Articles by "খেলাধুলা"
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

 

টাইমড আউট’ নিয়ে কী মন্তব্য করছেন সাবেকরা?


ডেস্ক নিউজ :
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আউটের অনেক নিয়ম আছে। টাইমড আউট নামে যে একটি আউট আছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এর আগে আর কখোন দেখেনি বিশ্ববাশি।আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো টাইমড আউট হয়েছেন শ্রীলঙ্কান ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। বাংলাদেশের বিপক্ষে সোমবার এই ঘটনা ঘটে। নিয়ম অনুযায়ী, একজন ব্যাটার আউট হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী ব্যাটারকে ৩ মিনিটের মধ্যে খেলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। কিন্তু ম্যাথিউস সেটি হতে পারেননি।

এই সময় ম্যাথিউসের বিপক্ষে ‘টাইমড আউটে’র আপিল করে বাংলাদেশ। ক্রিকেটারদের আপিল ও ক্রিকেটের আইন মেনে ম্যাথিউসকে ‘টাইমড আউট’ দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না আম্পায়ারদের। অবশ্য এই বিষয় নিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেছেন শ্রীলঙ্কার এই ব্যাটার। একপর্যায়ে বিষয়টা নিয়ে সাকিবের কাছে গেছেন তিনি। কিন্তু সাকিব তাঁকে আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। কিন্তু আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত বদলান নি। হতাশায় মাঠ ছাড়তে হয় ম্যাথিউসকে।

টাইমড আউট প্রসঙ্গে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ম্যাথিউস। এছাড়া এই বিষয়টি নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন সাবেক ক্রিকেটাররা। ধারাভাষ্যকক্ষে থাকা সাবেক পাকিস্তান পেসার ওয়াকার ইউনূস বলেছেন, ‘এটা ক্রিকেটের চেতনার পরিপন্থী। ক্রিকেটের জন্য ভালো কোন ঘটনা নয়। হেলমেটের জন্য ২-৩ মিনিট দেরি হলে কিছুই হতো না।’ কমেন্ট্রি বক্স থেকে বের হয়ে রাসেল আর্নল্ড বলেন, ‘এটা প্রতিপক্ষ অধিনায়কের ব্যাপার। এখানে আমার কিছু বলার নেই।’

রমিজ রাজা বলেন, ‘দেখুন, আইনে এই আউট রয়েছে। তাই সাকিব সেটা আবেদন করেছে। এখানে সাকিবতো অন্যায় কিছু করেনি। তা ছাড়া বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে একজন অধিনায়কের সব দিকেই চোখ রাখতে হয়। আমি নিজেই ক্রিকেটে প্রথমবার ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য বল’ আউট হয়েছি। আমার মনে হয়, প্রশ্নটি আপনি ভুল লোকের কাছে করেছেন।’ আরেক ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জেকারও তেমনই বললেন। কমেন্ট্রি বক্সের দরজা ঠেলে বেরিয়েই বলতে থাকেন– ‘ক্রিকেটে আরও একটি নতুন ইতিহাসের সাক্ষী হলাম।’

গৌতম গম্ভীর টুইট করেছেন, ‘দিল্লিতে আজ যা দেখা গেল, সত্যিই হৃদয়বিদারক।’ ডেল স্টেইন লিখেছেন, ‘এটাকে ভালো ঘটনা বলা যাচ্ছে না।’ এদিকে ভুক্তভোগী ম্যাথিউস জানান, এ ম্যাচের পর বাংলাদেশের প্রতি তাদের আগের মতো সম্মান নেই। সাকিব ও বাংলাদেশ যা করেছে, তা অসম্মানজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ম্যাথিউস বলেন, ‘আমি ভুল কিছু করিনি। আমি যথাসময়েই মাঠে গিয়েছি। এটা হেলমেটের ভুল ছিল।’

ম্যাথিউস আরও বলেন, ‘আমি জানি না সাকিবের কমনসেন্স কোথায় গেল তখন, এটা সাকিব ও বাংলাদেশের কাছ থেকে অসম্মানজনক। তারা খেলাটাকে এতো নিচে নামাল। আইন অনুযায়ী আমি দুই মিনিটের মধ্যেই সেখানে ছিলাম। যখন হেলমেটে সমস্যা দেখি তখনও আমার হাতে ৫ সেকেন্ড ছিল। কোচকেও আম্পায়ার বলেছিল তারা দেখেনি যে আমার হেলমেট ভেঙ্গেছে। আমি মানকাড বা অবস্ট্রাকশন নিয়ে বলছি না, এটা কমন সেন্সের কথা বলছি। এটা অবশ্যই অসম্মানজনক।’

নওগাঁয় মরহুম আক্কাছ আলী স্মৃতি ফুটবল একাডেমির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি : "মাদককে না বলি পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা" এই স্লোগানে নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার বালুভরা ইউনিয়নের খলসিতে মরহুম আক্কাছ আলী স্মৃতি ফুটবল একাডেমি শুভ উদ্বোধনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলার বদলগাছি উপজেলার খলসি গ্রামে একাডেমির মাঠে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। 

নওগাঁয় মরহুম আক্কাছ আলী স্মৃতি ফুটবল একাডেমির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক ফুটবলার ও রাজশাহী বিভাগীয় ফুটবল উন্নয়ন সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক। মরহুম আক্কাছ আলী স্মৃতি ফুটবল একাডেমির পরিচালক মোঃ জালাল হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলা ফুটবল উন্নয়ন সমিতির সভাপতি আবু মোহাম্মদ বখতিয়ার ইনাম ববিন, সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব রকেট, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহম্মেদ সহ একাডেমির শতাধিক শিক্ষার্থী খেলোয়াড়।
মরহুম আক্কাছ আলী স্মৃতি ফুটবল একাডেমির পরিচালক নওগাঁর বদলগাছির ক্রীড়া প্রেমী জালাল হোসেন একক প্রচেষ্টা ও নিজেস্ব অর্থায়নে এই একাডেমী গড়েছেন। তিনি যুব ও কিশোরদের বখে যাওয়া রুখতে এবং দেশের ফুটবলে অবদান রাখতে এই ফুটবল একাডেমি গড়ে তুলছেন। তার এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলার ফুটবল প্রেমীরা।


গ্রামবাংলার ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে নওগাঁয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা

আজকের দেশ সংবাদ ডেস্ক : এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না নৌকা বাইচ। আবহমান কাল ধরে চলা গ্রামবাংলার এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে প্রতি বছরের মতো এবারও নওগাঁর শৈলগাছী গুমারদহ বিলে হলো নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপলক্ষে এলাকায় বসে জামায় মেলা। আর এ প্রতিযোগীতা দেখতে ঢল নামে হাজারও মানুষের।

গ্রামবাংলার ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে নওগাঁয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা

প্রাচীন এই ঐতিহ্যকে এখনো ধারণ করেন গ্রামবাংলার মানুষ। তাইতো নৌকা বাইচ দেখতে ঢল নামে শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ হাজারও নারী-পুরুষের। এমন নির্মল আনন্দ উপভোগের সুযোগ করে দেয়ায় বেজায় খুশি স্থানীয়রা। বর্ণিল এই বাইচ গ্রতিযোগিতার আনন্দ প্রতি বছর উপভোগ করতে চান তারা।


প্রতিযোগিরা রং বে-রঙের নৌকা সাজিয়ে অংশ নেন প্রতিযোগিতায়। মোট ১৪টি দল অংশ নেন এ প্রতিযোগিতায়। জনপ্রিয় এ খেলায় অংশ নিতে পেরে আনন্দিত অংশগ্রহণ কারীরাও।


বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিনোদনের এই মাধ্যমটিকে টিকিয়ে রাখতে ও যুবসমাজকে সকল অসামাজিক কাজ থেকে বিরত রাখতে এমন আয়োজন বললেন আয়োজকরা।

 
প্রতিযোগীতায় হাঁসায়গাড়ি দল প্রথম ও মান্দা দল দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত এই খেলাটি টিকিয়ে রাখতে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিবে এই প্রত্যাশা সকলের।

দেশে ফিরেই কি তবে ডমিঙ্গোর পদত্যাগ!

খেলাধুলা ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব হারানোর পর ছুটি কাটাতে দেশে গিয়েছিলেন টাইগার হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তবে এ যাওয়াই কি তার শেষ যাওয়া হলো! অবস্থাদৃষ্টে তেমনটাই মনে হচ্ছে। গণমাধ্যমের খবর, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের পাঠ চুকাতে চলেছেন ডমিঙ্গো! যদিও হেড কোচের পদত্যাগ গুঞ্জনের বিষয়ে বিসিবি সিইওর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সাড়া মেলেনি।

দলের টানা ব্যর্থতায় টাইগার হেড কোচের চাকরী নিয়েই সংশয় ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি দলের কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেলেও বাকি দুই ফরম্যাটের নাটাই তার হাতেই রেখে দেয় বিসিবি। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন গণমাধ্যমকে জানান, ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকান এ কোচের সঙ্গে থাকা চুক্তি শেষ করতে চায় তারা। টি-টোয়েন্টির পরিকল্পনা থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন খোদ ডমিঙ্গোও। জানিয়েছিলেন, এটা দারুণ ব্যাপার হবে। কিছুটা অবসর পাওয়ায় আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে আরও ভালোভাবে কাজ করার সুযোগ থাকবে বলেও জানান তিনি।

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিসিবিকে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা জমা দেয়ার কথা ছিল ডমিঙ্গোর। তবে ছুটি কাটাতে দেশে ফিরে বাংলাদেশের চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্তই নিয়ে ফেলেছেন। যদিও বিসিবির পক্ষ থেকে যা আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তাতে বোঝা য়ায় এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেননি ডমিঙ্গো।

ডমিঙ্গো জানান, টি-টোয়েন্টি দলের ক্রিকেটাররা খারাপ পারফরম্যান্স করলে তাদের চিৎকার-চেঁচামেচি করার জন্য বোর্ডের তরফ থেকে বলে দেয়া হতো, যা তার কোচিং দর্শনে একেবারেই নেই। এ ছাড়া বোর্ডের বিভিন্ন কর্তার মন্তব্যের কারণে তিনি নিজের কাজটা ঠিকমতো করতে পারতেন না বলেও জানান ডমিঙ্গো। আরও বলেন, আসলে চিৎকার-চেঁচামেচি করে খুব একটা লাভ হয় না। যখন ওরা ভুল করে, তখন বাজেভাবে সমালোচনা করলে ক্রিকেটারদের সেরাটা পাওয়া যাবে না। আমি এটা করতে চাইনি ।

ডমিঙ্গোর এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খেপে গেছে বোর্ড। বুধবার (২৪ আগস্ট) ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনূস গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, বিষয়টা আগে আমরা খতিয়ে দেখি এবং এটা নিয়ে আমার কাছে মনে হয়, বোর্ড থেকে তার কাছে একটা চিঠি যাওয়া উচিত যে, বক্তব্যগুলোতে আসলে কী বোঝাতে চেয়েছেন তিনি। যদি আমাদের পরিষ্কার করে, তাহলে আমরা বুঝতে পারব কোথায় সমস্যা হচ্ছে।

ডমিঙ্গো যেসব কথা বলেছেন, সেগুলোর ব্যাপারে তার সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নিতে চায় বিসিবি। এ সম্পর্কে জালাল ইউনুস জানান, ডমিঙ্গোর সঙ্গে আগে আলাপ করি। পরবর্তী সময়ে আমাদের অ্যাকশনটা কী হবে, সেটা আপনাদের জানাতে পারব। এ জন্য বিষয়টা আমাদের পরিষ্কার হতে হবে। প্লেয়ারদের সঙ্গে কাদের বেশি কথা হয়, সেটা তো পরিষ্কার। যখন দল কোনো সফরে যায়, তখন সেখানে হেড কোচ থাকে, টিম ডিরেক্টর থাকেন, সাপোর্ট স্টাফরাও থাকেন।

যেখানে একবিন্দুতে সাকিবের সঙ্গী সোফি ডিভাইন

অনলাইন ডেস্ক : সাকিব আল হাসান – বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টারবয়৷ বর্তমানে তিন ফরম্যাটেই যিনি আছেন সেরা তিন অলরাউন্ডারের র‍্যাংকিংয়ে।

সর্বকালের সেরা টি-২০ অলরাউন্ডারের তালিকায় আছেন তিনে ! আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ৯৯ ম্যাচ খেলা সাকিব এই ফরম্যাটের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীও বটে।এতদিন ধরে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের একটি রেকর্ড একাই দখলে রেখেছিলেন বাংলার ক্রিকেটের নবাব। গতকাল তার সেই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছে এক নারী ক্রিকেটার!

সোফি ডিভাইন – নিউ জিল্যান্ড নারী দলের অধিনায়ক। নারী ক্রিকেটে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন। জাতীয় হকি দল থেকে ক্রিকেটে আসা ডিভাইনের একজন পুরোদস্তুরবোলার থেকে শীর্ষ অলরাউন্ডার হয়ে ওঠার গল্পটা দারুণ। সেই ডিভাইন এখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার এবং সর্বকালের সেরা তালিকায় আছেন দুইয়ে।

গতকাল কমনওয়েলথ গেমস ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪৮ রান ও ৩ উইকেট নিয়ে হোয়াইট ফার্নসদের কাপ্তান অনন্য এক রেকর্ডে হয়েছেন সাকিবের সঙ্গী! আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২০০০ রান এবং ১০০ উইকেট নেয়া দুই ক্রিকেটার এখন সাকিব আল হাসান এবং সোফি ডিভাইন।

১৫০০ রান এবং ১০০ উইকেটের ক্লাবেও আছেন শুধুমাত্র এ দুজন। এসব রেকর্ডের অধিকারী দুজন সাকিব ৯৯ ও ডিভাইন ১০৩ ম্যাচ খেলেছেন।তবে ২৫০০ রান এবং ১০০ উইকেটের ক্লাবে একমাত্র ক্রিকেটার সোফি ফ্রাঞ্চেস মোনিকা ডিভাইন! আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২০০০+ রান এবং ১০০+ উইকেটঃ২৬৪০ রান, ৩০ এভারেজ ও ১২৪ স্ট্রাইক রেট

১০১ উইকেট, ১৮ এভারেজ ও ৬.৪ ইকোনমি সাকিব আল হাসান

২০১০ রান, ২৩ এভারেজ ও ১২১ স্ট্রাইক রেট১২১ উইকেট, ২০ এভারেজ ও ৬.৭ ইকোনমি

 

আমরা কিছু তরুণকে পরখ করে নিতে চাই  : সুজন

খেলাধুলা ডেস্ক : মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমকে কি সত্যিই বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে? নাকি বিশ্বকাপের আগে পরীক্ষানিরীক্ষা তথা তরুণদের যাচাই বাছাই করা এবং তাদের দিয়েই বিশ্বকাপে দল সাজানোর চিন্তাভাবনা করছে বিসিবি ?- এমন প্রশ্ন সকল ক্রীড়াপ্রেমীর মনেই উকি ঝুকি দিচ্ছে।

এই প্রশ্ন করা হয়েছিল বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ডের অন্যতম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের কাছে। বিসিবির অন্যতম শীর্ষকর্তা সুজনের জবাব, ‘আসলে এটা বলা যায় না। আমরাতো দল ঘোষণার দিন জানিয়ে দিয়েছি মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিককে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও যোগ করেন, ‘এখানে ভাবার কোনো কারণ নেই আমরা তাদের বাইরে রেখে তরুণদের দিয়ে কোনোরকম পরীক্ষানিরীক্ষা চালাতে যাচ্ছি। বিশ্বকাপের এত আগে সেটা করা, ভাবা বা বলাও ঠিক নয়।

তাই যদি হয়, তাহলে কি শুধুই তাদের বিশ্রাম দেওয়া? সুজনের জবাব, ‘নাহ! তাও না। আসলে আমরা কোনো পরীক্ষা না চালিয়ে কিছু তরুণকে পরখ করে নিতে চাই। অনেকে মনে করেন, অফফর্মের প্লেয়ারদের ফর্মে ফেরাতে জিম্বাবুয়ে হতে পারে সম্ভাব্য সেরা পছন্দ। আমরা মনে করি তরুণদের যাচাই বাছাই করার ক্ষেত্রেও জিম্বাবুয়ে হতে পারে শ্রেয়তর বিকল্প। তাই আমরা তাদের দেখতেই জিম্বাবুয়ে ট্যুরকে বেছে নিয়েছি।

বিসিবির এ করিৎকর্মা পরিচালককের কথায় পরিষ্কার, টিম ম্যানেজমেন্ট চাচ্ছে তিন সিনিয়র সাকিব, রিয়াদ ও মুশফিকের অনুপস্থিতিতে তরুণরা আসলে কী করেন?- সেটি দেখে নিতে। তাই তো তিনি বলছেন ‘আপনি সাকিব, মুশফিক ও রিয়াদকে দলে রেখে তরুণদের পারফরমেন্স যাচাই করতে পারবেন না। কারণ তরুণরা তখন নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ কম পাবে। ঐ তিন অপরিহার্য্য সদস্যরা একাদশের বাইরে থাকলে বাকিদের নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ ও ক্ষেত্র বাড়বে।

বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আরও যোগ করেন, ‘আমরা ক্রিকেটের এ ফরম্যাটে জিতি না। বেশিরভাগই হারি। তাই আমাদের চিন্তাভাবনা হলো ছেলেরা খেলুক। হার-জিত মাঠে হবে। আমরা দেখতে পারবো, তরুণদের সামর্থ্য আসলে কী? তারা কি পারে, কতটা পারে?- তাও জানা হবে।

যদি তরুণরা উৎরে যায়, তাহলে একটা নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। এটা সত্য যে আমাদের এখন সামনে আগানো ছাড়া পথ নেই। আমরা এখনও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১০-১১ নম্বরে আছি। এত নিচে থাকলে তো চলবে না। এখান থেকে সামনে আগানোর চিন্তা করতে হবে। সে উত্তরণে তরুণ ও নবীনদের কার্যকর ভূমিকা জরুরী। তরুণদের সামনে এগিয়ে আসার পথটা আমাদেরই করে দিতে হবে।

আমরা অনেক সময় অনেক কথাই বলি। পরিসংখ্যান না জেনে তথ্য উপাত্ত না ঘেটে বলে দেই। কেউ কেউ যেমন নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাপারে কথা বলি। কিন্তু মাথায় আনি না শান্ত আমাদের একমাত্র ব্যাটার, যার বিপিএলে আছে দুইটি সেঞ্চুরি। আমি জয়-পরাজয় নিয়ে ভাবিনা। চাই দল ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলবে।

অধিনায়কত্ব ছাড়লেন মুমিনুল, নতুন অধিনায়ক হতে পারে সাকিব আল হাসান

খেলাধুলা ডেস্ক : ব্যাটিংয়ের খারাপ সময় কাটিয়ে উঠতে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলেন বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমে এ কথা জানিয়েছেন মুমিনুল নিজেই।

মুমিনুলের অধীনে ১৭ ম্যাচ খেলে তিনটিতে জিতেছে বাংলাদেশ, ড্র হয়েছে দুই টেস্ট। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ে টাইগারদের দলপতি ছিলেন তিনিই। মুমিনুলের জায়গায় নতুন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে সাকিব আল হাসানকে।

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্টিত

আল-মামুন খান,তাড়াইল : কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২৪শে মে/২০২২ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক(অনুর্ধ১৭) ফাইনাল খেলা তাড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অনুষ্টিত হয়েছে। উক্ত ফাইনাল খেলায় তাড়াইল সাচাইল ইউনিয়ন বনাম ধলা ইউনিয়ন অংশ গ্রহণ করে।


উক্ত খেলায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা শারমীন।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তাড়াইল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম ভূইয়া শাহীন,সহকারী কমিশনার ভূমি মনোনীতা দাস,তাড়াইল থানা অফিসার ইনচার্জ জয়নাল আবেদীন সরকার,তাড়াইল সাচাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইম দাদ খান নওশাদ,ধলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আফরোজ আলম ঝিনুক,দামিহা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একে মাইনুজ্জামান নবাব ও তাড়াইল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীয়া শিক্ষক মোঃ সজল প্রমুখ।
জানা যায় গত ১৪-০৫-২০২২ইং তারিখে তাড়াইল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে তাড়াইল উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়।

উক্ত ফাইনাল খেলায় প্রতিধন্ধিতা করে তাড়াইল সাচাইল ইউনিয়ন বনাম ধলা ইউনিয়ন। উভয় দলের খেলোয়ারগণ দর্শকদের একটি সুন্দর খেলা উপহার দেন।

উক্ত খেলায় ধারা ভাষ্যকারে ছিলেন নয়ন চন্দ্র দে। হারুনুর রশিদ ও আল-আমিনের সহযোগিতায় বিপেল হাসান রেফারির দায়িত্ব পালন করেন।

নির্ধারিত সময়ে কোন পক্ষই গোল করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত খেলা গড়ায় ট্রাইবেগারে। একে একে ১২টি ট্রাইবেগারে এক শুন্য গোলে তাড়াইল সাচাইল সদর ইউনিয়নকে পরাজিত করে ধলা ইউনিয়ন বিজয়ী হয়।

পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ধলা ইউনিয়নের টিম লিডারের হাতে বিজয়ী ট্রপি তুলে দেন।



আয়ারল্যান্ডে পাড়ি জমালেন নিউজিল্যান্ডের তরুণ অলরাউন্ডার

আজকের দেশসংবাদ : নিজদেশ ছেড়ে অন্যদেশে পাড়ি জমানো ক্রিকেটে নতুন নয়। এর আগেও অনেক খেলোয়ারই দেশ বদল করেছে, এবার নিজ দেশ নিউজিল্যান্ড ছেড়ে আয়ারল্যান্ডে পাড়ি জমালেন লুক জর্জসন। আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে জায়গা পেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২০১৮ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলা ব্যাটিং অলরাউন্ডার লুক জর্জসন। নিজ দেশের ক্রিকেটের পাট চুকিয়ে আয়ারল্যান্ডে পাড়ি জমাচ্ছেন ২৩ বছর বয়সী এ তরুণ।


নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে ওয়েলিংটনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন জর্জসন। তবে নিজের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে দুই বছরের জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ হলেন তিনি। গত মৌসুমেও আয়ারল্যান্ডের নর্দার্ন নাইটসের হয়ে খেলেছিলেন তিনি।

এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জর্জসন বলেছেন, ‘ক্রিকেট আয়ারল্যান্ডের কাছ থেকে চুক্তির প্রস্তাব পেয়ে আমি খুশি। এটি আমার জন্য অনেক বড় সিদ্ধান্ত, ওয়েলিংটন ফায়ারবার্ডস এবং নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট ছেড়ে যাওয়া। তবে অনেক বড় সুযোগও এটি।

এসময় নর্দার্ন নাইটসের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গতবছর নর্দার্ন নাইটসের হয়ে খেলা দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল। নর্দার্ন ক্রিকেট ইউনিয়নের হয়ে ক্লাব ক্রিকেটেও মজাদার সময় কাটিয়েছি। আমার মনে হয় এর সুবাদে আমি আরও ভালো ক্রিকেটার হয়েছি।

আগেই আয়ারল্যান্ডের পাসপোর্ট থাকায় এখন চাইলে যেকোনো মুহূর্তেই আইরিশ জাতীয় দলে খেলতে পারবেন জর্জসন। গতবছর নাইটসের হয়ে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করেছেন তিনি। তবে ওয়েলিংটনের হয়ে আবার ওপেনার হিসেবে খেলেন এ তরুণ অলরাউন্ডার।


শুধু জর্জসন একাই নয়, দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মানো দুই ব্যাটার স্টিফেন দোহেনি এবং মারে কমিন্সও চুক্তিবদ্ধ হয়েছে আয়ারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে। তবে এ দুজনকে এক বছরের চুক্তি দিয়েছে ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড।

 

মুজিব শতবর্ষ নওগাঁ জেলা দাবা লীগ-২০২১ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান

তৌফিক তাপস, নওগাঁ : মুজিব শতবর্ষ নওগাঁ জেলা দাবা লীগ-২০২১ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার সকাল ১১টায় নওগাঁ পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেডে জেলার ৮টি দলের অংশগ্রহণে, জেলা পুলিশের আয়োজনে ও রানার গ্রুপ বাংলাদেশ ও সাইফ পাওয়ারটেক বাংলাদেশের সার্বিক সহযোগীতায় বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল বাতেন, বিপিএম, পিপিএম ডিআইজি বাংলাদেশ পুলিশ রাজশাহী রেঞ্জ,বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, হারুন অর রশিদ জেলাপ্রশাসক নওগাঁ, তরফদার মো.রুহুল আমিন সহ-সভাপতি বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন ম্যানেজিং ডিরেক্টর, সাইফ পাওয়ারটেক, হাফিজুর রহমান খাঁন চেয়ারম্যান, রানার গ্রুপ, মোহাম্মদ আল দ্বীন,স্পন্সর ডাইরেক্টর, রানার গ্রুপ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম, জেলা পুলিশ সুপার। 


এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কে এম এ মানুন খাঁন চিশতী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন), গাজিউর রহমান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম), সুরাইয়া খাতুন সহকারী পুলিশ সুপার জেলা বিশেষ শাখা, সাবিনা ইয়াসমিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), মোবারক হোসেন ডিআইও১, ইন্সপেক্টর ইনচার্জ (ডিবি) কে এম সামসুদ্দিন, নজরুল ইসলাম জুয়েল অফিসার ইনচার্জ সদর মডেল থানা।

 

নওগাঁয় মাদকবিরোধী প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

তৌফিক তাপস, নওগাঁ : “মাদককে রুখবো বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়বো” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নওগাঁয় মাদক বিরোধী এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে এবং গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ফুটবল খেলার প্রতি যুব সমাজ ও বর্তমান প্রজন্মকে আগ্রহী করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। 

বিভিন্ন বয়সের কয়েক হাজার দর্শক শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শৈলগাছী ফুটবল মাঠে এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচ উপভোগ করেন। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক লোকমান হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো: হারুন-অর-রশীদ। 

খেলায় ট্রাইবেকারে রাজশাহী খেলোয়ার কল্যাণ সমিতি দল ৪-১গোলে নওগাঁ জেলা ফুটবল দলকে হারিয়ে বিজয়ী হয়। খেলা শেষে বিজয়ী ও বিজিত দলের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ মো: রফিকুল ইসলাম রফিক।



বাঘের গর্জনে লন্ডভন্ড অস্ট্রেলিয়া,জয়ের সাথে দুটি রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ


অনলাইন ক্রীড়া ডেস্ক : ইনিংসের প্রথম বলেই অ্যালেক্স ক্যারের উইকেট ভাঙলেন মেহেদি হাসান, দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে জশ ফিলিপকে মায়াজালে ফেললেন নাসুম আহমেদ, পরের ওভারের প্রথম বলে ময়সেস হেনরিকসকে বোকা বানালেন সাকিব আল হাসান- মাত্র ১১ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে অথৈ সাগরে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।এ যেন বাঘের গর্জনে লন্ডভন্ড অস্ট্রেলিয়া।

সেখান থেকে আর তাদের উঠতে দেয়নি বাংলাদেশ দলের বোলাররা। তিন নম্বরে নামা ইনফর্ম ব্যাটসম্যান মিচেল মার্শ চেষ্টা করেছেন অনেক, প্রাণপন লড়েছেন অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডও। কিন্তু আজকের দিনটি ছিল শুধুই বাংলাদেশের স্পিনারদের, বিশেষ করে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের। বারবার গর্জন আর একটা করে উইকেট নিচ্ছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা।

যার স্পিন ঘূর্ণিতে একের পর এক উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইনিংস থেমে গেছে মাত্র ১০৮ রানে। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ২৩ রানের ব্যবধানে জিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ঐতিহাসিক এক জয়ের স্বাদ। তাও কি না মাত্র ১৩১ রানের সংগ্রহ নিয়ে। আর এ জয়ের মাধ্যমে একসঙ্গে দুইটি রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ।

এতদিন ধরে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের সবচেয়ে কম রান করে জয়ের রেকর্ড ছিল আরব আমিরাতের বিপক্ষে। ২০১৬ সালের এশিয়া কাপে মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই আমিরাতের বিপক্ষে ১৩৩ রান করেও ৫১ রানের ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ।

আজ অস্ট্রেলিয়ার মতো নামী ও বড় দলের বিপক্ষে সেই রেকর্ডও ছাপিয়ে গেল টাইগাররা। নাইম শেখ, সাকিব আল হাসান ও আফিফ হোসেন ধ্রুবর ব্যাটে চড়ে ১৩১ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে, অসিদেরকে ২৩ রানে হারাল বাংলাদেশ। যা এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে কম রান ডিফেন্ড করে জয়ের রেকর্ড।

বাঘের গর্জনে লন্ডভন্ড অস্ট্রেলিয়া,জয়ের সাথে দুটি রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ

কাকতালীয় বিষয় হলো, ২০১৬ সালের এশিয়া কাপে আমিরাতের বিপক্ষে ১৩৩ রান করেও জয় পাওয়া ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেদিন ব্যাট হাতে ২৭ বলে ৩৬* ও বল হাতে ৫ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। আর আজ সেই রেকর্ড ভাঙার দিনে তিনিই দলের অধিনায়ক।

বাংলাদেশের সবচেয়ে কম রান ডিফেন্ড করে জয়ের রেকর্ড

১৩১/৭ - বনাম অস্ট্রেলিয়া, ২০২১ (ঢাকা)

১৩৩/৮ - বনাম আরব আমিরাত, ২০১৬ (ঢাকা)

১৪৬/৬ - বনাম আয়ারল্যান্ড, ২০১২ (বেলফাস্ট)

১৪৭/৭ - বনাম শ্রীলঙ্কা, ২০১৬ (ঢাকা)

১৫৩/৭ - বনাম নেদারল্যান্ডস, ২০১৬ (ধর্মশালা)

এদিকে অস্ট্রেলিয়াকে টি-টোয়েন্টিতেও বাঘের গর্জন শোনানোর দিন আরও একটি রেকর্ড হয়েছে বাংলাদেশের। সেটি কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবচেয়ে কম রান করে জয়ের রেকর্ড। যা এতদিন ধরে ছিল নিউজিল্যান্ডের দখলে। তা এখন নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ।

২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৪২ রান করেও ম্যাচ জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। সেদিন জবাব দিতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান করতে পেরেছিল অসিরা। আজ সেটিও করতে পারল না তারা। মাত্র ১৩২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে তাদের ইনিংস থেমে গেছে ১০৮ রানে।

বাংলাদেশের এই ইতিহাসগড়া জয়ের মূল নায়ক বাঁহাতি স্পিনার নাসুম। তিনি নিজের ৪ ওভারের স্পেলে মাত্র ১৯ রান খরচায় নিয়েছেন ৪ উইকেট। যা তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার। এর আগের চার ম্যাচে সাকুল্যে ২ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। আজ অসিদের বিপক্ষে এক ম্যাচেই নিলেন ৪টি।

নাসুমকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন শেখ মেহেদি হাসান, সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলামরা। সাকিব ২৪ রানে ১, মেহেদি ২২ রানে ১, শরিফুল ১৯ রানে ২ ও মোস্তাফিজ নিয়েছেন ১৬ রানে ২টি উইকেট। মূলত বোলারদের কাঁধে চড়েই দুর্দান্ত জয়টি পেয়েছে বাংলাদেশ।


রেকর্ড জয়ে অধরার স্বাদ পেলো বাংলাদেশ


অনলাইন ডেস্ক : দেশের মাটিতে তিন ফরম্যাটে প্রতিপক্ষকে হারানোর রেকর্ড থাকলেও বিদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো কোনো পূর্ণাঙ্গ সিরিজ জয়ের রেকর্ড করলো বাংলাদেশ। স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে তিন ফরম্যাটে হারিয়ে সেই রেকর্ডের স্বাদ পেলো টাইগাররা।

গত ৭ বছরে ৭ বার বাংলাদেশ সফরে এসেছে আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়ে। দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রেকর্ডের নানা কীর্তি থাকলেও বিদেশের মাটিতে তিন ফরম্যাটে প্রথমবারের মতো জয়ের রেকর্ড করলো বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট, তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে গত ২৮ জুন সফরে যায় টাইগাররা। প্রায় একমাসের লম্বা সফরের সময়টা সুখ স্মৃতি নিয়েই দেশে ফিরবে টাইগাররা।

অঘোষিত ফাইনাল। যে দল জিতবে, তারা টি-টোয়েন্টি সিরিজের ট্রফি হাতে তুলবে। এমন এক ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে ১৯৪ রানের কঠিন এক লক্ষ্য ছুড়ে দিল জিম্বাবুয়ে। টাইগাররা কি পারবে? শেষ ওভারের আগ পর্যন্ত শঙ্কা কাটেনি।

হারারেতে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছে বাংলাদেশই। ১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে পেরিয়ে গেছে ৫ উইকেট আর ৪ বল হাতে রেখে। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়েছে ২-১ ব্যবধানে।

দেশের মাঠে সর্বোচ্চ রান করেও টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সিরিজ জিততে পারেনি জিম্বাবুয়ে। তাদের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে এই সংস্করণে চতুর্থ সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় ছিল দেশের মাটিতে, ২০১৬ সালে ১৬৩ রান পেরিয়ে।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুয়েকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ওয়েসলি মাধেভেরে ও টাডিওয়ানাশে মারুমানি। পাওয়ার প্লেতে দুই জনের ব্যাটে আসে একের পর এক বাউন্ডারি। এক পর্যায় টানা সাত বলে মারেন ছয় চার ও এক ছক্কা।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ভাঙে স্বাগতিকদের শুরুর জুটি। মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনকে ক্রস ব্যাটে খেলার চেষ্টায় বোল্ড হয়ে যান মারুমানি। ৬ ওভার স্থায়ী ৬৩ রানের জুটিতে তার অবদান দুটি করে ছক্কা ও চারে ২০ বলে ২৭। 

রেকর্ড জয়ে অধরার স্বাদ পেলো বাংলাদেশ

জুটি ভাঙলেও স্বস্তি মেলেনি। ক্রিজে গিয়েই চড়াও হন রেজিস চাকাভা। দলে ফেরা নাসুম আহমেদকে ছক্কা মারেন সুইচ হিটে, সাকিব আল হাসানকে পুল করে। পরে সৌম্যকে বোলিংয়ে স্বাগত জানান তিনি আরেকটি রিভার্স শটে ছক্কায়।

নুরুল হাসান সোহানের অসাধারণ কিপিংয়ে একটুর জন্য স্টাম্পড হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যান চাকাভা। পরে নাসুমকে মারেন টানা তিন ছক্কা। দুর্দান্ত এক যৌথ ক্যাচে থামেন জিম্বাবুয়ের কিপার-ব্যাটসম্যান।

সৌম্য সরকারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্লগ সুইপে উড়িয়ে মারেন চাকাভা। সীমানায় বলের দিকে টানা চোখ রেখে তা তালুবন্দী করেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ভারসাম্য হারিয়ে সীমানার ওপারে পড়ে যাওয়ার আগেই বল ছুঁড়ে মারেন পিছন দিকে। কিছুটা দৌড়ে গিয়ে অনায়াসেই তা মুঠোয় জমান শামীম।

৬ ছক্কায় চাকাভা থামেন ২২ বলে ৪৮ রান করে। ভাঙে ৫৯ রানের জুটি। সেই ওভারেই শূন্য রানে সিকান্দার রাজাকে বোল্ড করে দেন সৌম্য।

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে একটু কমে জিম্বাবুয়ের রানের গতি। ৩১ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর বেশিদূর যেতে পারেননি মাধেভেরে। সাকিবকে রিভার্স সুইপ করে ধরা পড়েন শর্ট থার্ড ম্যানে। তার ৩৬ বলে খেলা ৫৪ রানের ইনিংস গড়া ৬ চারে।

দৃঢ় ভিত কাজে লাগাতে পারেননি ডিওন মায়ার্স। তিন চারে ২১ বলে তিনি করেন ২৩। শেষের দিকে দুই ছক্কা ও তিন চারে ১৫ বলে ৩১ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে দলের রান দুইশর কাছে নিয়ে যান রায়ান বার্ল।

বড় রান তাড়ায় শুরুতেই নাঈমকে হারায় বাংলাদেশ। সৌম্য ও সাকিবের ব্যাটে শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। লুক জঙ্গুয়েকে পরপর দুই ছক্কা মেরে সেই ওভারে আবার ছক্কার চেষ্টায় ফিরেন সাকিব। ভাঙে ৩২ বল স্থায়ী ৫২ রানের জুটি। বাঁহাতি অলরাউন্ডার ১৩ বলে করেন ২৫ রান।

বলের গতি কমিয়ে রেখে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রাখার পরিকল্পনা করেন জিম্বাবুয়ের বোলাররা। আগের ম্যাচের মতো এবার গায়ের জোরে ছক্কার চেষ্টায় যাননি সৌম্য ও মাহমুদউল্লাহ। দুই জনে এক-দুই নিয়ে খেলার ফাঁকে গ্যাপ খুঁজে বের করেছেন বাউন্ডারি।

জঙ্গুয়েকে চার মেরে ৪০ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন সৌম্য। ২৮ বলে আসে তার সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর জুটির পঞ্চাশ।

আগের সেরা ৬২ ছাড়িয়ে সৌম্য যেন ভুলে গেলেন পরিকল্পনার থাকা। জঙ্গুয়েকে গায়ের জোরে ছক্কার চেষ্টায় দেন ক্যাচ। ভাঙে ৩৫ বল স্থায়ী ৬৩ রানের জুটি। ৪৯ বলে এক ছক্কা ও নয় চারে ৬৮ রান করে ফিরেন বাঁহাতি ওপেনার। 

ক্রিজে গিয়ে প্রথম বলেই ছক্কা মারেন আফিফ হোসেন। খানিক পর আরেকটি দারুণ শটে আসে ছক্কা। তবে এরপরেই ফিরেন ওয়েলিংটন মাসাকাজার বলে বোল্ড হয়ে।

প্রথম ১২ বলে ২০ রান মাহমুদউল্লাহ হঠাৎ করেই ভুগতে শুরু করেন টাইমিং পেতে। পঞ্চদশ ওভারে ব্লেসিং মুজারাবানিকে খেলেন টানা চারটি ডট। পরে অবশ্য টেন্ডাই চাতারাকে ওড়ান ছক্কান। মুজারাবানির করা ১৯তম ওভারে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ২৮ বলে তিনি করেন ৩৪ রান।

বাঁকি কাজটুকু শেষ করেন মারকুটে ব্যাটসম্যান শামিম হোসেন পাটোয়ারি। সে ১৫ বলে ঝড়ো গতির ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন বাংলাদেশকে। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চারের মার।

 

অবশেষে স্বপ্নের শিরোপা মেসির হাতে

ডেস্ক নিউজ : কোপা আমেরিকায় শিরোপা ধরে রাখার মিশনে হোঁচট খেল ব্রাজিল। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা ফাইনাল জিতে নিল ১-০ গোলের ব্যবধানে। ঘরে তুলল কোপা আমেরিকার শিরোপা। শেষ পর্যন্ত ঘুচল ২৮ বছরের অপেক্ষার। মেসির হাত ধরে প্রথমবারের মতো কোনো শিরোপা জয় করল আর্জেন্টিনা।

মুখোমুখি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। পুরো ফুটবল দুনিয়ার চোখ কোপার ফাইনালে। প্রথমার্ধ শেষে হতাশা নিয়েই ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয়েছে নেইমারদের। আর ১-০ গোলের লিডে স্বস্তি নিয়ে ফিরেছেন মেসিরা। 


ম্যাচের ২২ মিনিটে মারাকানাকে স্তব্ধ করে দিয়ে লিড নেয় আর্জেন্টিনা। ডি পলের লং পাসে বুদ্ধিদীপ্ত ফিনিশিং করেন ডি মারিয়া। গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন জালে। উল্লাসে ফেটে পড়ে আর্জেন্টাইনরা। প্রথমার্ধের ওই গোল আর শোধ করতে পারেনি ব্রাজিল। ফলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মেসির দল।


চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে ব্রাজিল। পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনেন সেলেসাও কোচ তিতে। ফ্রেডকে উঠিয়ে রবার্তো ফিরমিনোকে নামিয়ে আরও আক্রমণাত্মক খেলার আভাস দেয় স্বাগতিকরা।


এই পরিবর্তনে আক্রমণে ধার বাড়ে তাদের। ৫২ মিনিটে জালে বল জড়ান রিচার্লিসন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাতিল হয়ে যায় সে গোল। রেফারি অফসাইডের বাঁশি বাজালে হতাশ হতে হয় তাদের। এর ২ মিনিট পর আবারও সুযোগ পেয়েছিলেন রিচার্লিসন। কিন্তু আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের নৈপুণ্যে এ যাত্রায়ও গোল করতে পারেননি এই ফরোয়ার্ড।

দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর দ্বৈরথ। উত্তেজনা স্বাভাবিক। ম্যাচে সেটা চোখেও পড়ল। ৮১ মিনিটে ফাউলকে কেন্দ্র করে হালকা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের ফুটবলাররা। তবে তা সামান্যই। ৮৬ মিনিটে গেবির বুলেট গতির শট আটকে দেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
ম্যাচের শেষ পর্যন্ত দারুণ সব আক্রমণ শানালেও কোনো দলই গোল আদায় করতে পারেনি। ৮৮ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ মিস করেন মেসি। অতিরিক্ত সময়েও লিড বাড়াতে আক্রমণ চালায় মেসিরা। কিন্তু আসেনি সফলতা। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলেই শিরোপা খরা কাটে আর্জেন্টিনার। জয়োল্লাস করে মাঠ ছাড়ে স্কালোনি শিষ্যরা।  

 

মিরাজ-সাকিবের স্পিনে হারারে টেস্টের তৃতীয় দিনটা বাংলাদেশের


খেলাধুলা ডেস্ক : টেস্টের তৃতীয় দিনটাকে বলা হয়মুভিং ডে। এই দিনেই সাধারণত একটি আকার নেয় ম্যাচ, বোঝা যায় কোন পথে এগোচ্ছে। হারারেতেও সেটিই হলো। মেহেদী হাসান মিরাজ সাকিব আল হাসানের স্পিনে ম্যাচ হেলে পড়ল বাংলাদেশের দিকে, হারারে টেস্টের তৃতীয় দিনটা বাংলাদেশের। নাটকীয় ধসে ফলো-অন পেরিয়েই শেষ হয়ে গেল জিম্বাবুয়ের ইনিংস। প্রথম ইনিংসের বড় লিড পরে আরও বাড়িয়ে নিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার।

হারারে টেস্টের তৃতীয় দিনে শেষ সেশনে ২৭৬ রানে শেষ জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস। বাংলাদেশ শুক্রবার দিন শেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৫ রান তুলে। প্রথম ইনিংসের ১৯২ রানের লিড দিন শেষে বেড়ে হয়েছে ২৩৭।

বাংলাদেশে বিশাল লিড এনে দেওয়ার মূল দুই কারিগর মিরাজ সাকিব। মাত্র চার বোলারের একাদশ, দুই স্পিনারের ওপর তাই নির্ভরতা ছিল অনেক বেশি। ভরসার প্রতিদান দারুণভাবে দেন দুজন। দুজনে মিলে নেন উইকেট।

৮২ রানে উইকেট নিয়ে সফলতম বোলার মিরাজ। সমান রান দিয়েই সাকিবের উইকেট ৪টি।

দুই স্পিনারের দারুণ বোলিংয়ে শেষ ৫ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে মাত্র ১৫ রানে

বাকি একটি উইকেট তাসকিন আহমেদের। তার বোলিং ফিগার যা বলছে, তার চেয়ে অনেক ভালো ছিল তার বোলিং। দিনজুড়ে ব্যাটসম্যানদের সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে ফেলেছেন তিনিই।

অভিষিক্ত ওপেনার টাকুদজোয়ানাশে কাইটানোর অসাধারণ মনোসংযোগ আর ব্রেন্ডন টেইলরের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে একসময় খুব ভালো অবস্থানে ছিল জিম্বাবুয়ে। রান ছিল এক পর্যায়ে উইকেটে ২২৫। কিন্তু অনভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইন পরে টিকতে পারেনি বাংলাদেশের স্পিনের সামনে।

মিরাজ-সাকিবের স্পিনে হারারে টেস্টের তৃতীয় দিনটা বাংলাদেশের
কাইটানো টেইলরের জুটি দ্বিতীয় দিন বিকেলেই জিম্বাবুয়েকে গড়ে দেয় শক্ত ভিত। তৃতীয় দিনও এই জুটি অনেক দূর এগিয়ে নেয় দলকে।

পেস-স্পিন সব অনায়াসেই সামলে টেইলর ওয়ানডের গতিতে বাড়াতে থাকেন রান। কাইটানো আগলে রাখেন এক প্রান্ত। জুটি পেরিয়ে যায় শতরান।

এই জুটি থামাতে পারে বাংলাদেশ টেইলরের উপহার পেয়ে। মিরাজের বলে স্লগ করতে গিয়ে টেইলর আউট হন ৯২ বলে ৮১ রান করে।

প্রথম সেশনে ৯৫ রান দিয়ে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ছিল ওই এক উইকেটই।

বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু দ্বিতীয় সেশন থেকে। কাইটানো আরেক অভিষিক্ত ডিওন মায়ার্সের জুটি যদিও জমে গিয়েছিল। তবে সাকিবের লেগ স্টাম্পের বাইরের বল সুইপ করে উইকেট ছুঁড়ে আসেন ২৭ রান করা মায়ার্স।

দ্বিতীয় নতুন বলের ঠিক আগে ওই উইকেটের পর নতুন বলে সাফল্য ধরা দেয় আরও দুটি। সাকিবকে সুইপ করতে গিয়ে টিমাইসেন মারুমা এলবিডব্লিউ হন ১৭ বলে শূন্য করে। তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে রয় কাইয়া ফেরেন শূন্যতে।

দ্বিতীয় সেশনে ১৯ ওভারে মাত্র ৩৫ রান দেয় বাংলাদেশ, উইকেট আসে ৩টি।

বাংলাদেশের সামনে বড় বাধা হয়ে কাইটানো তখনও টিকে সব ঝড়-ঝাপটা সামলে এক প্রান্ত আগলে রাখার প্রতিজ্ঞা নিয়ে যেন নেমেছিলেন তিনি। এবার জুটি গড়ার চেষ্টা করেন রেজিস চাকাভার সঙ্গে।

সাকিব-মিরাজের বোলিংয়ে খুশিই হওয়ার কথা অধিনায়ক মুমিনুলের।তবে সেই চেষ্টা শেষ হয় কাইটানোর বিদায়েই। অভিষেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা মনোসংযোগ ধরে রেখে অসাধারণ টেম্পারামেন্টের ইনিংসটি শেষ হয় মুহূর্তের জন্য মনোযোগ হারিয়ে। ৩১১ বলে ৮৭ রান করে বিদায় নেন মিরাজের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে আলগা শটে কট বিহাইন্ড হয়ে।

জিম্বাবুয়ের হয়ে অভিষেকে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলা ওপেনার এখন কাইটানোই। পেছনে পড়ে গেছে ১৯৯২ সালে করা গ্রান্ট ফ্লাওয়ারের ৮২।

কাইটানো বিদায়ের পর তাশের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ইনিংস। লোয়ার অর্ডারে ছোবল দেন মিরাজ। ততক্ষণে উইকেটে স্পিন ধরছে বেশ। বাউন্সও হয় কিছুটা অসমান। কাজে লাগান মিরাজ।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget