Articles by "ক্রিকেট"
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

 

টার্গেট নেদারল্যান্ড- জিম্বাবুয়ে

অনলাইন ডেস্ক : নেদারল্যান্ডস-জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে র‌্যাংকিং ও পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকায় সুপার টুয়েলভে অন্তত এদুটি দেশের বিপক্ষে জয় পাবার আশা টিম বাংলাদেশের। তাই আপতত টার্গেট নেদারল্যান্ড- জিম্বাবুয়ে। যদিও অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশন ও সাকিব আল হাসানদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স, সেসব সমীকরণেও শঙ্কার মেঘ সৃষ্টি করেছে। সাবেক ক্রিকেটার ও বিশ্লেষক তানভীর মাজহার তান্না মনে করছেন, প্রতিপক্ষদের চেয়ে শক্তিমত্তায় এগিয়ে থাকলেও জয় পেতে ভালো ক্রিকেট খেলার বিকল্প নেই টাইগারদের সামনে।

সমীকরণের মারপ্যাঁচ আর ভাগ্যের বদৌলতে অপেক্ষাকৃত দুই সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছে বাংলাদেশ। র‌্যাংকিংয়ের ১১ তে থাকা জিম্বাবুয়ে আর ১৭ নম্বরের নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তাই জয়ের দিকে চোখ টিম বাংলাদেশের।

অতীত পরিসংখ্যান, শক্তিমত্তা কিংবা মুখোমুখি লড়াই- সবকিছুতেই এগিয়ে টিম টাইগার্স। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৯ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ জিতেছে ১২টি। আর ডাচদের বিপক্ষে একটি হারের বিপরীতে জয় রয়েছে দুটি।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সামগ্রিক পরিসংখ্যান জোগাচ্ছে আত্মবিশ্বাস। দলটির বিপক্ষে এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার সৌম্য সরকার। বোলিংয়ে সেরা মোস্তাফিজুর রহমান। ১২ ম্যাচে কাটার মাস্টারের শিকার ২২টি।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অবশ্য নিজেদের সেরা ব্যাটারকে পাচ্ছে না টিম টাইগার্স। ডাচদের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের তিনটিতেই ফিফটি তামিম ইকবালের। দুইশর ওপর গড়ে রান ২০২। বল হাতে সেরা সাকিব।

এসব পরিসংখ্যানের পরেও অবশ্য পুরোপুরি স্বস্তিতে নেই টাইগাররা। যার প্রধান কারণ সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজেই হারতে হয়েছে টাইগারদের। সিকান্দার রাজাদের বিপক্ষে শেষ ৫ ম্যাচের হিসেবেও পিছিয়ে লাল-সবুজের দল। সাম্প্রতিক সময়ে ধুঁকতে থাকা টাইগাররা তাই মানসিক চাপে থাকবে বলে মনে করছেন অনেকেই। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তাই ভালো ক্রিকেট খেলার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন ক্রিকেট বোদ্ধারা।

সাবেক ক্রিকেটার ও বিশ্লেষক তানভীর মাজহার তান্না বলেন, নেদারল্যান্ডসের কিছু কিছু খেলোয়াড় প্রফেশনাল না। তাদের যে ইচ্ছাটা আছে, আমাদের খেলোয়াড়দের সেটা আছে কিনা জানা নেই। সবশেষ কয়েকটা পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ দলের মানসিক অবস্থা কী, সেটা জানি না। তবে ওপেনিংয়ে যদি ৩ জন মিলে ৭০ থেকে ৮০ রান করতে পারে, তবে খুব ভালো সুযোগ অপেক্ষা করছে।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) হোবার্টে নেদারল্যান্ডস ও রোববার (৩০ অক্টোবর) ব্রিসবেনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।




বাঘের গর্জনে লন্ডভন্ড অস্ট্রেলিয়া,জয়ের সাথে দুটি রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ


অনলাইন ক্রীড়া ডেস্ক : ইনিংসের প্রথম বলেই অ্যালেক্স ক্যারের উইকেট ভাঙলেন মেহেদি হাসান, দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে জশ ফিলিপকে মায়াজালে ফেললেন নাসুম আহমেদ, পরের ওভারের প্রথম বলে ময়সেস হেনরিকসকে বোকা বানালেন সাকিব আল হাসান- মাত্র ১১ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে অথৈ সাগরে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।এ যেন বাঘের গর্জনে লন্ডভন্ড অস্ট্রেলিয়া।

সেখান থেকে আর তাদের উঠতে দেয়নি বাংলাদেশ দলের বোলাররা। তিন নম্বরে নামা ইনফর্ম ব্যাটসম্যান মিচেল মার্শ চেষ্টা করেছেন অনেক, প্রাণপন লড়েছেন অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডও। কিন্তু আজকের দিনটি ছিল শুধুই বাংলাদেশের স্পিনারদের, বিশেষ করে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের। বারবার গর্জন আর একটা করে উইকেট নিচ্ছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা।

যার স্পিন ঘূর্ণিতে একের পর এক উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইনিংস থেমে গেছে মাত্র ১০৮ রানে। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ২৩ রানের ব্যবধানে জিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ঐতিহাসিক এক জয়ের স্বাদ। তাও কি না মাত্র ১৩১ রানের সংগ্রহ নিয়ে। আর এ জয়ের মাধ্যমে একসঙ্গে দুইটি রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ।

এতদিন ধরে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের সবচেয়ে কম রান করে জয়ের রেকর্ড ছিল আরব আমিরাতের বিপক্ষে। ২০১৬ সালের এশিয়া কাপে মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই আমিরাতের বিপক্ষে ১৩৩ রান করেও ৫১ রানের ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ।

আজ অস্ট্রেলিয়ার মতো নামী ও বড় দলের বিপক্ষে সেই রেকর্ডও ছাপিয়ে গেল টাইগাররা। নাইম শেখ, সাকিব আল হাসান ও আফিফ হোসেন ধ্রুবর ব্যাটে চড়ে ১৩১ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে, অসিদেরকে ২৩ রানে হারাল বাংলাদেশ। যা এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে কম রান ডিফেন্ড করে জয়ের রেকর্ড।

বাঘের গর্জনে লন্ডভন্ড অস্ট্রেলিয়া,জয়ের সাথে দুটি রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ

কাকতালীয় বিষয় হলো, ২০১৬ সালের এশিয়া কাপে আমিরাতের বিপক্ষে ১৩৩ রান করেও জয় পাওয়া ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেদিন ব্যাট হাতে ২৭ বলে ৩৬* ও বল হাতে ৫ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। আর আজ সেই রেকর্ড ভাঙার দিনে তিনিই দলের অধিনায়ক।

বাংলাদেশের সবচেয়ে কম রান ডিফেন্ড করে জয়ের রেকর্ড

১৩১/৭ - বনাম অস্ট্রেলিয়া, ২০২১ (ঢাকা)

১৩৩/৮ - বনাম আরব আমিরাত, ২০১৬ (ঢাকা)

১৪৬/৬ - বনাম আয়ারল্যান্ড, ২০১২ (বেলফাস্ট)

১৪৭/৭ - বনাম শ্রীলঙ্কা, ২০১৬ (ঢাকা)

১৫৩/৭ - বনাম নেদারল্যান্ডস, ২০১৬ (ধর্মশালা)

এদিকে অস্ট্রেলিয়াকে টি-টোয়েন্টিতেও বাঘের গর্জন শোনানোর দিন আরও একটি রেকর্ড হয়েছে বাংলাদেশের। সেটি কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবচেয়ে কম রান করে জয়ের রেকর্ড। যা এতদিন ধরে ছিল নিউজিল্যান্ডের দখলে। তা এখন নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ।

২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৪২ রান করেও ম্যাচ জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। সেদিন জবাব দিতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান করতে পেরেছিল অসিরা। আজ সেটিও করতে পারল না তারা। মাত্র ১৩২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে তাদের ইনিংস থেমে গেছে ১০৮ রানে।

বাংলাদেশের এই ইতিহাসগড়া জয়ের মূল নায়ক বাঁহাতি স্পিনার নাসুম। তিনি নিজের ৪ ওভারের স্পেলে মাত্র ১৯ রান খরচায় নিয়েছেন ৪ উইকেট। যা তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার। এর আগের চার ম্যাচে সাকুল্যে ২ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। আজ অসিদের বিপক্ষে এক ম্যাচেই নিলেন ৪টি।

নাসুমকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন শেখ মেহেদি হাসান, সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলামরা। সাকিব ২৪ রানে ১, মেহেদি ২২ রানে ১, শরিফুল ১৯ রানে ২ ও মোস্তাফিজ নিয়েছেন ১৬ রানে ২টি উইকেট। মূলত বোলারদের কাঁধে চড়েই দুর্দান্ত জয়টি পেয়েছে বাংলাদেশ।


রেকর্ড জয়ে অধরার স্বাদ পেলো বাংলাদেশ


অনলাইন ডেস্ক : দেশের মাটিতে তিন ফরম্যাটে প্রতিপক্ষকে হারানোর রেকর্ড থাকলেও বিদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো কোনো পূর্ণাঙ্গ সিরিজ জয়ের রেকর্ড করলো বাংলাদেশ। স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে তিন ফরম্যাটে হারিয়ে সেই রেকর্ডের স্বাদ পেলো টাইগাররা।

গত ৭ বছরে ৭ বার বাংলাদেশ সফরে এসেছে আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়ে। দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রেকর্ডের নানা কীর্তি থাকলেও বিদেশের মাটিতে তিন ফরম্যাটে প্রথমবারের মতো জয়ের রেকর্ড করলো বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট, তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে গত ২৮ জুন সফরে যায় টাইগাররা। প্রায় একমাসের লম্বা সফরের সময়টা সুখ স্মৃতি নিয়েই দেশে ফিরবে টাইগাররা।

অঘোষিত ফাইনাল। যে দল জিতবে, তারা টি-টোয়েন্টি সিরিজের ট্রফি হাতে তুলবে। এমন এক ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে ১৯৪ রানের কঠিন এক লক্ষ্য ছুড়ে দিল জিম্বাবুয়ে। টাইগাররা কি পারবে? শেষ ওভারের আগ পর্যন্ত শঙ্কা কাটেনি।

হারারেতে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছে বাংলাদেশই। ১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে পেরিয়ে গেছে ৫ উইকেট আর ৪ বল হাতে রেখে। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়েছে ২-১ ব্যবধানে।

দেশের মাঠে সর্বোচ্চ রান করেও টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সিরিজ জিততে পারেনি জিম্বাবুয়ে। তাদের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে এই সংস্করণে চতুর্থ সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় ছিল দেশের মাটিতে, ২০১৬ সালে ১৬৩ রান পেরিয়ে।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুয়েকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ওয়েসলি মাধেভেরে ও টাডিওয়ানাশে মারুমানি। পাওয়ার প্লেতে দুই জনের ব্যাটে আসে একের পর এক বাউন্ডারি। এক পর্যায় টানা সাত বলে মারেন ছয় চার ও এক ছক্কা।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ভাঙে স্বাগতিকদের শুরুর জুটি। মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনকে ক্রস ব্যাটে খেলার চেষ্টায় বোল্ড হয়ে যান মারুমানি। ৬ ওভার স্থায়ী ৬৩ রানের জুটিতে তার অবদান দুটি করে ছক্কা ও চারে ২০ বলে ২৭। 

রেকর্ড জয়ে অধরার স্বাদ পেলো বাংলাদেশ

জুটি ভাঙলেও স্বস্তি মেলেনি। ক্রিজে গিয়েই চড়াও হন রেজিস চাকাভা। দলে ফেরা নাসুম আহমেদকে ছক্কা মারেন সুইচ হিটে, সাকিব আল হাসানকে পুল করে। পরে সৌম্যকে বোলিংয়ে স্বাগত জানান তিনি আরেকটি রিভার্স শটে ছক্কায়।

নুরুল হাসান সোহানের অসাধারণ কিপিংয়ে একটুর জন্য স্টাম্পড হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যান চাকাভা। পরে নাসুমকে মারেন টানা তিন ছক্কা। দুর্দান্ত এক যৌথ ক্যাচে থামেন জিম্বাবুয়ের কিপার-ব্যাটসম্যান।

সৌম্য সরকারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্লগ সুইপে উড়িয়ে মারেন চাকাভা। সীমানায় বলের দিকে টানা চোখ রেখে তা তালুবন্দী করেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ভারসাম্য হারিয়ে সীমানার ওপারে পড়ে যাওয়ার আগেই বল ছুঁড়ে মারেন পিছন দিকে। কিছুটা দৌড়ে গিয়ে অনায়াসেই তা মুঠোয় জমান শামীম।

৬ ছক্কায় চাকাভা থামেন ২২ বলে ৪৮ রান করে। ভাঙে ৫৯ রানের জুটি। সেই ওভারেই শূন্য রানে সিকান্দার রাজাকে বোল্ড করে দেন সৌম্য।

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে একটু কমে জিম্বাবুয়ের রানের গতি। ৩১ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর বেশিদূর যেতে পারেননি মাধেভেরে। সাকিবকে রিভার্স সুইপ করে ধরা পড়েন শর্ট থার্ড ম্যানে। তার ৩৬ বলে খেলা ৫৪ রানের ইনিংস গড়া ৬ চারে।

দৃঢ় ভিত কাজে লাগাতে পারেননি ডিওন মায়ার্স। তিন চারে ২১ বলে তিনি করেন ২৩। শেষের দিকে দুই ছক্কা ও তিন চারে ১৫ বলে ৩১ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে দলের রান দুইশর কাছে নিয়ে যান রায়ান বার্ল।

বড় রান তাড়ায় শুরুতেই নাঈমকে হারায় বাংলাদেশ। সৌম্য ও সাকিবের ব্যাটে শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। লুক জঙ্গুয়েকে পরপর দুই ছক্কা মেরে সেই ওভারে আবার ছক্কার চেষ্টায় ফিরেন সাকিব। ভাঙে ৩২ বল স্থায়ী ৫২ রানের জুটি। বাঁহাতি অলরাউন্ডার ১৩ বলে করেন ২৫ রান।

বলের গতি কমিয়ে রেখে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রাখার পরিকল্পনা করেন জিম্বাবুয়ের বোলাররা। আগের ম্যাচের মতো এবার গায়ের জোরে ছক্কার চেষ্টায় যাননি সৌম্য ও মাহমুদউল্লাহ। দুই জনে এক-দুই নিয়ে খেলার ফাঁকে গ্যাপ খুঁজে বের করেছেন বাউন্ডারি।

জঙ্গুয়েকে চার মেরে ৪০ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন সৌম্য। ২৮ বলে আসে তার সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর জুটির পঞ্চাশ।

আগের সেরা ৬২ ছাড়িয়ে সৌম্য যেন ভুলে গেলেন পরিকল্পনার থাকা। জঙ্গুয়েকে গায়ের জোরে ছক্কার চেষ্টায় দেন ক্যাচ। ভাঙে ৩৫ বল স্থায়ী ৬৩ রানের জুটি। ৪৯ বলে এক ছক্কা ও নয় চারে ৬৮ রান করে ফিরেন বাঁহাতি ওপেনার। 

ক্রিজে গিয়ে প্রথম বলেই ছক্কা মারেন আফিফ হোসেন। খানিক পর আরেকটি দারুণ শটে আসে ছক্কা। তবে এরপরেই ফিরেন ওয়েলিংটন মাসাকাজার বলে বোল্ড হয়ে।

প্রথম ১২ বলে ২০ রান মাহমুদউল্লাহ হঠাৎ করেই ভুগতে শুরু করেন টাইমিং পেতে। পঞ্চদশ ওভারে ব্লেসিং মুজারাবানিকে খেলেন টানা চারটি ডট। পরে অবশ্য টেন্ডাই চাতারাকে ওড়ান ছক্কান। মুজারাবানির করা ১৯তম ওভারে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ২৮ বলে তিনি করেন ৩৪ রান।

বাঁকি কাজটুকু শেষ করেন মারকুটে ব্যাটসম্যান শামিম হোসেন পাটোয়ারি। সে ১৫ বলে ঝড়ো গতির ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন বাংলাদেশকে। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চারের মার।

 

আমি তো পোলার্ড বা রাসেল নই মুশফিক

ডেস্ক নিউজ : ৮৭ বলে ৮৪ রানের ইনিংস, স্ট্রাইক রেট প্রায় ৯৬.৫৫। অথচ সেখানে বাউন্ডারি ৪টি আর ওভার বাউন্ডারি মাত্র ১ টি। আরও একবার মেলে ধরল মুশফিকুর রহিমের ইনিংসে ব্যাটসম্যানশিপের উজ্জ্বল বিজ্ঞাপন। ম্যাচের শেষে অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান বললেন, ”আমি পেশী শক্তির ব্যাটসম্যান নই আমাকে আমার নিজের মতো করেই দ্রুত রান তোলার পথ বের করে নিতে হয়।”

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে রোববার মুশফিকের ইনিংসটি বদলে দেয় বাংলাদেশের ইনিংসের চিত্র। দলের ধুঁকতে থাকা ইনিংসকে দারুণ গতিময়তায় এগিয়ে নেন তিনি।

বারবার প্রান্ত বদলের পথে ছুটে সেই কাজটি করেন তিনি। মন্থর উইকেটে শট খেলা ছিল কঠিন, মুশফিক জোর করে সেই চেষ্টা করেননি। তিনি রান বাড়ান মাঠের চারপাশে খেলে এক-দুই করে নিয়ে

মেহেদী হাসান মিরাজ উইকেট নিলেও দারুণ ইনিংসের জন্য মুশফিকই ম্যান অব দ্যা ম্যাচ ম্যাচ শেষে তিনি বললেন, আপন পথে হেঁটেই তিনি হয়েছেন নায়ক। কৃতিত্ব দিলেন সতীর্থদেরও।

 

আমি বিশালদেহী কেউ নই, সহজে বাউন্ডারি মারতে পারি না। আমি পোলার্ড বা রাসেল নই। নিজের শক্তির জায়গায় থাকার চেষ্টা করি। কন্ডিশনও আমাকে সুযোগ দেয়নি খুব বেশি বাউন্ডারি মারার। তাই সময় নিয়েছি, আস্তে আস্তে রান বাড়িয়েছি। একটা প্রান্ত নিরাপদ রাখতেও হতো আমাকে। সেটা করেছি। রিয়াদ ভাইও সঙ্গ দিয়েছেন। আফিফ সাইফের ফিনিশিং টাচ ছিল দুর্দান্ত।

মুশফিক যখন উইকেটে যান, বাংলাদেশের ইনিংসের গতি তখন ছিল ভীষণ মন্থর। শুরুতে লিটন দাস আউট হওয়ার পর তামিম ইকবাল সাকিব আল হাসানের ৩৮ রানের জুটিতে বল লাগে ৬৪টি। ৩৪ বলে ১৫ রান করে আউট হন সাকিব।

মুশফিক বললেন, পরিস্থিতির দাবি মিটিয়েই ব্যাট করার চেষ্টা করেছেন তিনি।

ব্যাটিংয়ের জন্য এই উইকেট কঠিন।শুরুতে লিটন সাকিবকে হারিয়ে আমরা একটু চাপে ছিলাম। তবে তামিম সেই সময় খুব ভালো ব্যাট করেছে, যে কারণে আমি সময় নিয়ে এগিয়ে যেতে পেরেছি। রিয়াদ ভাইও খুব ভালো ব্যাট করেছেন। সব মিলিয়ে এটা ভালো ম্যাচ ছিল, কারণ লম্বা সময় পর আমরা ঘরের মাঠে ওয়ানডে ম্যাচ খেলছি।

এক-দুই করে রান বাড়ানোর লড়াইয়ে মুশফিকের আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল কন্ডিশন। প্রচণ্ড গরমে এত বেশি দৌড়ে রান নেওয়া ছিল ফিটনেসের বড় পরীক্ষা। মুশফিক এখানে নিজের পাশাপাশি বললেন বোলারদের কথাও।

সত্যি বলতে, এটা ক্রিকেটের জন্য আদর্শ কন্ডিশন নয়। শুধু গরমই নয়, ভেতর থেকে অনেক কিছুই শুষে নেয় এটা। প্রচণ্ড আর্দ্রতা, অনেক ঘাম ঝরে। প্রতিটি বলে মনোযোগ ধরে রাখতে হয়। তবে আমাদের ক্রিকেটারদের কৃতিত্ব, তারা খুব ভালো সামলেছে। বিশেষ করে বোলাররা। মিরাজ অসাধারণ ছিল, মুস্তাফিজ সাকিবও সঙ্গ দিয়েছে তাকে।

নওগাঁয় শতবল ক্রিকেট টুর্নামেন্টে জেলা প্রশাসন বিজয়ী

সালমান ফার্সী (সজল): জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে নওগাঁয় শতবল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত শুক্রবার (০৫ মার্চ) বিকেলে নওগাঁ জেলা স্টেডিয়াম মাঠে ফাইনাল খেলায় জেলা ও প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ দলকে ১০১ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জেলা প্রশাসন ক্রিকেট দল। এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান সংগ্রহ করে জেলা প্রশাসন দল। পরে ব্যাট করে ১০ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান সংগ্রহ করে জেলা ও প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ দল।
এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে বিজয়ী ও বিজতদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার, নিজাম উদ্দিন জলিল জন, আনোয়ার হোসেন হেলাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তারসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শত বলের এ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু হয়। টুর্নামেন্টে নওগাঁর সরকারি দপ্তরের ৮টি দল অংশগ্রহণ করেন।

‘আইপিএলে এবার দুর্নীতি দমন সহজ হবে’

 স্পোর্টস ডেস্ক : করোনাভাইরাসের কারণে ছয় বছর পর আবারও আরব আমিরাতে বসতে যাচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের আসর। ২০১৪ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের কারণে আইপিএলের প্রথম ২০টি ম্যাচ হয়েছিল আরব আমিরাতে। আর এবার করোনার কারণে টুর্নামেন্টের পুরো ৬১টি ম্যাচই হবে আমিরাতে।

এমনটা হওয়ায় পরোক্ষভাবে খুশিই হয়েছেম ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) এন্টি করাপশন ইউনিটের প্রধান অজিত সিং। যেহেতু আরব আমিরাতে খেলা হবে তিনটি ভেন্যুতে, তাই এবার দুর্নীতি দমন কাজ সহজ হবে বলে মনে করছে এন্টি করাপশন ইউনিট।

আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত হবে আইপিএলের ১৩তম আসর। ৫১ দিনব্যাপী এ টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো হবে দুবাই, শারজাহ ও আবুধাবিতে। অজিত সিং বলেছেন, ‘আরব আমিরাতে এবার দুর্নীতি দমন ইউনিটের কাজ সহজ হবে। কারণে ভারতের ৮টি ভেন্যুর বদলে, সেখানে খেলা হবে ৩টি ভেন্যুতে। তবে এটি কোনো আলোচনার বিষয় নয়। চূড়ান্ত সূচি পেলেই আমরা কাজ শুরু করব।’

বিসিসিআইয়ের এন্টি করাপশন ইউনিটে বেতনভুক্ত কর্মকর্তা আছেন ৮ জন। তারাই আইপিএলসহ ভারতের ক্রিকেটের দূর্নীতির বিষয়টি দেখে থাকে। তবে এবার আইপিএল যেহেতু আমিরাতে হব, সেক্ষেত্রে তাদের কর্মপরিধি কেমন হবে কিংবা করোনাভাইরাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থাই বা কী হবে, সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নন অজিত।

বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে তিনি বলেন, ‘এখন বিসিসিআইয়ের বেতনভুক্ত ৮ জন দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা আছে। টুর্নামেন্টের ৬০টি ম্যাচ নজরদারিতে রাখতে এটি যথেষ্ঠ হবে কি না তা এখনই বলা সম্ভব নয়। আমাদের আগে দেখতে হবে কী কী ব্যবস্থা নেয়া হয়, অবস্থা কী দাঁড়ায়। আমাদের যদি প্রয়োজন পড়ে, তাহলে নতুন লোক নিয়োগ দেবো।’

ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট সিরিজে নতুন ৫ নিয়মের খেলা দেখা মিলবে

ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে ফিরতে হবে মার্চের ১৩ তারিখে, সেদিন শেষবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দেখেছে বিশ্ব। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে রুদ্ধদার স্টেডিয়ামে দর্শকশূন্য গ্যালারিতে মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। স্বাগতিক দল জিতেছিল ৭১ রানের ব্যবধানে।

সেই ম্যাচের পেরিয়ে গেছে ১১৬ দিন। মাঝের সময়টায় একবারের জন্যও দেখা মেলেনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আর কখনও এত লম্বা বিরতি পড়েনি ক্রিকেটে। এবার করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় ৪ মাস বন্ধ রইলো ক্রিকেট। অবশেষে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার সিরিজ দিয়ে পুনরায় মাঠে গড়াচ্ছে খেলা।

তবে স্বাভাবিক রূপে নয়। প্রাণঘাতী এ করোনাভাইরাসের কারণে গ্যালারিতে থাকবে না কোন দর্শক। সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি মাথায় রেখেই এ সিদ্ধান্ত। শুধু ফাঁকা গ্যালারিই নয়, মাঠের খেলার নিয়মেও আনা হয়েছে ৫টি পরিবর্তন। এসব নিয়ম মেনেই আজ (বুধবার) থেকে শুরু হচ্ছে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট সিরিজ।

দেখে নেয়া যাক করোনাকালীন সময়ে পরিবর্তিত ৫ নিয়ম

করোনা সাবস্টিটিউট
গত অ্যাশেজ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দেখেছে কনকাশন সাবস্টিটিউট। অর্থাৎ টেস্ট ম্যাচে কোন খেলোয়াড় মাথায় আঘাত পেলে তার পরিবর্তে নামানো হয় অন্য আরেকজন একই ধরনের খেলোয়াড়। সে নিয়মের সঙ্গে এবার যোগ হলো করোনা সাবস্টিটিউট।

নতুন এ নিয়মের আওতায় টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন কোন খেলোয়াড়ের মধ্যে যদি করোনাভাইরাসের কোন উপসর্গ দেখা যায়, তাহলে ম্যাচ রেফারির অনুমতি সাপেক্ষে অন্য একজন খেলোয়াড়কে মাঠে নামানো যাবে। ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির জন্য এ নিয়ম প্রযোজ্য নয়।


বলে লালা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত খেলোয়াড়রা ম্যাচের মধ্যে লালার মাধ্যমে বল উজ্জ্বল করতে পারবেন না। কেউ যদি অভ্যাসবশত বলে লালার ব্যবহার করে ফেলেন, তাহলে আম্পায়াররা এ বিষয়টির মধ্যস্থতা করবেন।

তবে একই কাজ বারবার হতে থাকলে পুরো দলকে আনুষ্ঠানিক সতর্কতা দেয়া হবে। প্রতি ইনিংসে একটি দল সর্বোচ্চ দুইবার সতর্কতা পাবে। এরপর থেকে বলে লালা ব্যবহার করলে ব্যাটিং দলকে দেয়া হবে ৫টি পেনাল্টি রান। বলে লালা ব্যবহার করা হলে সেটিকে ভালোভাবে মুছে তবেই খেলা শুরু করা যাবে।

স্থানীয় আম্পায়ার দিয়ে খেলা পরিচালনা
স্বাভাবিক সময়ে যেকোন সিরিজ আয়োজনে অন্তত একজন নিরপেক্ষ দেশের আম্পায়ার থাকা বাধ্যতামূলক। তবে করোনাকালীন সময়ে যেকোন দেশ চাইলে স্থানীয় আম্পায়ারদের দিয়েই ম্যাচ পরিচালনা করতে পারবে। এক্ষেত্রে আইসিসিই তাদের আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিদের প্যানেলভুক্ত আম্পায়ারদের মধ্য থেকে আম্পায়ার ও রেফারি ঠিক করে দেবে। ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম ম্যাচে আম্পায়ারিং করবেন রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ এবং রিচার্ড কেটেলব্রো। দুজনই ইংল্যান্ডের।

অতিরিক্ত রিভিউ সিস্টেমের অনুমতি
করোনাকালীন সময়ে স্থানীয় আম্পায়ারদের দিয়ে ম্যাচ পরিচালনার কারণে ভুল সিদ্ধান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে শঙ্কা জানিয়েছে কুম্বলেদের প্রধান নির্বাহী কমিটি। এটি বিবেচনায় সব দলের জন্য বাড়তি একটি রিভিউ নেয়ার সুযোগ দেবে আইসিসি।

এতদিন ধরে প্রতি ইনিংসে টেস্টে দুই এবং ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে একটি করে রিভিউ নিতে পারত সব দল। অস্বাভাবিক এ সময়টাতে টেস্টে তিন এবং ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে নেয়া যাবে দুইটি করে রিভিয়।

জার্সিতে বাড়তি লোগোর ব্যবহার
আগামী ১২ মাসের জন্য জার্সিতে বাড়তি লোগো ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে আইসিসি। তবে সেটি ৩২ স্কয়ার ইঞ্চির বেশি হতে পারবে না, যা থাকবে খেলোয়াড়দের বুকের মধ্যে। এতদিন ধরে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এটি ব্যবহৃত হলেও, টেস্টে এর অনুমতি ছিল না। এছাড়া বাকি তিনটি লোগো ব্যবহারের নিয়মনীতি আগের মতোই থাকবে।

বাংলাদেশের স্পিড স্টার তাসকিন আহমেদের জন্মদিন আজ। ২৩ বছরে পা রাখলেন এই তারকা। ১৯৯৫ সালের এই দিনে ঢাকায় জন্ম জাতীয় দলের এই তারকার। ডাক নাম তাজিম।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার আগেই তরুণদের মধ্যে তুমুল সাড়া ফেলে দেন তাসকিন। ২০১২ তে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্মেন্সের ভিডিও ইউটিউবে ভাইরাল হয়ে যায়। রাতারাতি এই তরুণের ব্যাপারে উৎসুক হয়ে ওঠেন ক্রীড়ামোদীরা।

ঢাকা ক্রিকেট একাডেমি’র সাবেক ছাত্র তাসকিনের প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে অক্টোবর, ২০১১-তে ঢাকা মেট্রোপলিশের হয়ে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে। মূলত, তিনি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সৃষ্টি।

২০১৪ সালে দেশের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে ৮ ওভার বোলিং করে মাত্র ২৮ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন তাসকিন। একই বছর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়।

শর্টার ভার্সন ক্রিকেটে দুর্দান্ত শুরু করলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তার জন্য খুব একটা সুখকর ছিল না। বাছাই পর্বে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ ওঠে এই তারুণ পেসারের বিপক্ষে। এরপরই নিষিদ্ধ হন। কিছুদিন পরেই আবারও ফেরেন জাতীয় দলে। জাতীয় দলের এই তারকাকে জাগো নিউজের পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

পাকিস্তানের কাছে দাঁড়াতেই পারল না ক্যারিবীয়রা। ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল ও ক্যারিবীয় টি-২০ দলের নিয়মিত অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ও দেবেন্দ্র বিশুদের মতো তারকা খেলোয়াড় ছাড়াই খর্ব শক্তির দল নিয়ে পাকিস্তান সফরে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্কোর গড়ে জয় তুলে নেয় সরফরাজ আহমেদ ও তার দল।

রোববার (০১ এপ্রিল) প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের রান পাহাড়ে খেই হারিয়ে ফেলে ক্যারিবীয়রা। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের ছুঁড়ে দেওয়া ২০৪ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৬০ রানেই গুটিয়ে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়েন সফরকারীরা।

সোমবার (০২ এপ্রিল) একই মাঠে ঘুরে দাঁড়ানো ম্যাচেও সুবিধা করতে পারেনি গেইলের উত্তরসূরিরা। দ্বিতীয় ম্যাচেও আগে ব্যাট করে পাকিস্তান ৩ উইকেট হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে সর্বেোচ্চ টি-টোয়েন্টি স্কোর ২০৫ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে একমাত্র চাদউইক ওয়াল্টন ছাড়া কেউ দাঁড়াতে পারেনি। চাদউইক ওয়াল্টন ২৯ বলে ৪০ রান করেন। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও দুটি ছক্কার মার। ব্যক্তিগত ৪০ রান করে পাকিস্তানি পেসার শাদাব খানের বলে বোল্ড হয়ে সাজ ঘরে ফেরেন এই ক্যারিবীয়।

ইনিংসের শুরুতেই স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজের বলে ব্যক্তিগত ১ রানে আউট হন আন্দ্রে ফ্লেচার। দলের সবচেয়ে সিনিয়র খেলোয়াড় মারলন স্যামুয়েলস ১২ রান এবং অধিনায় জেসন মোহাম্মদ ১৫ রান করে আউট হন। এরপর কিমো পল ১০ বলে ১৭ রানের ছোট খাটো ঝড় তুলে মোহাম্মদ আমিরের বলে ফাহিম আশরাফের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজ ঘরে ফেরেন।

এরপর বলতে গেলে আর বাকীরা যাওয়া আসার মধ্যেই ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ১৯.২ ওভার খেলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে পাকিস্তান ৮২ রানের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নেয়। এর ফলে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো পাকিস্তান। তিন ম্যাচের সিরিজ এখন ২-০ তে এগিয়ে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের পক্ষে তিনটি উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির। এছাড়া শাদাব খান



ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এ মৌসুমে নতুন দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে খেলবেন সাকিব আল হাসান। আর দলের সঙ্গে যোগ দিতে ইতোমধ্যে ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বিশ্ব সেরা এই অলরাউন্ডার। সোমবার (০২ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে জেট এয়ারওয়েজে উড়াল দেন তিনি। কলকাতা হয়ে হায়দ্রাবাদে যাবেন সাকিব।

এবারের আইপিএল আসরটি ৭ এপ্রিল থেকে মাঠে গড়াবে। কিন্তু ১১তম এই টুর্নামেন্টে সাকিবরা নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৯ এপ্রিল রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে মাঠে নামবে।

ইনজুরির কারণে দীর্ঘদিন মাঠে বাইরে থাকা সাকিব নিদাহাস ট্রফির শেষ দুই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে খেলেন। পরে ঘরের মাঠেও একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেন।

সাকিব আইপিএলের এবারের নিলামে দুই কোটি ভারতীয় রুপিতে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদে নাম লেখান। এর আগে তিনি দীর্ঘ সাত বছর কলকাতার জার্সিতে আইপিএল খেলেছিলেন। হায়দ্রাবাদের হয়ে এর আগে মোস্তাফিজুর রহমান খেলেছিলেন। কিন্তু কাটার মাস্টার এবার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে যোগ দিয়েছেন।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget