Articles by "প্রথম পাতা"
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

নওগাঁয় স্থানীয় লেখকদের পথ বইমেলা
নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় স্থানীয় লেখকদের বই নিয়ে এই প্রথম দিনব্যাপী শুরু পথ বইমেলা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১ টা থেকে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় জেলা পরিষদের পার্কের গেটে মেলা হয়। নওগাঁ সাহিত্য পরিষদের ৭ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন- জেলা কালচারাল অফিসার তাইফুর রহমান।
নওগাঁয় স্থানীয় লেখকদের পথ বইমেলা


এসময় কথা সাহিত্যিক বরেন্দ্র ফরিদ এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নওগাঁ সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল নয়ন। এসময় নওগাঁর বিশিষ্ট সাহিত্যিক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আতাউল হক সিদ্দিকী, প্রফেসর শরিফুল ইসলাম খান, কবি ও প্রাবন্ধিক ড. ফাল্গুনী রানী চক্রবর্তী, বগুড়া লেখক চক্রের সভাপতি ইসলাম রফিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কায়েস উদ্দিন, কলামিষ্ট এবিএম রফিকুল ইসলাম,বাচিকশিল্পী ও কথাসাহিত্যিক মাহফুজ ফারুক, লেখক আবুল হায়াত ইসমাইল, কথাসাহিত্যিক টগর মেহেদী, কথাসাহিত্যিক ও সম্পাদক হাবিব রতন, কবি ও সম্পাদক প্রত্যয় হামিদ, কবি অনিন্দ্য তুহিন, কবি রবিউল মাহমুদ, কবি রিমন মোরশেদ, কবি আসলাম হোসেন, কবি সোহাগ হোসেন, কবি এমএ মজিদ, সাপ্তাহিক প্রজন্মের আলো’র সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান রিজভী এবং সমাজসেবক তাসলিমা ফেরদৌস সহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন। স্থানীয় সহ পাশের বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলা থেকে আগত লেখকদের আগমনে এক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।

মেলার আয়োজকরা জানান- বইমেলায় জেলার ৫০ জন লেখকের অন্তত তিন শতাধিক বই স্থান পেয়েছে। গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ ও শিশুদের বই রয়েছে। এসব বইয়ের মুল্য ১০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে। বইমেলার উদ্যেশ্য হচ্ছে নতুন প্রজন্ম ও নওগাঁ বাসীর কাছে নওগাঁর লেখকদের তুলে ধরা এবং পরিচিত বাড়ানো। সেই সাথে তরুন প্রজন্ম যারা মোবাইল ও সামাজিক বিভিন্ন মাধ্যমে যেভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছে তা থেকে বেরিয়ে এসে লেখালেখি ও শিল্প সাহিত্যে প্রতি উদ্বৃদ্ধ করণের লক্ষ্যই এ মেলার মুল উদ্যেশ্য।

কবি, প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক, চর্যাপদ গবেষক সহ নবীন ও প্রবীণ সাহিত্যিক চেতনার লেখকগন। সাপ্তাহিক ছুটির  দিন হওয়ায় সকালের দিকে দর্শনার্থীদের তেমন ভিড় চোখে না পড়লেও বিকেলে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল পার্ক গেটের দু’পাশ। এ যেন প্রতিদিনের তুলনায় আলাদা এক চিত্র। প্রতি বছর জাতীয় একুশে বই মেলা সহ সরকারী বেসরকারীভাবে নানা স্থানে বই মেলার আয়োজন হয়। সেই ষ্টলগুলোতে বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শিত হয় দেশী বিদেশী বিভিন্ন লেখকের বই। কিন্ত দিনব্যপী ব্যতিক্রমী এই বই মেলায় সকল ষ্টলে শুধুমাত্র নওগাঁর লেখকদের বই’ই বিক্রয় ও প্রদর্শিত হয়। যা সচরাচর বই মেলা থেকে একটু আলাদা। বিভিন্ন ধরনের বইয়ে  ভিন্ন ভিন্ন বিষয় বস্তু তুলে ধরা হলেও অধিকাংশ লেখকের বইয়ে উঠে এসেছে নওগাঁর ইতিহাস ঐতিহ্য আর সম্ভাবনা।

 

নওগাঁয় সাহিত্য পরিষদের ৭ম বর্ষপূর্তি পালিত

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় কবি-সাহিত্যিকদের স্থানীয় সংগঠন নওগাঁ সাহিত্য পরিষদ এর ৭ম বর্ষপূর্তি পালিত হয়েছে। রবিবার সন্ধায় মুক্তির মোড় পার্ক ভিউ রেস্টুরেন্টে সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে এই উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সংগঠনের সহ-সভাপতি কবি-প্রাবন্ধিক ড.আইয়ুব আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সদর উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম রবিন শীষ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা নওগাঁ সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড.শামসুল আলম, জেলা কালচারাল অফিসার মো.তাইফুর রহমান, বরেন্দ্র গবেষক ও কথাসাহিত্যিক বরেন্দ্র ফরিদ, জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি চ্যানেল আই ও বাসাস প্রতিনিধি কয়েস উদ্দীন, যমুনা টিভির নিজস্ব প্রতিবেদক ও বাংলাদেশ রেডিও প্রতিনিধি শফিক ছোটন,সাপ্তাহিক প্রজন্মে আলো সম্পাদক আব্দুর রহমান রিজভী, গল্পকার হাবিব রতন প্রমূখ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল নয়ন।

আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন, কবি রফিক বকুল,অনিন্দ্য তুহিন, রিমন মোরশেদ,রোকেয়া শাকিলা,আসলাম হোসাইন,মোহাম্মদ নাসির, আবু রেজা, ফরহাদ হোসেন।
আলোচনা ও কবিতা পাঠ শেষে কেক কাটার মধ্য দিয়ে বর্ষপূর্তি উদ্যাপন করা হয়।

 

নওগাঁর আত্রাইয়ে একটি ব্রিজের অভাবে থমকে আছে কৃষকের স্বপ্ন

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই নওগাঁ: নওগাঁর আত্রাইয়ে খালের উপর একটি ব্রিজের অভাবে হাজার হাজার বিঘা জমির ধান ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষক। খালে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি থাকায় এবং বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় এ ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষক।

জানা যায়, উপজেলার শাহাগোলা গ্রামের পূর্বমাঠ জুড়ে চাষ করা হয়েছে আমন ধান। ধানের ফলনও হয়েছে বাম্পার। আর মাত্র ১৫/২০ দিন পরেই শুরু হবে এ ধান কাটা মাড়াই। ওই গ্রামের শাতাধিক কৃষকের সহ¯্রাধিক বিঘা জমিতে তারা চাষ করেছেন আমন ধান। চিনি আতপ, জিরাশাইল, কাটারিভোগসহ বিভিন্ন জাতের ধান রয়েছে এ মাঠে। বিশাল মাঠ জুড়ে ধানগুলো রঙিন রুপ ধারণ করেছে। কৃষকদের মুখে ফুটে উঠেছে হাসি। কিন্তু এ ধান কর্তন করে ঘরে তোলা নিয়ে তারা পড়েছে চরম বিপাকে। উপজেলার মির্জাপুর ছোট যমুনা নদী থেকে রতনডারা নামে ঐতিহ্যবাহি একটি খাল বয়ে গেছে শাহাগোলা গ্রাম আর মাঠের মধ্যদিয়ে। এ খালের কারনে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গ্রাম আর মাঠের যোগাযোগ। ফলে মাঠ থেকে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষক।

শাহাগোলা গ্রামের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, কৃষক আজাদ সরদার, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান লিটনসহ অনেকে বলেন, আমরা কৃষি নির্ভর মানুষ। বছরের দুই মৌসুমে বোরোইরি ও আমন ধান আমাদের প্রধান আবাদ। আমাদের এ মাঠে হাজার হাজার বিঘা জমিতে বোরো ও আমন ধানের চাষ হয়। মাঠের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের উপর একটি ব্রিজ না থাকায় প্রতি বছরই ধান ঘরে তোলা নিয়ে আমাদেরকে বিপাকে পড়তে হয়। এই একটি ব্রিজের অভাবে দ্বিগুণ শ্রমিক মূল্য দিয়ে ঘরে ধান তুলতে হয়। এবারেও আমন ধান ঘরে তোলা নিয়ে আমরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছি। অতীতে অনেক জনপ্রতিনিধি প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন । কিন্তু কেউ কাজ করেননি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের ব্রিজগুলো সাধারণত দুই রাস্তার সংযোগের জন্য নির্মাণ করা হয়। পারপরেও গ্রামবাসী কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করলে আমরা এখানে একটি ব্রিজ তৈরির উদ্যোগ নিতে পারি। 

 

নওগাঁর আত্রাইয়ে মা সমাবেশ ও ব্র্যাক ওয়াশ কর্মসূচি উদ্বোধন

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই নওগাঁ: নওগাঁর আত্রাইয়ে শিক্ষার গুনগতমান উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের ঝরেপড়া রোধ ও শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিতকরনে আত্রাই উচ্চ বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার ১৮ নভেম্বর সকালে বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত মা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামাল হোসেন। তিনি মায়েদের উদ্দেশ্যে মেয়েদেরকে বাল্যবিয়ে না দিতে অনুরোধ জানান। পাশাপাশি সন্তানদের সুসন্তান হিসাবে গড়ে তুলতে ধর্মীয় আদর্শে আদর্শায়িত করে সৎ চরিত্রের গুনাবলির মাধ্যমে তাদের মূল্যবোধ ও দায়িত্ববান হিসাবে গড়ে তোলার আহবান জানান। একইসাথে সন্তানেরা সময়মত বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছে কি-না এবং মাদকাশক্ত হচ্ছে কিনা সেদিকে নজর রাখতে হবে মর্মে উল্লেখ করেন।   

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হেনা মোস্তফা কামাল এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাহাবুদ্দীন, ৪ নং পাঁচুপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খবিরুল ইসলাম, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার প্রদীপ কুমার সরকার। শিক্ষক তপন কুমার সরকার এর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ, সিনিয়র শিক্ষক প্রনব কুমার ঘোষ, রুহুল আমীন, সাংবাদিক নাজমুল হক নাহিদ,অর্জুন কুমার প্রামানিক, আব্দুর রউফ বক্তব্য দেন।

পরে ব্র্যাক ওয়াশ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামাল হোসেন। এসময় ব্র্যাক ওয়াশ কর্মসূচি নওগাঁ জেলার সমন্বয়ক স্বপন কুমার মিস্ত্রি, উপজেলা টেকনিক্যাল অফিসার মাহবুবুর রহমান, প্রোগ্রাম অর্গানাইজার সুজিত কুমার মন্ডল, মাহবুবা তালুকদার, সুইটি সরকার উপস্থিত ছিলেন। #


নওগাঁয় কবির সাথে আড্ডা ও কবি অনিন্দ্য তুহিনকে সম্মাননা প্রদান

নওগাঁ প্রতিনিধি: সাহিত্যের সঙ্গে আড্ডা চিরাচরিত। আর তা যদি হয় স্বয়ং সাহিত্য কর্ম সৃষ্টির স্রষ্টা তথা কবির সাথে তবে সেই আড্ডা হয়ে ওঠে আরও গুরুত্ববহ।

চর্যাপদের উর্বরভূমিখ্যাত নওগাঁয় কবির সাথে আড্ডা ও কাব্যগ্রন্থ “শূন্যতার প্রদাহে দীর্ঘ সময়” প্রকাশের জন্য কবি-সম্পাদক অনিন্দ্য তুহিনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে দুবলহাটি রাজপ্রাসাদের উঠানে নওগাঁ সাহিত্য পরিষদ এর আয়োজন করে।

আড্ডায় নওগাঁ সাহিত্য পরিষদের উপদেষ্টা কথাশিল্পী টগর মেহেদীর সভাপতিত্বে প্রধান  আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বরেন্দ্রভূমি  গবেষক ও কথাসাহিত্যিক বরেন্দ্র ফরিদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক ও চর্যাপদ গবেষক আশরাফুল নয়ন। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাপ্তাহিক প্রজন্মের আলো সম্পাদক  অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান রিজভী ।

কবির জীবন ও সাহিত্য কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন কথাশিল্পী ও চারুবর্তি সম্পাদক হাবিব রতন। আড্ডায় কবির কাব্যগ্রন্থ থেকে কবিতা পাঠ করেন বাচিকশিল্পী রোকেয়া সাকিলা, আসলাম হোসাইন, মোহাম্মদ নাসির, আবরার ইফাজসহ প্রমূখ।

উল্লেখ্য, কবি অনিন্দ্য তুহিন নওগাঁ জেলার চকপ্রসাদ গ্রামে ১১ জানুয়ারি ১৯৮৭ সালে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পৈত্রিক নিবাস রামজীবনপুরে। তিনি লিটলম্যাগ 'সলক' এবং যৌথভাবে 'ত্রিমাত্রা' ও 'গলুই' সম্পাদনা করেন।

পরে কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ “শূন্যতার প্রদাহে দীর্ঘ সময়” প্রকাশের জন্য সংগঠনের পক্ষ হতে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

naogaon news

আজকের দেশ সংবাদ ডেস্ক: 

গড়ব দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্যের আলোকে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে নওগাঁর আত্রাইয় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের আয়োজনে ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে ‌র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালী শেষে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে উপজেলা সমবায় অফিসার মো. নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নবাগত আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামাল হোসেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিনথিয়া হোসেন, আত্রাই থানার ওসি (তদন্ত) মো. লুৎফর রহমান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, পল্লী উন্নয়ন অফিসার মো. তোফাজ্জল হোসেন মীর, একাডেমিক সুপার ভাইজার শ্রী প্রদীপ কুমার, আত্রাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণে বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি মো. মোফাজ্জল হোসেন সহ সকল ইউনিয়ন সমবায় সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ।


নওগাঁয় জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান ২০২৪ এর উদ্বোধন

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: ‘ছাত্র শিক্ষক কৃষক ভাই-ইঁদুর দমনে সহযোগিতা চাই’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নওগাঁয় জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান ২০২৪ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। 


আজ বুধবার সকালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর আয়োজনে উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে ইঁদুর দমন অভিযানের শুভ উদ্বোধন করা হয়। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক এর কার্যালয়ের হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় ফসলে ইঁদুরের উপদ্রব থেকে রক্ষার জন্য ইঁদুর দমন করতে বিভিন্ন কর্মপন্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

নওগাঁয় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিক শহিদুল; হাসপাতালে ভর্তি

আজকের দেশ সংবাদ ডেস্ক: সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে নওগাঁয় শহিদুল ইসলাম নামে এক সংবাদকর্মী হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি অনলাইন পোর্টেবল বার্তা২৪ ডটকম এর নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি। শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিতের পর তাকে ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে অভিযুক্তরা। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ এর সহযোগিতায় তার সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। বর্তমানে তিনি নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার কীর্তিপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এ ঘঠনা ঘঠে। 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দপুর গ্রামের নব মুসলিম অমিত হাসান। তার পরিবারকে বেশকিছু ধরে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম ও সাংবাদিক একেএম জাহিদুল হক মিন্টু ওই এলাকায় গিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের বক্তব্য ক্যামেরায় ধারণ করছিল। এসময় স্থানীয় ইউপি মেম্বার রেজাউল হক এর ছেলে এলাকার মাস্তান বাহিনী'র প্রধান ওয়াহেদুর রহমান রকি সহ অজ্ঞাত আরো ১০/১৫ জন অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলে। এসময় শহিদুল ইসলামকে এলোপাতারি মারধোর করে রকির বাড়ির সামনে নিয়ে গিয়ে প্রায় ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। তবে অবস্থা খারাপ হবে দেখে সাংবাদিক একেএম জাহিদুল হক মিন্টু ঘটনাস্থল থেকে আগেই চলে আসে।

সংবাদ পেয়ে নওগাঁ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ থানা পুলিশের সহযোগিতায় সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম কে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসার জন্য নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযোগ আছে- হিন্দু ধর্ম থেকে নব মুসলিম হওয়া এক পরিবার কে ওয়াহেদুর রহমান রকি, আরিফ,  মুন্না দেওয়ান, শামীম হোসেন, আল আমিন, রাকিব, রাজনসহ আরো অনেকে মিলে অবরুদ্ধ রেখে তাদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। এমনকি ওই পরিবারের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করা হয়। পরে ভুক্তভোগীর পরিবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও ভয়ে থানা পুলিশের কাছে যেতে পারেনি।

আহত সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার সংবাদ পেয়ে সত্যতা জানতে সহকর্মী একেএম জাহিদুল হক মিন্টুকে ঘটনাস্থলে যায়। ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে কথা বলার সময় ওয়াহেদুর রহমান রকি নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন এসে ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে। এক মারধোর করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে প্রাননাশের হুমকি দেয়। এরপর মুন্না নামের একজন মোবাইল ফোনে নব মুসলিমের বিরুদ্ধে সংবাদ করার জন্য মোটা অংকের টাকা দিতে চায়। সেটি আমি প্রত্যাখ্যান করলে তারা আবারো মারধর করে রকির বাড়ির সামনে আমাকে নিয়ে এসে আবার মারধোর করে আটক করে রাখে । পরে জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ জানার পর থানা পুলিশের সহযোগিতায় আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। মাথা ও ঘাড়ে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হচ্ছে।

ভুক্তভোগী নব মুসলিম মোছা: নূরে  জান্নাত বলেন, আমি আল্লাহর ভয়ে হিন্দু ধর্ম থেকে মুসলিম হয়েছি। মুসলিম হওয়ার পর থেকে স্থানীয় ইউপি মেম্বার রেজাউল করিম এর ছেলে ওয়াহেদুর রহমান রকি আমাদের কাছে থেকে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। টাকা না দিলে বাড়ি থেকে বের হতে দিবে না। টাকা না দিতে চাওয়ায় গত প্রায় ১৫ দিন আগে রকি সহ বেশ কয়েকজন আমার বাড়িতে এলোপাতাড়ি মারপিঠ করে। পরে সাংবাদিককে জানালে দুপুরের দিকে শহিদুল ইসলাম ও তার সহকর্মী মিন্টু এসে আমাদের বক্তব্য নিচ্ছিল। এসময় রকি ও তার লোকজন এসে সাংবাদিকদের গালাগালি করে ও ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে। পরে শহিদুলকে মারপিট করে আটকে রাখে। 

নওগাঁ সদর থানার উপপরিদর্শক (এস.আই) মো: মেজবাহ বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম কে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই বিষয়ে থানায় এখনো লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


নওগাঁ  প্রতিনিধি: একসময়ের বিক্ষাত রায় বাড়ির জমিদার বাড়িটি এখন মাটির ডুপ্লেক্স বাড়ি। মাটির তৈরি বাড়ি ও এতো সুন্দর হয় তা চোখে না দেখলে বোঝা দায়। বাড়িটি ব্যাক্তি মালিকানায় থাকলেও প্রতিনিয়ত দূরদুরান্ত থেকে পর্যটক আসে বাড়িটিকে একনজর দেখার জন্য।

প্রত্যন্ত গ্রামের মাঝে দৃষ্টিনন্দন একটি মাটির রাজবাড়ি। চুনসুরকির বাহারি কারুকাজ আর আলোর ঝলকানিতে দোতলা এই রাজবাড়িটি এখন সবার দৃষ্টি কাড়ে।

স্থানীয়দের মতে আজ থেকে প্রায় আড়াইশ বছর আগে জমিদার সারদা প্রসাদ রায়ের বাবা এই গ্রামে এসে পালদের কাছ থেকে একটি মাটির দোতলা বাড়ি কিনে নেন এবং তার জমিদারি স্থাপন করেন। পরবর্তীকালে সারদা প্রসাদ রায় থেকে এই জমিদারি প্রথা যতদিন পর্যন্ত বিলুপ্ত না হয়েছে ততদিন পর্যন্ত জমিদারি চালিয়ে গিয়েছেন।

এই রায় বাড়ির জমিদারি বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় সব কাজই পরিচালিত হতো এই মাটির বাড়ি থেকে।

কথিত ইতিহাস রয়েছে যে জমিদার সারদা প্রসাদ রায়ের দুই ছেলে ছিলেন। বড় ছেলের নাম বড়দা প্রসাদ রায় এবং ছোট ছেলের নাম শরৎ রায়।

এস এম আশকার ইবনে সুলতান জানান, বড়দা প্রসাদ রায়ের পরিবারকে বলা হতো বড় তরফ আর সারদা প্রসাদ রায়ের পরিবারকে বলা হত ছোট তরফ। এই বড়দা প্রসাদ রায় তৎকালীন ১৯৪২ সাল থেকে যুদ্ধের আগ পর্যন্ত এই এলাকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। অর্থাৎ এখনকার ভাষায় যেটাকে বলা হয় চেয়ারম্যান।

ইতিহাসের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা বলেন, বলিহারের রাজা বিমলেন্দু রায় বাহাদুরের মাতুলালয় ছিল এই রায় বাড়ি। এই রায় পরিবার তৎকালীন সময়ে শিক্ষা সংস্কৃতি বিষয়ে অনেক অগ্রগামী ছিল। যা দেখতে প্রতিনিয়ত ভির করছেন বিভিন্ন এলাকার পর্যটক।

বড়দা বাবুর আমলে ঘটে এক মর্মান্তিক ঘটনা। যা ১৯৬৪ সালের ৬ জানুয়ারির সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। দাঙ্গার কারণ হিসেবে ধরা হয় এই পরিবারের লোকজনের আত্ম-অহংকার এবং দাম্ভিকতা। সেই দাঙ্গায় এই পরিবারের ১৩ জন সদস্য নিহত হয়। এই ঘটনায় বড়দা বাবু কোনো রকমে প্রাণে বেঁচে যান। তিনি যুদ্ধের আগ পর্যন্ত এই এলাকার চেয়ারম্যান ছিলেন। মৈনমের ১৯৬৪ সালের রায়ট বা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ইতিহাস একুশে পরিষদ নওগাঁ লিপিবদ্ধ করেছে।

বর্তমানে ক্রয় সূত্রে এ জমির মালিক এস এম ব্রুহানী সুলতান গামা। গামার বড় ছেলে এস এম আশকার ইবনে সুলতান শান্ত `আজকের দেশ সংবাদকে'কে  বলেন, আমার দাদু এই মাটির বাড়িটি কিনেছিলেন। এরপর নিজের চেষ্টায় বাড়িটির আসল কারুকাজ অক্ষত রেখে নতুন করে রঙের কাজ করানো হয়েছে। এবং কিছু স্থানে সংস্কার করা হয়েছে। সবার দেখার জন্য বাড়িটি উন্মুক্ত করে রাখা হয়েছে। বাড়িটি দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন মানুষ । এটাই আমাদের ভালো লাগা।

এই দৃষ্টিনন্দন বাড়িটি দেখতে হলে আপনাকে আসতে হবে নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মৈনমে। এই গ্রামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সমৃদ্ধ ইতিহাস। তার মধ্যে এই রায় বাড়ির ইতিহাস অন্যতম।

নওগাঁয় বিপুল পরিমান অবৈধ বিস্ফোরক দ্রব্যসহ বিস্ফোরক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁর মসলাপট্রি এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ বিস্ফোরক দ্রব্য সহ বিস্ফোরক ব্যবসায়ী রুপমকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ৫। 

আজ সোমবার বিকেলে র‍্যাবের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে র‍্যাব ৫ সিপিসি ৩ জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্প। গ্রেফতারকৃত রুপম কুমার (৩৫) জেলার মহাদেবপুর থানার জোতহরি গ্রামের শ্রী নিবারণ চন্দ্র বর্মনের ছেলে।

এ সময় জেলার সদর উপজেলার খাস নওগাঁ মরা কাটি এলাকার মৃত শামসুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন বিহারী নামে একজন পালিয়ে যায়। 

র‍্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার দিবাগত রাত ১০ ঘটিকায় জেলা সদর থানাধীন পৌরসভার পুরাতন মাছ বাজার মসলাপট্রির কাজী মার্কেটের তৃতীয় তলায় ভাড়া কৃত গোডাউন হতে ৫৫৩.৭ কেজি অবৈধ বিস্ফোরকসহ রূপমকে গ্রেফতার করে। 

র‍্যাব আরো জানায় গ্রেফতারকৃত রুপম একজন চিহ্নিত অবৈধ বিস্ফোরক ব্যবসায়ী। সে সিলেট শায়েস্তাগঞ্জ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে চা পাতার নাম করে অবৈধ বিস্ফোরক দ্রব্য সংগ্রহ করে এবং নওগাঁ ও পার্শ্ববর্তী জেলার সীমান্ত এলাকা হতে অবৈধ বিস্ফোরক দ্রব্য সংগ্রহ করে সালাউদ্দিনের সাথে যোগসাজসে নওগাঁ সহ পার্শ্ববর্তী জেলা সমূহে ও দেশের বিভিন্ন স্থানে খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করতো বলে জানান র‍্যাব। 

পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইন ১৯০৮ অনুযায়ী নওগাঁ সদর থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে এবং সে মামলা মূলে রুপমকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

নওগাঁয় দুই সাংবাদিককে তুলে নিয়ে নির্যাতন

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর পত্নীতলায় অবৈধ ক্লিনিক ডায়াগনোষ্টিক ও ভূল চিকিৎসার সংবাদ প্রকাশের জের ধরে দুই সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ক্লিনিক ডায়াগনোষ্টিকের মালিক, চিকিৎসক ও তাদের  ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে সাংবাদিকতা না করার প্রতিশ্রুতি লিখে নিয়েছে। এছাড়া জোড় করে গলায় জুতার মালা ঝুলিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করেছে। 

অপমান সইতে না পেরে নির্যাতনের শিকার দৈনিক জয়পুরহাট বার্তার প্রতিনিধি মাহমুদুন নবী বাড়িতে যাননি। তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অপর জন দৈনিক মানবকন্ঠের প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম নিজ বাড়িতেই আছেন। শনিবার রাতে তাদেরকে তুলে নিয়ে গিয়ে পত্নীতলা সিটি ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়।

ঘটনার শিকার মাহমুদুন নবী জানান, শনিবার বিকেলে তিনি নজিপুর বাজারে সিটি ক্লিনিকের সামনে একটি ষ্টলে চা পান করছিলেন। এসময় সিটি ক্লিনিকের চিকিৎসক ও মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার দেওয়ান সবুর হোসেন  তাকে জোড় করে ক্লিনিকের ভেতরে ধরে নিয়ে যায় এবং অতর্কিত মারপিট শুরু করে। ঘরে আটকে রেখে মোবাইল ফোন কেরে নিয়ে কয়েক দফায় তাকে মারপিট করা হয়।

একপর্যায়ে সন্ত্রাসী কায়দায় মেরে ফেলার হুমকির মুখে সাংবাদিকতা না করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাহমুদুন নবীর কাছ থেকে একটি সরকারী রাজস্ব ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয় তারা। এছাড়া ফেসবুকে লাইভে সাংবাদিকতা না করার ঘোষনা এবং গলায় জুতার মালা ঝুলিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারন করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনা বাহিনীর সদস্যরা এসে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। 

তিনি আরো বলেন, অবৈধ ক্লিনিক ডায়াগনোষ্টিক ও ভূল চিকিৎসার সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ক্লিনিক মালিক ও ডাক্তাররা চাঁদাবাজীর মিথ্যা অভিযোগ তুলে নির্যাতন করেছে। এখন মামলা না করার হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চান ভূক্তভোগীরা। 

এদিকে একই দিন রাত ১০ টার দিকে মানবকন্ঠের প্রতিনিধি  রবিউল ইসলামকে বাড়ির সামনে থেকে মোটর সাইকেলে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় সিটি ক্লিনিকে। সেখনে একটি ঘরে আটক করে নির্যাতন করা হয়। রবিউল জানান, নির্যাতনের পর  জোড় করে সরকারী রাজস্ব ষ্ট্যাম্পে স্বক্ষর নেয়ার চেষ্টা করে ক্লিনিক মালিকদের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা। 

এ ঘটনায় চিকিৎসক ও ক্লিনিক ডায়াগনোষ্টিক মালিক পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করছেন। সিটি ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ জানান, চিকিৎসকদের সাথে সাংবাদিকদের দ্বন্দ্ব হয়েছে। ঘটনার সাথে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কেউ জড়িত নয় দাবি করেন তিনি। চিকিৎসক দেওয়ান সবুর হোসেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ক্লিনিক ডায়াগনোষ্টিক মালিক পক্ষের লোকজন সাংবাদিকদের মারধোর করেছে।

এ বিষয়ে পত্নীতলা থানার পরিদর্শক (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে সাংবাদিক মাহমুদুন নবী ও রবিউল ইসলামকে উদ্ধার করে আনা হয়েছিলো। তবে তারা এখনও কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। 

নওগাঁয় মিথ্যা ষড়যন্ত্র ও হত্যার পরিকল্পনা থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি : নওগাঁয় মিথ্যা ষড়যন্ত্র ও হত্যার পরিকল্পনা থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জুমাতুল এম ইসলাম সৌরভ নামে এক ভুক্তভোগী । আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় শহরের কাজীর মোড় তার বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন- নওগাঁ মেডিকেল কলেজ এর প্যাথলজি বিভাগের কিউরেটর ডাক্তার আবু জার গাফ্ফার তার ভগ্নিপতি (বড় বোন নুরে ই-আফসানা জেরির স্বামী)। তিনি একজন মুখোশধারী ও ভূমিদস্যু। আমার পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধ ভাবে দখলের জন্য ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে একাধিক বার আমাকে হত্যা চেষ্টা করেছেন।

কয়েক বছর আগে বাবা মারা গেছে। তারপর তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে যোগসাজস করে আমার মাকে কৌশলে তাদের বাসায় নিয়ে রাখেন। নওগাঁ শহরে একাধিক আবাসিক ভবন এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ভাড়া আদায়ের দায়িত্বে ছিলেন আমার মা। কিন্তু মা ভগ্নীপতির বাসায় যাওয়ার পর থেকে ভাড়ার টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। গত ২৮ মাসের ভাড়ার হিসেবে প্রায় দেড় কোটি টাকা আমার মায়ের কাছে জমা হয়। আমি ্টাকা চাইতে গেলে ভগ্নীপতির কুপরামর্শে এবং তার অসৎ উদ্দেশ্যে মাকে বাদী করে আমার নামে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দেয়। ওই মামলায় আমাকে ২১ দিন জেল খাটতে হয়েছে। সবশেষ গত ৫ আগস্ট আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন- আবু জার গাফ্ফার ডাক্তার পদবী ব্যবহার করে অর্থের বিনিময়ে কিছু ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসন দিয়ে তার মতো করে কাজ করাচ্ছেন এবং প্রতিনিয়ত হয়রানি করে আমার পৈত্রিক সম্পদ দখলের চেষ্টা করছেন। আমি আমার পরিবার নিয়ে প্রাণের সংশয়ে আছি। বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী জানান তিনি। এসময় ভুক্তভোগীর ছেলে ও চাচাসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।


যেন নতুন এক শহর নওগাঁ

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রানী সেজে আমার জন্মভূমি। এ যেন নতুন এক শহর নওগাঁ। আগে যখন এই নওগাঁ শহরে যানজট লেগেই থাকতো। আর রাস্তার পাশের দেওয়ালগুলোতে লিখা থাকতো নানারকম অশ্লীল লিখা আর বিভিন্ন বিজ্ঞানের পোষ্টার। সেই দেওয়ালগুলোই এখন সোভা পাচ্ছে নানা রকম সুন্দর গ্রাফিতিতে। রাস্তায় নেই কোন পুলিশ নেই কোন ট্রাফিক, রাস্তার যানজটের চিত্র নেই আগের মত। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করছে এক ঝাঁক শিক্ষার্থী, এর পাশাপাশি দেওয়ালের বিভিন্ন পোস্টার ও নোংরা লেখাগুলোকে সরিয়ে শহরের রাস্তার দুপাশের দেয়ালগুলোতে আঁকা হচ্ছে নানারকম গ্রাফিতি। রাস্তায় ট্রাফিকের কাজ যেমন করছে শিক্ষার্থীরা ঠিক তেমনি এই গ্রাফিতি অঙ্কনেও কাজ করছে এক ঝাঁক তরুণ শিক্ষার্থী।  শিক্ষার্থীরা নতুন কিছু করতে পারে এ যেন তারই এক প্রতিচ্ছবি। অপরিচ্ছন্ন নওগাঁ শহরকে পরিচ্ছন্ন এবং সুন্দর এক রূপ দিতেই কাজ করছেন তারা। এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে নওগাঁ শহরের বিভিন্ন স্থানে, বিভিন রাস্তায়। সাধারন জনগনও তাই ছাত্র সমাজকে দিচ্ছে ধন্যবাদ।
  

নওগাঁয় অর্থ আত্মসাৎ করে আত্মগোপনে থাকা চাল ব্যবসায়ীকে আটকের দাবি
নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর মহাদেবপুরে ওসমান অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রা.) লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওসমান গণির বিরুদ্ধে ধান ব্যবসায়ী ও কৃষকদের প্রায় ৩৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অর্থ আত্মসাৎ করে আত্মগোপনে রয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে পাওনাদাররা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ‘ভুক্তভোগী সকল পাওনাদারের’ ব্যানারে মানববন্ধন করছেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি একটি কোম্পানিকে ভাড়া দিয়ে পরিবারসহ ঢাকায় অবস্থান করছেন তিনি। এদিকে অভিযোগকারী ব্যবসায়ীরা টাকা না পেয়ে হন্যে হয়ে ঘুরছেন। পরে ভুক্তভোগীরা ওসমান গণির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে তাদের টাকা ফেরতের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারক লিপি দেন।

মানববন্ধনে আড়তদার আবু আহসান হাবিবের সভাপতিত্বে আড়তদার সামিউল আলম, ইমতিয়াজ হোসেন সরদার, মাসুদ মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও অভিযোগকারী কৃষকরা বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধনে প্রায় তিন শতাধিক ব্যবসায়ী ও কৃষকরা অংশগ্রহণ করেন।

ভুক্তভোগি ব্যবসায়ী ও কৃষক সূত্রে জানা যায়, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার নওগাঁ-মহাদেবপুর সড়কের আখেড়া এলাকায় ওসমান গণি গত প্রায় ৪০ বছর আগে চালকল গড়ে তুলে ব্যবসা শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে চালকলটি অটোমেটিকে রুপান্তর করে ওসমান অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রা.) লিমিটেড নাম দেন। যেখানে কয়েক একর জায়গার ওপর পাঁচটি ইউনিট গড়ে তোলেন। ধানের আড়ৎদারদের কাছ থেকে নগদ ও বাকিতে ধান কিনে চালকল পরিচালনা করা হতো। এতে ব্যবসার সুবাদে আড়তদারদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে। এভাবে জেলা ও জেলার বাহিরের প্রায় ২৬০ জন ধান ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নগদ ও বাকিতে ধান কিনতেন তিনি। একপর্যায়ে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ধান ব্যবসায়ীদের কাছে বকেয়া রাখেন।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গত তিন থেকে চার মাস ধরে ধান ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ওসমানের দূরত্ব বাড়তে থাকে এবং টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করা হয়। তিনি পরিবারসহ ঢাকায় অবস্থান করতে থাকেন। গোপনে তার প্রতিষ্ঠানটি একটি কোম্পানির কাছে ভাড়া দিয়ে দেন।

আব্দুল ওহাব মোল্লা ও জিন্নাত হোসেন নামের দুই ভুক্তভোগি বলেন, ওসমান গনী আমাদের সাথে প্রতারণা করেছেন। তার কাছে আমরা ৩০০জন ব্যবসায়ী ও কৃষকরা প্রায় ৩ কোটি টাকা পাই। কিন্তু আমাদের কোন টাকা ফেরত দিচ্ছেনা। তার কঠিণ শাস্তির দাবি করছি।

উপজেলার মাতাজি হাট এলাকার মোল্লা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকার সামিউল আলম বলেন, ‘গত কয়েক বছর থেকে ওসমান গণিকে ধান দিয়ে আসছি। নগদ ও বাকিতে ধান দিতাম। এভাবে প্রায় এক কোটি ৩৯ লাখ টাকা পাওনা রয়েছি। পাওনা টাকা চাওয়া হলে বিভিন্ন বাহানা শুরু করেছে। আমার মতো ২৬০ জন ব্যবসায়ীর প্রায় ৩৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। আমরা এখন পথে পথে ঘুরছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহাদেবপুর উপজেলার ওসমান অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওসমান গণি বলেন, ‘প্রায় ৩৮ বছর থেকে ব্যবসা করছি। ব্যবসার সুবাদে অনেক টাকা লোকসান হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের কাছেও আমার দেনা রয়েছে। আমার কাছে নগদ টাকা নাই। পাওনাদারদের বলেছি যে সম্পদ আছে, তা বিক্রি করে দেনা পরিশোধ করা হবে। নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করার জন্য আদালতে একটি আবেদন করেছি, তবে আমি আমার প্রতিষ্ঠানটি ভাড়া দিয়েছি। এর বেশি কিছু বলতে চাইনা।

জেলা প্রশাসক মো.গোলাম মওলা বলেন, ভুক্তভোগি ব্যবসায়ী কৃষকরা একটি স্বারকলিপি দিয়েছেন। আমরা আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

নওগাঁয় মাদক কারবারী আজিজুলকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৫

নওগাঁ অফিস: মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, ১০ জুন ২০২৪ তারিখ সোমবার সন্ধা ৬ টায় নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানাধীন পূর্বখাদাইল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন র‌্যাব-৫। অভিযনে নওগাঁর বদলগাছী থানার খাদাইল পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিন মন্ডল এর ছেলে মোঃ আজিজুল হক (৪৫) কে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামী আজিজুল চিহ্নিত মাদক কারবারী। সে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকায় খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করতো। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত কয়েকদিন ধরে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দল উক্ত ব্যক্তির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করে। ১০-০৬-২০২৪ ইং তারিখে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত আসামীকে মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের সময় নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানাধীন পূর্ব খাদাইল এলাকা থেকে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দল আজিজুল কে আটক করে। পরবর্তীতে নিরপেক্ষ সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ধৃত আসামীকে তল্লাশি করলে তার নিকট থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য ৩৫ পিচ ট্যাপেন্টাডল এবং ১ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

নওগাঁয় বিপুল পরিমান গাঁজাসহ ২জন আটক
নওগাঁ অফিস: নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানা এলাকায় মাদক দ্রব্য উদ্ধার অভিযানকালে ১০১ (একশত এক) কেজি গাঁজা উদ্ধার এবং ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নওগাঁয় বিপুল পরিমান গাঁজাসহ ২জন আটক
আজ রবিবার দুপুরে জেলা ডিবি কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ। প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) (পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোঃ গাজিউর রহমান পিপিএম বলেন, নওগাঁ জেলায় বড় একটি গাঁজার চালান আসছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার নওগাঁ মুহাম্মদ রশিদুল হক পিপিএম এর দিক নিদের্শনায় বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) (পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোঃ গাজিউর রহমান পিপিএম এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ হাশমত আলী ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা, নওগাঁ সহ সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে শনিবার দিবাগত রাত ১২ ঘটিকার সময় নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানা এলাকার ২নং চন্দননগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সান্তোষপাড়া গ্রামস্থ জনৈক মোকলেছার এর পুকুরের সামনে ছাতড়া বাজার হতে সান্তোষপাড়া গামী পাকা রাস্তার উপর গাঁজাবাহী একটি কাভার্ট ভ্যান দাড়িয়ে পরে এবং পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেড়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে ২জনকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার বাঞ্চারাপুর থানার খাউরপুর গ্রামের মোহন মিয়ার ছেলে মোঃ সুমন বাপ্পি (৩৫), এবং নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানার সন্তোষপাড়া গ্রামের নাজির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে মোঃ টুয়েল মন্ডল (৫৫), এবং আরও ৮/১০ জন ব্যক্তি দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি কাভার্ড ভানে নিয়ে আসা ০৪টি পাটের বস্তায়  রক্ষিত থাকা ১০১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। যার মূল্য আনুমানিক ২০,২০,০০০/-(বিশ লক্ষ বিশ হাজার) টাকা, এবং মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ০১টি নীল হলুদ রংয়ের কাভার্ট ভ্যান যার রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো ড-১৪-৮৩৯২ আটক করা হয়। এ সংক্রান্তে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু হয় এবং ধৃত আসামীদ্বয়কে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদ্বয় জানায় যে গাঁজার চালানটি কুমিল্লা থেকে নওগাঁর ছাতড়া এলাকায় বিক্রয়ের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। এ সংক্রান্তে নিয়ামতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নওগাঁয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে ওরিয়েনটেশন কর্মশালা আনুষ্ঠিত

নওগাঁয় জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে ওরিয়েনটেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে ওরিয়েনটেশন কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন- জেলা সিভিল সার্জন ডা: নজরুল ইসলাম।

সিভিল সার্জন বলেন- আগামী ১ জুন জেলার ১১টি উপজেলা ও ৩টি পৌরসভায় ২ হাজার ৪৪৯ টি টিকা কেন্দ্রে ৪ হাজার ৫২০ জন স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে মোট ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩৩ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এরমধ্যে ৬-১১ মাস বয়সি ৩৩ হাজার ৫৬১ জন শিশুকে নীল রংয়ের ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সি ৩ লাখ ১৩ হাজার ২৭২ জন শিশুকে লাল রংয়ের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: মুনির আলী আকন্দ, মেডিকেল অফিসার আশিষ কুমার সরকার এবং ডিস্ট্রিক সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার ডা: জয়িতা সাহা সহ জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা।


নওগাঁয় মূলহোতা সহ ৩৩ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৫ ও সিপিএসসি
স্টাফ রিপোর্টারঃ : শনিবার ২৫ মে দুপুর ১ টার সময় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে নওগাঁ জেলার সদর থানার বালুডাঙ্গা বাস টার্মিনাল হতে চাঁদাবাজ চক্রের মূলহোতা সহ ৩৩ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৫, রাজশাহীর সদর কোম্পানী ও সিপিএসসি।

আজ রবিবার বিশেষ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানাই, চাঁদাবাজ চক্রের মূলহোতা আসামী ১। সোহেল মৃধা (৩৫), পিতা - মো আব্দুল মজিদ, সাং- ধঞ্জইল বরুজান, ২। মো হাফিজুল ইসলাম (৩৫), পিতা- মোঃ মাজেদ আলী মন্ডল, মাতা- আফিরুল, সাং-হর্শিউজানি, ৩। সুর্যকান্ত সরকার (৩৮), পিতা- মৃত-নরেন্দ্রনাথ সরকার, মাতা- সনেকা রানী বালা, সাং- দক্ষিণ লক্ষীপুর, ৪। মো আতোয়ার (৪৫), পিতা- মৃত-মশর উদ্দিন মন্ডল, মাতা মৃত- আবেদা বেওয়া, সাং- বাগধানা দক্ষিণ  পাড়া, সর্বথানা মহাদেবপুর, ৫। মো শিপন (৩২), পিতা- মো: আবু জাকির হোসেন, মাতা- মোছাঃ রীনা পারভীন, সাং হাঁপানিয়া একডালা, থানা-ও জেলা নওগাঁ, ৬। মো আতোয়ার হোসেন (৩৪), পিতা- মোঃ মোখলেছুর রহমান, মাতা- দেলেরা বেগম সাং বরুনকান্দি ১ নং ওয়ার্ড , থানা-ও জেলা- নওগাঁ, ৭। মোঃ মামুন হোসেন(৪২), পিতা- মৃত ফজলুর রহমান, মাতা- সুফিয়া বেওয়া, সাং রসুলপুর থানা- আত্তাই, জেলা নওগাঁ, ৮। শামিম হোসেন (৪৫), পিতা- মোঃ আমজাদ হোসেন, মাতা- মোছা নাহার বেগম, সাং- দিঘা, থানা ও জেলা নওগাঁ, ৯। মো জাকির হোসেন (৩২), পিতা- মো আবুল হোসেন, মাতা মোছা: জাহানারা বিবি, সাং - চকপাথুরিয়া, ১০। মোঃ পিন্টু রহমান (৪৪), পিতা- মৃত হায়দার আলী সরকার, মাতা- মিনু বেওয়া, সাং- হাপানিয়া একডালা, ১১। মো: মজিদ সরকার (৫৮), পিতা- মৃত অভির সরদার, মাতা- খাতুন বিবি, সাং চক বিরাম, থানা- সদর, জেলা- নওগাঁ ও নওগাঁ জেলার সদর থানাধীন তাজের মোড় হতে মূলহোতা আসামী ১। মোঃ আরিফ হোসেন (৩৫), পিতা-মোঃ হারুন অর রশি, সাং- ভবানীপুর ও তার সহযোগী ২। মোঃ মুকুল হোসেন (৪৪), পিতা-মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সাং-শিমুলিয়া, ৩। মোঃ হারুন অর রশিদ (৬৪), পিতা- মৃত নছির উদ্দিন, সাং- ভবানীপুর, ৪। মোঃ আব্দুল মজিদ (৪২), পিতা- মোঃ মোশারফ হোসেন, সাং- হাট নওগাঁ, সর্ব থানা ও জেলা- নওগাঁ, ৫। মোঃ জুয়েল হোসেন (৪০), পিতা- মৃত ময়েজ উদ্দিন সরদার, সাং- বশিপুর, থানা আদমদীঘি, জেলা- বগুড়া, ৬। মোঃ সাজু (২৮), পিতা- মোঃ নাছির, সাং- শিমুলিয়া, ৭। মোঃ ঠান্ডু মন্ডল (৪৫), পিতা- মৃত আমজাদ মন্ডল, সাং- আরজি নওগাঁ (মন্ডলপাড়া) , ৮। মোঃ মাসুদ রানা (৩৮), পিতা- মোঃ মঈন উদ্দিন, সাং- হাট নওগাঁ, ৯। মোঃ শাহিন আলম (৪৬), পিতা- মোঃ শামছুল হক, সাং- বর্ষাইল, ১০। মোঃ রাকিব শেখ (২৮), পিতা- মোঃ রতন, সাং- পার নওগাঁ (পুরাতন রেজিঃ অফিস পাড়া), ১১। শ্রী সুমিত রায় (৩২), পিতা- মৃত সুবোধ রায়, সাং- পার নওগাঁ (ধোপাপাড়া), ১২। শ্রী সুজন কুমার (২২), পিতা- শ্রী গনেশ চন্দ্র, সাং-রামরায়পুর (ঋষিপাড়া), ১৩। শ্রী গোপাল দাস (৫২), পিতা-মৃত ফনি› না াস, সাং- হাট নওগাঁ (কালিতলা), সর্ব থানা ও জেলা- নওগাঁ, ১৪। মোঃ আব্দুল লতিফ (৫২), পিতা- মৃত শরিফ উদ্দিন মন্ডল, সাং- শাহাগোলা, থানা- আত্রাই, জেলা- নওগাঁ এবং নওগাঁ জেলার সদর থানাধীন পাহাড়পুর গুড়ির মোড় হতে মূলহোতা ১। মোঃ টিপু সুলতান (৫২), পিতা- মৃত জয়নুদ্দিন, মাতা- মিনা বেগম, সাং- দয়ালের মোড় ও তাহার সহযোগী আসামী ২। মোঃ ফিরোজ (৪০), পিতা- মৃত দছির উদ্দিন মন্ডল, মাতা- মৃত আবেজান, সাং- বরুনকান্দী, ৩। মোঃ মোস্তাক আহমদে (৫৩), পিতা- মৃত  বাছের মিয়া, মাতা-ফজিলাতুন্নেছা, সাং- উকিলপাড়া, ৪। মোঃ সুলতান আলম মিলন (৫০), পিতা- মৃত হোসেন আলী, মাতা- মৃত জাহানারা বেগম, সাং- পান নওগাঁ, ৫। মোঃ মঞ্জু  (৫৯), পিতা- আয়াতুল ফকির, মাতা- মৃত সোলে বেগম, সাং- বাছারী গ্রাম, ৬। মোঃ আব্দুর রাজ্জাক (৫৪), পিতা- মৃত জহির সরদার, মাতা- মৃত খোদেজা বেগম, সাং- পাহাড়পুর, ৭। মোঃ পলাশ (৪৪), পিতা- মোঃ গিয়াস উদ্দিন, মাতা- রাবেয়া বেগম, সাং- চক দবেপাড়া এবং  ৮। মোঃ সুমন হোসেন  (৩৫), পিতা- মৃত মাহবুবুল হোসেন, মাতা - আমেনা বেগম, সাং- খাসনওগা, সকলের থানা- সদর, সর্ব জেলা- নওগাঁগনকে গ্রেফতার করে এবং চাঁদা আদায় রশিদ বই- ৮টি, টালী খাতা- ২টি এবং চাঁদা আদায়কৃত নগদ =১৫,৯২৫/- (পনের হাজার নয় শত পঁচিশ) টাকা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত চাঁদা রশিদ বই এর মাধ্যমে আদায় করে থাকে এবং টালী খাতায় চাঁদার টাকার পরিমাণ ও চালকের নাম লিপিবদ্ধ করে রাখে।

উক্ত আসামী দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন ভাউচারের (রশিদ, টোকেন) মাধ্যমে সিএনজি, অটোরিক্সা এবং লেগুনাসহ বিভিন্ন যানবাহনে চাঁদাবাজি করে আসছে। যদি কোন চালক চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায় তখন তাদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে, বিভিন্ন সময় মারধর এবং গাড়ী ভাংচুর করে।

ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে নওগাঁ জেলার সদর থানায় পৃথক ৩টি চাঁদাবাজি মামলা রুজু করা হয়েছে।

 

ধানের রাজ্য নওগাঁয় গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে কাঁঠাল

নাজমুল হক নাহিদ, (আত্রাই) নওগাঁ : উত্তর জনপদের ধানের রাজ্য হিসেবে খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে মধু মাস জ্যৈষ্ঠের বেশ জনপ্রিয় পুষ্টিগুণ সম্পন্ন রসালো ফল কাঁঠাল। যদিও কাঁঠাল পাকতে সময় বাকি রয়েছে আরও প্রায় মাস।

প্রবাদ আছে ‘গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল’- জ্যৈষ্ঠ মাসে এ কথাটি আর কথার কথা থাকে না। গাছে কাঁঠাল দেখলে এ কথা সবাই বলতেই পারে। বর্তমানে উপজেলার প্রতিটি এলাকার গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে রসালো ফল কাঁঠাল। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাড়ির পাশে, রাস্তার ধারে, জঙ্গলের ভেতরে থাকা গাছে ধরেছে প্রচুর পরিমাণে কাঁঠাল। গাছের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত শোভা পাচ্ছে সর্বোচ্চ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফল।

খাদ্য শষ্য ভান্ডার হিসেবে নওগাঁ জেলা বিখ্যাত হলেও এখানকার মানুষের অতি প্রিয় ফল ও তরকারি হিসেবে কাঁঠাল যুগ যুগ ধরে কদর পেয়ে আসছে। কাঁঠালের বিচি উপজেলার মানুষের একটি ঐতিহ্যপূর্ণ তরকারি। বিশেষ করে কাঠালের বিচি দিয়ে শুটকি ভর্তা অত্যন্ত প্রিয় সকলের। বিভিন্ন ধরনের শাক ও কাঁঠালের বিচির সমন্বয়ে রান্না করা তরকারি এখানকার মানুষ তৃপ্তির সঙ্গে ভাত খেতে পারেন। তাছাড়া গবাদিপশুর জন্যও কাঁঠালের ছাল উন্নতমানের গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এক প্রকারের সবুজ রঙের সুমিষ্ট গ্রীষ্মকালীন ফল।

এটি বাংলাদেশের জাতীয় ফল হিসেবে সরকারিভাবে নির্ধারিত। বাংলাদেশের সর্বত্র কাঁঠাল গাছ পরিদৃষ্ট হয়। কাঁঠাল গাছের কাঠ আসবাবপত্র তৈরির জন্য সমাদৃত। কাঁঠাল পাতা বিভিন্ন প্রাণির পছন্দের খাদ্য। তুলনামূলকভাবে বিশালাকার এই ফলের বহির্ভাগ পুরু এবং কান্টকাকীর্ণ, অন্যদিকে অন্তরভাগে একটি কান্ড ঘিরে থাকে অসংখ্য রসালো কোয়া। কাঁঠালের বৃহদাকার বীজ কোয়ার অভ্যন্তরভাগে অবস্থিত।

উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের ব্যবসায়ী খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, তার ২০টি কাঁঠাল গাছে সমানতালে কাঁঠাল ধরেছে। তিনি এবার ৫০ হাজার টাকার কাঁঠাল বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে না পড়ায় কাঁঠালের ভালো ফলন হয়েছে।

উপজেলার দিঘা গ্রামের কামরুল জানান, আমার নিজের ১০টি কাঁঠাল গাছ আছে। তার গাছে প্রচুর কাঁঠাল ধরেছে। এ বছর তার কাঁঠাল বিক্রির আশা ৩০ হাজার টাকা।

এ ব্যাপারে আত্রাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, এ উপজেলায় তেমন একটা কাঁঠালের বাগান নেই তবে দিন দিন মানুষের মাঝে কাঁঠালের চারা রোপনের আগ্রহ বাড়ছে। 

তিনি আরও বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর উপজেলায় কাঁঠাল ভালো হয়েছে। তবে এ উপজেলায় কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় কৃষকরা তাদের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অবিলম্বে অত্র এলাকায় একটি কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত ব্যবস্থা গড়ে তুললে এ উপজেলার মানুষ অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল। 



মেট্রোরেল রেল পথ ঢাকা উত্তরা থেকে গাজীপুর টঙ্গী পর্যন্ত স্থাপনার পরিকল্পনা
 

মোঃ আব্দুস সালাম, গাজীপুর : নগরবাসীর স্বপ্নবাহন মেট্রোরেল। এখন চলছে উত্তরা থেকে মতিঝিল। বাকিটুকু গিয়ে ঠেকবে কমলাপুরে। অন্যদিকে দেশের প্রথম এ রেললাইন উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে একটি পথ টঙ্গীকে যুক্ত করবে।
সম্প্রতি মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সাভারের আশুলিয়া পর্যন্ত মেট্রোরেল যাওয়ার কথা। কিন্তু নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন। এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের সময়ই দিয়াবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। পরিকল্পনা ছিল পথটি আশুলিয়া পর্যন্ত নেয়ার। তবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টঙ্গী পর্যন্ত নেয়া হবে এ রেলপথ; পরিকল্পনা টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত যুক্ত করার।
এদিকে বিআরটি সূত্রে জানাযায়, উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত পথ তৈরি হয়েছে বিআরটি। সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে। ফলে এ পথে নতুন করে আরও একটি উড়াল রেলপথ বের করা অসম্ভব। যার জন্য রুট কোনটি হবে তা নিয়ে চলছে পরিকল্পনা।
মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, এখন টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত এ পথটি যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মূলত টঙ্গী রেলস্টেশন এবং সড়ক জংশনকে যদি সংযুক্ত করতে পারি, তাহলে ওই অঞ্চলের মানুষের সুবিধা বাড়বে। এরই মধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে।
এ পথটি যুক্ত হলে টঙ্গী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে ৪৮ মিনিট।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget