেছেন।

 

 

ঝুঁকিপূর্ণ  নওগাঁর আস্তান মোল্লা সড়ক; চলাচল স্থগিত

সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, প্রায় এক দশক আগে প্রয়াত জননেতা আব্দুল জলিল এমপির উদ্যোগে হাঁসাইগাড়ী অথৈজলের মাঝে  নির্মাণ করা হয় সড়কটি । সড়কটি হাঁসাইগাড়ী, শিকারপুরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের সাথে নওগাঁ জেলা সদরের একমাত্র যোগাযোগের রাস্তা হলেও হাঁসাইগাড়ী বিশাল জলরাশীর মধ্যদিয়ে নির্মিত দীর্ঘ প্রায় ২০কিমি এই সড়ক এখন নওগাঁ জেলার অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। বিশাল এ বিলের বুক চিরে নির্মিত দৃষ্টি নন্দন সড়ক  এবং বিশাল জলরাশির খেলা দেখতে প্রায় ৭ কিমি অংশে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী ভীর জমাচ্ছেন। দর্শনার্থীদের এই সংখ্যা এতোটাই বেড়েছে যে, বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দীর্ঘ এপথ দর্শনার্থীদের ভীড়ে পাড়ি দেয়া একেবারে অসম্ভব।

সড়কটি নির্মানের পর থেকে বিলের অথৈজলের ঢেউ প্রতিরোধে নেওয়া হয়নি কোন কার্যকর ব্যবস্থা। ফলে বর্ষায় ঢেউয়ের আঘাতে ক্রমাগত ভাঙ্গছে সড়কটির এক পাশ। যেসব স্থানে ব্লক দেওয়া ছিলো তা অনেক পুরাতন হওয়ায় নষ্ট হয়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে রাস্তার মাটি। ইতিমধ্যেই ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে রাস্তার পাশের স্টিট লাইটগুলো। বিলের পানি কমার পর যদি রাস্তাটি উচু করে দুই পাশ দিয়ে মেট্টিসিন ও ব্লক দেওয়া না হয় তাহলে আগামীবছর এই রাস্তাটির কোন অস্তিত্ব থাকবে না বলে ধারনা করছে স্থানীয়রা।

ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাঁশ এবং কচুরিপানা দিয়ে সড়ক রক্ষার কাজে ব্যাস্ত স্থানীয় হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়ন আ'লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নওগাঁর ভীমপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অহিদুল ইসলাম  বলেন, ‘প্রয়াত জননেতা আব্দুল জলিল এমপির সপ্নের সড়ক এটি। প্রতি বছর ঢেউ আর বন্যার পানিতে  ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে হুমকির মুখে এই সড়কটি। দীর্ঘ দিন যাবত এলজিইডি থেকে সিসি ব্লক বা মেট্রিসিনসহ সড়ক প্রশস্থ ও মেরামতের কোন কাজ না করায় সড়কটি ভেঙে যাচ্ছে।  তিনি সড়কটি সংস্কারে স্থানীয় সাংসদ ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। স্থানীয় হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়ন আ'লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল  সড়কটি প্রশস্ত করাসহ সিসি ব্লক দিয়ে নির্মান করে পর্যটন বান্ধব করার দাবী জানান।

নাটোর থেকে আসা পর্যটক আব্দুল হালিম, জয়পুরহাট থেকে আসা গোলাম রাব্বানী, বগুড়া থেকে আসা আব্দুস সালাম বাবুসহ অনেকেই বলেন বিলের সৌন্দর্য্য বর্ধনসহ রাস্তাটি উচু করে পাশ দিয়ে পর্যটকদের বসার ব্যবস্থা, ঝড়-বৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য ছাউনি স্থাপনসহ আধুনিক পর্যটক কেন্দ্র পরিণত করার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। কারণ এখানে আসা পর্যটকদের উপর নির্ভর হয়ে পড়েছে স্থানীয় শত শত মানুষ। স্থানীয় মানুষরা কর্ম খুঁজে পেয়েছেন। তাই স্থানটিকে আরো উন্নত করা প্রয়োজন।

এলজিইডি নওগাঁর নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মাকসুদুল আলম বলেন ভাঙ্গনের বিষয়টি সরেজমিনে দেখার জন্য স্থানীয় সাংসদ ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জনসহ আমরা সড়কটির ক্ষতি গ্রস্ত অংশগুলো পরিদর্শণ করেছি। এটি সংস্কারে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমদিত হলে পানি কমে যাওয়ার খুব অল্প সময়ের মধ্যে এর সংস্কার কাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলে আসা করছি।


ঘুরে আসুন ঢাকার সারিঘাট

ঢাকার যাত্রাবাড়ী বা তার আশপাশে যারা আছেন; তারা ঘুরে আসতে পারেন সারিঘাট থেকে। ঢাকা শহরের যান্ত্রিকতা থেকে সরে কিছুটা প্রাকৃতিক ছোঁয়ার জন্য জায়গাটি মন্দ নয়। সবুজে ঘেরা পরিবেশ আর সাথে নৌকা ভ্রমণ। এখানকার সবুজ শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ যে কারো ভালো লাগবে। হারিয়ে যাবেন গ্রামবাংলার চিরচেনা প্রকৃতির মাঝে। যে কেউ সময় করে আসতে পারেন, ভালো লাগবে।


ঢাকার যেকোনো জায়গা থেকে প্রথমে যাত্রাবাড়ী যাবেন। সেখান থেকে জুরাইন রেলগেট বাস বা লেগুনায়। ভাড়া ১০-১৫ টাকা। জুরাইন রেলগেট থেকে পোস্তগোলা ব্রিজের ওপারে যাবেন। ভাড়া ১০-১৫ টাকা। নামার পর পোস্তগোলা ব্রিজের ঢালেই অটোরিকশা অথবা সিএনজি পাবেন। সারিঘাট যেতে ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ১০ টাকা।

যদি চার-পাঁচজনের টিম হয়, তাহলে সরাসরি সিএনজি ভাড়া নিতে পারেন সারিঘাট পর্যন্ত। ভাড়া পড়বে ১২০-১৮০ টাকা। যদি জুরাইন থেকে সিএনজি ভাড়া করেন, তাহলে ১০০-১২০ টাকা। অবশ্যই দামাদামি করে নেবেন। ঢাকা শহরের যেকোনো জায়গা থেকে জুরাইন রেলগেট। জুরাইন রেলগেট থেকে সরাসরি রিজার্ভ সিএনজিতে সারিঘাট গেলে ভালো হয়।

সবুজ প্রকৃতিতে কিছুটা সময় কাটালে ভালো লাগবে। কেউ চাইলে কায়াকিং এবং নৌকা ভ্রমণও করতে পারেন। চাইলে গোসলও করতে পারেন, পানি খুবই পরিষ্কার। কায়াকিং ৭৫ টাকা জনপ্রতি ৩০ মিনিটের জন্য। নৌকা ভ্রমণ ১০০-১৫০ টাকা। তবে ওঠার আগে দরদাম করে নেয়াই ভালো।

কায়াকিং হচ্ছে ভ্রমণ করার জন্য একধরনের ছোট নৌকা, যা বৈঠা বা লগি ব্যবহার করে চালানো যায়। হালকা কিন্তু ব্যাল্যান্সড নৌকায় কায়াক ক্লাবের নিজস্ব লাইফ জ্যাকেট পরে উঠলে আপনার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে বৈঠা। ব্যস! এবার আপনি নিজেই মাঝি! ইচ্ছেমতো ঘুরতে পারবেন পানি দেখতে দেখতে। কায়াকিং চালাতে বেগ পেতে হয় না একেবারেই। কেবল নৌকা ডানে ও বামে নেওয়ার কৌশল রপ্ত করলেই নির্ভেজাল আনন্দে ঘুরতে পারবেন।

তবে সাঁতার না জানলে অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পরে নিয়েন। এর জন্য কোনো অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে না। তাছাড়া এখন যেহেতু করোনার সময়। তাই সবারই নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত-
* কায়াকিং শুরুর আগে এবং শেষে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করে নেবেন।
* বাড়তি সতর্কতা হিসেবে অতিরিক্ত লোক সমাগম এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।
* শুক্রবার বিকেল ছাড়া অন্য যেকোনো দিন আসার চেষ্টা করতে পারেন।

শুক্রবার অনেক মানুষের সমাগম হয়। শুক্রবার না যাওয়াই ভালো। মনে রাখবেন, চিপস ও বিরিয়ানির প্যাকেট বা খাবারের উচ্ছিষ্টাংশ ফেলে পরিবেশ নষ্ট করবেন না। সচেতনতা শুরু হোক নিজের থেকেই। হ্যাপি ট্রাভেলিং। সময় পেলে এখনই ঘুরে আসুন।

হাওর-বাঁওড় পেরিয়ে বিথঙ্গল ও দিল্লির আখড়া!

বেনজীর আহমেদ সিদ্দিকী: ঝুমুর দেব দিদির নিমন্ত্রণে ঢাকার সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে রাত সাড়ে ১১টার বাসে চারজনের (ফারুখ আহমেদ, সুমন বসাক, হাদিরাতুল ও আমি) ছোট্ট একটি দল রওনা হলাম হবিগঞ্জের মিরপুরের উদ্দেশ্যে। গাড়ি সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে রাতের নীরবতাকে ভেদ করে লাগামহীন ঘোড়ার মতো ছুটে রাত প্রায় ২টার দিকে শায়েস্তাগঞ্জে পৌঁছল। মাঝরাতে বাসস্ট্যান্ডের পাশের দোকানে চা, বিস্কুট খেয়ে ঘুম তাড়িয়ে অটোরিকশায় চেপে ঘণ্টাখানেকের মাঝে হবিগঞ্জের মিরপুর স্ট্যান্ডে চলে এলাম। ঝুমুর দিকে ফোন করে ঘুম থেকে তুলে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম তার বাসায়। বেশ সাজানো গোছানো বাসায় পৌঁছে হাত-মুখ ধুয়ে সবাই কিছুটা গা এলিয়ে দিলাম। দিদি তার মায়াবতী হাতের ছোঁয়ায় দারুণ সব নাস্তা বানিয়ে নিয়ে হাজির হলেন। অমৃতসম ঝিনুক পিঠা, তালের পিঠা, ডালের পিঠা, দধি ও মুরগি ভুনার স্বাদ এখনও জিহ্বায় লেগে আছে।

খুব সকালে মিরপুর থেকে অটোরিকশায় চেপে সবাই রওনা হলাম হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের কালাডুবা নামক জায়গার উদ্দেশ্যে। পথিমধ্যে খোয়াই নদীর পাড়ে কিছুক্ষণ থেমে নদী তীরবর্তী জীবনযাপন, হাঁসের দলের সাঁতার ও সকালের সৌন্দর্য উপভোগ করলাম। কালাডুবায় পৌঁছে হাওরের পাশেই ‘মায়ের দোয়া’ নামক দোকানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম ও চা পান করতে করতে আগে থেকে ঠিক করে রাখা বজরা ঘাটে ভিড়ল।

বজরায় উঠে সবাই বসামাত্রই মাঝি ইঞ্জিন চালু করে দিলো। কালাডুবা হাওরের জল কেটে লাল-সাদা শাপলা ও বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদের মাঝ দিয়ে বজরা যাত্রা শুরু করল। তখন মাথার উপর বিশাল আকাশে নীল-সাদা মেঘের খেলা, এর মাঝ দিয়েই সোনালি আলোর বিচ্ছুরণ ও মৃদু ঠান্ডা বাতাস শরীরে অন্যরকম আনন্দ দিচ্ছিল। দূরে তাকাতেই দ্বীপের মতো দাঁড়িয়ে থাকা বাড়ি, হিজল, করচ গাছগুলো আপনমনে ডাকছিল।

ঢেউয়ের তালে দুলতে দুলতে বজরা একসময় বিরতি নিল পলি পড়ে গড়ে ওঠা ঢিবির পাশে। আমি, সুমন দা, ঝুমুরদি ও হাদিরাতুল বজরা থেকে নেমে কাঁদা মাটিতে বাচ্চাদের সাথে খেললাম। কাঁকড়া ও এর বাসস্থান দেখলাম। বাচ্চাদের ভেলায় চড়ে জলে ভাসলাম। ওদিকে ফারুখ ভাই তখন একের পর এক সাটার টিপে অসাধারণ দৃশ্যগুলো স্মৃতিবন্দি করতে ব্যস্ত।

এরমাঝে সুমন দা বায়না ধরে বসল যে, সে এই ঢিবি ছেড়ে যাবে না। এখানেই দিনের বাকি সময়টা ছবি এঁকে কাটিয়ে দেবে। শেষে তাকে অনেক বুঝিয়ে যাত্রা শুরু করলাম বিথঙ্গল হাওরের উদ্দেশ্যে। কিছুদূর যেতেই পরিষ্কার সবুজ জলে পানকৌড়ির ডুবসাঁতার, ছোট মাছের লাফালাফি ও এদের পিঠে আলোর ঝলক দেখে মুগ্ধ হলাম। ঝুমুর দিদি বাসা থেকে বড় এক টিফিনবাক্স ভরে পায়েস, দধি ও পিঠা এনেছিলেন। ছইয়ের নিচে বসে ঢেউ আর বিস্তৃত জলরাশি দেখতে দেখতে সবাই তা উপভোগ করলাম। এভাবে ঢেউয়ের তালে দুলতে দুলতে দুপুরের দিকে এসে পৌঁছলাম অনেক প্রাচীন বিথঙ্গল আখড়ার ঘাটে।

হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায় বিথঙ্গল গ্রামে বিথঙ্গল বড় আখড়া বা বিথঙ্গল আখড়ায় দুপুরে পৌঁছে প্রচণ্ড রোদের মাঝে পড়লাম। আখড়ায় জুতা খুলে প্রবেশ করামাত্র পায়ের নিচে টের পেলাম আগুনে গরমের তীব্রতা। গরমের তীব্রতাকে উপেক্ষা করেই মধ্যযুগীয় স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত আখড়াটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগলাম। একপর্যায়ে আখড়ার একজন সেবক জানালেন, বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম তীর্থস্থান হিসাবে পরিচিত এ আখড়া। রামকৃষ্ণ গোস্বামী উপমহাদেশের বিভিন্ন তীর্থস্থান সফর শেষে ষোড়শ শতাব্দিতে বিথঙ্গল গ্রামে আখড়াটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রায় ৫০০ বছর আগে ত্রিপুরার রাজা উচ্চবানন্দ মানিক্য বাহাদুর প্রাচীন নির্মাণ কৌশল সমৃদ্ধ দুটি ভবন নির্মাণ করে দেন। মানিক্য বাহাদুর ও তার স্ত্রী এতে প্রায়ই এসে অবস্থান করে ধর্মকর্ম করতেন।

মধ্যযুগীয় স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত বিথঙ্গল বড় আখড়ায় ১২০ জন বৈষ্ণবের জন্য পৃথক কক্ষ রয়েছে। এখানে যথাযোগ্য ভাব-গাম্ভীর্য্যের মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন উৎসবের মধ্যে আছে- আষাঢ় মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে রথযাত্রা, ফাল্গুন মাসে দোল পূর্ণিমার ৫ দিন পর পঞ্চম দোল উৎসব, কার্তিক মাসের শেষদিনে ভোলা সংক্রান্তিতে কীর্তন, চৈত্রের অষ্টমী তিথিতে পূণ্যস্নান ও বারুনী মেলা ইত্যাদি।

তিনি আরও জানালেন, এ আখড়ার অন্যতম নিদর্শনের মধ্যে সুসজ্জিত রথ, পিতলের সিংহাসন, ২৫ মণ ওজনের শ্বেত পাথরের চৌকি, রৌপ্যপাত্র ও সোনার মুকুট উল্লেখযোগ্য। প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিথঙ্গল বড় আখড়া পরিদর্শন করতে আসেন।

আখড়া দেখার পর পুকুরে ডুবসাঁতার দিতে দিতে মনে হলো প্রাচীন ও ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ আখড়াটি পরিচর্যার অভাবে তার সত্যিকারের সৌন্দর্য দিনে দিনে হারিয়েছে। গোসল সেরে আখড়ার নানা আচার-অনুষ্ঠান দেখতে দেখতে ক্ষুধা পেয়ে গেল। বিথঙ্গল আখড়ার পাশেই হাওরের কূল ঘেঁষে গড়ে ওঠা একটি খাবারের দোকানে ছোলাভূনা, মিষ্টি ও দই-চিড়া খেয়ে আবারও নৌকায় উঠলাম। উদ্দেশ্য কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার শেষপ্রান্তে অবস্থিত দিল্লির আখড়া।

লক্ষ্মীর বাওর পেরিয়ে পৌঁছে গেলাম প্রাচীন দিল্লির আখড়ায়। স্থানটি দিল্লির সম্রাট জাহাঙ্গীরের বদান্যতায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে এর এমন নামকরণ হয়েছে বলে জানা যায়। প্রায় ৪০০ বছর আগের এক মিথ নিয়ে স্থানটি আজও ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। আখড়ার চারপাশে আছে অসংখ্য হিজল গাছ। গাছগুলো এখানকার প্রচলিত মিথের অংশ। প্রায় ৩৭২ একর জমি নিয়ে গড়ে ওঠা আখড়াটি নারায়ণ গোস্বামীর হাতে প্রতিষ্ঠিত। হিজল গাছ, হাওরের সৌন্দর্যে চমৎকার একটি স্থান দিল্লির আখড়া।

প্রায় ৪০০ বছর আগে জায়গাটির পাশ দিয়ে দিল্লির সম্রাট প্রেরিত একটি কোষা নৌকা মালামালসহ ডুবে যায় এবং একজন সাপের কামড়ে মারা যায়। এ কথা শুনে পার্শ্ববর্তী বিথঙ্গল আখড়ার গুরু রামকৃষ্ণ গোস্বামী তার শিষ্য নারায়ণ গোস্বামীকে এখানে পাঠান। টানা সাত দিন তিনি এখানে রহস্যজনক নানা শক্তির সম্মুখীন হন এবং পরবর্তীতে এখানে বসবাস করা অসংখ্য দানব মূর্তিকে আধ্যাত্মিক শক্তিবলে হিজল গাছে রূপান্তর করেন। আর সম্রাটের ডুবে যাওয়া নৌকাটিও উদ্ধার করে দেন। খুশি হয়ে সম্রাট জায়গাটি আখড়ার নামে দান করে দেন। সম্রাট জাহাঙ্গীর ১২১২ সালে আখড়ার নামে একটি তামার পাত্রে ওই জমি লিখে দেন। কিন্তু ১৩৭০ সালে ডাকাতরা তা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এসব প্রাচীন আখ্যান ভাবতে ভাবতে আখড়ার ভবন, গাছে অজস্র পানকৌড়ি ও বকের বাসা, বাচ্চাকে খাওয়ানোর দৃশ্য, ভিন্ন ভিন্ন আকৃতির সারি সারি হিজল আবৃত পরিবেশ উপভোগ করতে লাগলাম। হাঁটতে হাঁটতে আখড়ার একপাশে দেখলাম মার্বেলের মতো মাটির গোল গোল বল শুকাতে দেওয়া আছে। এখানকার ভক্তরা বিশ্বাস করে আখড়ার মাটির এই মার্বেল খেলে না-কি নানা রোগ-বালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং মনের ইচ্ছা পূর্ণ হয়। তাই পুরোহিতদের হাতে গড়া ও তন্ত্রমন্ত্র পাঠ করে ফুঁ দিয়ে দেওয়া এসব মাটির মার্বেল আখড়ার ভক্তরা বিশ্বাস নিয়ে খায় এবং বাড়িতে রাখে। ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর’- আমার মস্তিষ্কের যুক্তির জায়গায় বারবার ঘোরা শুরু হলো। বিভিন্ন বিষয় ভাবতে ভাবতে আখড়ার ভেতরে দেখে ফেললাম আধ্যাত্মিক সাধক নারায়ণ গোস্বামী ও তার শিষ্য গঙ্গারাম গোস্বামীর সমাধি, ধর্মশালা, নাটমন্দির, অতিথিশালা, পাকশালা ও বৈষ্ণবদের থাকার ঘর এবং আখড়ার দু’দিকের দুটি পুকুর।

প্রতিবছর চৈত্র মাসে এখানে মেলা বসে। মেলাকে কেন্দ্র করে আশেপাশের নানা অঞ্চলের মানুষের সমাবেশ দেখা যায়। এ ছাড়া প্রতি অমাবস্যা এবং পূর্ণিমার রাতে এখানে ভোগ দেওয়া হয়।

হিজলের বনে তখন সূর্য তার শেষ আলো দিয়ে ডুবে যেতে শুরু করেছে। আমরা সারাদিনের অজস্র ভালো লাগার অনুভূতি নিয়ে বজরায় চেপে হবিগঞ্জে ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। ফেরার পথে বজরার ছাদে শুয়ে আকাশের নানা রং বদল দেখা এবং হঠাৎ নেমে আসা ঝিরিঝিরি বৃষ্টি অপার্থিব অনুভূতি দিয়েছিল।

বছরের বিভিন্ন সময়ে বিথঙ্গল ও দিল্লির আখড়ায় যাওয়া গেলেও বর্ষা ও শরতের শেষ অবধি বা যতদিন হাওরে পানি থাকে; ততদিন পর্যন্ত এখানে যাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময়। ঢাকার সায়েদাবাদ বা মহাখালী থেকে বাস যায় হবিগঞ্জের দিকে। সকাল সাড়ে ৬টা থেকে শুরু করে আধা ঘণ্টা-এক ঘণ্টা পরপর বাস ছেড়ে যায়। চাইলে রাতের উপবন ট্রেনে চলে যেতে পারেন। রাত দশটায় উপবন ছাড়ে এবং শায়েস্তাগঞ্জ থামে রাত তিনটায়। সেখান থেকে অটোতে হবিগঞ্জ। হবিগঞ্জ শহরে এসে সেখান থেকে কালাডুবা ঘাট যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় উঠতে হবে। ঘাট থেকে দরদাম করে বিথঙ্গল যাওয়ার ট্রলার বা বজরা ভাড়া করে ভেসে পড়ুন হাওরের সবুজ জলে। চাইলে কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, নিকলি বা বাজিতপুর থেকেও যাত্রা করতে পারেন। সময় দুই ঘণ্টা লাগবে।

বিশ্রামের জন্য হবিগঞ্জ শহর বা বানিয়াচংয়ের আবাসিক হোটেলে থাকতে পারেন। আর খাওয়ার জন্য হবিগঞ্জ শহরই ভরসা। আখড়ার আশেপাশের ছোট্ট দোকানগুলো সাময়িক ক্ষুধা-তৃষ্ণা মেটাবে। বিথঙ্গল ও দিল্লির আখড়ায় যাত্রার সময় সঙ্গে শুকনো খাবার ও পানি নিতে ভুলবেন না।

একজন পর্যটক হিসেবে যেখানেই যাবেন, দয়াকরে আপনার দ্বারা ভ্রমণ স্থানের কোনো প্রকার সৌন্দর্যহানী যেন না ঘটে।

ভিয়েতনামে দেখা মিলল বাবুই পাখির

বেনজীর আহমেদ সিদ্দিকী: ভিয়েতনামের তিয়েন গিয়াং প্রদেশের প্রশস্ত মেকং নদীর ধার ঘেঁষে বেড়ে ওঠা সবুজে ঘেরা । এ শহরের মাঝখান দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে রেল স্টেশনের কাছে এসে হঠাৎ করে পাখির কিচিরমিচির শব্দে থমকে যেতে হয়। সামান্য দূরেই নানা ধরনের পাম ও কাঁটাওয়ালা গাছে তখন বাবুই পাখি (ভিয়েতনামে বলে রং রোক) তার বাসার ফাঁক দিয়ে উঁকিঝুঁকি মারছে এবং ওড়াউড়ি করছে। এতোগুলো বাবুই পাখির সুললিত কলতানে উৎফুল্ল মন ফুড়ুৎ করে উড়ে চলে যায় ফেলে আসা শৈশব-কৈশোরের রজনীকান্ত সেনের ‘স্বাধীনতার সুখ’ কবিতায়।

একসময় বাংলাদেশের শহর ও বিশেষ করে গ্রামগুলোতে প্রচুর তাল, নারিকেল, খেজুর, সুপারি ও বাবলা গাছ ছিল। ভাদ্র মাসে তাল গাছের পাশ দিয়ে গেলে পাকা তালের মৌ মৌ ঘ্রাণে প্রাণ জুড়িয়ে আসত। ভাগ্যে থাকলে গাছ তলায় গেলে পাওয়া যেত লালচে-কালো পাকা তাল। গ্রীষ্মের দাবদাহে যখন চারপাশে মাটি ফেটে চৌচির, এমন গরমে তেষ্টা মেটাতে ভরসা হয়ে উঠত বাড়ির আশেপাশের নারিকেল গাছ। শীতের সকালে ঠকঠক করে কাঁপতে কাঁপতে খেজুরের রস খাওয়াও ছিল মুগ্ধকর। গ্রামবাংলার গৃহিণীদের বিকেলের পান খাওয়ার আড্ডা আরও বাড়িয়ে তুলতো বাড়ির পেছনের সুপারি গাছগুলো। আর রৌদ্রজ্বল দিনে বিস্তীর্ণ মাঠের আলের পাশে বাবলা গাছের নিচে কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নিত কৃষক। এমনই সব দৃশ্য গ্রামবাংলাকে আরও চিরসবুজ ও মাটির কাছাকাছি করে তুলতো।

এসব উঁচু উঁচু তাল, নারিকেল, সুপারি, কাঁটাওয়ালা খেজুর ও বাবলা গাছে বাসা বাঁধতো বাবুই পাখি। উঁচু ও কাঁটাওয়ালা গাছ বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ শিকারীর কাছ থেকে নিজেকে ও বাসাকে সুরক্ষিত রাখা। বলা যায়, পৃথিবীতে বাবুই প্রজাতির সংখ্যা ১১৭। এর মাঝে বাংলাদেশে তিন প্রজাতির বাবুই পাখি দেখা যায়-
১. দেশি বাবুই: প্রজনন ঋতু ছাড়া অন্য সময় পুরুষ ও স্ত্রী পাখির কালো কালো দাগসহ পিঠ হয় তামাটে বর্ণের, নিচের দিকে দাগ নেই, শুধুই তামাটে। ঠোঁট পুরু, মোচাকার; লেজ চৌকা, প্রজনন ঋতুতে পুরুষ পাখির পিঠ হয় গাঢ় বাদামি। হলুদ বুকের উপরের দিক ফ্যাকাশে।
২. দাগি বাবুই: বুক তামাটে, তাতে স্পষ্ট দাগ।
৩. বাংলা বাবুই: প্রজনন ঋতুতে পুরুষ পাখির মাথার চাঁদি উজ্জ্বল সোনালি-হলুদ, গলা সাদা এবং তা একটি কালো ডোরা দ্বারা নিচের তামাটে-সাদা রঙের অংশ থেকে পৃথক। অন্য সময় স্ত্রী ও পুরুষ পাখির চাঁদি পিঠের পালকের মতোই বাদামি। বুকের কালো ডোরা ততটা স্পষ্ট নয়। প্রকট ভ্রূরেখা, কানের পেছনে একটি ফোঁটা। (বাংলাপিডিয়া)

বাবুই খুব সুন্দর করে শৈল্পিক বাসা বোনে বলে একে ‘তাঁতি পাখি’ নামেও ডাকা হয়। এদের বাসার গঠন বেশ জটিল আর আকৃতিও খুব সুন্দর। বাবুই পাখির বাসা দেখতে অনেকটা উল্টানো কলসির মতো। বাসা বানানোর জন্য বাবুই ভীষণ পরিশ্রম করে। ঠোঁট দিয়ে ঘাসের আস্তরণ ও কাদার মিশ্রণ ঠিক করে। যত্ন করে পেট দিয়ে ঘষে ঘষে গোলাকার অবয়ব মসৃণ করে। শুরুতে দুটি নিম্নমুখী গর্ত থাকে। পরে একদিক বন্ধ করে ডিম রাখার জায়গা তৈরি করে। অন্যদিকটি লম্বা করে প্রবেশ ও প্রস্থান পথ বানায়। বাবুই সাধারণত দুই ধরনের বাসা তৈরি করে। মজার বিষয় হলো, পুরুষ পাখি তার পরিশ্রম ও শৈল্পিকতার মিশ্রণে এসব বাসা তৈরি করে। একটি বাসা তৈরি হতে ১০-১৫ দিন সময় লাগে। শৈল্পিক নিদর্শনের এমন দারুণ সব বাসা বাতাসের ঢেউয়ে দুলতে দুলতে মানুষের মনে আনন্দ দেয়।

বাবুইয়ের বাসা তৈরি করার জন্য প্রয়োজন পড়ে নলখাগড়া, খেজুর পাতা ও হোগলার বন। কিন্তু বাংলাদেশে নলখাগড়া ও হোগলার বন কমে যাওয়ার পাশাপাশি তাল, নারিকেল, সুপারি, খেজুর, বাবলা গাছও অনেক কমে এসেছে। ফলে বাবুইয়ের সংখ্যাও এখন খুবই কম। বাবুই পাখির অস্তিত্বই আজ হুমকির মুখে। বাংলাদেশে বাংলা ও দাগি বাবুইয়ের প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। তবে দেশি বাবুই এখনো দেশের অনেক গ্রামের গাছে দলবেঁধে বাসা বোনে।

সময়ের পরিক্রমা, অসচেতনতা, পরিবেশে বিপর্যয়সহ নানা কারণে আজ বাবুই পাখি ও এর বাসা হারিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় উপমহাদেশের কিংবদন্তিতে পাওয়া যায়, পুরুষ বাবুই পাখি সন্ধ্যা-রাতে ঘর আলোকিত ও প্রেয়সীকে আকৃষ্ট করার জন্য মিটমিট করে জ্বলতে থাকা জোনাকি পোকা ধরে নিয়ে আসে। এনে বাসার দেয়ালে কাদার মাঝে গুজে রাখে এবং সকাল হলে আবার তাদের ছেড়ে দিয়ে মুক্ত স্বাধীনতার সুখে উড়তে থাকে। বহমান কালের পরিক্রমায়, বাবুই পাখি এখন মুক্ত স্বাধীন সুখ হারিয়ে জোনাকির আলোর মতো মিটমিট করে কোনমতে টিকে আছে বাংলাদেশের গ্রামের আনাচে-কানাচে।

এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ দেখি ভিয়েতনামের বয়স্ক লোকটির পাখির খেলা দেখানো শেষ হয়ে এসেছে। আমি বিষণ্ন মনে তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ট্যাক্সি নিলাম ক্যান হোচ গ্রামের হোম স্টের উদ্দেশ্যে। যেখানে নাকি সন্ধ্যা-রাতে জোনাকি পরম স্বাধীনতার সুখে বাবুই পাখির বাসায় নিজেই আলো জ্বেলে আসে।

গাছ দিয়ে তৈরি করা হলো গাছবাড়ি

বনের মধ্যে হাতির পাল। মানুষ দেখে পালিয়ে যায় ময়ূর। শাল-পলাশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। ঢেউ খেলানো লালমাটিতে বিছিয়ে আছে শুকনো পাতা। যেদিন আকাশে চাঁদ ওঠে, পুরো অঞ্চল ভেসে যায় জ্যোৎস্নায়। এমনই এক জায়গার নাম পুরুলিয়ার মাঠাবুরু। সেখানে গড়ে উঠেছে গাছবাড়ি পর্যটন কেন্দ্র।

জানা যায়, ভারতের বরাভূম স্টেশন থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে ‘কোকুবুরু’ আর ‘মাঠাবুরু’ নামে দুটি পাহাড়। বন-পাহাড়ি পথে নেমে যেতে হবে গাড়ি থেকে। বনের ভেতর দিয়ে সামান্য এগোতেই চোখে পড়বে ‘টংবাড়ি’। গাছবাড়ির এমনই নাম এখানে। বাড়িগুলো সব গাছের উপর। তাই হয়তো এমন নাম।

২০১৬ সালে কলকাতার বরুণ ভট্টাচার্য ও গোবিন্দপুরের সুজিত কুমার বানজারা ক্যাম্পে এসে গাছবাড়ির পরিকল্পনা করেন। এ পরিকল্পনা সম্পর্কে বরুণ ভট্টাচার্য বলেন, ‘স্থানীয় আদিবাসীদের থেকেই নামটি শেখা। গাছের মাথায় মাচা বেঁধে, সেখান থেকেই ফসল পাহারা দেন তারা। হাতি বা বুনো শুয়োর ঢুকলে ক্যানেস্তারা বাজান। রাতের পর রাত সেই মাচাতেই কাটান। আদিবাসীরা এ মাচাকে বলেন ‘টংবাড়ি’।

পর্যটকরা জানান, গাছবাড়ির আকর্ষণ হলো গা-ছমছমে অ্যাডভেঞ্চার। রাতের বেলা বন্য পরিবেশে গাছবাড়িতে রাত কাটানো মানে আজীবনের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে নেওয়া। এখানে অ্যাডভেঞ্চারের সুযোগ অনেক। বন, পাহাড়—সবই এখানে উজাড় করে সাজিয়ে রেখেছে প্রকৃতি।

স্থানীয়রা জানান, মায়ানমারের গাছবাড়ির আদলে বাড়িগুলো তৈরি হয়েছে গাছের ক্ষতি না করেই। ঘরগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। তবে ভোরে পাখির ডাকে ঘুম ভাঙার সুযোগ রয়েছে। জানালা খুলতেই শীতের হাড়কাঁপানো হাওয়া আর মিষ্টি রোদ স্বাগত জানাবে। শহুরে দূষণ থেকে অনেক দূরে এক টুকরো অবসর যেন গাছবাড়ি।

টংবাড়ি ছাড়াও তাঁবুতে রাত কাটানোর সুযোগ রয়েছে। তাঁবুর ভেতরেই আছে এয়ারকুলার, রেফ্রিজারেটর, ফোল্ডিং চেয়ার ও হেডল্যাম্প। এর সঙ্গে ক্যাম্পের ভেতরেই মিলবে বার্মা ব্রিজ, নেট ক্লাইম্বিংয়ের সুযোগ। চাইলে শিখে নিতে পারেন রক ক্লাইম্বিং বা র্যা পেলিং। বন্য পথ ধরে বেরিয়ে পড়তে পারবেন সাইকেলে।

কখনো পাতা-নাচের আসর বসে ক্যাম্পের ভেতরেই। খাওয়া-দাওয়া একসঙ্গেই। তারপর কেউ উঠে পড়বেন টংবাড়ির মাথায়, কেউ থাকবেন তাঁবুতে। এ ছাড়া গাছে ঝোলানো দড়ির বিছানা বা খাটিয়ায় শুয়েও কাটিয়ে দিতে পারেন রাত। তবে, বেশি রাতে ক্যাম্পের বাইরে যাওয়া যাবে না। বন্য জন্তুর ভয়ও কিন্তু কম নয়।
পুরুলিয়ার মাঠাবুরু পাহাড়ে বরুণের গাছবাড়িতে গ্রীষ্মকাল ছাড়া যেকোনো সময় যাওয়া যায়। তবে বসন্তকাল অবশ্যই সেরা সময়।

একই সঙ্গে ঘুরে আসুন হিমছড়ি ঝরনা ও ইনানী বিচ

আবু আফজাল সালেহ: ভোররাতে কক্সবাজারের কলাতলী পৌঁছলাম। ভোরে এসে নাস্তা সেরে নিলাম। এরপর কলাতলী বিচ থেকে সুগন্ধা বিচ গেলাম। এ বিচ দেখতে সুন্দর। ভোরের সূর্যের লাল আভা বড়ই চমৎকার। ৩০ টাকা (ঘণ্টাপ্রতি) করে চেয়ারে হেলান দিয়ে ঢেউ গুনতে ভালোই লাগে। সুগন্ধা বিচে সকাল কাটিয়ে মেরিন ড্রাইভ রোড ধরলাম। কলাতলীর ডলফিন মোড় থেকে সিএনজিযোগে পাথুরে সৈকত ইনানী যাব। মাঝে পড়বে হিমছড়ি ঝরনা। আসার পথে দেখব। পাহাড়ে উঠব। লতাপাতার ফাঁক গলিয়ে সমুদ্রের ঢেউ দেখব। এ চিন্তা করেই যাত্রা।

কিছুদূর যেতেই সাগরের গর্জন। উথালপাথাল ঢেউ। নীল জলরাশি। মেরিন ড্রাইভ রোডের এগুলোই সৌন্দর্য। একদিকে সুউচ্চ পাহাড়। অন্যদিকে ফেনিল নীলাভ সমুদ্র। দু’দিকের নান্দনিকতার বুক চিরে গেছে কালো পিচের এ রোড। সুপারি বাগান, জলরাশিতে সারি সারি নৌকা ও ট্রলার। ৭ কিলোমিটার যেতেই উথালপাথাল ঢেউ শুরু। হিমছড়ির কাছেই বড় বড় ঢেউ এসে আছাড় খাচ্ছে। বহুস্তর বিশিষ্ট সমুদ্রের ঢেউ মুগ্ধ করছে। দু’চোখ ভরে উপভোগ করছি। এর মধ্য দিয়েই ২৪ কিলোমিটার দূরের ইনানী সি বিচে পৌঁছে গেলাম। অসংখ্য ছোট ছোট পাথর-ঝিনুক বিছানো রয়েছে। আগের মতো অবশ্য বড় বড় পাথর নেই। দু’একটার দেখা মিলবে। মোটরবাইকে সমুদ্রতটে ঘুরতে দারুণ মজা! কাঁকড়া দেখা যাবে। ঝাউবনের কাছে যাওয়া যাবে।

ইনানী বিচে প্রচুর ডাব দেখলাম। ঝিনুক আর ছোট ছোট পাথর বিছানো। হঠাৎ হঠাৎ বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে। সী বোটে খেলছে অনেকে। মাঝিরা মাছ ধরছে ট্রলার বা জাহাজে। বালুতটে মোটরবাইকে ঘোরাঘুরির দৃশ্য বড়ই চমৎকার! চারিদিকের বিশাল জলরাশি, ঢেউ আর গর্জন মনকে পুলকিত করে। বহুস্তর বিশিষ্ট নীল সমুদ্রের ঢেউ বিমোহিত করে। পর্যায়ক্রমে আছড়ে পড়া ঢেউ উপভোগ করার দারুণ অভিজ্ঞতা হলো।

কলাতলী থেকে ৭-৮ কিলোমিটার দূরে। ইনানী যাওয়ার পথে। অটো বা সিএনজি নিয়ে যাওয়া যাবে। ভাড়া ৩০ টাকা। সমুদ্র আছড়ে পড়ছে একদিকে। অন্যদিকে পাহাড়। এখানেই হিমছড়ি। ৩০ টাকার প্রবেশ ফি দিয়ে পাহাড়ে প্রবেশ করলাম। প্রথমে ঝরনা দেখলাম। এরপর রেলিং বেয়ে পাহাড়ে উঠলাম। পাহাড়ে উঠতে কষ্ট হয়। অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়। টক জাতীয় খাবার কাজে দেবে। প্রচুর পানি পান করতে হয়। দু’টো ডাবের পানি পান করে পাহাড়ে উঠলাম। ইনানী থেকে আসার পথে হিমছড়ি থামলাম। লতা-পাতার ফাঁক গলে কী সুন্দর দৃশ্য! মাঝেমধ্যে সমুদ্রের গর্জন শুনে বিমোহিত হলাম। প্রচুর নারী-পুরুষ ও শিশুকে পাহাড়ে উঠতে দেখলাম।

ঢাকা বা যেকোনো প্রান্ত থেকে বাস বা ট্রেনযোগে চট্টগ্রাম। এরপর বাসে কক্সবাজার। ঢাকা থেকে অনেক বাস সরাসরি কক্সবাজার যায়। এমন বেশকিছু এসি বা নন-এসি পরিবহন পাওয়া যাবে। শ্রেণিভেদে ভাড়া ১১০০ টাকা থেকে শুরু। এরপর কলাতলীর ডলফিন মোড় থেকে সিএনজিযোগে ২৩-২৪ কিলোমিটার দূরের ইনানী সী বিচ যাওয়া যাবে। লোকাল ভাড়া জনপ্রতি ৮০ টাকা। রিজার্ভ করলে ৪০০-৫০০ টাকা। রিজার্ভ করে টেকনাফও যাওয়া যাবে।

থাকা ও খাওয়ার জন্য কক্সবাজার বিখ্যাত। এটি পর্যটন নগরী। এখানে কম বাজেট থেকে শুরু করে উচ্চ বাজেটের আবাসিক ও খাবার ব্যবস্থা আছে। পিক সিজনে বা লম্বা ছুটিতে হোটেল বুকিং দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।


কক্সবাজার থেকে একটু দূরে হওয়ায় ইনানী তুলনামূলক নিরিবিলি। এখন অনেকেই যাচ্ছেন। আর মাঝে হিমছড়ি ঝরনা। হিমছড়ি পাহাড়ের চূড়া থেকে সমুদ্র দেখতে অপরূপই লাগে। মাঝ পাহাড়ের লতা-পাতার ফাঁক গলিয়ে সমুদ্র দর্শন দারুণ অনুভূতির জন্ম দেবে। কক্সবাজারে খরচ তুলনামূলক একটু বেশিই। আর সবক্ষেত্রে দাম-দর ঠিক করে নিলে খরচ অনেক কমে যাবে।

 ৬ হাজার মিটার উঁচুতে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ালেন রত্না


ভ্রমণ : নবীন পর্বতারোহী রেশমা নাহার রত্না পরপর দুটি ৬ হাজার মিটার পর্বতে ওড়ালেন লাল-সবুজের পতাকা। সম্প্রতি তিনি এ অভিযান সফলভাবে শেষ করেছেন। এর আগে কোন বাঙালি নারীকে পরপর এমন অভিযান করতে দেখা যায়নি। এসময় তিনি এলপাইন স্টাইলে মোট ৩টি অভিযানে অংশ নেন।

জানা যায়, গত ১৬ আগস্ট তিনি লাদাখের মারখা উপত্যকায় অবস্থিত কাং ইয়াতসে-২ পর্বতের পথে যাত্রা শুরু করেন। প্রচণ্ড বৈরি আবহাওয়ার কারণে যাত্রার ১ দিন পরই নেমে আসতে শুরু করেন। এসময় পাহাড়ি নালাগুলোতে পানির স্রোত বেড়ে যাওয়ায় অসুবিধায় পড়তে হয়েছিল।

এরপর ২২ আগস্ট স্টক কাঙ্গরির পথে যাত্রা করেন। ২৩ আগস্ট স্টক কাঙ্গরি বেসক্যাম্পে পৌঁছে সেদিন রাত সাড়ে ১১টায় সামিটের উদ্দেশে রওনা হন। এসময় চলতে চলতে পায়ে ব্লিস্টার হয়ে যায়। সারারাত ট্রেক করার পর পরদিন সকাল ৮টা ৫৭ মিনিটে স্টক কাঙ্গরির সামিটে পৌঁছে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান।

২৫ আগস্ট বেসক্যাম্প থেকে লেহ শহরে ফিরে আসেন। ২৬ আগস্ট বিশ্রামের পর ২৭ আগস্ট পুনরায় কাং ইয়াতসে-২ এর উদ্দেশে যাত্রা করে চকদো পৌঁছান। ২৮ আগস্ট নিমালিং ও ২৯ আগস্ট বেসক্যাম্পে পৌঁছান। ২৯ আগস্ট রাতেই সামিটের উদ্দেশে যাত্রা করে পরদিন সকাল ৮টা ৩৪ মিনিটে কাং ইয়াতসে-২ এর চূড়ায় লাল-সবুজের পতাকা ওড়ান। এসময় চারপাশ হোয়াইট আউট হতে শুরু করে এবং সামিটে ৩০ মিনিট অবস্থানের পর বেসক্যাম্পের উদ্দেশে যাত্রা করেন।




 ৬ হাজার মিটার উঁচুতে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ালেন রত্না
৩১ আগস্ট বেসক্যাম্প থেকে লেহ শহরে ফিরে আসেন। দুটি পর্বতেই তিনি নিজ পেশার প্রতি সম্মান দেখিয়ে প্রাথমিক পরিবারের পতাকা ওড়াতে ভোলেননি। তিনি পরিবারের সবার শুভকামনা করেন। অভিযানে সহযাত্রী হিসেবে ছিলেন নেহেরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিংয়ের শিক্ষক সৌরভ রাউতেলা ও তার শিক্ষার্থীরা।

চিত্রাপাড়ের মেয়ে রত্না পেশায় শিক্ষক। কিন্তু সাদা পাহাড়ের প্রতি অদম্য বাসনা তার। তাই শতবাধা পেরিয়ে পর্বতের পথে নিয়মিত অগ্রসরমান এ পর্বতারোহী। ২০১৬ সালে একটি ক্লাবের সাথে যুক্ত হয়ে কেওক্রাডংয়ের চূড়ায় যাওয়ার মধ্যদিয়ে শুরু হয় তার পথচলা। এরপর তিনি থেমে থাকেননি।

সে বছরই ক্লাবের সহযোগিতায় পর্বতারোহনের মৌলিক প্রশিক্ষণের জন্য ভারতের উত্তরকাশির নেহেরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিংয়ে যান। পরবর্তীতে মৌলিক প্রশিক্ষণ, উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন। তিনি অভিযান করেন মাউন্ট কেনিয়া লেনানা পিকে। এটিই তার প্রথম ৬ হাজার মিটার পর্বত অভিযান। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে পর্বতের পথে এ অভিযাত্রা অব্যাহত রাখবেন তিনি।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget