Articles by "বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি"
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

সাইলেন্ট করা মোবাইল হারিয়ে ফেললে কীভাবে তা খুঁজে পাবেন


তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক : আপনার মোবাইলটি সাইলেন্ট অবস্থায় হারিয়ে ফেলেছেন। খুঁজে পাচ্ছেন না কোথাও। এমন ঘটনা প্রায়ই আমাদের সঙ্গে হয়ে থাকে। ফোন যদি সাইলেন্ট মোডে থাকে তাহলে ফোন খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।

 সাইলেন্ট করা মোবাইল হারিয়ে ফেললে কীভাবে তা খুঁজে পাবেন?

১. প্রথমে অন্য কোনও মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে গুগল-এর ওয়েবসাইটে যান।

২. সেখানে সার্চ বারে লিখুন ‘ফাইন্ড মাই ফোন’।

৩. তারপর গুগল অ্যাকাউন্ট বা জিমেইল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করুন।

৪. নিজের মোবাইলের লোকেশন দেখতে পাবেন গুগল-এ।

৫. এরপর আপনার সামনে অপশন আসবে, যেটির মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারটি ‘অন’ করে দিতে পারবেন।

৬. এবার ‘রিং’ অপশনটিকে সিলেক্ট করুন।

৭. আপনার ফোন সাইলেন্ট মোডে থাকলেও সেটি ফুল ভলিউমে রিং হতে শুরু করবে এবং যতক্ষণ না আপনি ফোনটিকে খুঁজে বের করে তার পাওয়ার বাটনটি চেপে ধরছেন, ততক্ষণ ফোন রিং হতেই থাকবে। এবার সেই আওয়াজ অনুসরণ করে ফোনটিকে খুঁজে বের করা কোনও ব্যাপারই নয়।

ফেসবুক ব্যবহারে শীর্ষ দশে বাংলাদেশ

অনলাইন নিউজ : বাংলাদেশে বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা চার কোটি ৮০ লাখ। ব্যবহারকারীর দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দশম।

সোমবার (৯ আগস্ট) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উপস্থিতিতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মধ্যে বিনিয়োগ সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এমন তথ্য জানা গেছে ।  

বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. আফজাল হোসেন এবং বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার বক্তব্য রাখেন। এ সময় ফেসবুকের সিঙ্গাপুর আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে বাংলাদেশ বিষয়ক হেড অব পাবলিক পলিসি সাবনাজ রশিদ দিয়া, হেড অব কানেকটিভি টম সি, ভার্গিস ও কানেকটিভিটি অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা তাহানি ইকবাল ফেসবুকের প্রতিনিধিত্ব করেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, করোনাকালে দেশের মানুষের জীবনযাত্রা ডিজিটাল সংযোগের অসামান্য অগ্রগতির কারণে সচল আছে। ছোট ব্যবসা থেকে শুরু করে অফিস-আদালতের কার্যক্রম এবং শিক্ষা কার্যক্রম ঘরে বসে করা সম্ভব হচ্ছে। আমাদের শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো না থাকলে তা সম্ভব হতো না।

তিনি বলেন, দেশব্যাপী ডিজিটাল সংযোগ সম্প্রসারণের ফলে বাংলাদেশে উচ্চ গতির ইন্টারনেটের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। শক্তিশালী নেটওয়ার্ক যত সম্প্রসারিত হবে ফেসবুকের ব্যবহারকারী তত বাড়বে। এতে ফেসবুকও অনেক বেশি লাভবান হবে।

 

দেশেই তৈরি হচ্ছে ফেসবুক- হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প - জুনাইদ আহমেদ পলক

অনলাইন ডেস্ক : দেশে ফেসবুকের বিকল্প নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এর নাম ‘যোগাযোগ দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে দেশের উদ্যোক্তারা তথ্য-উপাত্ত এবং যোগাযোগের জন্য নিজেদের মধ্যে একটি নিজস্ব অনলাইন মার্কেটপ্লেস ও গ্রুপ তৈরি করতে পারবে

শনিবার (২৪ জুলাই) প্রতিমন্ত্রী উইমেন -কমার্স (উই) আয়োজিতএন্টারপ্রেনারশিপ মাস্টারক্লাস সিরিজ `  এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ইতোমধ্যেই জুম অনলাইনের বিকল্পবৈঠক অনলাইন প্লাটফর্ম এবং করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমসুরক্ষা অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে। নিজস্ব কমিউনিকেশনের জন্য হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প হিসেবেআলাপন নামেরও একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা হচ্ছে

এসময় তিনি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মসহ নিজেদের উদ্যোগে বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরির কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। বলেন, উইমেন -কমার্স এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে উপকৃত হবে।

দেশেই তৈরি হচ্ছে ফেসবুক- হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প - জুনাইদ আহমেদ পলক

প্রতিমন্ত্রী ২০১৮ সালে ডিজিটাল কমার্স পলিসি করা হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, দেশের লাখ লাখ উদ্যোক্তা তৈরি করতে তরুণ যুবকদের যে কোনো নতুন নতুন উদ্ভাবনে সরকার নীতিগতসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করছে।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে আইসিটি সেক্টর ২০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এর মধ্যে সফলতার সাথে ১৫ লক্ষাধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়েছে। -কমার্স, হার্ডওয়ার, সফটওয়্যার ,বিপিও সেক্টর মিলে ২০২১ সালের মধ্যে ২০ লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে। ছাড়া ২০২৫ সালের মধ্যে বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথম চ্যালেঞ্জ ঝুঁকি নেওয়ার সাহস থাকা। তিনি সততা, নিষ্ঠা স্বচ্ছতার সাথে উদ্ভাবনে নিজেদের নিয়োজিত করতে নারী উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আই সি টি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক রেজাউল মাকসুদ জাহেদি, সিল্ক গ্লোবালের সিইও এবং উই এর বৈশ্বিক উপদেষ্টা সৌম্য বসু, উই এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা, উই এর অ্যাডভাইজর কবির সাকিব।

পরে প্রতিমন্ত্রীর মাস্টার ক্লাস সিরিজ- এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানি ফেসবুক


তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক : শেয়ারবাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফেসবুক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এখন এক ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানি। মার্ক জুকারবার্গের এ কোম্পানির বাজারমূল্য চলতি বছরই ৩০ শতাংশ বেড়েছে।

নাসডাকের হিট লিস্টে আছে আরও কিছু টেক জায়ান্ট। বিল গেটসের মাইক্রোসফটের মূলধন এখন ২ ট্রিলিয়ন ডলার হয়েছে। অ্যাপলের বাজার মূল্যও ২ ট্রিলিয়ন ডলার।

বিশ্বের শীর্ষ খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান অ্যামাজার আর গুগলের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটও বাজার মূলধনে ২ ট্রিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই করছে। ফ্যাং হিসেবে পরিচিত ফেইসবুক, অ্যাপল, অ্যামাজান, নেটফ্লিক্স আর গুগল বাজিমাত করছে। সাথে আছে মাইক্রোসফট আর টেসলা। এ কোম্পানিগুলোর সম্মিলিতভাবে বাজারমূল্য সাড়ে ৯ ট্রিলিয়ন ডলার। এস এন্ড পি ৫০০ সূচকের কোম্পানিগুলোর মোট বাজারমূল্য ৩৮ ট্রিলিয়ন ডলার। যার ২৫ শতাংশই টেক জায়ান্টগুলোর।

মার্কিন নিয়ন্ত্রকদের বিরুদ্ধে আদালতের জয়ের পর এবার প্রথমবারের মতো এক ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে নাম লেখায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক। গত ২৯ জুন পুঁজিবাজারে মার্কিন এই কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে ৪ দশমিক ২ শতাংশ। বিশ্বের ৫ নম্বর প্রযুক্তি কোম্পানি হিসেবে ট্রিলিয়ন ডলার ক্লাবে নাম লেখাল ফেসবুক।

সাইবার নিরাপত্তা সূচকে বাংলাদেশের দারুণ অগ্রগতি


ডেস্ক নিউজ : আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা সূচকে ২৫ ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা আন্তর্জাতিক টেলিযোগযোগ ইউনিয়নের (আইটিউ) সাইবার নিরাপত্তা সূচক–২০২০ এ বাংলাদেশের অবস্থান ৫৩তম। এর আগে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৮তম।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) ‘গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি ইনডেক্স-২০২০’ প্রকাশ করা হয়েছে। ১৯৪টি দেশের সাইবার নিরাপত্তায় গৃহীত আইনি ব্যবস্থা, প্রযুক্তিগত দক্ষতা, সাংগঠনিক ব্যবস্থা, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক সহযোগিতা পরিস্থিতির বিবেচনা করে এ সূচক প্রকাশ করা হয়।

এতে ১০০ পয়েন্টের মধ্যে বাংলাদেশ ৮১ দশমিক ২৭ স্কোর পেয়ে ৫৩তম স্থানে উঠে এসেছে। আগের বছর এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৮তম।

প্রকাশিত ওই সূচকে জানা গেছে, বাংলাদেশ, বেনিন, রুয়ান্ডা এবং তানজানিয়ার মতো বেশ কয়েকটি দেশ এগিয়ে এসেছে, যারা শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতিশীল অবস্থান দেখাতে পেরেছে।

আইটিইউয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সূচক অনুযায়ী, ১০০ পয়েন্ট পেয়ে প্রথম অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র। ৯৯ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট পেয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরব এবং ৯৯ দশমিক ৪৮ স্কোর পেয়ে তৃতীয় হয়েছে ইউরোপের দেশ এস্তোনিয়া।

এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশের অবস্থান ১১তম। ৯৮ দশমিক ৫২ স্কোর নিয়ে এ অঞ্চলে প্রথম অবস্থানে আছে কোরিয়া সিঙ্গাপুর। মালয়েশিয়া ও জাপান যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। ভারত আছে ৪ নম্বর অবস্থানে। চীনের অবস্থান ৮ নম্বরে এবং পাকিস্তানের অবস্থান ১৪ নম্বরে।


 

পাট থেকে অ্যান্টিবায়োটিক ‘হোমিকরসিন’– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষে অনন্য উপহার

আজকের দেশ সংবাদ ডেস্ক : পাটের সুদিন ফেরেনি এখনও। ফোটেনি কৃষকের মুখে কাঙ্ক্ষিত হাসি। তবে বাংলাদেশের অণুজীব বিজ্ঞানীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে পাটের বীজ। তারা এর থেকে আবিষ্কার করেছেন সম্পূর্ণ নতুন অ্যান্টিবায়োটিক, যা জীবনরক্ষাকারী ওষুধ শিল্পে আনবে নতুন দিগন্ত। ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান

আর নয় পলিথিন, সোনালি আঁশ ফিরিয়ে দিন- বর্তমান প্রবন্ধটি লিখতে গিয়ে এ শ্লোগানটির কথা মনে এলো। ১৯৯৭ সাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগের ৪০ বছর পূর্তি। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে আমাকে। অনুষ্ঠানের ব্যানার ও ফেস্টুনে ব্যবহারের জন্য শ্লোগান তৈরি করছি আমরা। বর্তমানে কাতারের দোহা কর্নেল মেডিকেল কলেজে কর্মরত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অনুজীব অনুপ্রাণ বিজ্ঞানী ড. মো. রুবায়েত হাসান তখন মাস্টার্সের ছাত্র। তার দেওয়া অনেকগুলো শ্লোগানের মধ্যে সোনালি আঁশের ছন্দময় শ্লোগানটি আমাদের মনে ধরলো। ব্যানার, ফেস্টুন ছাড়াও পাটের তৈরি কনফারেন্স ব্যাগের গায়ে আমরা লিখেছিলাম শ্লোগানটি। ২৫ বছর আগের শ্লোগানটি এখন মনে করিয়ে দেওয়ার সংযোগটি হচ্ছে- অতি সম্প্রতি নেচার রিসার্চ থেকে প্রকাশিত সায়েন্টিফিক রিপোর্টে পাট থেকে প্রাপ্ত নতুন অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে বাংলাদেশের একগুচ্ছ প্রতিভাবান বিজ্ঞানীর অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি গবেষণাপত্র: A plant endophyte Staphylococcus hominis strain MBL_AB63 produces a novel lantibiotic, homicorcin and a position one variant.

পলিথিনের বদলে সোনালী আঁশ দিয়ে তৈরি সামগ্রী ব্যবহারের দিকে আমরা যাইনি। গত ২৫ বছরে তার ভয়াবহ ফলাফল আমরা প্রত্যক্ষ করছি। পলিথিনের বর্জ্যে শহর-গ্রাম-জনপদের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে, নদী-খাল-বিল-হাওরের তলদেশ ঢেকে ফেলেছে পলিথিন। বাংলাদেশে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির মারাত্মক অনুষঙ্গ বর্জ ব্যবস্থাপনার দিকে সরকার, নীতিপ্রণেতা এবং লুটেরা পুঁজিবাদী ব্যবস্থা নজর দেয়নি। ফলে বাংলাদেশের মানুষ সৃষ্ট এক ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।

আরেক ভয়াবহ দূষণের কবলেও পড়েছে বাংলাদেশ। তা হলো- অ্যান্টিবায়োটিক দূষণ। অনাগত কাল থেকে রোগ সৃষ্টিকারী অণুজীব বিশেষ করে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে মানুষ ব্যবহার করে আসছে বিভিন্ন ছত্রাক ও উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত অ্যান্টিবায়োটিক। ১৯২৮ সালে অ্যালেকজান্ডার ফ্লেমিং পেনিসিলিয়াম ছত্রাক থেকে আবিষ্কার করেন সংক্রমণবিরোধী অব্যর্থ মহৌষধ, পেনিসিলিন অ্যান্টিবায়োটিক। এ আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে মারাত্মক সব সংক্রমণের বিরুদ্ধে আধুনিক কালের অ্যান্টিবায়োটিকের জয়যাত্রা শুরু। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিকের অযাচিত ও অপরিণামদর্শী বহুল ব্যবহারের কারণে প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিকগুলোর বিরুদ্ধে রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াসমূহ গড়ে তোলে প্রতিরোধ। একের পর এক আরও শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক আসে বাজারে। তারাও অকার্যকর হয়ে পড়ে অচিরে।     

এমন এক প্রেক্ষাপটে সোনালী আঁশের পাটবীজের এক বিশেষ এন্ডোফাইট স্টাফিলোকক্কাস হোমিনিস থেকে নিঃসৃত ল্যান্টিবায়োটিক গ্রুপের নতুন এক অ্যান্টিবায়োটিক হোমিকরসিন এবং তার ভিন্ন একটি রুপ হোমিকরসিন ১ প্রথমবারের মত আবিষ্কার করেছেন গত তিন বছর সময় ধরে একনিষ্ঠ গবেষণারত বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের একটি দল। নতুন এ অ্যান্টিবায়োটিকের নাম হোমিকরসিন তারা দিয়েছেন ব্যাকটেরিয়া (Staphylococcus Hominis) এবং পাট (Corchorus)- জাত উৎসের কথা বিবেচনা করে। জ্যেষ্ঠ দুইজন বিজ্ঞানী ড. হাসিনা খান এবং ড. মো. আফতাব উদ্দিনের নেতৃত্বে  অধ্যাপক মো. রিয়াজুল ইসলাম এবং শাম্মি আখতারসহ একগুচ্ছ নবীন বিজ্ঞানী এ অনন্য ফলাফলটি নিয়ে এসেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ ও জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিলের (বিসিএসআইআর) গবেষণাগারে তিন বছর ধরে গবেষণা চলে। এই  গবেষণায় যুক্ত বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে আরও বলবো। তার আগে পাটের এন্ডোফাইট ও ল্যান্টিবায়োটিক নিয়ে দুটো কথা বলবো।

এন্ডোফাইটস হলো- মূলত ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া গোষ্ঠীভুক্ত অণুজীব যারা প্রধাণত বীজের মাধ্যমে  উদ্ভিদের দেহে প্রবেশ করে এবং আন্তঃকোষীয় স্থান জাইলেমে উপনিবেশ স্থাপন করে। এরা সাধারণত উদ্ভিদে আপাত কোনও রোগের লক্ষণ সৃষ্টি করে না বরং উদ্ভিদের সাথে এক পরষ্পর উপকারী সহজাত সম্পর্ক বজায় রেখে চলে। এন্ডোফাইটগুলি মূলত উদ্ভিদ ও ফসলের কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে এবং প্রতিকূল পরিস্থিতিতে উদ্ভিদের বৃদ্ধি এবং বিকাশ এবং ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এসব কারণে এন্ডোফাইটের প্রতি প্রাণবিজ্ঞানীদের নজর পড়েছে। যদিও উদ্ভিদে বসবাসকারী এসব এন্ডোফাইট সম্পর্কে এখনও অনেক কিছুই অজানা, তবে এ কথা জানা গেছে যে উদ্ভিদের বৃদ্ধি এবং সুরক্ষা ছাড়াও এন্ডোফাইটিক ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক মানুষের নানাবিধ রোগ চিকিৎসার জন্য কার্যকরী জৈব যৌগিক পদার্থের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। উল্লেখ করার মত এমন পদার্থের মধ্যে রয়েছে রোগ সৃষ্টিকারী অণুজীব বা ক্যান্সার-বিরোধী যৌগ, বিভিন্ন উপকারী অ্যালকালয়েড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, অ্যানজাইম এবং রঞ্জক। এসব বিবেচনায় গবেষকরা বিভিন্ন ধরনের এন্ডোফাইটে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল পেপটাইডের (AMP) সন্ধান শুরু করেন। এসকল অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল পেপটাইডের মধ্যে অন্যতম এক উদাহরণ হলো ল্যান্টিবায়োটিক। এরা সাধারণত গ্রাম-পজিটিভ ব্যাকটেরিয়া যেমন, ব্যাসিলাস, এন্টারোকক্কাস, মাইক্রোকক্কাস, স্ট্রেপ্টোকক্কাস, স্ট্যাফিলোকক্কাস, অ্যাক্টিনোমাইসেটিস এবং এন্ডোফাইটিক ছত্রাকের দ্বারা নিঃসৃত অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল পেপটাইড। তবে এন্ডোফাইটিক ব্যাকটেরিয়া-জাত ল্যান্টিবায়োটিক সম্পর্কে এ গবেষণার আগে কোন তথ্য জানা যায়নি।

এ গবেষণায়, বিজ্ঞানীরা পাটের এন্ডোফাইট ব্যাকটেরিয়া Staphylococcus hominis strain MBL_AB63 থেকে নিঃসৃত পাঁচটি নতুন ল্যান্টিবায়োটিক খুঁজে পান। তাদের মধ্য থেকে দুটো ল্যান্টিবায়োটিক, যথাক্রমে, Homicorcin এবং এর একটি ভিন্ন রূপ Homicorcin 1- এর বিশুদ্ধিকরণ, অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে তাদের কার্যকারিতা দেখা, প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিকের সাথে এদের তুলনামূলক চিত্র, নতুন এ পেপটাইড অ্যান্টিবায়োটিকের বিক্রিয়া কৌশল জানা এবং কেন এরা উচ্চতাপ কিংবা উচ্চমাত্রার অম্ল বা ক্ষারেও সক্রিয় থাকে- তার অনুপুঙ্খ অনুসন্ধান তারা করেছেন। বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন একগুচ্ছ জিন, যাদের থেকে সংশ্লেষিত হয় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল পেপটাইড লেন্টিবায়োটিক গোত্রের উল্লেখিত অ্যান্টিবায়োটিক। এসব জিনের গোটা ক্রমবিন্যাস নির্ধারণ করে বিজ্ঞানীরা দেখলেন অতীতে প্রকাশিত পেপটাইড অ্যান্টিবায়োটিক Epicidin 280-এর সাথে সাতটি অ্যামিনো অ্যাসিড ব্যতিত পুরো সাদৃশ্য রয়েছে তাদের নতুন আবিষ্কৃত দুটো অ্যান্টিবায়োটিকের। 

বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত হোমিকরসিন অ্যান্টিবায়োটিকের বিশেষ গুরুত্বের বিষয়ে একটু বলতে হবে। প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে মারাত্মক রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং তার ফলে বিশাল জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ে পূর্বে বলেছি। নব আবিষ্কৃত অ্যান্টিবায়োটিকটি একটি পেপটাইড (ছোট প্রোটিন) হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধ গড়ে তোলার সম্ভাবনা অনেক কম।  প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিকের বিপরীতে, এ পেপটাইড অ্যান্টিবায়োটিকগুলোর গঠন কাঠামোতে প্রাকৃতিক অ্যামিনো অ্যাসিডের স্থলে কৃত্তিম অ্যামিনো অ্যাসিড বা ভিন্ন কোন যৌগ প্রতিস্থাপন করে তার গাঠনিক বৈশিষ্টের পরিবর্তন করা সম্ভব। এর ফলে এ পেপটাইড অ্যান্টিবায়োটিকের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি কিংবা তাদের দ্রবণীয়তা বাড়ানো এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলি আরও উপযোগী করা যাবে। আশা করা যাচ্ছে, হোমিকরসিন ল্যান্টিবায়োটিক অদূর ভবিষ্যতে অ্যান্টিবায়োটিকের সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

আমাদের বিভাগে পাট নিয়ে একনিষ্ঠ গবেষণা শুরু করেন অধ্যাপক হাসিনা খান ১৯৯৮ সাল থেকে। গড়ে তোলেন পাট গবেষণার জন্য একটি আধুনিক ল্যাব। পাটের জীবন রহস্য নিয়ে কিছু মৌলিক গবেষণা সম্পন্ন হয়ে যায় এই ল্যাবে। এর মধ্য দিয়ে সংযোগ হয় হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগে কর্মরত বাংলাদেশি বিজ্ঞানী অধ্যাপক মাকসুদুল আলমের সাথে ২০০৮ সালে। এর আগের বছর পেঁপেঁ গাছের জেনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করে তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছেন।

২০০৯ সালে মাকসুদুল আলম বাংলাদেশের পাট গবেষণা কেন্দ্রের অধীনে পাটের মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণা প্রকল্পে মুখ্য গবেষক হিসেবে যোগ দেন।  তার নেতৃত্বে  বাংলাদেশের তোষা পাটের (Corchorus olitorius 04) জেনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন হয় ২০১০ সালে। এ অর্জনে অধ্যাপক হাসিনা খান ও তার গবেষক দল অবদান রাখেন। পরে ২০১২ সালে মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বে পাটের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ছত্রাক (macrophomina phaseolina) এবং তার পরের বছর ২০১৩ সালে  সাদা পাটের (Corchorus capsularis CVL1) জেনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন হয়। গভীর বেদনা ও পরিতাপের কথা বরেণ্য বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম ২০১৪ সালের ২০ ডিসেম্বর তারিখে লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে ইহলোক ত্যাগ করেন অকালে। পাটের জীবন রহস্য আবিষ্কারের স্বপ্নযাত্রায় সে সময়কার খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। এ বিশাল কাজে তিনি সরকারের পক্ষ থেকে ত্বরিৎ আর্থিক সহায়তা অবারিত করেছিলেন। আরো সুখের কথা বাংলাদেশ সরকার বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম ও হাসিনা খানকে বিজ্ঞান গবেষণায় অবদানের জন্য রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়ে তাদের এবং বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের সম্মানিত করেছেন।

আমাদের বিভাগের অধ্যাপক মো. রিয়াজুল ইসলাম নুকাসিন নামের ল্যান্টিবায়োটিক নিয়ে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন ধরে। উচ্চমানের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নাল বিশেষ করে ২০১২ সালে অত্যন্ত নামী জার্নাল অব দ্য আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটিতে তার গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় নুকাসিন অ্যান্টিবায়োটিকের সুনির্দিষ্ট বিক্রিয়া কৌশল নিয়ে। পাটের ল্যান্টিবায়োটিক নিয়ে অধ্যাপক হাসিনা খানের কাজের সাথে তার গবেষণা সংযোগ ঘটে যায়।

অধ্যাপক মো. আফতাব উদ্দিন এ নিবন্ধে উল্লেখিত পাটের অ্যান্টিবায়োটিক হোমিকরসিন বিশুদ্ধকরণ, অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে তার কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা, নতুন এ অ্যান্টিবায়োটিকের বিক্রিয়া কৌশল জানা এব পেপটাইড অ্যান্টিবায়োটিকের জিনগত বৈশিষ্ট্য খোঁজা ইত্যাদি কাজে গত তিন বছর ধরে একনিষ্ঠ গবেষণায় রত ছিলেন। জিন প্রকৌশল ও জীব প্রযুক্তি বিভাগে তার নিজস্ব ল্যাব ছাড়াও প্রাণরসায়ন বিভাগে অধ্যাপক হাসিনা খানের ল্যাব এবং বিসিএসআইআর ল্যাবে তিনি দিনরাত এ গবেষণা কাজ করে গেছেন। 

আসলে বিজ্ঞান গবেষণা সাধনার বিষয়। এমন সাধনায় নিবিষ্ট ছিলেন অধ্যাপক আফতাব উদ্দিন। শুধু তাই না, নবীন গবেষক বিশেষ করে প্রাণরসায়ন বিভাগের শাম্মি আক্তারকে তিনি তার অভিযাত্রার যোগ্য সহযোগী করতে পেরেছেন। সেজন্যই গবেষণাপত্রে বিজ্ঞানীদের তালিকায় অধ্যাপক আফতাব উদ্দিনের নাম সর্ব প্রথমে এবং তার পরেই শাম্মি আক্তারের নাম।

শাম্মি বর্তমানে জাপানের কিয়ুশু বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণায় রত আছেন। যাকে বলে ফ্রন্টিয়ার গবেষণা, তেমন কঠিন ও জটিল তাদের গবেষণাপত্রের সংক্ষিপ্ত বাংলা তর্জমা শাম্মি আক্তারই আমার জন্য করে দিয়েছেন। মাহবুবা ফেরদৌস, বদরুল হায়দার এবং আল আমিন প্রাণরসায়ন বিভাগের এ নবীন বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন কাজে অবদান রেখেছেন এ গবেষণায়।

গবেষণায় গুরুর প্রয়োজন পড়ে। নবীন বিজ্ঞানী শাম্মি আক্তার, মাহবুবা ফেরদৌস, বদরুল হায়দার ও আল আমিন নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান। অধ্যাপক হাসিনা খান, অধ্যাপক আফতাব উদ্দিন এবং অধ্যাপক রিয়াজুল ইসলামকে গুরু হিসেবে তারা পেয়েছেন। তাদের সম্মিলিত বিজ্ঞান সাধনায় বাংলাদেশ পেয়েছে এক অনন্য অ্যান্টিবায়োটিক হোমিকরসিন

এ প্রসঙ্গে ১৯৫৫ সালের পয়লা অক্টোবর তারিখে বিশ্বখ্যাত নেচার জার্নালে প্রকাশিত Ramnacin: a New Antibiotic from a Streptomyces sp.- শীর্ষক গবেষণাপত্রটির কথা মনে এল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা মাস্টার্সে আমার গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক বরেণ্য বিজ্ঞানী অধ্যাপক কামালুদ্দিন  আহম্মদ  ছিলেন  রমনাসিনের মুখ্য আবিষ্কারক। আমাদের প্রাণরসায়ন বিভাগের অদূরে রমনা পার্ক থেকে স্ট্রেপ্টোমায়সিসটি সংগৃহীত ছিল বলে কামাল স্যার এ ব্যাকটেরিয়া নিঃসৃত অ্যান্টিবায়োটিকটির নাম দিয়েছিলেন রমনাসিন। ৬৬ বছর পর প্রাণরসায়ন বিভাগের কৃতি শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা পাটবীজ থেকে অমূল্য রত্ন হোমিকরসিন অ্যান্টিবায়োটিক খুঁজে পেলেন। সে গবেষণাপত্র প্রকাশিত হলো- নেচার রিসার্চ থেকে প্রকাশিত সায়েন্টিফিক রিপোর্টে। কি অসাধারণ সংযোগ! ২০০৪ সালে আমাদের প্রিয় শিক্ষক অধ্যাপক কামালুদ্দিন আহম্মদ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন পরপারে। তার সৃষ্ট বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা তাকে নিরাশ করেননি।

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশনের জন্য পুরস্কৃত বাংলাদেশ
 ফাইল ছবি

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া প্রবর্তনের জন্য ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার-২০২১ অর্জন করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

মঙ্গলবার (১৮ মে) আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন আয়োজিত ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার প্রাপ্তির পর ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

বিটিআরসি সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম বা সিবিভিএমপি প্রকল্পটি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশ্বের অন্যতম সম্মানজনক পুরস্কার ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার-২০২১ প্রতিযোগিতার অ্যাকশন লাইন সি-ফাইভ ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। অ্যাকশন লাইন সি-ফাইভের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘বিল্ডিং কনফিডেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি ইন ইউজ অব আইসিটিস’। ডব্লিউএসআইএস ফোরামের প্রধান লক্ষ্য হলো উন্নয়নশীল বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি করে ধনী-দরিদ্র দেশগুলোর মাঝে ডিজিটাল বিভাজন দূর করা। একই সঙ্গে সারা বিশ্বের সৃজনশীল উদ্ভাবনগুলো বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে এ ফোরাম। ২০১২ সাল থেকে পুরস্কার দিয়ে আসছে ডব্লিউিএসআইএস কর্তৃপক্ষ। যাতে এ পর্যন্ত অংশ নিয়েছে তিন লাখেরও বেশি অংশীদার।

ডব্লিউএসআইএসের প্রতিযোগিতায় সরকারি, বেসরকারি, সাধারণ নাগরিক, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প জমা দেয়ার পাশাপাশি ডব্লিউএসআইএসের অংশীদাররাও এতে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রাপ্ত আবেদন থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বাছাই ও অনলাইন ভোটিং প্রক্রিয়ার শেষে চূড়ান্ত বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। মোট ১৮টি ক্যাটাগরিতে আবেদন গ্রহণ করা হয় এবং প্রতি ক্যাটাগরিতে একটি করে মোট ১৮টি প্রকল্পকে চূড়ান্ত বিজয়ী (উইনার) হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

বিটিআরসি এ বছরই প্রথম এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। গত ২৫ জানুয়ারি কমিশনের সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম (সিভিএমপি) প্রকল্পটি জমা প্রদান করে। পরবর্তীতে ডব্লিউএসআইএস কর্তৃপক্ষ সিবিভিএমপি প্রকল্পটি অ্যাকশন লাইন সি-ফাইভ ক্যাটাগরিতে শীর্ষ ২০টি প্রকল্পের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে মর্মে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। গত ১ মার্চ শুরু হয় ভোট প্রদান পর্ব। এ লক্ষ্যে কমিশন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, লিফলেট এবং তথ্যচিত্রের মাধ্যমে প্রচারণা চালানোয় সিবিভিএমপি প্রকল্পটি ১৫ হাজারের বেশি ভোট পায়। গত ১৯ এপ্রিল প্রাপ্ত ভোট ও বিচারকেদর মূল্যায়নের পর সিবিভিএমপি প্রকল্পটি অ্যাকশন লাইন সি-ফাইভ ক্যাটাগরিতে শীর্ষ পাঁচ প্রকল্পের মধ্যে জায়গা করে নেয়ার মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন প্রকল্প হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিটিআরসির প্রধান সম্মেলন কক্ষে বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে বিটিআরসির মহাপরিচালক (সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ, পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম বা সিবিভিএমপি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ‘আজ আমাদের আনন্দের দিন এবং অসাধারণ অর্জনের দিন। এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত এসএস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিমসহ টিমের অন্যান্য সদস্য, মোবাইল অপারেটর এবং সিনেসিস আইটিসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সিবিভিএমিপি বিশ্বে একটি স্বীকৃত প্রকল্প। এটি বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মননা বয়ে এনেছে। আমি এই সম্মানের কৃতিত্ব বাংলাদেশের সকল মানুষের সঙ্গে ভাগ করতে চাই এবং প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানাই। বিটিআরসি অনেকগুলো প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে, যার সুফল গ্রাহকরা শিগগিরই পাবেন।’

অনুষ্ঠানে কমিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগের কমিশনার প্রকৈাশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, বিটিআরসির লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হুসেইন, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. দেলোয়ার হোসাইন, মহাপরিচালক (স্পেকক্ট্রাম) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল আলম, মহাপরিচালক (ইএন্ডও) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. এহসানুল কবির, মহাপরিচালক (লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং) আশীষ কুমার কুন্ডু, মহাপরিচালক (অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব) প্রকৌশলী মো. মেসবাহুজ্জামানসহ বিটিআরসি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

source: https://www.jagonews24.com

source: https://www.jagonews24.com

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget