Articles by "আন্তর্জাতিক"
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

সিরিয়ায় স্থল অভিযানের ঘোষণা এরদোগানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়া থেকে ছোড়া রকেটে তুরস্কের তিন নাগরিকের প্রাণহানির পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে স্থল অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে আঙ্কারা এবং কুর্দি যোদ্ধাদের প্রাণঘাতী হামলার পর সোমবার দেশটিতে স্থল অভিযান পরিচালনার এই ঘোষণা এসেছে। -রয়টার্স, এএফপি, আনাদুলো এজেন্সি


কাতার থেকে তুরস্কে ফেরার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এরদোগান বলেছেন, ‘এই অভিযানটি কেবল বিমান হামলার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।তিনি বলেছেন, আমাদের স্থল বাহিনী কী ধরনের শক্তি ব্যবহার করবে সেবিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, আমাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং চিফ অব স্টাফ একসাথে সিদ্ধান্ত নেবেন। তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা ইতিমধ্যে সতর্ক করে দিয়েছি যে, যারা আমাদের ভূখণ্ড লঙ্ঘন করবে তাদের মূল্য চোকাতে হবে। সোমবার সিরিয়া সীমান্ত লাগোয়া তুরস্কের কারকামিস জেলায় সিরিয়া থেকে ছোড়া রকেটের আঘাতে এক শিশুসহ তিনজনের প্রাণহানি পর এরদোগান এই ঘোষণা দিয়েছেন।

আরব আমিরাতে প্রবাসীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এগিয়ে এসেছেন তিন বাংলাদেশি যুবক

অনলাইন ডেস্ক : প্রবাসীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এগিয়ে এসেছেন তিন বাংলাদেশি যুবক। তিন বন্ধুর বিনিয়োগে গড়ে তুলেছেন আমার ক্লিনিক হাসপাতাল। যেখানে স্বল্প খরচে চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

আমিরাতে আজমানের সানাইয়ায় স্থাপিত এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশি প্রবাসীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে। পাশাপাশি ওষুধ বিতরণ কার্যক্রমও হাতে নেয়া হয়েছে। আর্থিকভাবে অসহায় প্রবাসীদের যেকোনো সময় স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে এখানে।

শারজাহ ও আজমানে দুটি চিকিৎসা কেন্দ্রে বর্তমানে বাংলাদেশি চিকিৎসকসহ ২০ জনের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করছেন। প্রবাসীদের কথা চিন্তা করে আগামীতে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সেবায় আরো বেশ ডাক্তার ও সেবিকা নিয়োগ দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাস্থ্য খাতে বাড়ছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগ। এতে বাংলাদেশের চিকিৎসক ও দক্ষ সেবিকাদের কর্মসংস্থানের দ্বার উন্মোচন হবে বলে মনে করছেন প্রবাসী ব্যবসায়ীরা।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে যে কোনো স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে স্বাস্থ্যসেবা নেওয়াটা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে বিদেশি ভাষায় কথা বলতে বা রোগের বর্ণনা করতে না পারায় অনেক সময় সঠিক চিকিৎসা পান না তারা। প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগে বাংলাদেশের চিকিৎসক ও দক্ষ সেবিকাদের কর্মসংস্থানের দ্বার উন্মোচন হবে বলে মনে করছেন প্রবাসী ব্যবসায়ীরা। এতেকরে প্রবাসী
বাংলাদেশিদের চিকিৎসা পেতে অনেক সহায়তা হবে বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা।



ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পূর্ব ইউক্রেন : জেলেনস্কি

আজকের দেশসংবাদ : ইউক্রেনের পূর্বাবঞ্চলে এইমুহূর্তে ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে। এই নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ডনবাস এবং খারকিভ অঞ্চলের সম্মুখসারিতে রাশিয়ার যুদ্ধ অত্যন্ত কঠিন। রবিবার (২৯ মে) আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

‘আমি ইউক্রেনীয় লেখা টি-শার্ট পরে জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার মনোনিবেশ এখনো রয়েছে সেভেরোদোনেতস্ক, লিসিচাঙ্ক, বাখমুত এবং পোপাসনা শহরে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আমি বিশ্বকে মনে করিয়ে দেবো রাশিয়াকে অবশ্যই আনুষ্ঠানিকভাবে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র এবং সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।

মারিওপোলে ইউক্রেনের ১০২৬ সেনার আত্মসমর্পণ, দাবি রাশিয়ার
 

আজকের দেশসংবাদ : মারিওপোলে ইউক্রেনের ১ হাজার ২৬ সেনা তাদের অস্ত্র ফেলে রাশিয়ার সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে বলে দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

কয়েক সপ্তাহ ধরেই রুশ সেনাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর নগরী মারিওপোলে। বিবিসির খবর বলছে, শহরটি এখন প্রায় রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণেই আছে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার জানিয়েছে , এই সেনারা ইউক্রেনের ৩৬তম মেরিন ব্রিগেডের। তাদের মধ্যে ১৬২ জন বড় কর্মকর্তাও আছেন।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সেনাবাহিনী ও দোনেৎস্ক রিপাবলিক মিলিশিয়ার কাছে ইউক্রেনের ৩৬তম মেরিন ব্রিগেডের ১০২৬ সেনা স্বেচ্ছায় অস্ত্র ফেলে আত্মসমর্পণ করেছে।

রাশিয়া আরও জানিয়েছে ১৫১ জন আহত ইউক্রেনীয় সেনাকে ঘটনাস্থলেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কাউকে আবার মারিওপোল শহরের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

যদিও এ বিষয়ে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি।

 
 
তথ্য সূত্র : বিবিসি, আল জাজিরা


আজকের দেশ সংবাদ : শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বিদায়ই নিতে হলো। পাকিস্তানের এ পর্যন্ত অন্য সব প্রধানমন্ত্রীর মতো তাঁকেও পাঁচ বছরের মেয়াদ পূরণের আগেই বিদায় নিতে হলো। যদিও ইমরানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিলেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার।


অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব খারিজ হয়ে যাওয়ার পর রবিবারই পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রেসিডেন্টকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে ইমরান ভিন্ন রকম এক কৌশল খাটালেন। এই কৌশলে তিনি অনাস্থা ভেটে হেরে মাথা নিচু করে বিদায় নেওয়া থেকে বেঁচে গেলেন। ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া ইমরান অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের পর বলেছিলেন, ক্রিকেট ম্যাচের মতোই ‘শেষ বল’ পর্যন্ত লড়াই করতে চান। আগের রাতে বলেছিলেন চমক দেখাবেন ভোটের দিন। সেটাই যেন করে দেখালেন তিনি। এটা কার্যত নিশ্চিত ছিল অনাস্থা ভোটে হেরে বিদায় নেবেন ইমরান খান। এখন সংবিধান অনুযায়ী পাকিস্তানে ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।


গত রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হওয়ার পর ডেপুটি স্পিকার কাশিম সুরি প্রধানমন্ত্রী ইমরানের বিরুদ্ধে আনা বিরোধী দলের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেন। স্পিকার বলেন, এই অনাস্থা প্রস্তাব সংবিধানের পরিপন্থী। সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিককে রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকা মৌলিক দায়িত্ব। ইমরান ও তাঁর দল তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) অভিযোগ ছিল, এই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে বিদেশি ষড়যন্ত্রে।



 

বিদায়ি পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় নেতা শাহবাজ শরিফ গত ২৮ মার্চ পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পিএমএলের (এন) এই নেতা ডেপুটি স্পিকারের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়াকে সংবিধানের লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেন।


সংবাদ সূত্রঃ এএফপি / ডন


কিয়েভ থেকে সেনা সরাচ্ছে রাশিয়া! দাবি ইউক্রেনের জেনারেল অব স্টাফের
আজকের দেশ সংবাদ ডেস্ক : ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর রাশিয়া কিয়েভ অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের জেনারেল অব স্টাফ।
যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ পর্যালোচনায় ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর জেনারেল অব স্টাফ বলেন, বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির পর কিয়েভ থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হচ্ছে রাশিয়া। তার দাবি, কিয়েভে থাকা রুশ সেনাবাহিনীর কৌশলগত দুটি দল ‘উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। রুশ সেনাবাহিনী এখন ওই দুই দলকে বেলারুশের দিকে সরিয়ে নিচ্ছে। খবর বিবিসির।  

পর্যালোচনায় আরও দাবি করা হয়, রাশিয়া থেকে ইউক্রেনে যাওয়া সেনা ইউনিটগুলোর তীব্রতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।  

এদিকে সাম্প্রতিক এক মূল্যায়নে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়া কার্যকরভাবে কৃষ্ণ সাগর উপকূলে নৌ-অবরোধের মাধ্যমে ইউক্রেনকে আন্তর্জাতিক সমুদ্র বাণিজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। অন্যদিকে যুদ্ধের প্রথম পর্ব শেষ করার ঘোষণা দিয়ে দনবাসে মনোযোগ দেওয়ার কথা বললেও, রাশিয়া এখনো ইউক্রেনের বিভিন্ন বড় শহরে হামলা অব্যাহত রেখেছে।  

তবে শান্তি ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাই এখন ইউক্রেনের মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। রোববার (২৭ মার্চ) এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আলোচনায় আমাদের অগ্রাধিকারগুলো সম্পর্কে সবার জানা আছে। ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা সন্দেহাতীত থাকবে। অর্থাৎ এসব বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।

ইতোমধ্যে তুরস্কের ইস্তানবুল শহরে পরবর্তী আলোচনায় সম্মত হয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানাগেছে। এর আগে জেলেনস্কি বলেন, শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেন একটি নিরপেক্ষ দেশ হতে ইচ্ছুক। পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসের মর্যাদা নিয়ে আপস করতেও প্রস্তুত। যদিও ইউক্রেনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেছেন, উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো ইউক্রেনকে দুই ভাগে বিভক্ত করতে চাচ্ছে রাশিয়া।  

তবে নিরপেক্ষ অবস্থান মেনে নিতে রাজি হলেও এ রকম চুক্তিতে তৃতীয় পক্ষগুলোর জিম্মা ও গণভোটের আয়োজনের কথা বলছেন জেলেনস্কি।

 

তথ্য সূত্র : বিবিসি

ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া

আজকের দেশ সংবাদ ডেস্ক : ইউক্রেনে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। খবর রয়টার্সের।

জেলেনস্কি বলেন, 'ইউক্রেনের অবকাঠামো ও সীমান্তরক্ষীদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।' তবে তিনি জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে জয় ছিনিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

ফেসবুকে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি পুরো দেশে সামরিক আইন জারি করেন।

এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, তারা দেশটির সেনা স্থাপনা, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও বিমান বাহিনীর ওপর ‘হাই প্রেসিশন ওয়েপন’ বা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম আরআইএ দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করছে।

এর আগে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় আগ্রাসন শুরু করেছেন পুতিন।

দিমিত্রি কুলেবা জোর দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেন আত্মরক্ষা করবে। তিনি বলেন, পুতিনকে থামাতে হবে এবং বিশ্ব অবশ্যই তা পারবে।

বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, ইউক্রেন এবং রুশ বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ অনিবার্য।

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে দফায় দফায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। প্রথম বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার কিছু সময় পর। এরপর মোট চার থেকে পাঁচবার বিস্ফোরণে ঘটেছে বলে বিবিসি, সিএনএন-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী কিয়েভে অবস্থিত বিমানবন্দরে সম্ভবত হামলা চালানো হয়েছে। এদিকে, এক সরকারি কর্মকর্তা বিদেশি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিমানঘাঁটি ও সামরিক সদর দপ্তরে হামলা চালানো হয়েছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন যে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে কথা বলেছেন।

বাইডেন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের অসৎ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বনেতাদের প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানানোর জন্য এবং ইউক্রেনের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জেলেনস্কি আমাকে অনুরোধ করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন যে তিনি বৃহস্পতিবার জি-সেভেন দেশগুলোর নেতাদের সাথে বৈঠক করবেন এবং যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা ‘রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।’

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এক বিবৃতিতে ‘প্ররোচণা ছাড়া ও অন্যায্য’ এই আক্রমণের নিন্দা জানিয়েছিলেন।

এছাড়া জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস প্রেসিডেন্ট পুতিনকে যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানিয়েছেন এবং তার উদ্দেশ্যে মন্তব্য করেছেন শান্তিকে সুযোগ দিন।

মাদাগাস্কারে ঘূর্ণিঝড় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯২

আন্তর্জাতিক নিউজ : মাদাগাস্কারে ঘূর্ণিঝড়ের মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯২ জনে দাঁড়িয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে দ্বীপ দেশটির ৯১ হাজার মানুষের বাড়িঘর ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মাদাগাস্কারের জনসংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। দেশটির রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা বুধবার জানিয়েছে, মাদাগাস্কারের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ইকোঙ্গো জেলায় মারা গেছে ৬০ জন। ইকোঙ্গোর ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছে সংস্থাটি।

গত শনিবার রাতে ঘূর্ণিঝড় বাতসিরাই ঘণ্টায় ১৬৫ কিলোমিটার বাতাগের বেগ ও প্রবল বৃষ্টি নিয়ে মাদাগাস্কারের পূর্ব উপকূলে আছড়ে পড়ে।

 
উল্লেখ্য, দুই সপ্তাহ আগে দ্বীপ দেশটিতে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় আনার কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। আনার তাণ্ডবে ৫৫ জন নিহত ও এক লাখ ৩০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।

সূত্র : গার্ডিয়ান

 
‘তালেবান’ দাবি করে বিয়েতে হামলা, নিহত ২

আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক : নিজেদের ‘তালেবান’ দাবি করে কিছু বন্দুকধারী আফগানিস্তানে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে হামলা করেছে।
এই ঘটনায় অন্তত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন ১০ জনেরও বেশি।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে জানায়, শুক্রবার চার যুগলের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল সুরখ রদ জেলায়। জেলাটি নানগারহার প্রদেশে অবস্থিত।
রাতে হামলাকারীরা তাদের ঘরের ভেতরে যেতে বলে এবং লাউডস্পিকারগুলো ভেঙে ফেলে। পরে অতিথিরা এর প্রতিবাদ করলে তারা গুলি চালানো শুরু করে।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান শাসন আমলে সংগীত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল। তবে নতুন তালেবান শাসন এখনো এমন কোনো আদেশ জারি করেনি।
হামলাকারীরা ৩ জন ছিল এবং তাদের মধ্যে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ।
তিনি বলেন, 'গত রাতে ৩ জন তালেবান পরিচয়ে ওই বিয়ে বাড়িতে ঢুকে যায় এবং গানবাজনা বন্ধ করতে বলে।'
 
তালেবান এক মুখপাত্র জানান, এই ঘটনায় তিন বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সাবেক সরকার ও পশ্চিমা মিত্রদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় যেসব আত্মঘাতী হামলাকারী নিহত হয়েছেন, তাদের প্রশংসায় ভাসিয়েছে তালেবান। তাদের পরিবারকে নগদ অর্থ ও ভূমি দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
 
তালেবান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে। কাবুলের ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এক অনুষ্ঠানে নিহত আত্মঘাতী হামলাকারীদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজউদ্দিন হাক্কানি।
 ২০১৮ সালে এক আত্মঘাতী বোমা হামলারও লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল এই হোটেল।
আফগান যুদ্ধ চলার সময় বৈশ্বিক সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সিরাজউদ্দিন হাক্কানির মাথার মূল্য ধরেছিল এক কোটি মার্কিন ডলার।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের ওই অনুষ্ঠানের একটি ছবি প্রকাশ করেছে তালেবান কর্মকর্তারা। যদিও এতে সিরাজউদ্দিন হাক্কানির ছবি অস্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
টুইটারে পোস্ট এক বিবৃতিতে আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শহীদ ও মুজাহিদদের আত্মত্যাগ ও জিহাদের প্রশংসা করেছেন মন্ত্রী। তাদেরকে ইসলাম ও দেশের নায়ক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
 
 
সূত্র -সময় নিউজ


জাতিসংঘের সাত কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করছে ইথিওপিয়া

অনলাইন ডেস্ক : ‘দেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ’ করার অভিযোগে জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন সাত কর্মকর্তাকে দেশ থেকে বহিষ্কার করছে ইথিওপিয়া।

বৃহস্পতিবার ইথিওপিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ করে বলেছে, তাদেরকে দেশ ছেড়ে যাওয়ার জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে।

ইথিওপিয়ার যুদ্ধ-বিধ্বস্ত তিগ্রেই অঞ্চলে সরকার ত্রাণ সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করার কারণে অঞ্চলটি দুর্ভিক্ষের মুখে পড়ছে বলে জাতিসংঘ প্রধান সতর্ক করার কয়েকদিনের মাথায় এই জাতিসংঘ কমকর্তাদেরকে বহিষ্কার করা হচ্ছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, এদের মধ্যে আছেন জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক কার্যালয় (ইউএনওসিএইচএ), তিগ্রেইয়ের মানবিক সঙ্কট নিয়ে কাজ করা এবং ত্রাণ সমন্বয়কারী সংগঠনের কর্মকর্তারা।

প্রায় একবছর ধরে ইথিওপিয়া সরকারের সঙ্গে লড়ে আসছে তিগ্রেইয়ের বিদ্রোহীরা। এই সংঘাতের মধ্যেই জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের দেশ ছাড়তে বলল ইথিওপিয়া সরকার।


ডাচ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দর থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে দেরি হওয়ায় সংসদ সদস্যদের তোপের মুখে এবার নেদারল্যান্ডসের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অঙ্ক বিজলেভেল্ড পদত্যাগ করলেন। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে, গত মাসে আফগানিস্তান থেকে লোকজনদের সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার একই ইস্যুতে পদত্যাগ করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগরিদ কাগ। খবর আল জাজিরার।

দেশটির উচ্চপদস্থ এই দুই নেতা আফগানিস্তান থেকে তাদের নাগরিক ও যে সব আফগান যুদ্ধের সময় সাহায্য করেছিলেন দেশটির সেনাদের, তাদের নির্ধারিত সময়ে সরিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মনে করেন অধিকাংশ সংসদ সদস্য। ঠিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেননি তারা।


যদিও অঙ্ক বিজলেভেল্ড বলেন, যারা আফগানিস্তানে এখনো আছেন এবং আমাদের নিরাপত্তার ওপর নির্ভর করেন, তাদের আনার জন্য আমি আমাদের মিশন শেষ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এটি এখন আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে যারা আমার জন্য কাজ করেন তাদের কাজে আমি বাধা দিতে চাই না। তাই পদত্যাগের এ সিদ্ধান্ত।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল গত ১৫ আগস্ট তালেবানের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর ভয় আর আতঙ্কে দেশ ছাড়তে শুরু করেন বহু মানুষ। এসময় নিজ দেশের নাগরিকদেরও ফিরিয়ে নেন বিভিন্ন দেশ। আফগান যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা ৩১ আগস্ট কাবুল ত্যাগ করে। এর মাঝে কাবুল বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে ও গোলাগুলিতে নিহত হন ৩০ জনের মতো। কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে মারা যান আরও ১৭৫ জন। আহত হন আরও দেড় শতাধিক মানুষ।

তাদের খুঁজে বের করে প্রতিশোধ নেব বাইডেন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসআইএস-খোরাসানের স্থাপনা, নেতৃবৃন্দ ও সম্পদে হামলা চালাতে অভিযানের পরিকল্পনা তৈরি করতে মার্কিন সামরিক কমান্ডারদের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

এমন এক সময় তিনি এই নির্দেশ দিয়েছেন, যখন কাবুল বিমানবন্দরে আইএসের আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ জনে। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় দুটি বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বিমানবন্দর এলাকা। এতে বহু মানুষ আহত হয়েছেন।

আফগান সাংবাদিকদের ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানবন্দরের প্রান্তে একটি খালে বহু মরদেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও তালেবান জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ২৮ তালেবান সদস্য ও ১৩ মার্কিন সেনাও রয়েছে।

হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে আইএসআইএস-খোরাসান। তারা তালেবানের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রেরও শত্রু। এক বিবৃতিতে আইএস জানিয়েছে, আফগান দোভাষী ও মার্কিন সামরিক বাহিনীর সহযোগীদের ওপর আত্মঘাতী বোমা চালানো হয়েছে।

এ হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া ভাষণে জো বাইডেন বলেন, যারা এই হামলা চালিয়েছে এবং আমেরিকার ক্ষতি চেয়েছে, তাদের আমরা ক্ষমা করবো না। আমরা তাদের খুঁজে বের করে প্রতিশোধ নেব।

তিনি বলেন, আমাদের সময় মতো শক্তিপ্রয়োগ ও নির্ভুলভাবে হামলার জবাব দেব। আমি আমাদের স্বার্থ ও জনগণকে রক্ষা করবো। আমার সক্ষমতার মধ্য থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেব।

আফগানিস্তানে আরও সামরিক সহযোগিতা পাঠানোরও আভাস দিয়েছেন জো বাইডেন। তিনি বলেন, সামরিক বাহিনী যা প্রয়োজন মনে করবে, তা করতে আমি নির্দেশ দিয়েছি। যদি অতিরিক্ত সামরিক শক্তি দরকার হয়, তবে তাও দেওয়া হবে।

আফগানিস্তানের ৪৬টি বিমান জোর করে নামাল উজবেকিস্তান


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত দু’দিনে আফগানিস্তানের কাবুল থেকে আসা ৪৬টি বিমান জোর করে নামানোর কথা স্বীকার করল উজবেকিস্তান। তাদের দাবি, বেআইনিভাবে তাদের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল বিমানগুলো। তাই সেগুলো নামাতে বাধ্য হয়েছে তারা।

রোববার (১৫ আগস্ট) তালেবান কাবুলের দখল নেওয়ার পর থেকেই দলে দলে দেশ ছাড়ছেন আফগান মানুষ। এই দেশত্যাগীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি ও তার ঘনিষ্ঠ সেনাকর্তা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও। বিমানে চেপে আশপাশের দেশে আশ্রয়ের খোঁজ করছেন তারা।

এমন পরিস্থিতিতে সোমবার (১৬ আগস্ট) সকালেই উজবেকিস্তানে আফগান সেনার একটি বিমান ভেঙে পড়ার কথা সামনে আসে। জানা যায়, রোববার গভীর রাতে বিমানটি সেখানে ভেঙে পড়ে। শুরুতে এ নিয়ে কোনো মন্তব্যই করেনি উজবেকিস্তান সরকার। উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানায় তারা।

কিন্তু দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের মন্তব্যেই অসঙ্গতি ধরা পড়ে। প্রথমে রাশিয়া জানায়, উজবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে তাদের। বিমানটি নামানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। 

এরপর উজবেক সরকার বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়, রাস্তা দেখিয়ে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়ার সময়  একটি বিমানের সঙ্গে সংঘর্ষে আফগান বিমানটি ভেঙে পড়ে। পরে যদিও সেই মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেয় উজবেক সরকার।

এর পরই মঙ্গলবার জোর করে বিমান নামানোর কথা মেনে নেয় তারা। জানায়, রোববার থেকে মোট ২২টি আফগান যুদ্ধবিমান এবং ২৪টি সেনা হেলিকপ্টার বেআইনিভাবে তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। ওই ৪৬টি বিমানে গনি সরকারের ৫৮৫ জন আফগান সেনাকর্তা ও কর্মকর্তা ছিলেন। তাই সেগুলো নামানো হয়। 

রোববার রাতে ‘ভেঙে পড়া’ বিমানটিও বেআইনিভাবে আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় নামানো হয় বলে জানিয়েছে তারা। ওই দুই বিমানের পাইলট হাসপাতালে ভর্তি। বাকিদের কী অবস্থা, তা স্পষ্ট করেনি উজবেক সরকার।

আফগানিস্তানের দীর্ঘ ২০ বছর ধরে চলে আসা বিক্ষোভের আঁচ উজবেকিস্তানকেও বছরের পর বছর বয়ে বেড়াতে হয়েছে। তাই রোববার তালেবান কাবুল দখল করার পর থেকেই অনেক বেশি সতর্ক তারা। 

এর আগে, বেআইনিভাবে সীমান্ত পেরিয়ে চিকিৎসা সহায়তা চাইতে আসা ৮৪ জন আফগান সেনাকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছিল উজবেকিস্তান।


সূত্র: আনন্দবাজার।


আফগানিস্তানে গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলে নেওয়ার লড়াইয়ে তালেবান


অনলাইন নিউজ : আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী লস্কর গাহের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া তালেবান যোদ্ধারা।

আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী লস্কর গাহের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে লড়াই করছে তালেবান যোদ্ধারা। যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান বাহিনীর বিমান হামলার পরেও শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিতে তীব্র লড়াই চালাচ্ছে তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, তালেবানের কাছে আফগানিস্তানের প্রথম কোনো প্রাদেশিক রাজধানীর পতন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তালেবানরা বলছে, তারা এরই মধ্যে একটি টিভি স্টেশন দখল করে নিয়েছে। আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে হাজারও মানুষ।

স্থানীয় এক হাসপাতালের চিকিৎসক বিবিসিকে জানিয়েছেন, চারদিকে শুধু যুদ্ধ চলছে। এদিকে, তালেবানদের মোকাবিলায় শত শত আফগান যোদ্ধা মোতায়েন করা হয়েছে।

হেলমান্দ প্রদেশ ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সামরিক অভিযানের একটি কেন্দ্র। তালেবানের কাছে এর পতন হলে তা আফগান সরকারের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াবে।

বিবিসি বলছে, যদি লস্কর গাহের পতন হয়, তবে তা হবে ২০১৬ সালের পর তালেবানদের দখলে থাকা প্রথম কোনো প্রাদেশিক রাজধানী। এটি আক্রমণের কবলে থাকা আফগানিস্তানের তিনটি প্রাদেশিক রাজধানীর মধ্যে একটি। লস্কর গাহে আফগান বাহিনীর এক কমান্ডার বলেছেন, ‘তালেবানদের বিজয় বৈশ্বিক নিরাপত্তায় মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।’

এদিকে তালেবান হামলার আশঙ্কায় হেলমান্দ প্রদেশে ১১টি রেডিও এবং চারটি টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সম্প্রচার সোমবার বন্ধ ঘোষণা করেছে আফগানিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয়।

এদিকে, গত রোববার বিমানবন্দরে রকেট হামলার পর আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে তালেবান। কান্দাহার তালেবানের নিয়ন্ত্রণে গেলে সেটি হবে তাদের জন্য একটি বিশাল প্রতীকী বিজয়। এর ফলে দক্ষিণাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করা তাদের জন্য সহজ হয়ে উঠবে।

এ ছাড়া, পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত শহরে গত কয়েক দিন ধরে চলেছে তীব্র লড়াই। গত শুক্রবার সেখানে জাতিসংঘের একটি কার্যালয় আক্রমণের শিকার হয়। এরপর অভিযান চালিয়ে কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায় সরকারি বাহিনী।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, হেরাতের রাস্তায় ও ছাদে বাসিন্দারা সরকারের বিজয়ের সমর্থনে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে চিৎকার করছে।

সম্প্রতি আফগানিস্তানে শক্তিশালী হচ্ছে তালেবান। দেশটিতে ২০ বছর সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর থেকে দ্রুত তালেবানের উত্থান ঘটতে শুরু করে।

এরই মধ্যে আফগানিস্তানে এমন পরিস্থিতির জন্য মার্কিন সেনা প্রত্যাহারকে দায়ী করছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। তিনি পার্লামেন্টে বলেন, ‘আমাদের বর্তমান পরিস্থিতির কারণ হলো, এই সিদ্ধান্ত হুট করে নেওয়া হয়েছে।’ প্রেসিডেন্ট ঘানি আরও বলেন, তিনি ওয়াশিংটনকে সতর্ক করেছিলেন, তাদের এই সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত পরিণতি ডেকে আনতে পারে।


তথ্য সূত্র: এনটিভি,বিবিসি

ভেনিজুয়েলায় পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষে নিহত ২৬

অনলাইন ডেস্ক : ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ভেনিজুয়েলায় মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের ভয়াবহ সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন। এছাড়া ৩৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

গতকাল শনিবার (১০ জুলাই) দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সারমেন মেলেনদেজ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আরব নিউজের।

রাজধানী কারাকাসের উত্তর-পাশ্চিমাঞ্চলে গত এক সপ্তাহ ধরে চলা সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেলেনদেজ আরও বলেন, আহতদের মধ্যে ৩৮ জন পুলিশের মধ্য ১০ জন কর্মকর্তাও আছেন।এ ছাড়া ২২ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।

দুই পক্ষের গোলাগুলিতে ২৮ জন সাধারণ মানুষও গুরুতর আহত হয়েছেন।সংঘর্ষের সময় আতঙ্কে অনেক বাসিন্দা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।

এদিকে, দেশটির বিরোধী দলীয় সেতারা অভিযোগ করছেন, সন্ত্রাসী দমনের নামে প্রেসিডেন্ট মাদুরো আসলে বিরোধী দলকে দমন করছেন।

সেনা প্রত্যাহার করলে আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ হতে পারে মার্কিন জেনারেল


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানে অবস্থানরত সেনা প্রত্যাহারের পর দেশটিতে গৃহযুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মার্কিন সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল স্কট মিলার। গতকাল মঙ্গলবার (২৯ জুন) তিনি একথা বলেছেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

গত মে মাস থেকে মার্কিন সেনাসহ আফগানিস্তানে অবস্থানরত সকল বিদেশি সেনাকে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে। এরপরই আফগান সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তালেবানের সংঘাত ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দেশটির সশস্ত্র ওই গোষ্ঠীটি একের পর এক এলাকা সেনাবাহিনীর কাছ থেকে দখল করে নিতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে সেখান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের কাজ চলছে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের পর দেশটিতে আর কোনো বিদেশি সেনা থাকবে না।

এ প্রসঙ্গে জেনারেল স্কট মিলার বলেন, বিদেশি সেনারা চলে যাওয়ার পর আফগানিস্তানের নেতারা ঐক্যবদ্ধ হতে ব্যর্থ হলে দেশটি ‘খুব কঠিন সময়ে পড়তে যাচ্ছে’।

চলমান এই সংঘর্ষ ও সহিংসতার জন্য তালেবানকে দায়ী করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা তারা মানছে না।

আফগানিস্তানে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত দেবোরাহ লিয়ন্স সম্প্রতি একই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি জানান, দেশটির মোট ৩৭০টি জেলার মধ্যে ৫০টিরও বেশি জেলা ইতোমধ্যেই নিজেদের দখলে নিয়েছে তালেবান। তিনি আফগানিস্তানে ‘ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির’ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

শ্রীলঙ্কার পিটিএ বাতিলের আহ্বান জানিয়ে ইইউ পার্লামেন্টে প্রস্তাব গ্রহণ

 আজকের দেশ সংবাদ ডেস্ক : শ্রীলঙ্কার সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ আইন (পিটিএ) বাতিল করার আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। আইনটি কনভেনশনগুলোর সঙ্গে বেমানান বলে মনে করা হচ্ছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সংশ্লিষ্টরা। যা দ্বীপপুঞ্জটির জন্য অনুমোদিত জেনারালাইজড স্কিম অফ প্রেফারেন্সের (জিএসপি +) অধীনে কার্যকর করতে হবে। বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে ইয়াহু নিউজ।


সেখানে বলা হয়েছে, ৭০৫ সদস্য বিশিষ্ট আইনসভায় প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পরেছে ৬২৮টি এবং বিপক্ষে পরেছে ১৫টি। আর ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে ৪০ জন। গত বৃহস্পতিবার (১০ জুন) প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হয়।

ইইউ সংসদ ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশনকে ইউরোপীয় বাজারে শ্রীলঙ্কার অগ্রাধিকারযোগ্য প্রবেশের অস্থায়ী প্রত্যাহার বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে। যা পোশাক, সিরামিক এবং রাবারসহ শ্রীলঙ্কার রফতানির জন্য বাণিজ্য শুল্ককে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস করবে।

ইউরোপীয় কমিশনার অফ ইক্যুয়ালিটির হেলেনা ডাল্লি বলেন, আমরা সাংবিধানিক সুরক্ষা অপসারণ দেখতে পাই, জবাবদিহিতার অভাব দেখি, মানুষকে বাদ দেওয়ার জন্য আমরা বক্তৃতা দেখি, দেখি নাগরিক সমাজকে বাদ দেওয়া হচ্ছে এবং আমরা সক্রিয়তাবাদী, লেখক এবং আরো অনেককে আটকানোর জন্য সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ আইনের ব্যবহার দেখতে পাই।

ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অবশ্যই নির্বিঘ্নে সর্বজনীন অধিকার রক্ষা করতে হবে। এই সন্ত্রাসবাদ আইনের আওতায় যারা আটক রয়েছে তাদের সুষ্ঠু বিচার করা উচিত। যদি তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হয়, তাহলে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে, যোগ করেন তিনি।
 

নতুন প্রস্তাবে ইইউ পার্লামেন্ট শ্রীলঙ্কার ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের পুনরাবৃত্তির দিকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক রিপোর্টেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হচ্ছে?
তৌফিক আহম্মেদ (তাপস):বাংলাদেশের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের বিতর্কিত দেশ ইসরাইলের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। ঘোষণা দিয়েই তা জানানো হয়েছিল। এজন্য স্বাধীনতার পর ইসরাইলের স্বীকৃতিও গ্রহণ করেনি বাংলাদেশ। এতে বাণিজ্যিক সম্পর্কও স্থাপিত হয়নি। ফলে বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী কেউ ইসরাইল ভ্রমণ করতে পারেন না। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পর সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হচ্ছে। ফলে এখন থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ইসরাইল ভ্রমণের সুযোগ তৈরি হচ্ছে।

জানা গেছে, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের ইস্যুকৃত পাসপোর্টের প্রথম পৃষ্ঠায় লেখা ছিল ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড এক্সসেপ্ট ইসরাইল’ (বিশ্বের যেকোনো দেশের জন্য এই পাসপোর্ট কার্যকর থাকবে, শুধু ইসরাইল ছাড়া)। অর্থাৎ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী কোনো ব্যক্তি শুধু ইসরাইল ব্যতিরেকে বিশ্বের যেকোনো দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন।

যদিও বর্তমানে নতুন ইস্যু করা ও মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট নবায়নের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ার বিষয়টি দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি এমন বেশকিছু অভিযোগ এসেছে শেয়ার বিজের কাছে। পাসপোর্ট গ্রহণকারীরা জানান, গত ঈদুল ফিতরের পর থেকে ইস্যু করা নতুন ই-পাসপোর্টে লেখা রয়েছে ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’। এখানে ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল’ শব্দ দুটি নেই। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

নতুন পাসপোর্ট পাওয়া আরিফ হাসান (ছদ্মনাম) শেয়ার বিজকে জানান, সম্প্রতি তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তিনজনের

ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ঈদুল ফিতরের আগে সে নিজের পাসপোর্ট পান। আর ঈদের পরে তার মা ও ছোট ভাই পাসপোর্ট পেয়েছেন। তার পাসপোর্ট আগের মতোই থাকলেও ঈদের পরে পাওয়া পাসপোর্ট দুটিতে ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল’ শব্দ দুটি লেখা নেই। তিনি এ বিষয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গেও কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল’ না থাকলেও কোনো সমস্যা হবে না।

পাসপোর্ট থেকে ইসরাইল ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তুলে নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি গতকাল শেয়ার বিজকে বলেন, ‘ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক আগে যেরকম ছিল এখনও তা-ই থাকবে। তবে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে আমরা পাসপোর্টে এক্সসেপ্ট ইসরাইল শব্দ দুটি তুলে দিচ্ছি।’

জানা গেছে, মুসলিম বিশ্বের দেশ হওয়ায় বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সদস্য রাষ্ট্র। আর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইসরাইল ও ফিলিস্তিন ইস্যুটি এখনও অমীমাংসিত রয়েছে। তাই স্বাধীনতার পর থেকেই ফিলিস্তিনের পক্ষ নেয় বাংলাদেশ। এজন্য ইসরাইলের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। এতে ইসরাইলের সঙ্গে কোনো প্রকার বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কও নেই। দেশটির সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যও করতে পারেন না বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।

যদিও ফিলিস্তিনে সাম্প্রতিক ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পক্ষে বাংলাদেশ তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে।

জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ যেহেতু ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়নি, তাই পাসপোর্টে এ কথাটি লেখা হয়। তবে পাসপোর্ট ইস্যু করা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয়। কাজেই এক্সসেপ্ট ইসরাইল শব্দ দুটি কেন তুলে দেয়া হলো এ বিষয়ে তারাই ভালো বলতে পারবে।’ তবে বাংলাদেশ এখনও ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়নি বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

প্রসঙ্গত, ইসরাইলের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় ঢাকায় তাদের দূতাবাসও নেই। কিন্তু ফিলিস্তিনের পক্ষে থাকায় ঢাকায় ফিলিস্তিনের দূতাবাস স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ। বর্তমানে ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসের হেড অব দ্য মিশন হচ্ছেন ইউসুফ সালেহ রমাদান।

ফিলিস্তিনের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ইসরাইলের হামলায় আহত ফিলিস্তিনিদের সহায়তায় বাংলাদেশ চিকিৎসকদের একটি দল পাঠায় ১৯৭৩ সালে। সেই থেকে ফিলিস্তিনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের যাত্রা শুরু হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৪ সালে ওআইসির অধিবেশনের এক ফাঁকে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ফিলিস্তিনের পক্ষে ইয়াসির আরাফাত নেতৃত্ব দেন। ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দানকারী বিশ্বের ১৩৭টি রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম |


তৌফিক আহম্মেদ (তাপস)

লেখক, কলামিষ্ট

যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের নেপথ্যে কি আছে !
ইজরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ কোনটি? এই প্রশ্নের উত্তর মোটামুটি সবারই জানা- যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদিবাদী দেশটির সকল বিপদের সঙ্গীও মার্কিনরা।ইজরায়েল সৃষ্টির পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ১১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক সাহায্য দিয়েছে। পাশাপাশি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ওঠা যেকোনো নিন্দা অথবা শাস্তির প্রস্তাব আটকে দিতেও বরাবরই তৎপর যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র যতবার ভেটো দিয়েছে, তার অর্ধেকই ইজরায়েলের জন্য!

কিন্তু কেন? যুক্তরাষ্ট্র ঠিক কী কারণে ইজরায়েলকে অন্য সব দেশের চেয়ে আলাদা নজরে দেখে? এসব প্রশ্নের উত্তর জানার আগে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইজরায়েল কখন কীভাবে একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠল- সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ইভানজেলিক্যাল খ্রিস্টান : আমেরিকার ইসরাইলের প্রতি সমর্থনের মূল কারণ খুব সম্ভবত এর ইভানজেলিক্যাল খ্রিস্টান সম্প্রদায়। ইভানজেলিক্যাল খ্রিষ্টান সম্প্রদায় হলো আমেরিকার সবচেয়ে বড় একক ধর্মীয় গোষ্ঠী যারা আমেরিকার মোট জনসংখ্যার ২৬ শতাংশ এবং মূলত দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে বাস করে।

ইভানজেলিক্যাল খ্রিস্টানদের ইজরাইলের কট্টর সমর্থক হওয়ার কারণ তারা মনে করে ইহুদিরা জেরুজালেমে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত পৃথিবীতে যিশুখ্রিস্টের পুনরাগমন হবে না। মুসলিমদের মত এরাও যিশুখ্রিস্টের পুনরুত্থানে বিশ্বাসী। যীশু খ্রীষ্ট নাকি পুনরায় পৃথিবীতে এসে আরমাগেডনের যুদ্ধে শয়তানকে পরাজিত করবে এবং ইহুদিরা খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবে। এরপর এক হাজার বছর পৃথিবীতে শান্তি বিরাজ করবে। এই বিশ্বাসের কারণে ইভানজেলিক্যাল খ্রিস্টানেরা সবসময়ই ইসরাইলে ইহুদি বসতি স্থাপনের কট্টর সমর্থক এবং লবিং এর মাধ্যমে আমেরিকার রাজনীতিবিদদের উপর চাপ সৃষ্টি করে ইজরায়েলকে সমর্থন যোগানোর।

ইজরায়েল পন্থী লবিং : ইভানজেলিক্যাল খ্রিস্টানদের পাশাপাশি বিভিন্ন ইজরাইলপন্থী ইহুদি লবিং গ্রুপও সক্রিয় রয়েছে আমেরিকার ইসরাইলপন্থী নীতি গ্রহণের জন্য। ইজরাইল পন্থী লবিং গ্রুপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল American_Israel_Public...  বা সংক্ষেপে


যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের নেপথ্যে কি আছে !
আইপ্যাক যারা মূলত সিনেটর প্রার্থীদের রাজনৈতিক ক্যাম্পেইনে অর্থের যোগানের মাধ্যমে তাদের ইসরাইলকে সমর্থন জোগাতে বাধ্য করে। আইপ্যাক সরাসরি সিনেটরদের টাকা দেয় না তারা বরং ইসরাইলপন্থী ধনাঢ্য ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটির মাধ্যমে কংগ্রেসের সদস্য হতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের টাকা দেয় এই শর্তে যে তাদের ইসরাইলপন্থী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ব্যাপারটা আরেকটু খোলাসা করে বলা যাক, প্রতিবছর আইপ্যাকের বার্ষিক নীতিমালা নির্ধারণী কনফারেন্স যে হল রুমে বসে তার পাশের রুম গুলোতেই ধনাঢ্য দাতা এবং আইপ্যাক সমর্থিত নির্বাচনী প্রার্থীদের ডেকে আনা হয় কথা বলার জন্য। পাশের রুম গুলোর কার্যকলাপ সরাসরি আইপ্যাকের নামে পরিচালিত হয় না, সুতরাং এভাবে ইসরাইলপন্থী কংগ্রেস প্রার্থীদের অর্থের যোগান দেওয়াতে আইপ্যাকের ঘাড়ে দোষ পরে না।


আইপ্যাকের কংগ্রেসের উপর এতটাই প্রভাব যে এই ওপেন সিক্রেট নিয়ে কথা বলাও এক রকমের অপরাধ। এই বছরের শুরুর দিকে সোমালিয়ান বংশোদ্ভূত মার্কিন রিপ্রেজেন্টিভ ওমর ইলহান আইপ্যাকের লবিং নিয়ে কথা বললে তাকে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হতে হয়। তাকে ঢালাওভাবে "ইহুদি বিদ্বেষী" তকমা দেওয়া হয় এবং কংগ্রেসে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। যেভাবে ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকান উভয় পক্ষের কংগ্রেসম্যানেরাই তার পিছনে উঠে পড়ে লেগেছিল তাতেই প্রমাণিত আমেরিকার সিনেটে ইসরাইলি লবিং এর প্রভাব কতটা বেশি।


ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিং: ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এবং ইসরাইলের সাইবার নিরাপত্তা প্রদানকারী সংস্থা ইউনিট ৮২০০ হল বিশ্বসেরা যাদের সাথে কাজ করে আমেরিকা উপকৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে আমেরিকায় সক্রিয় থাকা এক হিজবুল্লাহ সদস্যকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য মোসাদের আমেরিকার সিআইএ' সাথে ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিং। এমনকি টুইন টাওয়ারে হামলার পূর্বাভাসও নাকি মোসাদ দিতে সক্ষম হয়েছিল। আর  Operation_Diamond এর কথা তো না বললেই নয় যেখানে ইজরাইলের মোসাদ ইরাকি বিমান বাহিনী হতে একটি মিগ-২১ চুরি করে এনে আমেরিকার হাতে তুলে দেয়। ইসরাইল এবং আমেরিকা এই প্লেনের খুঁটিনাটি জেনে নেয়। কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আমেরিকা ইসরাইলকে নিজের তৈরি এফ আর ফ্যান্টম যুদ্ধবিমান ব্যবহার করার সুযোগ দেয়।


সাইবার ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কথা বললে বলা যায় আমেরিকার সাইবার ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কাজ করা এনএসএ এবং ইজরাইলের ইউনিট ৮২০০ মিলে Stuxnet নামে একটি ম্যালওয়ার তৈরি করে ইরানের নিউক্লিয়ার প্রোগ্রামের গতি শ্লথ করে দিতে। ইউনিট ৮২০০ তে কাজ করা অনেক যুবকই পরে সিলিকন ভ্যালিতে বিভিন্ন নামিদামি আইটি কোম্পানি খুলেছে (এমনকি আপনার ভাইবারও তাদের তৈরি) এটাও আমেরিকার ইজরায়েলের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার একটি বড় কারণ।


আমেরিকার অস্ত্র পরীক্ষাগার : ইজরাইল আমেরিকার তৈরি অস্ত্রগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে কতটা পারফর্ম করবে তা পরীক্ষা করে দেওয়ার সুযোগ করে দেয় বিশেষ করে রাশিয়ার তৈরি অস্ত্রের বিরুদ্ধে। স্নায়ুযুদ্ধের সময় ইসরাইল ছিল মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মিত্র। মিশর, লেবানন, সিরিয়ার সাথে ইজরাইলের সামরিক সংঘাত লেগেই থাকত যারা সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি অস্ত্র ব্যবহার করতো। মধ্যপ্রাচ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নের মিত্রদের ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি আমেরিকায় প্রস্তুতকৃত অস্ত্র সোভিয়েত ইউনিয়নের অস্ত্রকে কতটা কাউন্টার দিতে পারবে তা পরীক্ষা করার বড় সুযোগ ইজরাইল এনে দিয়েছিল।


ইসরাইলি প্রযুক্তি : আমেরিকা তার উন্নয়নের জন্য ইসরাইলি টেকনোলজির উপর নির্ভর করে। মাইক্রোসফট, আইবিএম, ইন্টেলের প্রধান প্রধান অনেক রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট সেন্টার ইজরাইলে রয়েছে। ইন্টেলের মাইক্রোপ্রসেসর উন্নয়নে ইজরায়েলি বিজ্ঞানীদের অসাধারণ অবদান রয়েছে। একটি মরুভূমি প্রধান দেশ হিসেবে ইজরাইল যেভাবে ড্রিপ সেচ, পানিকে আর্সেনিক এবং লবণমুক্ত করা সহ আরো বিভিন্ন টেকনোলজি আবিষ্কার করেছে তা আমেরিকা তার টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়ার মত মরু প্রধান উত্তপ্ত অঞ্চলগুলোতে কাজে লাগায়। ব্রাইটসোর্স ইন্ডাস্ট্রিস নামে একটি আমেরিকান কোম্পানি ইসরাইলি টেকনোলজি ব্যবহার করে সোলার প্যানেল তৈরি করছে যা আমেরিকার সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্বিগুণ করে দিবে।


গণতন্ত্র : শুধু ইসরাইলপন্থী আমেরিকানদের নয় অন্যান্য গণতান্ত্রিক পাশ্চাত্য দেশের নাগরিকদেরও বলতে শুনেছি ইসরাইল হল আরব দেশের শরিয়া আইন দ্বারা বেষ্টিত (যা তাদের দৃষ্টিতে খারাপ), সন্ত্রাসী কবলিত অঞ্চলে একমাত্র গণতন্ত্র এবং শান্তির দিশারী। ইসরাইল ঠিক আমেরিকার মতোই জুডিও-ক্রিশ্চিয়ান মূল্যবোধের উপর গড়ে উঠেছে। একই সাথে এটি একটি গণতান্ত্রিক দেশও বটে যখন মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলো হয় স্বৈরতন্ত্র, রাজতন্ত্র বা অর্ধ গণতান্ত্রিক দেশ। ইজরায়েল পন্থী আমেরিকানদের অনেককেই ইসরাইলকে সমর্থন করার কারণ হিসেবে এই ব্যাপারটি উল্লেখ করতে দেখেছি তবে আমেরিকার রাষ্ট্র নীতিতে এর প্রভাব কতটা আমার জানা নেই কারণ আমেরিকা বছরের পর বছর ধরে নিজ স্বার্থে অনেক রাজতন্ত্র, স্বৈরশাসকদের পৃষ্ঠপোষকতা করে এসেছে।


আমেরিকান ইহুদি গোষ্ঠী : এটা কারোরই অজানা নয় যে ইহুদীরা সংখ্যায় খুব কম হওয়া সত্বেও অত্যন্ত ধনী এবং মেধাবী। বিশ্ব জনসংখ্যার দশমিক শতাংশ হওয়া সত্বেও নোবেল পুরস্কারের ২০ শতাংশই পেয়েছে ইহুদিরা। আমেরিকার ৪০০ বিলিয়নিয়ারের ৩৫% বিলিনিয়রই ইহুদি যদিও তারা সংখ্যায় আমেরিকার জনসংখ্যার দুই শতাংশেরও কম। অবশ্য বর্তমানের মার্কিনী ইহুদিরা ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক রক্ষায় আমেরিকার ওপর খুব চাপ প্রয়োগ করছে কিনা তা নিয়ে আমি নিশ্চিত নই। আমেরিকার ইহুদিদের সিংহভাগই ডেমোক্রেটকে ভোট দেয় যারা রিপাবলিকানদের তুলনায় তুলনামূলক কম ইসরাইলপন্থী। পিউ রিসার্চ অনুযায়ী আমেরিকান ইহুদিদের ৪০ শতাংশের মত মনে করে ইসরাইল প্যালেস্টাইনে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করছে। নতুন প্রজন্মের ইহুদিদের মধ্যে তীব্র ইজরাইলপ্রেম তুলনামূলক কম দেখা যায়। তবে এটা ধরে নেওয়া রিস্কি কিছু নয় যে আমেরিকার প্রভাবশালী ইহুদি সম্প্রদায় আমেরিকার ইসরাইলকে সমর্থন যোগানোর একটি মূল কারণ।


মুসলিম বিদ্বেষ : এসকল কারণ ছাড়াও আরেকটা ব্যাপার মাথায় আসছে তা হল মার্কিনীদের ইসলাম বিদ্বেষ। শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু বলে তো একটা কথা আছে, বিভিন্ন উগ্রপন্থী ইসলামিক গোষ্ঠী যেমন আইএস, তালেবান, আল-কায়েদার কারণে মুসলিমদের সম্পর্কে আমেরিকায় খুবই নেতিবাচক মনোভাব বিদ্যমান। যেহেতু ইসরাইল মুসলিমদের একটি শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হয় তাই সাধারণভাবেই আমেরিকার জনসাধারণ ইজরায়েলের পক্ষালম্বন করে।



মোদ্দা কথা বলতে গেলে আমেরিকা ইসরাইলের সম্পর্ক এত ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণ সেই অঞ্চলের জিওপলিটিক্স। ইসরাইল প্যালেস্টাইন সংকটের কারণে খুব দ্রুতই ইজরায়েলের আমেরিকার প্রভাব বলয় হতে বেরিয়ে যাবার কোন সম্ভাবনা নেই, আর এই সমস্যার সমাধান হলেও যে দুই দেশের সম্পর্কে খুব একটা পরিবর্তন আসবে তা আমি মনে করি না। কারণ হিসেবে বলবো উভয় দেশের কমন মূল্যবোধ এবং প্রযুক্তি নির্ভরতা যেখানে আরবদেশগুলো রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল এবং আমেরিকার সাথে সম্পর্ক ভালো রাখার ক্ষেত্রে অনেকটাই নিজেদের তৈল সম্পদের উপর নির্ভরশীল যার কোনটাই স্থায়ী নয়। তবে আমেরিকার ইসরাইলকে চির সমর্থন যোগানোর কারণ হিসেবে ইভানজেলিক্যাল খ্রিষ্টানেরা এবং আইপ্যাকের লবিংই মূল ভূমিকা পালন করছে।

 

তথ্য সূত্র: ইন্টারনেট

লেখক ,

তৌফিক আহম্মেদ (তাপস)

এম,এস,এস (অর্থনীতি)

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget