Articles by "ভোলা"
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

মাটি খুঁড়ে বের করা হলো নিখোঁজ কলেজ ছাত্রের লাশ

জু‌য়েল সাহা বিকাশ : ‌ভোলার বোরহানউদ্দিন উপ‌জেলায় মো. সুমন (২০) না‌মে এক ক‌লেজ ছাত্র‌কে হত্যা ক‌রে সুপা‌রি বাগা‌নে পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার ক‌রে‌ছে পু‌লিশ।

নিহত সুমন উপ‌জেলার প‌ক্ষিয়া ইউনিয়‌নের ৭নং ওয়া‌র্ডের ম‌ফিজুল ইসলা‌মের ছে‌লে। তিনি বোরহানউদ্দিন আব্দুল জব্বার ক‌লে‌জের ডিগ্রী তৃতীয় ব‌র্ষের ছাত্র ছিলেন।

এ ঘটনায় সোমবার (২২ জুন) দুপুর ১২টার দি‌কে ওই এলাকা থে‌কে মো. মিঠু (২৫) না‌মে হত্যাকারী‌কে আটক ক‌রে‌ছে পুলিশ। আটক মিঠু একই এলাকার মো. না‌জি‌মের ছে‌লে।

বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মো. এনামুল হক জানান, শ‌নিবার (২০ জুন) রাত ৮টা থে‌কে নি‌খোঁজ ছিলেন ক‌লেজ ছাত্র সুমন। রোববার (২১ জুন) তার মা মমতাজ বেগম বোরহানউদ্দিন থানায় এক‌টি সাধারণ ডায়রি ক‌রেন। এরপর তথ্য প্রযু‌ক্তি ব্যবহার ক‌রে নি‌খোঁজে সুম‌নের কল লি‌স্টে মিঠুর নম্বর পায় পুলিশ। সোমবার মিঠু‌কে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ কর‌লে সে সুম‌নের মৃত্যুর কথা জানায়। তার দেয়া তথ্য ম‌তে আমরা সোমবার দুপু‌রে ওই এলাকার এক‌টি সুপা‌রি বাগান থে‌কে সুম‌নের পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার ক‌রি।

‌ভোলা পু‌লিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, মিঠু‌কে জিজ্ঞাসাবা‌দে একের পর এক তথ্য দি‌চ্ছে। আমরা তা‌কে রিমা‌ন্ডে নি‌য়ে জিজ্ঞাসাবাদ কর‌ব। ত‌বে প্রাথ‌মিক জিজ্ঞাসাবা‌দে যে তথ্য পাওয়া যা‌চ্ছে তা মামলার তদন্তের স্বা‌র্থে প্রকাশ করা যা‌বে না।

ভোলায় এসপি-ওসির অপসারণ সহ ছয় দফা দাবীতে সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন

ভোলা : ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার ও বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মু. এনামুলের অপসারণ সহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ।
সোমবার(২১অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় পরিষদের সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদের ব্যানারে ভোলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এই দাবী জানান।
সংবাদ সম্মেলন পরিষদের আহ্বায়ক মাওলানা বশির উদ্দিন বলেন, ‘পরিস্থিতি শান্ত রাখার স্বার্থে সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। তবে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন চলমান থাকবে।
এ সময় তিনি আরো কর্মসূচি ঘোষনা করেন, ‘মঙ্গলবার বিকেলে প্রতি উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি, বুধবার বেলা ১১টায় জেলা শহরে মানববন্ধন এবং বৃহস্পতিবার বিকেলে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাতের কর্মসূচি পালন করা হবে।
লিখিত বক্তব্যে পরিষদেও যুগ্ম সদস্য সচিব মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, আল্লাহ এবং নবী রাসুলদের নিয়ে কটুক্তিকারীর বিরুদ্ধে যদি দেশে কঠিন শাস্তির আইন থাকতো তাহলে রোববার বোরহানউদ্দিনে পুলিশের গুলিতে ৪ মুসলিমকে নিহত হতে হতো না।
৬ দফা দাবিগুলো হলো-
১.বোরহানউদ্দিন থানার ওসি ও ভোলার পুলিশ সুপার প্রত্যাহার।
২. ময়নাতদন্ত ছাড়া ৪ মুসুল্লিদের লাশ দাফন করার অনুমতি দিতে হবে।
৩. আহত মুসুল্লিদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. নিহত ৪ মুসুল্লিদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দিতে হবে।
৫. অভিযুক্ত বিপ্লব চন্দ্র শুভ সহ জড়িতদের ফাঁসি দিতে হবে।
৬. গ্রেপ্তারকৃত সকল মুসুল্লিদের মুক্তি দিতে হবে।
সংবাদ আরো সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা ইয়াকুব আলী চৌধুরী, মাওলানা মো. ইউসুফ, মাওলানা মো. আতাহার আলী, মাওলানা তৈয়বুর রহমান, মাওলানা মহিউদ্দিন, মাওলানা মাহাবুবুর রহমান, সদস্য সচিব মাওলানা তাজ উদ্দিন ফারুকী প্রমূখ।
কামরুজ্জামান শাহীন

সিন্ডিকেটের হাতে বন্দি ভোলার আখ চাষিরা


কোন প্রকার রোগ ও পোকার আক্রমণ না থাকায় এ বছর ভোলা জেলায় আখের ব্যাপক ফলন হয়েছে। বিগত কয়েক বছরের চেয়ে এ বছর আখের ফলন অনেক বেশি। ক্ষেতের ফলন দেখে মুখে হাসি ফুটেছে আখ চাষিদের। বেশি ফলন হওয়ায় চাষিরা আখ বিক্রি করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

সদর উপজেলার ভেলুমিয়া এলাকার আখ চাষি আব্দুল জলিল জানান, তিনি এ বছর ২ একর জমিতে আখ চাষ করেছেন। এতে প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ক্ষেতে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ নেই। অনেক টাকা লাভ হবে এ বছর।

দৌলতখান উপজেলার চর খলিফা ইউনিয়নের কলকোপা গ্রামের নিজাম সিকদার জানান, তিনি এ বছর ১ একর জমিতে ৫০ হাজার টাকা খরচ করে আখ চাষ করেছেন। এ পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকার আখ বাজারে বিক্রি করেছেন। আরও প্রায় ১ লাখ টাকার আখ বিক্রি করতে পারবেন।

এদিকে আখের ব্যাপক ফলন হলেও ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চাষিরা। চাষিদের অভিযোগ, মধ্যসত্ত্বভোগী ও সিন্ডিকেটের কারণে পাইকারি বাজারে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। তাই অনেক কম দামে আখ বিক্রি করছেন তারা।


সিন্ডিকেটের হাতে বন্দি ভোলার আখ চাষিরা
ভোলা সদরের পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের মো. ফিরোজ মিয়া জানান, তারা বাজারে আখের সঠিক দাম পান না। ভোলা সদরে ৩-৪ জন পাইকার থাকলেও আড়ৎ মাত্র একটি। আড়ৎ থেকে যে দাম নির্ধারণ করা হয়; সে দামে চাষিদের বিক্রি করতে হয়। তাই বাধ্য হয়ে অনেক কম দামে আখ বিক্রি করতে হয়।

চাষিরা পাইকারি বাজারে ন্যায্য মূল্য না পেলেও খুচরা বাজারে চড়া দামে আখ বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। ভোলা শহরের নতুন বাজারে আখ কিনতে আসা মো. আরিফ হোসেন জানান, খুচরা বাজারে আখের চড়া দাম। প্রতিটি আখ ৬০-৮০ টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ পাশের আড়তে আখের দাম অনেক কম।

এলাকার খুচরা বিক্রেতা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আড়ৎ থেকে প্রতি শ’ আখ ৪-৫ হাজার টাকা দামে কিনতে হয়। অথচ আড়ৎদাররা চাষিদের কাছ থেকে ৫০০-১ হাজার টাকা দামে কেনে। খুচরা বিক্রেতাদের কাছে তারা বেশি দামে বিক্রি করে। তাই লাভের জন্য খুচরা আখ বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

শহরের নতুন বাজার এলাকার আড়ৎদার মো. ইয়ামিন মিয়া জানান, এ বছর জেলায় আখের ব্যাপক ফলন হয়েছে। বাজারে প্রচুর আখ উঠেছে। চাহিদার চেয়ে বেশি হওয়ায় বাজার দাম একটু কম। কারণ ক্রেতার সংখ্যা কম। বাজারে কোন সিন্ডিকেট নেই। দাম কম পাওয়ায় কৃষকরা সিন্ডিকেটের কথা বলে।

জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এ বছর জেলায় ৮২৪ হেক্টর জমিতে আখের চাষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৪ হেক্টর বেশি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫ হাজার ৭২০ মেট্রিক টন।

ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, ‘কৃষি বিভাগের সঠিক তদারকিতে আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে কৃষকরা আখের সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না। আমরা কৃষকদের নিজ উদ্যোগে আখ বিক্রির পরামর্শ দিয়েছি।’


এস রহমান সোহেল, ভোলা জেলা, সংবাদদাতাঃ ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, ভোলা সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি তছির অাহম্মেদ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে।

১৬ অক্টোবর ১০.৫০ মিনিটে বরিশাল সেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয় তার।

স্থানীয় সূত্রে যানা যায়, নিহত তছির আহাম্মেদ ১৬ অক্টোবর রাত সোয়া ৬টার দিকে মটর সাইকেল যোগে নিজের বাসা থেকে বের হবার পথে দ্রুতগামী একটি ভটভটি সরাসরি তার মটর সাইকেলটিকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। ভটভটির ধাক্কায় মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে তিনি মাটিতে অচেতন অবস্থায় পরে থাকে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল হাসপাতালে পাঠান।

তার মৃত্যুতে ভোলা জেলা আওয়ামীলীগের অংগ সংগঠনের সকল নেতাকর্মীসহ সাধারন জনগন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

এস রহমান সোহেল, ভোলা জেলা সংবাদদাতাঃ ঢাকা টু দুলার হাট থানার ঘোষেরহাট রুটে জাহিদ - ৮ লঞ্চে অজ্ঞান পার্টির সদস্য -৩ জনকে আটক করেছে লঞ্চ যাত্রীরা।


(১৭ আগষ্ট) শুক্রবার দুলার হাট থানার এস আই শাহজালাল সংগীয় অফিসার ও ফোর্স যাত্রীদের হাতে আটককৃত অজ্ঞান পার্টির সদস্য তিনজন কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়েযান।


আটক কৃত অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা হলেন ১।মো: রায়হান চোধূরী(২১) পিং মহিউদ্দিন চৌধূরী মাতা- রোকসানা বেগম সাং দক্ষিনকাগজী পাড়া ১নং ওয়ার্ড থানা মুন্সিগন্জ(সদর) জেলা - মুন্সিগন্জ।
২। সাইফুল ইসলাম মুন্না(২৩) পিং আজিজ বেপারী,মাতা-তাজনুর বেগম সাং দক্ষিন কাগজী পাড়া ১নং ওয়ার্ড থানা- মুন্সিগন্জ সদর, মুন্সিগন্জ ৩।রুবেল সর্দার(১৮) পিং বাচ্চু সর্দার মাতা- সাহেদা বেগম সাং দারিয়াকান্দি থানা- সালতা জেলা -ফরিদপুর। প্রত্যক্ষদর্শী নাজিম আকন,বেল্লাল হোসাইন,আলমগীর,মো: ফারুক,এ,কে এম রুবেল হোসেন আমাদের প্রতিনিধি কে জানান রাত ১১:৩০ হতে ৫:৩০ যে সময়ের মধ্য কাটপট্রী ঘাটে জাহিদ -৮ লঞ্চে অবস্থান নেয় এবং দুই লঞ্চযাত্রীরকাছ হতে নগদ ৪২০০০ টাকা ও ১৫০০ টাকা এবং সংগে থাকা স্যামসাং গ্যালাক্সী ৮২২৬২ মডেল মুল্য ২২০০০ টাকা নকিয়া ২২০ মডেল দাম ৩৫০০ টাকা গল্প গুজবের সুযোগে চেতনা নাশক রুমাল প্রয়োগ করে মোট ৭০০০০ টাকা নিয়ে স্থান ত্যাগ করে। অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে মো: মাহমুদুল হাসান(৩৫) পিং মৃত আ:হাই পটুয়াখালী বাসিন্দা দুলার হাট থানাধীন পাঙ্গাসীয়া নামক স্থানে পৌছলে জ্ঞান ফিরে তার সংগে থাকা টাকা মোবাইল না পাওয়ায় রায়হান চৌধূরী, সাইফুল ইসলাম, রুবেল সর্দার তিনজনকে সনাক্ত করলে লঞ্চের যাত্রী ভীর জমলে ২নং আসামী সাইফুল ইসলাম মুন্না নদীতে ঝাপ দেয়। বাকী দুজন কে জনতার হাতে আটক হলে দুলার হাট থানায় খবর পাওয়ার সাথে সাথে এস আই মো: শাহজালাল সংগীয় অফিসার ও ফোর্স ঘোষের হাট লঞ্চ ঘাটে গ্রেফতারে সক্ষম হয়। ঘটনাস্থলেই গ্রেফতারকৃত কাছে সংগে থাকা ৪মিলিগ্রাম পিরিটন ০৬ পিচ ট্যাবলেট ও ৪.৫ ইঞ্চি সাইজের ষ্টিলের ১পিচ সিজার উদ্ধার করে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে মাহমুদুল হাসান শারীরিক ও মানসিক ভাবে অসুস্থ্য হয়ে দুলার হাট থানাধীন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা প্রদান করা হয়েছে বলে জানান। দুলার হাট থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান পাটওয়ারী সত্যতা স্বীকার করেন এবং বলেন গ্রেফতারকৃত অজ্ঞান পার্টির সদস্য সাইফুল ইসলাম মুন্না কে গাছির খাল নামক স্থানে জনতার হাতে আটক হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। গ্রেফতার কৃত এ অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে তাদের খপ্পরে পড়ে বহু যাত্রী সর্বস্ব হচ্ছে এমনকি জীবন মৃত্যর মুখে পতিত হচ্ছে। কোরবানী ঈদের এ সময়ে সকল যাত্রী ও জনসাধারন সর্বদা সজাগ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করতে সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি।

এস রহমান সোহেল,ভোলা জেলা সংবাদদাতাঃ ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের ভূতার খেয়া এলাকায় তৈলবাহী  লরির ভারে একটি আয়রন ব্রিজ ভেঙ্গে পড়েছে। এতে দূর্ভোগে পড়েছে তিনটি ইউনিয়নের সাধারন জনগন।

বৃহস্পতিবার (৯আগষ্ট) ভোর রাতে এ দূর্ঘটনা ঘটে। তৈলবাহী লরিটি ব্রিজ পার হওয়ার সময় ভেঙ্গে গেলে যানবাহন ও পথচারী চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হানিফ সিকদার বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত তৈলবাহী লরিটি সরিয়ে নেওয়ায় চেষ্টা চলছে। চরফ্যাশন টু জলিল বেপারী বাজারের সড়কের  ব্রিজ ভেঙ্গে যান চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের চরম দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে। এসময় ব্রীজের দুপাশে কিছু যানবাহন আটকা পড়ে যায় এবং জনসাধারনের চলাচলে অসুবিধা হয়।

এ রির্পোট লেখা পযর্ন্ত তৈলবাহী লরিটি এখনো উদ্ধার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। লরিটিতে তৈল ভর্তি থাকায় উদ্ধারে সময় লাগছে বলে উদ্ধাকারীরা জানান।


এস রহমান সোহেল,ভোলা জেলা প্রতিনিধিঃঃ ৬দিনে ও খোঁজ মিলেনি দুলার হাট থানার আহাম্মদপুর গ্রামের ২২ জেলের। চরফ্যাসনের দক্ষিণ সাগরে ঝড়ে যাওয়া ২টি  ট্রলারডুবির ৬ দিন পরও নিখোঁজ স্বজনদের কোনো খবর না পাওয়ায় জেলেদের জীবন নিয়ে অজানা আশঙ্কায় জেলে পরিবারগুলোতে এখন শোকের মাতম।


ডুবে যাওয়া ট্রলারে নিখোঁজ জেলে নুরনবী ও সোহরাব-সোমবার সন্ধ্যায় গ্রামে ফিরে এসেছেন। তাদের ফিরে আসার ঘটনা নিখোঁজ থাকা জেলে পরিবারগুলোর শোককে উসকে দিয়েছে।


জানা গেছে, জলিল কোম্পানির এফবি সোনার মদিনা এবং মানিক মাঝির এফবি মানিক ট্রলার গত ১৮জুলাই গভীর সাগরে মাছ ধরতে যায়। দুটি ট্রলারে ৪৮ জন জেলে ছিল। সাগরে উত্তাল ঢেউয়ের তোপে শুক্রবার রাতে এফবি সোনার মদিনা ও এফবি মানিক ট্রলার দুটি ডুবে যায়। ঢেউয়ের তোপে ভেসে যায় সব জেলে।


ঘটনার পরপর বিভিন্ন ট্রলারের সহায়তায় এফবি মানিক ট্রলারের ২৪ জেলে উদ্ধার হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরলেও নিখোঁজ ছিল ২৪ জেলে। তাদের মধ্যে সোমবার সন্ধায় নুরনবী ও সোহরাব বাড়ি ফিরলেও এখনো নিখোঁজ আছেন ট্রলারমাঝি হোসেনসহ ২২ জেলে।


ট্রলারডুবির ৫ দিন পর ঘরে ফেরা জেলে নুর নবী ও সোহরাব জানান, জলিল মাঝির মালিকানাধীন এফবি সোনার মদিনা ট্রলারটি একটু পুরানো ছিল। হঠাৎ সাগর উত্তাল হয়ে উঠে। সাগরে সিগন্যাল উঠেছে-এমনটা নিশ্চিত হয়ে নিকটবর্তী নিরাপদ আশ্রয়ে ফেরার সময় শুক্রবার রাতে ভয়ংকর ঢেউয়ের তোপে তাদের ট্রলার (এফবি সোনার মদিনা) ডুবে যায়। বাংলাদেশ ভারত বর্ডার চালনা এলাকায় সীমানায় ঘটে এই দুর্ঘটনা ঘটে।


একই রাতে ঢেউয়ের তোপে চালনা সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের কেদুয়াখারী সীমান্তে ঢুকে যায় একই এলাকার অপর একটি ট্রলার। ভারত সীমান্ত থেকে ফেরার পথে সাগরে ভাসতে দেখে নুরনবী ও সোহরাবকে উদ্ধার করে সোমবার সন্ধ্যায় নিজ গ্রামে নিয়ে আসেন ওই ট্রলারের জেলেরা।


ফিরে আসা জেলেদের বাড়িতে গেলে দেখা হয় শোকাহত ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগমের সঙ্গে। শোকস্তব্ধ শক্তিহীন আনোয়ারা বেগম এসেছেন তার নিখোঁজ তিন ছেলে আলমগীর, মালেক এবং আবদুল আলীর খোঁজ নিতে। কিন্ত নিখোঁজ সন্তানদের কোনো খবর না পেয়ে মাটিতেই বসে নির্বাক দৃষ্টিতে আকাশের দিকে চেয়ে থাকেন আনোয়ারা বেগম।


এই বাড়িতে নিখোঁজ স্বামীদের জীবনের অজানা আশঙ্কায় শোকের মাতম করতে দেখা গেছে রাজিয়া, আমিরন ও সুরমাদের।


এফবি সোনার মদিনা ট্রলারের জেলে নুর হোসেন, জাহাঙ্গীর,ফারুক, জাকির, লোকমান, নুরুল ইসলাম, জাফর, নুর হোসেন, আলমগীর মিজি, কবির, রাসেল, ছাদেকসহ নিখোঁজ ২২ জেলের পরিবারের শোকের মাতম গ্রামের আকাশ-বাতাসকেও ভারি করে তুলেছে।


এস রহমান সোহেল, ভোলা জেলা প্রতিনিধিঃ ভোলা সদরের অ্যাসিড নিক্ষেপে দগ্ধ মালা চলে গেলেন না ফেরার দেশে। দীর্ঘ কয়েকমাস চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিল বোন ও তার মা বাবা কে নিয়ে বেচে থাকার সংগ্রামে। কিন্তু মালার যে সে আশা পুরন হলো না, বখাটের এসিড নিক্ষেপের ভয়াবহতা ছিল জলন্ত আগুনের মতো। বেঁচে থাকার জন্য মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া অ্যাসিড দগ্ধ তানজিম মালা (১৬) গতকাল রাতে অবশেষে ব্যর্থ হয়ে জগতের মায়া মমতা ছেড়ে চলে গেল না ফেরার দেশে।
শনিবার (৭ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানী সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাড়ি জমান অ্যাসিড দগ্ধ তানজিম মালা। এদিকে, তানজিম মালার মৃত্যুর ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শোকের মাতম নেমে আসে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মে দিবাগত রাতে ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিগলদী ইউনিয়নে ঘুমন্ত অবস্থায় মহব্বত নামে এক বখাটে এসিড নিক্ষেপ করে তানজিম (১৬) ও তার ছোট বোন মারজিয়ার (৭) ওপর। এঘটনায় পরদিন ভোলা সদর মডেল থানায় তানজিম মালার ‘‘মা’’ মামলা করেন। এসিড দগ্ধ দুইবোনকে উদ্ধার করে প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) পাঠানো হয়। এরপরে শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠায়।
এসিড নিক্ষেপের ঘটনার দিন খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোকতার হোসেন। এসময় তিনি বলেন, অ্যাসিড সন্ত্রাাসীদের গ্রেফতার করার জন্য চেষ্টা চলছে। এঘটনায় জড়িতরা খুব তাড়াতাড়ি গ্রেফতার হবে।


গত ২৬ মে অ্যাসিড নিক্ষেপের মূলহোতা মহব্বত হাওলাদার অপুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞেসায় অ্যাসিড নিক্ষেপের কথা স্বীকার করে মহব্বত হাওলাদার অপু। গ্রেফতারকৃত আসামি মহব্বত হাওলাদার অপু ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ মানিক মিয়ার ছেলে। অপু ভোলা সরকারি কলেজের ইকোনোমিক্স বিভাগের অনার্সের ছাত্র।


এঘটনায় জড়িত মহব্বত হাওলাদার অপুর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাাইব্যুনালের ৯/৪ (১), ৩০ ধারার মামলায় জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। পরদিন ভোলা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ১৬৪ ধারায় অ্যাসিড নিক্ষেপের কথা স্বীকার করে মহব্বত হাওলাদার অপু।


তানজিম মালার মরদেহ (৮জুলাই) বিকেলে ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিগলদী ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে দাফন করা হয় বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।



রিপোর্ট : ইমাম বিামন: ভোলায় প্রতারনার ফাদে প্রবাসীর জমি দখল করে মাজার ব্যবসা করছে একটি প্রতারক চক্র। ভোলা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে পৌরবাপ্তার স্থায়ী বাসিন্দা আলহাজ্ব আ.ফ.ম. হাফিজুল ইসলাম পিতার একমাত্র সন্তান। হাফিজুল ইসলামের কোন ছেলে সন্তান নেই। মেয়েদের বিবাহ দেয়ার কয়েক বছর পর হাফিজুল ইসলাম অসুস্থ হলে উন্নত চিকিৱসার জন্য মেয়েদের সাথে আমেরিকায় চলে যান এবং সেখানেই বসবাস করছেন।


এ বিষয় আমেরিকা প্রবাসী আ.ফ.ম. হাফিজুল ইসলাম জানান, আমেরিকা যাবার পূর্বে হাফিজুল ইসলামের প্রতিবেশী মৃত. সুফি হাবিবুর রহমানের দুই সন্তান এ.এম.এম. সুফি আদুদুর রহমান ও সুফি রফিকুর রহমানের কাছে সরল বিশ্বাসে পৌত্রিক সম্পত্তি (১১২ শতাংশ জমি) যাহাতে বসত বাড়ী ও দোকান ঘর দেখা শোনার সহ ভাড়া তোলার দায়িত্ব দিয়ে আমেরিকায় চলে যান। বাড়ীর খবর জানতে আমেরিকায় থাকা কালিন সময় প্রায়ই প্রতিবেশিদের কাছে মুঠোফোনে খরব নিতেন। গত ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ আ.ফ.ম. হাফিজুল তার বাড়ী সংলগ্ন প্রতিবেশিদের সাথে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে জানায় যে, তার পৈত্রিক বাড়ীটি দেখা শোনার দায়িত্বে থাকা এ.এম.এম. সুফি আদুদুর রহমান তার ভাই সুফি রফিকুর রহমান সকল সম্পত্তি দখল করে।সেই সাথে সুফি আবদুর রহমানের ভাগিনা আশফিক রহমানের সহয়তায় বাড়িড় অভ্যন্তরে থাকা পুকুর ভরাট করে ইট, বালু, সিমেন্ট দিয়ে সীমানা প্রাচীর করে সকল সম্পত্তি দখল করে দারুল হাবিব নামে একটি মাজার তৈরি করছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে আমি ২০১৭ সালে আমেরিকা থেকে নিজ বাড়িতে আসি। এসে ঘটনার সত্যতা জানতে পেরে রক্ষক হিসেবে যাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম সেই ভক্ষক এ.এম.এম. সুফি আদুদুর রহমান ও সুফি রফিকুর রহমানের কাছে পুকুর ভরাট, মাজার নির্মানের করার কারন জানতে চাইলে তারা তাদের জমি বলে দাবী করে এবং আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তুই যা করতে পারবি করিস বলে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে আমি এর প্রতিবাদ করলে ভুমি দস্যুরা আমার উপর ক্ষেপে যায় ও প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। আমি সেখান থেকে ফিরে এসে ভোলা জেলা আদালতে একটি উচ্ছেদ মামলা দায়ের করি (যাহার নম্বর ৬/১৭)। বিবাদীরা আমার নামের স্বাক্ষর ও টিপ সই সম্বলিত একটি দলিল (যাহা ভোলার রেজিষ্ট্রী অফিস কতৃক স্বাক্ষরিত) করে আদালতে প্রদর্শন করে। আদালতে তাদের দলিল প্রদর্শনের পর আমি জানতে পারি তারা আমার নামের মিথ্যা স্বাক্ষর ও টিপসই ব্যবহার করে জাল দলিল করে যাহা আদাঊ আমি জানিনা এবং আমি তাদেরকে বা তাদের কাছে কোন ভাবেই আমার পত্রিক সম্পতি দান অথবা বিক্রয় করি নাই। আমার নামের স্বাক্ষরিত জাল দলিল করার বিষয় জানতে পেরে তাদের জাল দলিলটি বাতিলের জন্য পুনরায় আরেকটি মামলা দায়ের করি। কিছুদিন পর আমি অসুস্থ হলে আমার বড় মেয়ের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করি এবং ভোলা দেওয়ানি আদালতে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব দেই।মামলার তারিখে আমার মেয়ে আদালতে হাজিরা দিতে গেলে মেয়ের পেছনে ভুমি দস্যুরা লোক দিয়ে বিভিন্ন প্রকার হুমকি মুলক আচরন করে আসছে।


এ বিষয় বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, উক্ত মাজারকে ঘিরে গড়ে ওঠেছে রমরমা ধর্মীয় ব্যবসা, ধর্মের নামে নিরীহ ও সহজ সরল মানুষদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা সেই সাথে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে কুসংস্কার ও ধোকা বাজী, মাজারে বাজানো হচ্ছে উচ্চ স্বরে মাইক, পার্শের মসজিদের মুসল্লীদের নামাজ পড়তে সমস্যা হচ্ছে, এলাকার মানুষ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে, তারা স্থানীয় প্রভাবশালী থাকায় সাহস করে কেহ প্রতিবাদ করতে পারছে না।
আরও জানা যায় আলহাজ্ব আ.ফ.ম. হাফিজুল ইসলাম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন, কেন্দ্রীয় অফিসে মানবাধিকার রক্ষা ও আইনী সহয়তা চেয়ে এ.এম.এম. সুফি আবদুর রহমান, সুফি রফিকুর রহমান ও আশফিক রহমানদের বিরুদ্ধে মানবিক সহায়তা চেয়েছেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছেন।


এস রহমান সোহেল, ভোলা জেলা : ভোলার লালমোহনে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল মিশ্রিত ৮৪ বস্তা ভেজানো সুপারি ও ২০ কেজি সোডিয়াম হাইড্রোসালফেট কেমিক্যাল জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

মঙ্গলবার (৩ জুলাই) বিকেল ৪টায় উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের কর্তারহাট বাজার থেকে এসব সুপারী ও ক্যামিক্যাল জব্দ করা হয়।

এ সময় মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর কেমিক্যাল মিশ্রণের দায়ে সুপারির মালিক আব্দুর রহিমকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যামান আদালতের নিবার্হী ম্যাজিট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাবিবুল হাসান রুমি। পরে জব্দকৃত সুপারি নষ্ট করে ফেলা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান রুমি বলেন, কেমিক্যাল মিশ্রণ করে ভেজানো সুপারী দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে বিক্রি করা হয়। এসব সুপারী মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। সুপারী তাজা এবং রং ঝকঝকে করার জন্য এসব ক্যামিক্যাল ব্যবহার করা হয়। কর্তারহাট বাজারে সোডিয়াম হাইড্রোসালফেট নামক কেমিক্যাল মিশ্রণ করে সুপারী ঢাকা পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সুপারীতে ক্যামিক্যাল মিশ্রণের সময় এসব সুপারী জব্দ করা হয়।


এস রহমান সোহেল, ভোলা জেলা:  চরফ্যাশন-ঢাকা নৌ-রুটে লঞ্চ ভাড়া হঠাৎ করেই এক-তৃতীয়াংশ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ঈদকে ঘিরে যাত্রীদের চাপবৃদ্ধি সাথে সাথে ভাড়া বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন লঞ্চযাত্রী। ঘাট থেকে কম ভাড়ার হাক-ডাক দিয়ে লঞ্চে তুলে মাঝ নদীতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এ নিয়ে লঞ্চ গুলোর স্টাফদের সাথে যাত্রীদের হট্রোগোল আর বাকবিতন্ডা হয়েছে। হঠাৎ করে লঞ্চ ভাড়া নিয়ে বাড়াবাড়ির পেছনে সিন্ডিকেট এবং ঈদ বাণিজ্যই অন্যতম কারণ বলে জানাগেছে।


জানাগেছে- চরফ্যাশনের বেতুয়া – ঢাকা এবং ঘোষেরহাট এই ২টি রুটে প্রতিদিন ১২টি লঞ্চ আসা-যাওয়া করছে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে চরফ্যাশনের বেতুয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছাড়ছে ৩টি লঞ্চ । একই ভাবে ঢাকার উদ্দেশ্যে বেতুয়াঘাট থেকে ছাড়ছে ৩টি লঞ্চ। অপরদিকে ঢাকা থেকে চরফ্যাশনের ঘোষরহাট ঘাট এবং লেতরাঘাটের উদ্দেশ্যে ছাড়ছে ৩টি লঞ্চ। একই ভাবে ঘোষেরহাট ঘাট এবং লেতরা ঘাট থেকে ৩টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়ছে। এই ২টি রুটে চলাচলকারী লঞ্চ গুলোতে ভাড়ার চার্ট যেমন নেই,তেমনি ভাড়া আদায়ের ক্ষেত্রে নির্ধারিত কোন পরিমানও নেই। ভাড়ার পরিমান যখন যেমন তখন তেমন করেই চলছে। এ নিয়ে যাত্রীদের সাথে লঞ্চ স্টাফদের বাকবিতন্ডা যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।


স্থানীয় যাত্রীরা জানান-বেতুয়া-ঢাকা রুটে চলাচলকারী ৬টি লঞ্চের মধ্যে কর্ণফুলী, তাসরিফ এবং ফারহান লঞ্চের মধ্যে কয়েক মাস ধরে বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতা চলে আসছে। এই প্রতিযোগিতার ফলে বেতুয়া থেকে ঢাকায় ডেকযাত্রীদের ভাড়া জনপ্রতি ২০ টাকা এবং ঢাকা থেকে বেতুয়ায় ডেকযাত্রীদের ভাড়া ১শ’ টাকা আদায় করা হয়। পাশাপাশি সিঙ্গেল কেবিন ৭শ টাকা ও ডাবল কেবিন ১৬শ’ টাকা পর্যন্ত ভাড়া ছিল। যদিও লঞ্চ গুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতার কারণে ডেকযাত্রীদের ভাড়া হ্রাসের ঘটনা খুবই অস্বাভাবিক ছিল বলে যাত্রী ও লঞ্চ স্টাফরা স্বীকার করেছেন।


কিন্ত ঈদকে সামনে রেখে লঞ্চ গুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতার অবসান হয়েছে এবং গত রোববার থেকে হঠাৎ করেই বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে ভাড়া। ঢাকা থেকে বেতুয়াঘাটে আসা যাত্রী আবদুর রহমান অভিযোগ করেন-ঢাকা সদর ঘাট থেকে তাসরিফ-৪ লঞ্চে ডেকের ভাড়া ১শ’ টাকার কথা বলে মাঝপথে এসে ৩শ’ টাকাভাড়া আদায় করা হয়েছে। হঠাৎ ভাড়া বাড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় মাঝরাতে ডেকের যাত্রীদের সাথে টিকেট কালেক্টরের বাকবিতন্ডার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। একই ভাবে ওই লঞ্চে সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া ৭শ’ টাকার স্থলে ১২শ’ টাকা এবং ডাবল কেবিন ১৬শ’ টাকার স্থলে ২২শ’ টাকা আদায় করা হয়েছে বলে কেবিন যাত্রী নাহিদ সিকদার অভিযোগ করেছেন। শনিবার থেকে চরফ্যাশনের ২টি রুটে চলাচলকারী তাসরিফ,ফারহান,কর্নফুলী,গ্লোরী অব শ্রীনগর, জাহিদ, শাহরুখসহ সবগুলো লঞ্চে ই একই ভাবে বাড়া বৃদ্ধির অভিযোগ পাওয়াগেছে।


হঠাৎ বাড়াবৃদ্ধির কারণ এবং বিআইডব্লিউটিএ নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে তাসরিফ-৪ লঞ্চের সুপারভাইজার মঞ্জুরুল ইসলাম জানান-ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতার কারণে আগে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কমভাড়া আদায় করা হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে এখন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে । তবে কর্তৃপক্ষের থেকে কোন ভাড়ার তালিকা লঞ্চ টানানোর জন্য দেয়া হয়নি বলেও সুপারভাইজার জানান। অভিযোগ প্রসঙ্গে ফেয়ারী নেভিগেশনের জেনারেল ম্যানেজার কাজি ইকবাল জানান- ভাড়ার নির্ধারিত তালিকা লঞ্চে দেয়া হয়নি একথা সঠিক নয়। বিআইডব্লিউএ নির্ধারিত ডেকের ভাড়া ৩৭৪ টাকা এবং কেবিল ভাড়া সিঙ্গেল ১২শ’ টাকা, ডাবল ২২শ’ টাকা এবং ডিলাক্স ৫ হাজার টাকা সরকারি ভাবেই নির্ধারন করা আছে। এখন পর্যন্ত ভাড়ার নির্ধারিত হারের বেশী আদায় করা হয়নি।


এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন জানান লঞ্চ ভাড়া কম বেশী কিংবা ভাড়ার তালিকা টানানোর বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের কিছু করার নেই। ভুক্তভোগী যাত্রীরা ভোক্তা অধিকার আইনে মামলা করতে পারেন অথবা বিআইডব্লিউটিএর কাছে প্রতিকার প্রার্থী হতে পারেন।



এস রহমান সোহেল,ভোলা জেলা  প্রতিনিধিঃ গত সোমবার (১১জুন) ভোলা জেলা অনলাইন প্রেসক্লাবের আয়োজনে দোয়া মুনাজাত ও ইফতার মাফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোলা উপ-শহর বাংলা বাজার অহিদা সুপার কমপ্লেক্সের ৩য় তলায় ভোলা জেলা অনলাইন প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে ইফতার ও দোয়া মাফিল অনুষ্ঠিত হয়।


ভোলা জেলা অনলাইন প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন-ভোলা জেলা অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও স্বদেশ বাণী২৪ ডটকম পত্রিকার সম্পাদক আবদুর রহমান তুহিন। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আমিরুল ইসলাম, দোয়া ও মেনাজাত করেন মাওলানা মোঃ আফতাব। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ভোলা জেলা অনলাইন সহ-সভাপতি এম. সরোয়ার।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত সাংবাদিকদের দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন, ভোলা জেলা রিপোর্টাস ইউনিট ও দৈনিক সমকন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক আল-আমিন শাহরিয়ার। বিশেষ অতিথীর বক্তব্য রাখেন, ভোলা জেলা অনলাইন প্রেসক্লাবের জাকির হোসেন পারভেজ, হাবিবুল্লাহ সুমন, এইচ এম এরশাদ, হারুন, বিপ্লব, সাদির হোসেন রাহিম, নজরুল ইসলাম শুভরাজ, জেবায়ের হোসেন সোহেল সহ সংগঠনের আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এসময় বক্তারা ভোলা-২আসনের জনপ্রিয় এমপি জনাব আলী আজম মুকুলের আরোগ্য লাভ করায় মহান রাব্বুল আল-আমিনের কাছে শুক্রিয়া জ্ঞাপন করেন এবং বক্তারা ভোলার ১- আসনের এমপি ও বাণিজ্যমন্ত্রী আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ ও তাহার পরিবারের সকল সদস্যর সু-সাস্থ কামনায় সকলের কাছে দোয়া চান। উল্লেখ্য ভোলার -২ আসনের এমপি আলী আজম মুকুল দীর্ঘদিন যাবত শারীরিক অসুস্থতার জন্যে সিংগাপুর হাসপাতালে চিকিৎসার পর আরোগ্য লাভ করেন। ভোলা জেলা অনলাইন প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ সহ ভোলার বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক, ব্যবসায়ী এবং সকল গণমাধ্যম কর্মী সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এসময় দোয়া মিলাদ অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন।

এস রহমান সোহেল, ভোলা জেলা: মাত্রাতিরিক্ত গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে ভোলার চরফ্যাশন শশীভূষণ,দক্ষিণ আইচা ও দুলার হাট এলাকা বাসীর জনজীবন। সকাল থেকে শুরু গভীর রাত পর্যন্ত ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিংয়ের ফলে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে কলকারখানাসহ বিদ্যূৎ নির্ভরশীল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার(৮জুন) বিকেলে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে লোডশেডিং বাড়ছে।


বেলা বারার সাথে তাল মিলিয়ে বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। প্রায় অর্ধসিদ্ধ হয়ে ওঠে মানুষের জীবনযাত্রা। দিনে কয়েক ঘন্টাব্যাপী লোডশেডিং দিয়ে শুরু হয় প্রথম ধাপ, সন্ধ্যার পরে দ্বিতীয় ধাপে কয়েকবার লোডশেডিং’র পর শেষবারের মত একটানা কয়েক ঘন্টা গভীর রাত পর্যন্ত চলতে থাকে বিদ্যূত দেয়া নেয়ার খেলা। তীব্র দাবদাহ যতই তীব্রতর হয়, বিদ্যুৎ বিকল্পহীন মানুষগুলো ততই বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছে। ছোট পরিসরে বসবাসরত ঘন বসতীর অসহায় মানুষগুলো একমাত্র বিদ্যুৎ নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় পাখা না ঘোরার ফলে বিশেষ করে শিশুরা সর্দি জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ফলে পানির সংকট দেখা দেয়। তখন দুপুরের গোসল সারতে হয় রাতে।


বিশেষ করে ইফতার ও সেহরীর সময়ও লোডশেডিংয়ের কারনে মুসল্লিরা পরতে হয় মারাত্মক বিপাকে।
এ ছাড়া বিদ্যুৎ সংকটে ব্যাহত হচ্ছে ছোট বড় শিল্প-কারখানার উৎপাদন, ব্যবসা-বানিজ্য, লেখাপড়া, এমনকি হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা । অনেক ব্যবসায়ী বিদ্যূতের এ ভেলকিবাজিতে তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। বিশেষ করে মৎস্য ও বরফকল মালিকরা বিদ্যূৎ বিপর্যয়ে ব্যাপক অর্থ লোকসান দিচ্ছেন। চরফ্যাশন উপজেলায় পল্লী বিদ্যূৎতের প্রায় ৪০ হাজার গ্রাহক ঘন ঘন লোডসেডিংয়ের পরিত্রান খুজে বেড়াচ্ছেন । এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে লোডশেডিং বিরোধী স্ট্যাটাস দিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন নাগরিক কমিটিসহ অনেকেই।


চরফ্যাশন পৌর শহরের কামাল উদ্দিন বলেন, বিদ্যূৎ বিতরন কতৃপক্ষের কার্যক্রমে আমরা সাধারন গ্রাহকরা খুবই অতিষ্ঠ। কোন রকমের আকাশে বিদ্যূৎ চমকালে কিংবা একটু বাতাসের চাপ দেখলেই বিদ্যূৎ চলে যায়। শশীভূষণ এলাকার মনির হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক বিদ্যূৎখাতকে জনমনে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করার জন্য পল্লী বিদূৎ সমিতির লোকজন উঠেপড়ে লেগেছে।
দক্ষিণ আইচা এলাকার পল্লী চিকিৎসক মিজান বলেন, ঘন ঘন লোডসেডিংয়ে জনসাধারনের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে।
দুলার হাট বাজারের ব্যবসায়ী রিয়াজ বলেন,মাত্রাতিরিক্ত গরমে দোকানে বসা যাচ্ছেনা, বিদ্যূৎতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি শেষ নাই। বিদ্যূৎ নিয়ে এত বত্তৃতা,প্রতিশ্রæতি তার পরও থামছেনা লোডশেডিং।


চরফ্যাশন পল্লী বিদ্যূৎ সমিতির এজিএম মনিরুল ইসলাম জানান, মাত্রাতিরিক্ত গরমে কিছু কিছু সময় বিদ্যূতের যে পরিমান চাহিদা বিপরীতে সে পরিমান বিদ্যূৎ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে তিনি বলেন,  এছারাও বিভিন্ন সময় গাছ কাটা,যান্ত্রিক সমস্যা ও লাইনে কাজ করার কারনেও লোডশেডিং হয়ে থাকে।

এস রহমান সোহেল,ভোলা জেলা: ভোলা জেলা চরফ্যাশন উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ব্যবসা কেন্দ্র দুলার হাট থানার বাজারের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া বড় খালটির একি দশা? এক সময় ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক আমদানি রপ্তানির নির্ভরযোগ্য দুলার হাট এর এই বড় খালটির উভয় পার্শ্বে অবৈধ দখল দারদের দৌরাত্বের কারণে খাল যেন ড্রেনে পরিণত হয়েছে। প্রায় এক শত বছরের পুরনো খালের দুই পাড়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে দখল করে রেখেছে প্রভাবশালী মহল। দু’পাড় ভরাট করে বসত ঘর, দোকান পাট ও পাকা ভবন নির্মাণ করে দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে তারা।


> কৃষি প্রধান এ অঞ্চলে নুরাবাদ, নীলকমল, আবুবকর পুর, আহাম্মদপুর, মুজিবনগর এবং দুলার হাটের একমাএ ভরসা খালটি। দুলার হাট বাজারের মধ্যদিয়ে বয়ে যাওয়া বড় খালটি ঘোষের হাট তেঁতুলিয়া নদী হয়ে নীলকমল, নুরাবাদ, দক্ষিণ শিবা সংলগ্ন মায়ানদীর সাথে শাখা উপশাখা নিয়ে গড়ে উঠছে। এখানে অতিবৃষ্টি, বন্যা, খড়া হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য এ খালটির উপর নির্ভর করতে হয়। এ খালের ওপর দিয়ে একসময়ে বয়ে যেতো মালবাহী নৌকা, ট্রলার, স্টিমার যেগুলো সোনার চর, ঢালচর, পাতিলাচর, পাঙ্গাসিয়া, কুকরী মুকরী, রাঙ্গাবালি, চরমমতাজ, চরমোহর, চরকাজল, চরবিশ্বাস ইত্যাদি হইতে সুটকী, ধান, চাউল, গম, নারিকেল, সুপারি, কাচা তরকারী আমদানি, রপ্তানি করা হতো।

> দুলার হাট বাজারের বিশিষ্ট কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে আলাপ কালে তারা প্রত্যেক বছরে কৃষি, মৎস্য, ব্যবসায়ীদের প্রায় ৫/৬শ কোটি টাকার অপুরণীয় ক্ষতি দাবি করেছেন। পাশাপাশি পানিতে জোয়ার ভাটা না থাকার কারণে মাছ চাষীদের, কৃষকের কৃষি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বলে তারা জানান ।

> তারা আরো বলেন, প্রত্যক বর্ষা মৌসুমে এ খালে মাছ ধরার মহোৎসব ছিল চোখে পড়ার মতে। জেলেদের একমাএ আয়ের উৎস ছিল এ খালের শাখা, উপশাখা। বড় খালটির সাথে মিশে ছিলো উপশাখা গুলো কিন্তু ভূমি দস্যুদের দ্বারা এখন নিমজ্জিত হয়ে বড় খালটি ড্রেনে পরিণত হয়েছে। এখন বন্যা, খরা, অতিবৃষ্টির ফলে এবং সামান্য বৃষ্টিতেই তরমুজ, আলু, বাদাম, মরিচ, ডাল চাষিদের অনেক ক্ষতি হয়। নীলকমল, নুরাবাদে হত দরিদ্রতার দাবানলে নিজের জীবন বলি দিতে চেয়েছিল অনেক কৃষক। পরিবেশ বিধরা মনে করেন এ খালটি মুক্ত করা না হলে আগামী কয়েক বছরের মধ্য পরিবেশ হুমকির মুখে দাড়াবে। এমতাবস্তায় নুরাবাদ, নীলকমল, আবুবকরপুর, আহাম্মদপুর, মুজিবনগর সহ দুলার হাট কৃষক, শ্রমিক, মৎস্যজীবী সহ এলাকাবাসীর দাবি দুলার হাটের বড় খালের রক্ষা করে অবৈধ দখল দার থেকে মুক্ত করা এবং ঘোষের হাট -বাংলাবাজার সুলিজকে উন্মুক্ত করে পূর্বের খালের রুপান্তরের জন্য দাবি করেন তারা। ইতিপুর্বে বৃহত্তর আমিনাবাদ ও আব্দুল্লাহপুরের গুরুত্বপুর্ন খালগুলো খনন কাজ হলেও বানিজ্য নির্ভর দুলারহাট থানার বুক চিরে প্রবাহিত খালটি খননকাজ আদৌ হবে কিনা জানা নাই কারো। তবে খালটি খনন করলে দুলারহাটের পুরনো ঐতিহ্য শুটকি ব্যবসায়ীরা প্রাণ ফিরে পাবে বলে আশা করছেন এলাকাবাসী।

এস রহমান সোহেল, ভোলা জেলা: ভোলার লালমোহনে পরকীয়া প্রেমিকাকে তাবিজের মাধ্যমে বশ করতে এসে স্থানীয়দের হাতে আটক হয়েছে আতিকুর রহমান ফরহাদ নামের এক প্রেমিক। গত সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ৯ টার দিকে উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ফুলবাগিচা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ফরহাদ চরফ্যাসন উপজেলার আমিনাবাদ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড এলাকার জমাদার বাড়ির আবুল কালামের ছেলে ও লালমোহন সূর্যের হাসি ক্লিনিকের অফিস সহকারী এবং ১ সন্তানের জনক।


জানা যায়, ফুলবাগিচা এলাকার এক গৃহবধূ তার অফিসের আতিকুর রহমান ফরহাদ নামের এক স্টাফের সাথে পরকীয়া প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তুলে। ধীরে ধীরে তাদের সর্ম্পক গভীর হতে থাকে। ফরহাদ বিভিন্ন সময় তার প্রেমিকাকে নানান জিনিস উপহার দিতো। এ নিয়ে ওই মহিলার পরিবারেও অনেক সমস্যা হয়। ফরহাদের সাথে সর্ম্পকের অবণতি হওয়ার কারণে সে তাবিজের মধ্যমে তার প্রেমিকাকে বশ করতে গত সোমবার রাত পৌনে ৯ টার দিকে মটর সাইকেল যোগে ফুলবাগিচার তার পরকীয়া প্রেমিকার বাড়ির দরজায় তাবিজ কুপতে থাকে। এসময় স্থানীয়রা টের পেয়ে তাকে ধাওয়া করে আটক করে। আটক করার পর তার থেকে ঔষুধের প্যাক মোড়ানো একটি ব্যাঙ্গ ও কাপনের কাপড় উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে লালমোহন ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য জসিম তরীর অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে তার থেকে বক্তব্য নেওয়ার সময় লালমোহন থানার পুলিশ এসে ফরহাদকে থানায় নিয়ে যায়।

এস রহমান সোহেল, ভোলা: নব গঠিত ভোলা জেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা জেলা যুবদলের অফিস দখলে নিয়ে,শহরে আনন্দ মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দেয়। মঙ্গলবার (৫ জুন) দুপুরে সদ্য অনুমোদিত জেলা কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দিন লিটন


এবং  সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের সেলিমের ও সংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেনের নেতৃত্বে মহাজনপট্টি জেলা যুবদল কার্যালয়ে এসেই তালা ভেঙে অফিসে অবস্থান নেয় তারা। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বক্তব্য রাখেন নব গঠিত জেলা যুবদলের সভাপতি জামাল উদ্দিন লিটন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফকরুল ইসলাম ফেরদৌস, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল, সংগঠনিক সম্পাদক, মনির হোসেন প্রমুখ।


সমাবেশ শেষে আনন্দ মিছিল বের করতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ নিয়ে শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে নাশকতা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।


এ ব্যাপারে ভোলার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ছগির মিয়া বলেন, যুবদলের নেতারা শহরের বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে ঈদ মার্কেটের নিরাপত্তার স্বার্থে এবং শহরের যানজট কমাতে পুলিশ মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক
রয়েছে।

ভোলা: এক প্রেমিকার সঙ্গে তিনজনের প্রেমের সম্পর্ক। বিষয়টি জেনে যায় ৩ নম্বর প্রেমিক। মেনে নিতে পারেনি প্রেমিকার এমন আচরণ। সেই ক্ষোভে প্রেমিকার ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করে ৩ নম্বর প্রেমিক মহব্বত হাওলাদার অপু। প্রেমিকের ছোড়া অ্যাসিডে ঝলছে যায় প্রেমিকা ও তার ছোট বোন। শনিবার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে প্রেমিক অপু এসব কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ভোলার পুলিশ সুপার মো. মোকতার হোসেন।


সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. মোকতার হোসেন বলেন, ভোলায় দুই বোনের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপের দায় স্বীকার করেছে অপু। ভুক্তভোগী এক বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে সে একাই এই কাজে অংশ নেয়।


এর আগে শুক্রবার গভীর রাতে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের শান্তিরহাট এলাকার নিজ বাড়ি থেকে মহব্বত হাওলাদার অপুকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।


শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপার মো. মোকতার হোসেন সংবাদ সম্মেলন করে জানান, এবছর এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থী তানজিম আক্তার মালার ৩ নম্বর প্রেমিক অপু এ ঘটনায় জড়িত।


গত ১৪ মে গভীর রাতে প্রেমিকা তানজিম আক্তার মালার ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করে প্রেমিক অপু। এ সময় মালা ও তার ছোট বোন মার্জিয়ার মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়।


ঘটনার পর পরই আহতদের স্বজনরা অ্যাসিড নিক্ষেপের জন্য একই বাড়ির ফারুকের ছেলে রাজিবকে সন্দেহ করে মামলা দেয়। ওই সময় মালাও জানায়, রাজিব তাকে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ব্যর্থ রাজিব এই কাজ করেছে। এ ঘটনায় রাজিবের বাবা ফারুক রাঢ়িকে গ্রেফতারও করে পুলিশ।


এদিকে, নির্দোষ রাজিবের পরিবার প্রকৃত ঘটনা বের করতে পুলিশকে নানা তথ্য দেয়। পাশাপাশি ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনুসন্ধান চালিয়ে এ ঘটনায় অপুর সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ।


শনিবার ডিবি কার্যালয়ে অপু জানায়, ভোলা সরকারি কলেজে অর্থনীতি বিষয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করছে সে। মালার সঙ্গে তার মোবাইলে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের প্রেম হয়। জীবনের প্রথম প্রেম হিসেবে মালাকে সে ভীষণ ভালোবাসে। কিন্তু কয়েকদিন পর সে জানতে পারে মালার সঙ্গে তিনজনের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।


ফলে মালার ওপর ভীষণ ক্ষিপ্ত হয় অপু। সিদ্ধান্ত নেয় অ্যাসিড নিক্ষেপের পর মালাকে কেউ বিয়ে করতে রাজি হবে না। ব্যাটারি চার্জের দোকান থেকে অ্যাসিড সংগ্রহ করে সে। এরপর গভীর রাতে বাইসাকেল চালিয়ে মালাদের বাড়ি যায়। জানালা খোলা পেয়ে ঘুমন্ত মালার ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায় অপু। সেই অ্যাসিডে ঝলছে যায় মালা ও তার ছোট বোন মার্জিয়া। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।


সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপারের পাশপাশি উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিন মাহমুদ, সহকারী পুলিশ সুপার শেখ সাব্বির হোসেন ও ডিবি পুলিশের ওসি শহিদুল ইসলাম।

ভোলা: ভোলার চরফ্যাশনে পাচারের সময় ১৫ লাখ বাগদা রেনু জব্দ করেছে কোস্টগার্ডের দক্ষিণ জোনের অপারেশন টিম। গত শনিবার ভোর রাতে বোয়ালখালী চিতলমারী নদীতে অভিযান চালিয়ে ওই চিংড়ি রেনু জব্দ করা হয়।

কোস্টগার্ডের চরফ্যাশন স্টেশন অফিসার এম জাহাঙ্গীর আলম জানান, শনিবার ভোর রাতে দুটি ট্রলারে ৬০ ব্যারেলে ওই সব চিংড়ি রেনু পাচার করা হচ্ছিল। এসময় কোস্টগার্ড সদস্যরা ট্রলার দুটি ঘিরে ফেলে। জব্দকৃত চিংড়ি রেনুর দাম কমপক্ষে কোটি টাকা। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এসব রেনু ধরা হচ্ছিল।

একইভাবে ভোলার বোরহানউদ্দিনের হাকিমউদ্দিন, লালমোহনের মঙ্গলসিকদার, জেলা সদরের ইলিশা-বঙ্গেরচর জোন থেকে চিংড়ি রেনু ধরার অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে কোস্টগার্ডের অভিযানে জব্দকৃত ওই রেনু ভোরে নদীতে অবমুক্ত করা হয়। একটি চক্র এই সব রেনু খুলনা, বাগেরহাটসহ ভারতে পাচার করে আসছে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশিষ কুমার।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget