Articles by "প্রবাস"
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

বাগমারায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সমাপনী অনুষ্ঠিত

মোঃ সাইফুল ইসলাম, বাগমারা (রাজশাহী) :  মুজিববর্ষে শপথ করি, দুযোর্গে জীবন-সম্পদ রক্ষা করি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজশাহীর বাগমারায় পালিত হলো ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ। শনিবার সকাল ১০ টায় বাগমারা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বাগমারায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক সুফিয়ানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।

বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার, রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম, বাগমারা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মেহেদী হাসান তুহিন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাগমারা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন সাব স্টেশন অফিসার নজরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুল, দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, চেয়ারম্যান আসলাম আলী আসকান, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহের সমাপনী উপলক্ষে স্টেশনের ভেতরে অগ্নি নির্বাপক বিভিন্ন মহড়া প্রদর্শন করা হয়।


কাতারে তালেবানের সঙ্গে ভারতের বৈঠক


অনলাইন ডেস্ক : কাতারের রাজধানী দোহায় ভারতের রাষ্ট্রদূত আফগানিস্তানের শীর্ষ তালেবান নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

কাতারের রাজধানী দোহায় ভারতের রাষ্ট্রদূত আফগানিস্তানের শীর্ষ তালেবান নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর গোষ্ঠীটির সঙ্গে ভারতের এটাই প্রথম সংলাপ। খবর রয়টার্সের।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তালেবানের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানিকজাইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের রাষ্ট্রদূত দ্বীপক মিত্তাল।

রয়টার্স লিখেছে, ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সঙ্গে তালেবানের ঘনিষ্ঠ মিত্রতার বিষয়টি নিয়ে দিল্লি দীর্ঘদিন ধরে উদ্বিগ্ন।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উভয়পক্ষ আফগানিস্তানে অবস্থানরত ভারতীয়দের সুরক্ষার ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। ভারতবিরোধীরা যেন আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে ভারতীয় স্বার্থে আঘাত করতে না পারে ভারতের এমন আশঙ্কার কথাও তালেবান নেতৃত্বের কাছে জানিয়েছেন কাতারে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত দ্বীপক মিত্তাল।

দুই দশক পর আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে যাওয়ায় দেশটিতে ভারতের স্বার্থ ‘চরম সংকটে’ পড়েছে বলে অভিমত অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের। তারা বলছেন, এখন আফগানিস্তানে ‘সবচেয়ে সংকটে’ থাকা দেশগুলোর একটি ভারত।

তালেবান কাবুল ঘিরে ফেলার পরপরই নয়াদিল্লির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখা আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশত্যাগ করেন। কাবুলে সরকার পতনের পর কূটনীতিক, বিদেশি সংস্থার কর্মীদের আফগানিস্তান ছাড়ার হিড়িকের তালিকায় নাম ছিল ভারতীয়দেরও।

এর কিছুদিন আগেই আফগানিস্তানে ভারতের সহায়তায় নতুন করে তৈরি একটি বাঁধে তালেবানের হামলায় অন্তত ১০ জন নিরাপত্তারক্ষী মারা যায়। হেরাত প্রদেশে ওই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আফগানিস্তানে ভারতের সবচেয়ে বড় প্রকল্প।


তথ্য সূত্র : রয়টার্স

 

পাকিস্তানের মাটিতে চীনা নাগরিকদের উপর বারবার হামলা! কাকতালীয় নাকি জটিল ভূ রাজনীতি

অনলাইন ডেস্ক : চীন কর্তৃক পাকিস্তানে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকিস্তানের মাটিতে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় প্রকল্প " চীন - পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর " সংক্ষেপে যা সিপিইসি নামে পরিচিত। করিডরটি চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কাশগড় ( জিনজিয়াং তথা পূর্ব তুর্কিস্তানের রাজধানী ) থেকে শুরু হয়ে পুরা পাকিস্তানকে লম্বভাবে ছেদ করে বেলুচিস্তানের গোয়াদর বন্দরে ( বন্দরটি আরব সাগরের তীরে অবস্থিত) গিয়ে শেষ হবে।

সিপিইসি প্রকল্পটি অন্য দশটি সাধারণ বৈদেশিক বিনিয়োগের মতো নয়। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করতে পারলে এই অঞ্চলের সামগ্রিক ভূ রাজনীতি নতুন করে মোড় নিবে। আর এই প্রকল্পের সবচেয়ে বড় বেনিফিট পাবে চীন ও পাকিস্তান! স্বাভাবিকভাবেই এই দুই দেশের প্রতিপক্ষ দেশগুলোর জন্য এই সিপিইসি প্রকল্পটি স্বস্তিদায়ক হিসেবে বিবেচিত হবে না!

১…

সিপিইসি প্রকল্পে চীনের লাভ কি?

চীন তার বৈদেশিক বাণিজ্যের উল্লেখযোগ্য অংশ সম্পাদন করে আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সাথে। বর্তমানে এই দুই অঞ্চলে গমন করতে হলে চীনকে পাড়ি দিতে হয় দক্ষিণ চীন সাগর - মালাক্কা প্রণালী - বঙ্গোপসাগরে - ভারত মহাসাগরের বিশাল এক পথ। 

বর্তমানে চীনের রাজধানী বেইজিং থেকে পারস্য উপসাগরে ( সমুদ্রপথে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রবেশপথ ) প্রবেশ করতে পাড়ি দিতে হয় প্রায় ১৩ হাজার কিলোমিটার পথ। অপরদিকে পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে সিপিইসি করিডর দিয়ে বেইজিং থেকে পারস্য উপসাগরে যেতে পাড়ি দিতে হবে মাত্র সাড়ে ছয় হাজার কিলোমিটার পথ। অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক পথ কমে যাবে সিপিইসি করিডর বাস্তবায়িত হলে।

চীনের বেশিরভাগ শিল্পায়ন হয়েছে পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলগুলোতে। বেইজিং, সাংহাই সহ সব উন্নত চীনা শহরগুলো দেশটির পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত। দেশটির পশ্চিম প্রান্ত থেকে সমুদ্রপথ দূরে হওয়ায় তেমন শিল্প গড়ে উঠেনি। 

কিন্তু সিপিইসি প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কাশগড় থেকে পারস্য উপসাগরে যেতে পাড়ি দিতে হবে মাত্র আড়াই হাজার কিলোমিটার পথ। বর্তমানে কাশগড় থেকে বেইজিং এর দূরত্ব প্রায় চার হাজার কিলোমিটার। আর এদিকে সিপিইসির মাধ্যমে বেইজিং - কাশগড় পথের তুলনায় কাশগড় - মধ্যপ্রাচ্যের দূরত্ব কম হবে। অর্থাৎ বলা যায়, সিপিইসির মাধ্যমে কম সময়ে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় প্রবেশের রুট পাওয়ায় চীনের পশ্চিমাঞ্চলে শিল্প ও বাণিজ্য ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে।

শুধুমাত্র বাণিজ্যিক রুটের দূরত্ব কমার মধ্য দিয়ে এই প্রকল্প থেকে চীন লাভবান হবে ব্যাপারটা এমন না। চীনের বাণিজ্য রুটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিপিইসি প্রকল্প। কারণ সিপিইসি বাস্তবায়িত হলে চীনকে আর মালাক্কা প্রণালী পাড়ি দিতে হবে না। বর্তমানে এই প্রণালি ঘিরে দক্ষিণ চীন সাগরের ভূ রাজনীতি উত্তপ্ত। দক্ষিণ চীন সাগরের সমুদ্রসীমা নিয়ে চীনের সাথে প্রতিবেশী ভিয়েতনাম, মালেশিয়া, ব্রুনাই, ফিলিপাইন, তাইওয়ান, ইন্দোনেশিয়ার বিরোধ ক্রমে বাড়ছে। সাগরের রাজনীতিতে চীন বিরোধী এই দেশগুলোর সাথে যোগ দিতে এক পায়ে খাঁড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের বিখ্যাত নৌবহরসমূহ।

দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বিরোধে থাকার কারণে চীন আশংকা করছে যেকোনো নাজুক পরিস্থিতিতে এই প্রণালি বন্ধ করে চীনকে বেকায়দায় ফেলতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর তাই মালাক্কা প্রণালীর বিকল্প রুট হিসেবে চীনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রুট হলো সিপিইসি তথা " চীন - পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর "। 

২…

সিপিইসি প্রকল্পে পাকিস্তানের লাভ কি?

পাকিস্তানের ভঙ্গুর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সিপিইসি প্রকল্পকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে দেশটির সরকার ও সেনাবাহিনী। 

সিপিইসি বাস্তবায়িত হলে চীন, আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়া থেকে অসংখ্য যাত্রী এবং পণ্য পাকিস্তানের উপর দিয়ে পাড়ি দিবে। আর এর বিনিময়ে একটা সময় পর থেকে পাকিস্তান পাবে প্রচুর বাণিজ্য শুল্ক। 

সিপিইসি প্রকল্পটি পাকিস্তানী কাশ্মীরের উপর দিয়ে যাবে। এই অঞ্চলটিকে ভারত নিজেদের ভূখন্ড বলে দাবি করে থাকে। এরকম ভূখণ্ডে চীনা প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নিঃসন্দেহে পাকিস্তানী কাশ্মীরের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ( পাকিস্তানের দৃষ্টিকোণ থেকে ) পাবে এবং অঞ্চলটির উপর ভারত সহজে আর চোখ ফেলতে পারবে না।

সিপিইসি প্রকল্পের অংশ হিসেবে আজাদ কাশ্মীরে অনেকগুলো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে চীন। বিদ্যুৎ সমস্যায় জর্জরিত পাকিস্তানের জন্য এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বিরাট আশীর্বাদ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। 

পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানে প্রভাব বজায় রাখতে চাচ্ছে। সিপিইসি প্রকল্পের মাধ্যমে ল্যান্ডলকড কান্ট্রি আফগানিস্তান সহজেই সমুদ্রে এক্সেস পাবে। এতে করে আফগানিস্তানে বৃদ্ধি পাবে পাকিস্তানি প্রভাব।

মধ্য এশিয়ার পাঁচটি " স্তান " রাষ্ট্র তথা কাজাখস্তান, কিরঘিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, তাজিকিস্তান সিপিইসি প্রকল্পের মাধ্যমে সমুদ্র পথে সহজে মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকাতে যাতায়াতের এবং বাণিজ্যিের এক্সেস পাবে। এতে দেশগুলোর উপর প্রভাব বৃদ্ধি পাবে পাকিস্তানের। 

৩…

সিপিইসি প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কোন দেশগুলো?

ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভূ রাজনৈতিক প্রভাব এই প্রকল্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে।

চিরশত্রু পাকিস্তানকে চেপে ধরে রাখতে ভারতের জন্য আফগানিস্তান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি মধ্য এশিয়ার "স্তান" রাষ্ট্রগুলোর বিশাল বাজার ধরতে আগ্রহী ভারত। কিন্তু সিপিইসি বাস্তবায়িত হলে আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার " স্তান " রাষ্ট্রগুলো তাদের বাণিজ্য সুবিধার জন্য আরো বেশি পাকিস্তানমুখী হবে। 

আর তাই ভারত সরকার কর্তৃক সিপিইসির বিকল্প হিসেবে ভারত - ইরান ( চাবাহার বন্দর) - আফগানিস্তান ( কাবুল) - মধ্য এশিয়ার মধ্য দিয়ে নতুন বাণিজ্য রুট চালু করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। কিন্তু ভৌগোলিক কারণে সিপিইসিকে টেক্কা দিতে যথেষ্ট সক্ষম ছিলো না ভারতের এই প্রকল্পটি। আর তাই শুরুতে আগ্রহ প্রকাশ করলেও ইরান তার চাবাহার বন্দরের উন্নয়নের কাজ ভারত থেকে নিয়ে চীনকে দিয়ে দিছে। ফলে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে ভারতের বাণিজ্য রুটের প্রকল্পটি।

নতুন বাণিজ্য রুট তৈরি করতে ব্যর্থ ভারত নিশ্চয়ই খুশি হবে না চীন - পাকিস্তানের সিপিইসি রুটের বাস্তবায়ন হওয়া দেখে।

সিপিইসি প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে আজাদ কাশ্মীরের উপর দিয়ে। অঞ্চলটির উপর নিজেদের দাবি এখনো ছাড়েনি ভারত। ফলে চীন কর্তৃক নির্মিত এই প্রকল্পকে নিজেদের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত হিসেবে বিবেচনা করতে হচ্ছে ভারতকে।

ভারতের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সিপিইসি প্রকল্প নিয়ে অনেকটা শঙ্কিত। কেননা এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের বাণিজ্য ও রাজনৈতিক প্রভাব অনেক বৃদ্ধি পাবে। মালাক্কা প্রণালী দিয়ে চীনকে আটকানোর থ্রেট আর দিতে পারবে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে নিজেদের রাজনৈতিক প্রভাব অনেকটা শেষ হয়ে যাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। 

৪…

পাকিস্তানের মাটিতে সিপিইসি প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়োজিত চীনা ইন্ঞিনিয়ারদের উপর বারবার হামলা হচ্ছে। এই হামলা নিছক কাকতালীয় নাকি সিপিইসি প্রকল্পে বাঁধা দানের উদ্দেশ্য করা হচ্ছে তা নিয়ে গভীর চিন্তিত চীন ও পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। 

ভূ - রাজনৈতিক নানা মারপ্যাঁচে সিপিইসি প্রকল্পটি বাস্তবায়নে যে চীন ও পাকিস্তানকে বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হবে তা বুঝাই যাচ্ছে। এখন দেখার বিষয় এই পথ পাড়ি দিতে দেশ দুইটি সক্ষম হয় কিনা! নাকি চীন ও পাকিস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো প্রকল্পটি ভন্ডুল করতে সক্ষম হয় কিনা!

বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মিশায়ারের মালয়েশিয়ায় স্বর্ণপদক অর্জন

অনলাইন ডেস্ক : মালয়েশিয়ায় স্বর্ণপদক অর্জন করেছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মিশায়ার রায়হান চৌধুরী। কুয়ালালামপুরের আইডিআর এসআইসি ক্রোয়েশিয়া টেকনোলজি এক্সপো-২০২১ সামাজিক উদ্ভাবক এবং উদ্যোক্তা পরিচালন বিভাগে আন্তর্জাতিক মেরিটের পুরস্কার অর্জন করে মিশায়ার।

মালয়েশিয়া-ক্রোয়েশিয়া টেকনোলজি এক্সপোর ইপিকআপ অ্যাপ্লিকেশন কোডিংয়ে তার দল প্রথম স্থান অর্জন করায় তাকে স্বর্ণপদক দেয়া হয়।

মিশায়ার স্বর্ণপদকের পাশাপাশি পেন্ডামিক সময়ে মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর ইউথ অনলাইন কাউন্সেলিং আরও দুটি পদক পেয়েছেন।

অ্যাপ্লিকেশনটি কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা বাড়ানোর জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এই অ্যাপ্লিকেশন দ্বারা শিক্ষার্থী, মা-বাবা এবং শিক্ষকদের নিরাপত্তা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্যও এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।

মিশায়ারের বাবা আসিফ রহমান চৌধুরী মালয়েশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত একজন বাংলাদেশী ব্যবসায়ী। মা সাঈদা রোমানা মজিদ একজন আইনজীবী। এই দম্পতির তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে মিশায়ার সবার বড়। মালয়েশিয়ার ইদ্রিছি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের এ শিক্ষার্থী সবেমাত্র ১৪ পেরিয়ে ১৫-তে পা রাখল।

মিশায়ারের দাদা নুরুল হক চৌধুরী এবং দাদি শিরিন নীলুফার চৌধুরী গোপালগঞ্জের এন হক বিশ্ববিদ্যালয় অব বিজনেস এ্যান্ড টেকনোলজির প্রতিষ্ঠাতা।

মিশায়ারের এ অর্জনে তার বাবা-মা দেশ-বিদেশের সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

 

আবারও উত্তপ্ত জম্মু-কাশ্মীর, নিহত ৪

ডেস্ক রিপোর্ট : আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভারত অধিকৃত  জম্মু-কাশ্মীরের সোপর শহর। অজ্ঞাত অস্ত্রধারীরা গতকাল শনিবার পুলিশের উপর হামলা চালায়। হামলার ঘটনায় সোপোর শহরে দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত চারজন নিহত হয়ছেন।

 এই হামলায় ভারতীয় পুলিশের আরও তিন সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। শনিবার (১২ জুন) সোপোরের আরামপোরা এলাকায় টহল দেওয়ার সময় হামলার ঘটনা ঘটে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আমরা এক সাথে রাস্তার পাশে বসে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে পুলিশ এসে গুলি করা শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। পরে আরেকজন দৌঁড়ে প্রাণে বাচার চেষ্টা করলে তাকেও লক্ষ্য করে গুলি করা হয়।

 

জানা গেছে, এর আগে শনিবার (১২ জুন) বিকেলে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল গাড়ি লক্ষ্য করে অতর্কিত হামলা চালায় অস্ত্রধারীরা। পরে অভিযান শুরু করে পুলিশ। অস্ত্রধারীরা পালিয়ে গেলেও বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় পুলিশ। হামলাকারীদের ধরতে না পারলেও নিরীহ মানুষকে গুলিকরে হত্যার সমালোচনা করেন তারা।

 

প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়ার পর লকডাউনের মধ্যেই হঠাৎ করে নিরাপত্তা বাহিনী রাজনীতিবিদদের ওপর বেড়ে গেছে সন্ত্রাসী হামলা। এর আগে গেল সপ্তাহে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় সন্ত্রাসী হামলায় এক বিজেপি নেতা নিহত হন।

 

কাশ্মীর পুলিশের মহাপরিদর্শক বিজয় কুমার বলেছেন, হামলায় দুই পুলিশ সদস্য দুই বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেছে। অন্য তিন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। সন্ত্রাসীদের খোঁজে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছে বাহিনী।

 

এদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আব্দুল্লাহ। তিনি বলেছেন, কোনো সন্দেহ ছাড়াই ধরনের হামলার অবশ্যই নিন্দা জানাতে হবে। যারা আহত হয়েছেন, তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।

স্পেনে করোনা আক্রান্ত ২ শতাধিক বাংলাদেশি, আশঙ্কাজনক ১০


মিরন নাজমুল , স্পেন : স্পেনে দুই শতাধিক বাংলাদেশি নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে দেশটির রাজধানী মাদ্রিদে ৬ জন এবং বার্সেলোনায় ৪ জন।

মাদ্রিদের মানবাধিকার সংস্থা ভলিয়ান্তে বাংলার দেয়া তথ্য অনুসারে, মাদ্রিদে বর্তমানে বাংলাদেশি আক্রান্তের সংখ্যা ১১৩ জন। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন। পর্যটন শহর বার্সেলোনায় বাংলাদেশিদের মধ্যে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা অর্ধশতকের ওপরে।

করোনা আক্রান্ত বাংলাদেশি আটটি পরিবার লকডাউনে আছেন। যাদের প্রায় সবাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তাদের বেশির ভাগই বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া করোনা সংক্রমিত হয়েছেন এমন আশঙ্কায় পরীক্ষা করিয়েছেন প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশি। যাদের শতকরা প্রায় আট শতাংশ কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে।

ইউরোপের মধ্যে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত দেশের তালিকায় বর্তমানে স্পেন প্রথমে আছে। আর বৈশ্বিক পরিসংখ্যানে ৬ নম্বরে। এর মধ্যে স্পেনে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার স্পর্শ করেছে। আক্রান্ত হয়েছে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার লাখ।

রাষ্ট্রীয় সতর্কতা উঠিয়ে নেয়ার পর বর্তমানে স্পেনে দ্বিতীয় ধাপে কোভিড মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক নতুন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৫৯৪ জন। মৃত্যুবরণ করেছে ৪৭ জন। আক্রান্তের প্রায় অর্ধেকই রাজধানী মাদ্রিদে (১৫১৩ জন)।

এদিকে অক্সফোর্ডের তৈরি কোভিড-১৯ টিকা কিনবে বলে ঘোষণা দিয়েছে স্পেন। ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে অক্সফোর্ডের তৈরি টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালভাদর ইয়া। তিনি বলেন, সব ঠিক থাকলে দুই ডোজ করে টিকা প্রয়োগের হিসাব করে ডিসেম্বরের শেষের দিক থেকে টিকা দেয়া শুরু করা হবে।


এছাড়া সম্প্রতি সর্বোচ্চ আক্রান্ত প্রদেশগুলোর মধ্যে অন্যতম কাতালোনিয়ায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ অতিক্রম করেছে। গত ১৭ থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত ছয় হাজার ৬৪৮ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন কাতালোনিয়ায়। বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন ৯০০ জন নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন।

এছাড়া কাতালোনিয়ায় বর্তমানে ১৩৬ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি আছেন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬৬২ জন। কাতালোনিয়ায় এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার। এর মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে ৫৫%, বৃদ্ধদের আবাসস্থলে ৩২%।

ভিয়েতনামে দেখা মিলল বাবুই পাখির

বেনজীর আহমেদ সিদ্দিকী: ভিয়েতনামের তিয়েন গিয়াং প্রদেশের প্রশস্ত মেকং নদীর ধার ঘেঁষে বেড়ে ওঠা সবুজে ঘেরা । এ শহরের মাঝখান দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে রেল স্টেশনের কাছে এসে হঠাৎ করে পাখির কিচিরমিচির শব্দে থমকে যেতে হয়। সামান্য দূরেই নানা ধরনের পাম ও কাঁটাওয়ালা গাছে তখন বাবুই পাখি (ভিয়েতনামে বলে রং রোক) তার বাসার ফাঁক দিয়ে উঁকিঝুঁকি মারছে এবং ওড়াউড়ি করছে। এতোগুলো বাবুই পাখির সুললিত কলতানে উৎফুল্ল মন ফুড়ুৎ করে উড়ে চলে যায় ফেলে আসা শৈশব-কৈশোরের রজনীকান্ত সেনের ‘স্বাধীনতার সুখ’ কবিতায়।

একসময় বাংলাদেশের শহর ও বিশেষ করে গ্রামগুলোতে প্রচুর তাল, নারিকেল, খেজুর, সুপারি ও বাবলা গাছ ছিল। ভাদ্র মাসে তাল গাছের পাশ দিয়ে গেলে পাকা তালের মৌ মৌ ঘ্রাণে প্রাণ জুড়িয়ে আসত। ভাগ্যে থাকলে গাছ তলায় গেলে পাওয়া যেত লালচে-কালো পাকা তাল। গ্রীষ্মের দাবদাহে যখন চারপাশে মাটি ফেটে চৌচির, এমন গরমে তেষ্টা মেটাতে ভরসা হয়ে উঠত বাড়ির আশেপাশের নারিকেল গাছ। শীতের সকালে ঠকঠক করে কাঁপতে কাঁপতে খেজুরের রস খাওয়াও ছিল মুগ্ধকর। গ্রামবাংলার গৃহিণীদের বিকেলের পান খাওয়ার আড্ডা আরও বাড়িয়ে তুলতো বাড়ির পেছনের সুপারি গাছগুলো। আর রৌদ্রজ্বল দিনে বিস্তীর্ণ মাঠের আলের পাশে বাবলা গাছের নিচে কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নিত কৃষক। এমনই সব দৃশ্য গ্রামবাংলাকে আরও চিরসবুজ ও মাটির কাছাকাছি করে তুলতো।

এসব উঁচু উঁচু তাল, নারিকেল, সুপারি, কাঁটাওয়ালা খেজুর ও বাবলা গাছে বাসা বাঁধতো বাবুই পাখি। উঁচু ও কাঁটাওয়ালা গাছ বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ শিকারীর কাছ থেকে নিজেকে ও বাসাকে সুরক্ষিত রাখা। বলা যায়, পৃথিবীতে বাবুই প্রজাতির সংখ্যা ১১৭। এর মাঝে বাংলাদেশে তিন প্রজাতির বাবুই পাখি দেখা যায়-
১. দেশি বাবুই: প্রজনন ঋতু ছাড়া অন্য সময় পুরুষ ও স্ত্রী পাখির কালো কালো দাগসহ পিঠ হয় তামাটে বর্ণের, নিচের দিকে দাগ নেই, শুধুই তামাটে। ঠোঁট পুরু, মোচাকার; লেজ চৌকা, প্রজনন ঋতুতে পুরুষ পাখির পিঠ হয় গাঢ় বাদামি। হলুদ বুকের উপরের দিক ফ্যাকাশে।
২. দাগি বাবুই: বুক তামাটে, তাতে স্পষ্ট দাগ।
৩. বাংলা বাবুই: প্রজনন ঋতুতে পুরুষ পাখির মাথার চাঁদি উজ্জ্বল সোনালি-হলুদ, গলা সাদা এবং তা একটি কালো ডোরা দ্বারা নিচের তামাটে-সাদা রঙের অংশ থেকে পৃথক। অন্য সময় স্ত্রী ও পুরুষ পাখির চাঁদি পিঠের পালকের মতোই বাদামি। বুকের কালো ডোরা ততটা স্পষ্ট নয়। প্রকট ভ্রূরেখা, কানের পেছনে একটি ফোঁটা। (বাংলাপিডিয়া)

বাবুই খুব সুন্দর করে শৈল্পিক বাসা বোনে বলে একে ‘তাঁতি পাখি’ নামেও ডাকা হয়। এদের বাসার গঠন বেশ জটিল আর আকৃতিও খুব সুন্দর। বাবুই পাখির বাসা দেখতে অনেকটা উল্টানো কলসির মতো। বাসা বানানোর জন্য বাবুই ভীষণ পরিশ্রম করে। ঠোঁট দিয়ে ঘাসের আস্তরণ ও কাদার মিশ্রণ ঠিক করে। যত্ন করে পেট দিয়ে ঘষে ঘষে গোলাকার অবয়ব মসৃণ করে। শুরুতে দুটি নিম্নমুখী গর্ত থাকে। পরে একদিক বন্ধ করে ডিম রাখার জায়গা তৈরি করে। অন্যদিকটি লম্বা করে প্রবেশ ও প্রস্থান পথ বানায়। বাবুই সাধারণত দুই ধরনের বাসা তৈরি করে। মজার বিষয় হলো, পুরুষ পাখি তার পরিশ্রম ও শৈল্পিকতার মিশ্রণে এসব বাসা তৈরি করে। একটি বাসা তৈরি হতে ১০-১৫ দিন সময় লাগে। শৈল্পিক নিদর্শনের এমন দারুণ সব বাসা বাতাসের ঢেউয়ে দুলতে দুলতে মানুষের মনে আনন্দ দেয়।

বাবুইয়ের বাসা তৈরি করার জন্য প্রয়োজন পড়ে নলখাগড়া, খেজুর পাতা ও হোগলার বন। কিন্তু বাংলাদেশে নলখাগড়া ও হোগলার বন কমে যাওয়ার পাশাপাশি তাল, নারিকেল, সুপারি, খেজুর, বাবলা গাছও অনেক কমে এসেছে। ফলে বাবুইয়ের সংখ্যাও এখন খুবই কম। বাবুই পাখির অস্তিত্বই আজ হুমকির মুখে। বাংলাদেশে বাংলা ও দাগি বাবুইয়ের প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। তবে দেশি বাবুই এখনো দেশের অনেক গ্রামের গাছে দলবেঁধে বাসা বোনে।

সময়ের পরিক্রমা, অসচেতনতা, পরিবেশে বিপর্যয়সহ নানা কারণে আজ বাবুই পাখি ও এর বাসা হারিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় উপমহাদেশের কিংবদন্তিতে পাওয়া যায়, পুরুষ বাবুই পাখি সন্ধ্যা-রাতে ঘর আলোকিত ও প্রেয়সীকে আকৃষ্ট করার জন্য মিটমিট করে জ্বলতে থাকা জোনাকি পোকা ধরে নিয়ে আসে। এনে বাসার দেয়ালে কাদার মাঝে গুজে রাখে এবং সকাল হলে আবার তাদের ছেড়ে দিয়ে মুক্ত স্বাধীনতার সুখে উড়তে থাকে। বহমান কালের পরিক্রমায়, বাবুই পাখি এখন মুক্ত স্বাধীন সুখ হারিয়ে জোনাকির আলোর মতো মিটমিট করে কোনমতে টিকে আছে বাংলাদেশের গ্রামের আনাচে-কানাচে।

এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ দেখি ভিয়েতনামের বয়স্ক লোকটির পাখির খেলা দেখানো শেষ হয়ে এসেছে। আমি বিষণ্ন মনে তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ট্যাক্সি নিলাম ক্যান হোচ গ্রামের হোম স্টের উদ্দেশ্যে। যেখানে নাকি সন্ধ্যা-রাতে জোনাকি পরম স্বাধীনতার সুখে বাবুই পাখির বাসায় নিজেই আলো জ্বেলে আসে।

মহামারি শেষ হলে সৌদি যেতে পারবেন ছুটিতে থাকা প্রবাসীরা
 
সৌদি আরবের বাইরে থাকা প্রবাসীদের পুনরায় দেশটিতে প্রবেশ করার প্রক্রিয়া করোনভাইরাস মহামারি সংকট শেষ হওয়ার পরে শুরু হবে বলে জানিয়েছে দেশটির পাসপোর্ট অধিদফতর জেনারেল (জাওয়াজাত)।

মঙ্গলবার জাওয়াজাতের এক টুইটার বার্তার বরাত দিয়ে দেশটির ইংরেজি দৈনিক সৌদি গেজেট এ সম্পর্কিত সংবাদ প্রকাশ করে। খবরে বলা হয়, বর্তমানে সৌদির বাইরে রয়েছে এবং যাদের এক্সিট রি-এন্ট্রি ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, এমন একাধিক প্রবাসীর প্রশ্নের জবাবে জাওয়াজাত (পাসপোর্ট অধিদফতর) এ কথাগুলো বলেছে।

জাওয়াজাত পুনঃপ্রকাশ করার মাধ্যমে ঘোষণা করেছে যে, সৌদি আরব ছেড়ে যাওয়া প্রবাসীদের ফিরে আসার বিষয়টি মহামারিটি শেষ হওয়ার পরে এবং বৈধ পুনঃপ্রবেশ ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া অনুসারে হবে।

জাওয়াজাত আরও জানায় যে, এ বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত বা নির্দেশনা থাকলে তাদের আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, জাওয়াজাত আগে থেকে নিশ্চিত করেছিল যে, এ সম্পর্কিত পরিষেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আবশার অ্যাপ এবং মুকিম অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে অব্যাহত রয়েছে।

প্রবাসীদের ৫ বছর মেয়াদি ফ্যামিলি ভিসা দেবে কাতার

কাতারে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের পরিবারের জন্য ফ্যামিলি রেসিডেন্স ভিসা দেবে দেশটির সরকার। কাতারে বৈধভাবে কর্মরতরা চাইলে তাদের পরিবারের সদস্যদের খুব সহজেই দেশটিতে নিয়ে আসতে পারবেন।

মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগেও ভিজিট ভিসায় পরিবারের সদস্যদের কাতার ভ্রমণে নিয়ে আসা যেত। আগের ভিসার মেয়াদ ছিল ১ মাসের। এখন থেকে ফ্যামিলি ভিসার মেয়াদ হবে ৫ বছর।

ফ্যামিলি রেসিডেন্স ভিসা আবেদনের জন্য যা লাগবে-

১. আবেদনকারীর ভ্যালিড কাতার আইডির ফটোকপি।

২. আবেদনকারীর কাতারে কর্মরত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে সেটা ও সেলারি সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি।

৩. যাদের জন্য আবেদন করা হবে তাদের সবার পাসপোর্টের ফটোকপি।

৪. স্ত্রীর জন্য ম্যারেজ সার্টিফিকেট ও বাচ্চাদের জন্য তাদের জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট।

৫. পরিবারের কোনো সদস্যের বয়স যদি ১৮ বছরের উপরে হয় তাহলে তার জন্য নিজ ইউনিয়ন/উপজেলা/পৌরসভা অথবা সিটি কর্পোরেশন থেকে চারিত্রিক সনদপত্র নিতে হবে।

আনুষঙ্গিক তথ্য

১. ভিসা আবেদন ফর্মটি আরবিতে টাইপ করতে হবে এবং পাসপোর্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সকল তথ্য পূরণ করতে হবে।

২. আবেদন ফরম ও সাথে দেওয়া প্রতিটি কাগজ অবশ্যই স্পষ্ট ও ক্লিয়ার হতে হবে।

৩. যাদের জন্য আবেদন করা হবে তাদের সকলকে বাংলাদেশে অবস্থিত ঢাকা বা সিলেটের কাতার ভিসা সেন্টারে মেডিকেল পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে হবে।

৪. আপনার দেওয়া তথ্যগুলি কাতারের ভিসা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করার পর ভিসা এপ্রুভালের অনুমোদন প্রদান করবে।

৫. প্রতিটি আবেদনের জন্য ২০০ কাতার রিয়েল প্রদান করতে হবে।

৬. আবেদনকারীরা চাইলে মাতরাশ-২ অথবা হুকুমি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেও আবেদন কর‍তে পারবেন।

ভিসা আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন: ভিসা আবেদন ফরম


এদিকে সাময়িক বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশিদের জন্য আবারও উন্মুক্ত হয়েছে কাতারের শ্রমবাজার। একই সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান করায় দুই দেশের সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রবাসীদের কাতারের আইন মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন কমিউনিটির নেতারা।

গত বছর জুলাইয়ে বাংলাদেশি প্রবাসীদের হাতে নেপালের দুই নাগরিক খুন হওয়ার পর কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য ভিসা বন্ধ করে দেয় কাতার সরকার। এতে বাংলাদেশ থেকে দেশটিতে জনশক্তি রফতানি বন্ধ হয়ে যায়।

২০২২ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর বসবে কাতারে। এ উপলক্ষে দেশটিতে অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। এজন্য বিদেশি জনশক্তিকে কাজে লাগাতে চায় কাতার। এক্ষেত্রে, বিদেশি কর্মী নিয়োগে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget