Articles by "আইন ও আদালত"
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

 

নওগাঁর বদলগাছীতে উজ্জল হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন

আজকের দেশ সংবাদ ডেস্ক: নওগাঁর বদলগাছীতে গভীর নলকুপ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে উজ্জল হোসেন হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়াও আসামীদের প্রত্যেক ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড দন্ডিত করা হয়েছে। এসময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সকল আসামী এবং নিহতের বাড়ি বদলগাছী উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামে।

আজ বুধবার বেলা ১২টায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালত এর বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ এ রায় প্রদান করেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন- অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. আব্দুল বাকী এবং আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন- অ্যাড. মামুনুর রশিদ-২।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার সারঙ্গপাড়া মৌজায় সমবায় থেকে নিবন্ধিত গভীর নলকুপ পরিচালনা করতেন নিহত উজ্জল হোসেনের চাচা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম। ২০১৩ সালে ৯ মে ওই নলকুপটি দখলে নেওয়ার জন্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন প্রতিপক্ষরা। এসময় উজ্জল হোসেন বাঁধা দিলে তাকে সহ কয়েকজনকে লাঠিসোটা ও লোহার রড দিয়ে মারপিট করে। এসময় প্রতিপক্ষরা গরমপানিতে মরিচের গুড়া মিশিয়ে উজ্জলের শরীরে ছিটিয়ে দিলে পেটের বামপাশে ঝলসে যায়। উজ্জল গুরুত্বর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেকিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে পরদিন মারা যায়।


ঘটনায় নিহতের চাচা মাজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৩জনকে আসামী করে থানায় মামলা করে। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিত্বে ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় আদালত। এছাড়াও আসামীদের প্রত্যেক ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড দন্ডিত করা হয়েছে। এই মামলায় আরো তিনজনের (মহিলা) কোন সম্পৃক্ততা না থাকায় বেকসুর খালাস দেয় আদালত।

নওগাঁয় ট্রিপল মার্ডার মামলায় ৯ জনের ফাঁসি


আজকের দেশ সংবাদ ডেস্কঃ নওগাঁর  বদলগাছীতে আলোচিত তিন খুনের মামলায় ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-দ্বিতীয় আদালতের বিচারক হাসান মাহমুদুল ইসলাম এ রায় দেন।

বিস্তারিত আসছে...................

সাংবাদিক রোজিনার ভার্চুয়াল আদালতে জামিন শুনানি আজ

 নিউজ ডেস্ক : চুরি ও অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে করা মামলায় মঙ্গলবার (১৮ মে) থেকে কারাগারে বন্দি রয়েছেন দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার (২০ মে) সকালে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লার ভার্চুয়াল আদালতে তার জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এদিন তিনি জামিন পাবেন বলে আশা করছেন তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার।

রোজিনার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার জাগো নিউজকে বলেন, ‌‘আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সঠিক তথ্য প্রকাশে বাধা নেই। তথ্য প্রকাশ সুরক্ষা আইন-২০১১-এর ৪ ধারায় জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সঠিক তথ্য যে কেউ প্রকাশ করতে পারবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি নিয়ে ইতোপূর্বে যে প্রতিবেদন করেছেন তা জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট। রোজিনা ইসলাম একজন পেশাদার নারী সাংবাদিক। তার বিরুদ্ধে যে ধারায় মামলা করা হয়েছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। রোজিনা ইসলামের একটি শিশু সন্তান রয়েছে, তা ছাড়া তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। সবদিক বিবেচনা করে আমরা আশা করছি, বৃহস্পতিবার রোজিনা ইসলাম আইনগতভাবে জামিন পাবেন।’

এর আগে মঙ্গলবার (১৮ মে) রোজিনা ইসলামের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে তার জামিন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (২০ মে) দিন ধার্য করেন আদালত।

এদিন সকালে তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার। অপরদিকে তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকর্তার তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে তার জামিন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন আদালত।

এরপর রোজিনার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার তার চিকিৎসার জন্য আবেদন করেন। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী তার চিকিৎসার জন্য নির্দেশ দেন। এরপর প্রিজনভ্যানে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই রয়েছেন।

রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে সোমবার (১৭ মে) রাতে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ উসমানী।

সচিবালয়ে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখার পর সোমবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে শাহবাগ থানায় আনা হয়। তার বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া মোবাইল ফোনে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তোলা এবং আরও কিছু নথি লুকিয়ে রাখার অভিযোগ এনেছে মন্ত্রণালয়।

নওগাঁয় জেএমবি সদস্যের ৩বছরের সশ্রম কারাদন্ড

সালমান ফার্সী (সজল) নওগাঁ : নওগাঁয় জেএমবি সদস্যের ৩বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (২৩মার্চ) দুপুরে নওগাঁ জেলার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত হাতেম আলী নামের এক জেএমবি সদস্যের ৩বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে। বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার মামলার শুনানি শেষে এই রায় প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেলা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ২০১৬ সালে ১২জুন রাতে মান্দা থানার তালপাতিলা গ্রামের মৃত তানজেম আলীর ছেলে আসামী হাতেম আলীর বাড়ি ঘেরাও করে তার শয়ন ঘর থেকে উক্ত জেএমবি সদস্যের নিকট থেকে ৩শ গ্রাম করে ৯শ গ্রাম ওজনের ৩টি ককটেল উদ্ধার করেন। আসামী জনমনে আতংক ও নাশকতামূলক কর্মকান্ডের জন্য বিস্ফোরক দ্রব্য রাখায় একই তারিখে মান্দা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। বিচারকালে রাষ্ট্রপক্ষ মোট ১১জন সাক্ষী উপস্থাপন করেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ মঙ্গলবার নওগাঁর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও অতিরিক্ত দায়রা জজ মেহেদী হাসান প্রকাশ্য আদালতে এই রায় ঘোষনা করেন। পরে তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এ্যাডভোকেট সঞ্জিব কুমার সরকার ও আসামী পক্ষে এ্যাডভোকেট আবু জাহিদ মো: রফিকুল ইসলাম।

নওগাঁ আদালত চত্ত্বরে আইনজীবিকে মারপিট ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে পুলিশদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় শনিবার পর্যন্ত আদালতের কার্যক্রম বন্ধ।

সালমান ফার্সী (সজল): নওগাঁ আদালত চত্ত্বরে আইনজীবি আবু সাঈদ মুরাদকে মারপিট ও লাঞ্ছিত অভিযোগে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে দোষী পুলিশদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় আদালতের কার্যক্রম শনিবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার থেকে আদালতের কার্যক্রম শুরু করা হলেও কালো ব্যাচ ধারনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও দোষিদের শাস্তির জন্যে রবিবার হাই কোর্টে রিটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি)দুপুরে নওগাঁ বার এ্যাসোসিয়েশন হল রুমে জরুরী বৈঠক শেষে বারের সভাপতি এ্যাড. খোদাদাদ খান পিটু এ তথ্য জানান।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা এ্যাডভোকেট বার এ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এ্যাড. আবু সাঈদ মুরাদ পেশাগত দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে কোর্ট চত্বরে প্রবেশ করার সময় প্রধান গেইটে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তাঁকে বাধা প্রদান করে। নিজেকে আইনজীবি পরিচয় দেয়ার পরও তাকে রিক্সা নিয়ে ঢুকতে দেয়া হয় না এবং তাকে অশালীন ভাবে গালিগালাজ করা হয়। এরপর কর্তব্যরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রাজিব, পুলিশ সদস্য মুক্তার হোসেনসহ ১০/১৫ জন পুলিশ তাকে লাঠিসোটা দিয়ে মারপিট শুরু করে। এ সময় কোর্ট চত্বরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনার পর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে কোর্টের সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। গতকাল সকাল ১১টার মধ্যে দোষী পুলিশদের সাময়িকভাবে বরখাস্তসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।    

 

ঝালকাঠিতে গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপের অপরাধে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন !
ঝালকাঠি  : ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় এসিড নিক্ষেপ করে রুনু আক্তার (৩৬) নামের এক গৃহবধূর শরীর ঝলসে দেওয়ার অপরাধে দুলাল হাওলাদার (৪১) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জারিমানা, পরিশোধ না করলে আরও ৬ মাসের কারাদ- প্রদান করেন আদালত। মঙ্গলবার (১৩,অক্টোবর)বিকেলে এসিড অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল ১ এর বিচারক জেলা দায়রা ও জজ মোঃ শহিদুল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার অপর আসামি হাসিনা বেগম (৪৬) নামে এক নারীকে খালাস প্রদান করা হয়। জামিন নিয়ে পলাতক থাকায় দ-প্রাপ্ত দুলাল হাওলাদার রায় ঘোষণার সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। সে কাঁঠালিয়া উপজেলার আওড়াবুনিয়া গ্রামের মৃত তানছুর হাওলাদারের ছেলে। মামলার বিবরণে জানা যায়, কাঁঠালিয়ার পূর্ব ছিটকি গ্রামের লাল মিয়ার সঙ্গে ২০১৩ সালে প্রতিবেশী রব্বে আলীর মেয়ে রুনু আক্তারের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। পরে লাল মিয়া হাসিনা বেগম নামে একজনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ে বিচ্ছেদ হওয়ার পরেও রুনু আক্তারের ২ বছরের মেয়ের খোঁজ খবর রাখতেন বাবা লাল মিয়া। মাঝে মাঝে তাঁর মেয়েকে আদর করে বিস্কুট কিনে দিতেন। এতে লাল মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী হাসিনা বেগম ক্ষিপ্ত হন। হাসিনা বেগমের প্রোরচনায় তাঁর পরিচিত দুলাল হাওলাদার রুনু আক্তারের শরীরে এসিড নিক্ষেপের ষড়যন্ত্র করেন। ২০১৪ সালের ৩ মার্চ দিবগত রাত একটার দিকে পূর্ব ছিটিকির বাবার বাড়ি থেকে রুনু আক্তার প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে বাহিরে বের হন। এ সময় দুলাল হাওলাদার গামলায় ভরা এসিড রুনু আক্তারের শরীরে নিক্ষেপ করেন। এতে তাঁর স্তন, পেট, কোমর, হাত ও পা ঝলসে যায়। এ ঘটনায় পরেরদিন রুনু আক্তারের মা রেহানা বেগম বাদী হয়ে দুলাল হওলাদার ও হাসিনা বেগমসহ চার জনকে আসামি করে কাঁঠালিয়া থানায় এসিড সন্ত্রাস আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। কাঁঠালিয়া থানার উপপরিদর্শক মোঃ আবদুস সালাম একই বছর ৭ জুন দুলাল হাওলাদার ও হাসিনা বেগমের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৬ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলায় ১০ জন সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। লাল মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী হাসিনা বেগমের (৪৬) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাকে বেখসুর খালাস প্রাদন করেন।



নওগাঁয় আদিবাসী নেতা আলফ্রেড সরেন হত্যাকান্ডেরবিচারের দাবীতে কুড়ি বছর,২০তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত


কাজী কামাল হোসেন,নওগাঁ : দিন, সপ্তাহ, মাস এভাবে বছরের পর বছর। এরপর দেড় যুগ পেরিয়ে আদিবাসী নেতা আলফ্রেড সরেন হত্যার বিচারের অপেক্ষায় কেটে গেলো ২০ বছর। আজ (১৮ আগষ্ট) বহুল আলোচিত নওগাঁর আদিবাসী নেতা আলফ্রেড সরেন এর ২০ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে। ২০ বছর আগে আদবিাসী নেতা আলফ্রেড সরেন ভূমি দস্যুদের হাতে নির্মম ভাবে নিহত হলেও এখনো ওই মামলার কোন সুরাহা হয়নি। ওই মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে আদিবাসীদের রয়েছে সংশয়। তাদের অভিযোগ জামিনে থাকা আসামীরা তাদের অব্যাহত ভাবে হুমকী-ধমকী দেয়ায় ইতোমধ্যে অনেক আদিবাসী পরিবার নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর আদিবাসী পল্লী ত্যাগ করে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে অন্যত্র। অভিযোগ আছে বর্তমানে যে ক’টি পরিবার এখনো বসবাস করছে তারা ভূমিদস্যুদের ভয়ে জমিতে চাষাবাদ করতেও পারছেনা। ফলে পরিবারগুলো চরম অভাব অনটন ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করছে। পল্লীর ছেড়ে মামলার সাক্ষীরা চলে যওয়ায় মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান আলফ্রেড সরেন হত্যা মামলার বাদী আলফ্রেডের ছোট বোন রেবেকা সরেন।

নিহত আদিবাসী নেতা আলফ্রেড সরেনের ২০তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আজ (১৮ আগষ্ট) বেলা ১১টায় ১ মিনিট নিরবতা, সমাধী প্রাঙ্গনে আলোচনা সভা ও স্থানীয় কদমতলীর মোড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পাশপাশি ভীমপুরে আলফ্রেড সরেনের সমাধীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে পুস্পস্তবক অর্পন করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি পক্ষে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন সিপিপি নওগাঁ জেলা সভাপতি মহাসিন রেজা, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা এবং বাসদের জেলা সমন্বয়ক জয়নাল আবেদীন মুকুল, পঞ্চানন বর্মা, সকালই পাহান, সোনামণি সরেন সহরা, রেবেকা সরেনের নেতৃত্বে জাতীয় আদিবাসী ইউনিয়ন, রবীন্দ্রনাথ সরেন এর নেতৃত্বে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক মায়ের শাহরিয়ার রেজা, জেলা কমিটির সেক্রেটারি শামীম আহসানসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ পুস্পমাল্য অর্পণ করেন।

সরজমিন নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর আদিবাসী পল্লীতে গিয়ে দেখা যায়, আলফ্রেড হত্যা মামলার জামিনে থাকা আসামীদের অব্যাহত হুমকী ধমকীতে ২৪টি পরিবারের মধ্যে বর্তমানে ৯টি পরিবার সেখানে বসবাস করছে। বাঁকীরা প্রাণ বাঁচাতে অন্যত্র চলে গেছে। তবে অন্য স্থান থেকে এখানে এসে নতুন ৯ টি পরিবার বসবাস শুরু করেছে। নিহত আলফ্রেড সরেনের বৃদ্ধ বাবা গায়না সরেনও মারা গেছেন। আলফ্রেড সরেনের স্ত্রী জোছনা সরেন এই পল্লীতে থাকেন না। আলফ্রেডের রেখে যাওয়া ৪ বছরে মেয়ে ঝর্ণা সরেন বড় হয়েছে। বিয়ে করে থাকছে ঢাকায়। চাকরী করছে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে। আলফ্রেড সরেন হত্যাকান্ডের এক বছরের মাথায় তার মা ঠাকুরানী সরেন মৃত্যু বরন করেন।

গত ১৮ আগষ্ট ২০০০ সালের এইদিনে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর আদিবাসী পল্লীতে হাতেম-গদাই গংদের সন্ত্রাসীদের হামলায় আদিবাসী নেতা আলফ্রেড সরেন নৃসংশভাবে খুন হন। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসীরা ব্যাপক তান্ডব চালিয়ে আদিবাসী পল্লীর ১১টি পরিবারের বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাটসহ অগ্নিসংযোগ করে। ওই সময় তাদের হামলায় আদিবাসী মহিলা-শিশুসহ প্রায় ৩০ জন মারাত্মক আহত হয়। ওই সন্ত্রাসী ঘটনার পর নিরপত্তার জন্য সেখানে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয় । পরে তা গুটিয়ে নেয়া হয়।

এ মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এবং নওগাঁ জেলা সিপিবি’র সভাপতি এ্যাড. মহসীন রেজা জানান, আলফ্রেড সরেন হত্যার ঘটনায় তার বড় ভাই কমল সরেন ছোট বোন রেবেকা সরেন বাদী হয়ে হত্যা ও জননিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় পুলিশ ৯১জন আসামীর নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এর মধ্যে পুলিশ কয়েক জন আসামীকে গ্রেফতার করে। ওই সময় নওগাঁ দায়রা জজ আদালতে মামলার সাক্ষী গ্রহন শুরু হয় এবং ৪১জন সাক্ষীর মধ্যে সেই সময় ১৩ জনের সাক্ষী গ্রহন সম্পন্ন হয়েছিল। ৪ দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর জননিরাপত্তা আইন বাতিল করে। ওই সময় পলাতক সীতেষ চন্দ্র ভট্টাচার্য ওরফে গদাই (প্রয়াত) ও হাতেম আলীসহ ৬০ জনের অধিক আসামী জননিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করলে জননিরাপত্তা আইনের সকল রিট হাইকোর্ট খারিজ করে দেয়। এর ফলে আসামীরা জামিনে বেড়িয়ে আসে। এরপর বাদিগন অ্যাপিলেড ডিভিশনে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে আলফ্রেড সরেন হত্যা মামলাটি অ্যাপিলেড ডিভিশন শুনানী অন্তে পূর্নাঙ্গ শুনানীর জন্য হাইকোর্ট ডিভিশনে প্রেরন করেছে। তিনি রিটগুলো দ্রুত শুনানী করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবী জানান।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন মুকুল বলেন, আদিবাসী নেতা আলফ্রেড সরেনকে হত্যার পর অগ্নিসংযোগ করে, নারী ও শিশুদের উপর নির্যাতন করে। হত্যার পর জাতীয় আদিবাসী পরিষদের নেতৃত্বে জাতীয় নেতৃবৃন্দ নিয়ে ১৮/২০ হাজার লোকের সমন্বয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করে পরবর্তীতে সফল লড়াই করেছিলাম। তিনি বলেন, সারা দেশে আদিবাসীদের উপর নির্যাতন হচ্ছে। সরকারের নিকট অবিলম্বে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করন ও পৃথক স্বাধীন ভুমি কমিশন গঠনসহ হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান।

নিহত আলফ্রেড সরেনের ছোট ভাই মহেশ্বর সরেন বলেন, আসামীরা এখনও আমাদেরকে হত্যার হুমকী দিচ্ছে। ৬৩ বিঘা জমির মধ্যে ৩৩ বিঘা জমি তারা জবরদখল করে নিয়ে নিয়েছে। বাকী ৩০ বিঘা জমিরও ভূমি অফিসের যোগ সাজেসে চেক কেটে নিয়েছে। আমার ভাই হত্যার পর আদিবাসীরা অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছে বিচারের দাবীতে। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মূুলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।



 

পরীক্ষা ছাড়াই সনদের দাবিতে শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের সমাবেশ আজ

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০১৭ ও ২০২০ সালে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের লিখিত ও ভাইভা গ্রহণ না করে আইনজীবী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে গেজেট প্রকাশের দাবিতে আজ বার কাউন্সিলের সামনে সমাবেশ করবেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।

রোববার (১৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বাংলামোটরে বার কাউন্সিলের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ শুরু হবে। কাফনের কাপড় পরে তারা সমাবেশ করবেন।

এর আগে গত ৭ জুলাই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। এরপর সমাবেশের ডাক দেন। গত ৩০ জুন আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক ও সনদদানকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের প্রতি এই আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। এর আগে, সনদের গেজেট দেয়ার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী ও বার কাউন্সিলের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা। গত ৮ জুলাই থেকে দাবি আদায়ে আমরণ অনশনে যান তারা।

জানা গেছে, দীর্ঘ পাঁচ বছরে একটি মাত্র এনরোলমেন্ট পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ায় এবং বর্তমান করোনা ভয়াবহতার কারণে শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বর্তমানে ১২ হাজার ৮৪৮ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। এছাড়াও ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষানবিশ আইনজীবী পরবর্তী প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য অপেক্ষায় আছেন।

শিক্ষানবিশরা বলেন, আমরা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তকরণ এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়ার প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০১৭ সালের ২১ জুলাই এবং ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তীর্ণ হই। দীর্ঘ প্রায় তিন বছর বার কাউন্সিল কর্তৃক এনরোলমেন্ট পরীক্ষা সম্পন্ন না হওয়ায় আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি, উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ২০১৮ ও ২০১৯ সালে কোনো পরীক্ষা হয়নি। তবে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী তালিকাভুক্তকরণ পরীক্ষার প্রিলিমিনারি সম্পন্ন হওয়ার পর বর্তমান করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারির কারণে লিখিত পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে যায়। এমন অবস্থায় শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের বিষয় মানবিকভাবে বিবেচনা করে লিখিত পরীক্ষা মওকুফ করে অথবা লিখিত ও ভাইভা উভয় পরীক্ষা মওকুফ করে ২০১৭ ও ২০২০ সালে এমসিকিউ উত্তীর্ণদের গেজেট প্রকাশ করে সনদের প্রদানের জন্য দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে শিক্ষানবিশ আইনজীবী আইনুল ইসলাম বিশাল বলেন, আইন অনুযায়ী গেজেট বা প্রজ্ঞাপন দ্বারা ২০১৭ ও ২০২০ সালে প্রিলিমিনারি উত্তীর্ণদের সনদ প্রদান করতে কোনো বাধা নেই।


শিক্ষানবিশ আইনজীবী সুমনা আক্তার লিলি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আইনের ছাত্র ছিলেন। কিন্তু আজ আমরা জাতির পিতার বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করে আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত, তিন বছর একটি পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করছি। বার কাউন্সিলের বর্তমান কমিটি যেহেতু এখন পর্যন্ত কোনো এনরোলমেন্ট পরীক্ষা পুরোপুরি সম্পন্ন করতে পারেনি এবং বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে লিখিত পরীক্ষা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য অনিশ্চিত সেহেতু ২০১৭ ও ২০২০ সালে প্রিলিমিনারি উত্তীর্ণদের লিখিত ও ভাইভা মওকুফ করে গেজেট প্রকাশ করে ২০২০ সালেই সনদ প্রদান করা হোক।

ক্রেস্টের এমডির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৩১ আগস্ট

গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. শহিদুল্লাহ ও তার স্ত্রী (পরিচালক) নিপা সুলতানার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল মামলার এজাহার গ্রহণ করে এ দিন ধার্য করেন।

বুধবার (৮ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত সূত্র এ তথ্য জানায়।

আদালতের সূত্র মতে, মঙ্গলবার (৭ জুলাই) তাদের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় করা প্রতারণার মামলার এজাহার আসে আদালতে। বিচারক মামলার এজাহার গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

এর আগে সোমবার (৬ জুলাই) দুপুরে লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে ডিবির রমনা বিভাগ। এরপর পল্টন থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়।

ডিবির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) এইচ এম আজিমুল হক বলেন, ‘শত শত গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ লিমিটেডের মালিক মো. শহিদুউল্লাহ সস্ত্রীক আত্মগোপনে যান। প্রতারণার শিকার ব্যক্তিদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

গত ২৩ জুন বিনিয়োগকারীদের টাকা আত্মসাৎ করে গাঢাকা দেয় শেয়ার ও ইউনিট বেচাকেনার মধ্যস্থতাকারী ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের মালিকরা। ওইদিন থেকে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রয়েছে। শহিদুল্লাহকে খুঁজে না পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই হাউসের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা বিনিয়োগকারীরা।


এ ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। তারা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) দুই প্রতিনিধিসহ তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। এই কমিটি বিনিয়োগকারীদের অর্থ লোপাটের পরিমাণসহ বিস্তারিত তুলে ধরবে। একই সঙ্গে, বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রি করলেও তারা কেন মুঠোফোনে মেসেজ পাননি, এজন্য সিডিবিএলের কোনো ঘাটতি আছে কি-না, তা অনুসন্ধান করবে। এছাড়া হাউসটির মালিকরা যেন বিদেশে যেতে না পারেন, সেজন্য ডিএসই থেকে পল্টন থানায় অভিযোগ করা হয়। পাশাপাশি মালিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুরোধ করা হয়। এখন তাদের ১০টির বেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে।

শহিদুল্লাহ আত্মগোপনে চলে গেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর এমডি বলেন, ব্রোকারেজ হাউসটিতে ২১ হাজার বিনিয়োগকারীর ৮২ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট ফ্রিজ করা হয়েছে। তবে হাউসটির দেনা-পাওনার বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়।

এদিকে বন্ধ করার আগে ব্রোকারেজ হাউসটি থেকে প্রায় ৭০ লাখ টাকার শেয়ার কেনা হয়। তবে এর বিনিময়ে ডিএসইকে দেয়া চেক বাউন্স করে। ফলে হাউসটির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ডিএসই। তাদের কাউকে না পেয়ে কেনা শেয়ারগুলো সাময়িকভাবে ফ্রিজ করে রাখে। পরে ওই শেয়ারগুলো বিক্রি করে পাওনা পরিশোধ করে ডিএসই।

সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সকল আদালত খুলে দেয়ার দাবি

অবিলম্বে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টসহ সকল আদালতের নিয়মিত কার্যক্রম (কোর্ট) শুরুর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সুপ্রিমকোর্টের কয়েকজন আইনজীবী। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাধারণ আইনজীবী পরিষদের ব্যানারে এই মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোমতাজউদ্দিন আহমদ মেহেদীর নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের বেশ কয়েকজন আইনজীবী এ মানববন্ধন ও সমাবেশে অংশ নেন।

এর আগে গত ২১ জুন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাংলাদেশের ৬০ হাজার আইনজীবীর জীবন-জীবিকার স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সকল আদালতের নিয়মিত কোর্ট চালু করে দিতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন আইনজীবী মেহেদী।

আবেদনে বলা হয়েছিল, গত ১৩ মার্চ থেকে সুপ্রিম কোর্ট এবং ২৬ মার্চ থেকে দেশের সকল আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বিগত তিন মাস আইনজীবীরা নিয়মিত কোর্ট করতে না পারায় অধিকাংশ আইনজীবী চরম অর্থ সংকটে পড়েছেন এবং বিচারপ্রার্থী জনগণের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। ইতোমধ্যে সরকার ভার্চুয়াল বিচার ব্যবস্থা চালু করেছে। বাংলাদেশের ৯৫% আইনজীবীর প্রশিক্ষণ না থাকায় ও ইন্টারনেট সুবিধার অভাবে ভার্চুয়াল কোর্টে মামলা করতে পারছেন না। অধিকাংশ আইনজীবীর সঞ্চিত টাকা নেই। করোনা একটি দীর্ঘ মেয়াদি বৈশ্বিক সমস্যা। কোভিড- ১৯ কতদিন স্থায়ী হবে তা কেউই জানে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের মতে মানব জাতিকে দীর্ঘদিন ধরে করোনা মোকাবিলা করেই টিকে থাকতে হবে। প্রয়োজন সচেতনতা ও সাবধানতা। জীবন তো আর থেমে থাকতে পারে না এবং জীবিকা ছাড়া জীবন অচল।

ঢাকাইয়া আজিজ হত্যা মামলার রায় পেছাল

রাজধানীর লালবাগের কাচ ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ চাকলাদার ওরফে ঢাকাইয়া আজিজ নিখোঁজের পর খুনের মামলার রায় পিছিয়ে ১ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুতি না হওয়ায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান নতুন এ দিন ধার্য করেন।

আদালতের পেশকার ফোরকান মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মাকসুদ ও আমানুল্লাহর সঙ্গে ভাঙা কাচের ব্যবসা করতেন আব্দুল আজিজ চাকলাদার। তারা দুজন আজিজের কাছে ব্যবসায়িক কারণে ২৫ হাজার টাকা পেতেন। টাকা লেনদেনের কারণে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়।

১৯৯৮ সালের ৫ মার্চ সকাল ৭টায় আজিজ চাকলাদার ওরফে ঢাকাইয়া আজিজ লালবাগ রোডের বাসা থেকে খুলনা যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। আজিজকে খুঁজে না পেয়ে ছোট ভাই বাচ্চু মিয়া লালবাগ থানায় একটি জিডি করেন। এর ১২ দিন পর একই বছর ১৭ মার্চ মাকসুদ ও আমানুল্লাহ নামে দুজনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অপহরণ মামলা করেন বাচ্চু মিয়া। তদন্ত চলাকালে রূপসা নদী থেকে আজিজের মাথার খুলি ও হাড্ডি উদ্ধার করা হয়।

২০০০ সালের ৪ এপ্রিল লালবাগ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক আব্দুর রাকিব খান সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরা হলেন- খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, লস্কর মোহাম্মদ লিয়াকত, মো. নূরে আলম, ইদ্রিস জামাই, জয়নাল, জামাই ফারুক ও মো. রুস্তম আলী।

চার্জশিটভুক্ত সাত আসামির মধ্যে কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের অন্য মামলায় ২০০৪ সালের ১০ মে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। অপর আসামি লস্কর মো. লিয়াকত বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

মামলাটিতে দুই আসামি জামাই ফারুক ও ইদ্রিস জামাই কারাগারে আছেন। অপর দুই আসামি জয়নাল ও রুস্তম আলী পলাতক আছেন।

মামলায় ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ছয়জন ও রাজসাক্ষী হিসেবে নূরে আলম আদালতে সাক্ষ্য দেন।

নওগাঁয় ইউএনও হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে হতে রক্ষা পেল জেসমিন

ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর নিয়ামতপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারিয়া পেরেরার হস্তক্ষেপে অল্পের জন্য বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল ভবানীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০১৯ সালের জেএসসি পরীক্ষার্থী জেসমিন। সে উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের ডিমা গ্রামের হুমায়ন কবিরের মেয়ে।
জানা যায়, ১২ অক্টোবর শনিবার বেলা ১১ টায় ৩৩৩ থেকে ফোন ও এসএমএস পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানতে পারেন যে, ভবানীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী জেসমিনের বিয়ের আয়োজন চলছে। এমন সংবাদে ইউএনও এবং (ভারপ্রাপ্ত) ওসি হুমায়ন কবির ও পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। গিয়ে শুনেন কিছ্ক্ষুণ পূর্বেই জেসমিনকে সঙ্গে নিয়ে গোপনে বিয়ে দেওয়ার জন্য তার বাবা-মা মান্দার বালুবাজার এলাকার কাজী অফিসের দিকে রওনা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে মান্দা উপজেলার ইউএনও আব্দুল হাকিম এবং ওসি মোজাফ্ফর হোসেনকে বিষয়টি জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করতে বলেন নিয়ামতপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারিয়া পেরেরা
নিয়ামতপুরের ইউএনও জেসমিনের পিতার সাথে ফোনে কথা বললে, তারা ভয় পেয়ে মেয়েকে নিয়ে মাঝপথ থেকে নিজ গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। জেসমিন জানায় পারিবারিক অভাব অনটনের জন্য তার বাবা মা বিয়ের জন্য চাপ দিয়েছিল। এ বিষয়ে জেসমিনের পিতা ভুল স্বীকার করেন। তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারিয়া পেরেরার সামনে ১৮ এর আগে মেয়ের বিয়ে দিবেননা মর্মে মুচলেকায় সাক্ষর করেন।
নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারিয়া পেরেরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বেলা ১১ টায় ৩৩৩ থেকে ফোনে জানতে পারি বাল্য বিয়ের ঘটনা। ঘটনা স্থলে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করি ও মেয়েটির লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিল হতে আর্থিক সহায়তা করা হবে।

ঝালকাঠির রাজাপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ৯১হাজার টাকা জরিমানা আদায়

রিপোর্ট : ইমাম হোসেন: ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে ব্যবসায়ী ও মটর সাইকেল চালকদের আর্থিক জরিমানা সহ ৯১ হাজার টাকা আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

২২জুলাই সোমবার দুপুরে জেলাপ্রশাসন কার্যালয়ের নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট বশির আহমেদ গাজী ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু মোঃ ইজাজুল হক যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় উপজেলা শহরের দুইটি ফার্মেসী,একটি ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ও দুইজন মটরসাইকেল চালককে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনার সময় অবৈধ ঔষুধ বিক্রি ও সংরক্ষন,ঔষধ সংরক্ষনের জন্য ব্যবহারিত ফ্রিজে মাছ ও কাঠাল সংরক্ষনের অপরাধ সহ মেয়াদ উত্তির্ন ঔষুধ ফার্মেসিতে সংরক্ষনের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাদেরকে আইনের বিভিন্ন ধারায় দোষী সাবস্ত্য করে তাদের কাছ থেকে নগদ ৯১হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। 

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় অবৈধ ঔষুধ বিক্রি ও সংরক্ষনের অপরাধে বাইপাশ মোড় এলাকার হিরু ফার্মেসীকে ঔষুধ আইনের ১৯৮০ এর ১৮ এর ক ধারায় ২০হাজার টাকা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সামনে মমতাজ ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের ল্যাবের ঔষুধের ফ্রিজে মাছ ও কাঠাল রাখার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ৪০ হাজার টাকা, মেয়াদ উত্তির্ন ঔষুধ বিক্রয় করার অপরাধে হালিমা মেডিকেল হলকে ৩০ হাজার টাকা ও দুইজন মটরসাইকেল চালককে ৫শত টাকা করে মোট ০১হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের সময় ঝালকাঠি জেলার ড্রাগ সুপার এস.এন আরিফিন সহ রাজাপুর থানা পুলিশের একটি টিম অংশ গ্রহন করে। অপর দিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে থেকে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানাযায়।

 
ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে মামলা "অন্যায়ের প্রতিবাদের উৎসাহ হারাবে"  সাংবাদিক আজাদ
রিপোর্ট : ইমাম বিমান:ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে হিন্দু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি সুমন কুমার রায়ের পৃথক আইনে একাধিক মামলা করার ঘোষনাকে " অন্যায়ের প্রতিবাদের উৎসাহ হারাবে " বলে মনে করেন সাংবাদিক তথা বিশিষ্ট কলামিষ্ট আবুল কালাম আজাদ।

এ বিষয় সাংবাদিক ও কলামিষ্ট আবুল কালাম আজাদ তার প্রতিক্রিয়াতে জানান,
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে হিন্দু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি- সুমন কুমার রায় তার ব্যবহারিত ব্যক্তিগত প্রফাইলে স্ট্যাটাস দেয়ার মাধ্যমে তিনি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত সোস্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে পৃথক আইনে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর ব্যারিস্টার সায়দুল হক সুমনের বিরুদ্ধে পৃথক আইনে মামলা করার কথা জানতে পেরে সায়দুল হক সুমন  বলেন, মামলা করা একটি সাংবিধানিক অধিকার। যে কেউ কারো বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। এটাই বাংলাদেশের নিয়ম হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন আজ তার এ কথা দ্বারাই কি প্রমানিত হয় না যে তিনি আইনের প্রতি, দেশের মানুষের অধিকার রক্ষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল যেখানে আইনজীবী সুমনও এ দেশের নাগরিক তাই তিনি আইনজীবী সুমন কতৃক তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতির কথা শুনেও সে তার কথা না ভেবে সে নাগরিক স্বাধীনতার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তাই সায়দুল হক সুমনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা আর "অন্যায়ের প্রতিবাদের উৎসাহ হারানো" একই বলে মনে করি।

সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ এ বিষয় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, তরুণ মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক ও কলামিস্ট- আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে সমাজে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার মতো সাহসী মানুষের বড়ই অভাব। ব্যরিষ্টার সায়েদুল হক সুমন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমাজের নানা অসঙ্গতিগুলো সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জনসম্মুখে তুলে ধরেন, সজাগ ও সচেতন করেন প্রশাসনসহ সাধারণ জনগণকে। খুব অল্পসময়ে সকল পেশা শ্রেণীর মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তরুণ এই আইনজীবী। সম্প্রতি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেত্রী প্রিয়া সাহা, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে, দেশের মান ক্ষুন্ন করে, সারাদেশে ঝড় তুলেছেন।

তথাপি বিষয়টি সোস্যাল মিডিয়াসহ সমস্ত পত্রপত্রিকায় তার বিরুদ্ধে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।  রাষ্ট্রদ্রোহিতার মতো ন্যাক্কারজনক অপরাধে, তার বিরুদ্ধে দেশের অসংখ্য সাধারন নাগরিক মামলার প্রস্তুতি নেয়। তারই অংশ হিসেবে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন (১৯ জুলাই) রাতে তার ফেসবুক লাইভে প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষের হয়ে মামলা করার ঘোষণা দিয়ে, কোটি কোটি বাঙ্গালীর প্রসংশা কুড়িয়েছেন। এবং গতকাল রবিবার পেনাল কোডের ১২৩ (এ), ১২৪ (এ) ও ৫০০ ধারায় মামলাটি আমলে নেয়ার জন্য ব্যারিস্টার সুমন আদালতে আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পরে খারিজের আদেশ দেন।

সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সাথে ইসলামী উগ্র মৌলবাদী দ্বারা তার বাড়ীঘর পুরিয়ে ফেলা হয়েছে এবং ৩৭ মিলিয়নে অধিক হিন্দুদের দেশ ছাড়া করেছেন আজ তারই ধারাবাহিকতায় দেশের সর্ব স্তরের মানুষ যেখানে হিন্দু বৈদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের দায়িত্বশীল পদে থাকা প্রিয়াকে দেহদ্রহীতার দোষারোপ করছেন ঠিক ব্যরিস্টার সায়দুল হক সুমুন এ দেশের নাগরিক হিসেবে প্রিয়ার বিরুদ্ধে ফেইসবুক লাইভে মামলা করার ঘোষনা দেন। আজ বেরিস্টার সুমন সহ প্রিয়ার বিরুদ্ধে সারাদেশ থেকে দায়েরকৃত সবগুলো মামলাই আদালত খারিজ করে দেয়। সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে মামলা নতুন একটি বিতর্কিত বিষয়ের সৃষ্টি করতে পারে।
 
এ বিষয় উক্ত আইনজীবী সুমন কুমার রায় বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে একটি এবং মানহানির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে দুই ধরনের অভিযোগ আনার সুযোগ আছে। একটি ২৯৫ (ক) ধারায়। অপরটি ফেসবুক লাইভে মানহানি করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধিত ধারায় অভিযোগ আনা হবে।

নওগাঁর আত্রাইয়ে সাংবাদিকদের সাথেনবাগত ওসি’র মতবিনিময়

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর আত্রাইয়ে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আত্রাই প্রেসক্লাবের সভাপতি রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে ও আত্রাই থানার ওসি তদন্ত আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন আত্রাই থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোসলেম উদ্দিন।

বক্তব্যে তিনি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করে বলেন, আত্রাই থানাকে মডেল থানা হিসেবে গড়তে সাংবাদিক ও পুলিশকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। আত্রাইবাসীকে মাদক মুক্ত সুন্দর উপজেলা উপহার দিতে পুলিশ প্রশাসন সর্বাত্তক সচেষ্ঠ থাকবে। যুব সমাজকে সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তা প্রদান করতে মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার বিকল্প নেই। এতে সাংবাদিক ও প্রশাসনকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। সাংবাদিকদের সর্বাত্ত্বক সহযোগীতার আশা প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। সংবাদ প্রকাশে সদা সত্য ঘটনা তুলে ধরতে হবে। মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশে বিরত থাকতে হবে। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন আত্রাই প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসাইন সেন্টু, আত্রাই প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আব্দুল মজিদ মল্লিক, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক নাজমুল হক নাহিদ,  সাংবাদিক মুজাহিদ খান, রুহুল আমীন, ছাবেদ আলি, মোঃ আল- আমিন মিলন, ফিরোজ হোসেন, তপন কুমার সরকার প্রমূখ। #

ঝালকাঠিতে মুক্তিযোদ্ধার বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ সুপারের ঘটস্থল পরিদর্শন

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলাধী নবগ্রাম ইউনিয়নের খাদৈক্ষিরা গ্রামে ডাকতি হওয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাঞ্চন আলী মিয়ার বাড়ি পরিদর্শন করেছেন ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন। ১৬ জুলাই মঙ্গলবার সকালে ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন নবগ্রাম ইউনিয়নের খাদৈক্ষিরা গ্রামে একই রাতে পাশাপাশি দুটি বাড়ীতে চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় টিপু সুলতান ও তার বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা কাঞ্চন আলি মিয়ার বাড়ি পরিদর্শন করেন। সেই সাথে টিপু সুলতানের ঘর চুরি ও তার বড় ভাই কাঞ্চন আলি মিয়ার ঘরে ডাকাতির সাথে জড়িতদের দ্রুত বের করে মূল রহস্য উদঘাটনের আশ্বাষ দেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এমএম মাহমুদ হাসান, ঝালকাঠি সদর থানার ওসি শোনীত কুমার গাইন উপস্থিত ছিলেন।

প্রসংগত, গত ২ জুলাই দিবাগত রাত আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটের সময় নবগ্রাম ইউনিয়নের খাদৈক্ষিরা গ্রামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাঞ্চন আলী মিয়ার পাকা বসত ঘরের সামনে স্থাপিত ফ্লাক্সিবল গেটের তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে মূল দরজা ভেঙ্গে ৮ জন লোক অস্ত্র নিয়ে ঘরে ঢুকে। দরজা খুলে ঢোকার পর ডাকাত দল কাঞ্চন আলী মিয়ার হাত পা বেধে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্নী করে সেই সাথে তার প্রতিবন্ধি মেয়ের সামনে অস্ত্র ধরে বার বার হত্যার হুমকি দেয়। কন্যার হত্যা করার ভয় দেখালে প্রতিবন্ধী কন্যাকে বাঁচাতে  ঘরের আলমিরার চাবি দিয়ে দিলে ডাকত দলের সদস্যরা তার ঘরে থাকা নগদ ১ লাখ ২২ হাজার টাকা, সারে ৯ ভরি স্বর্ণ, ১ টি ল্যাপটপ, ২ টা মোবাইলসহ অন্য জিসিনপত্র নিয়ে যায়। এ বিষয় টিপু সুলতান জানান, একই রাতে সংগঠিত চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঝালকাঠি থানায় জানানো হলে পরের দিন সকালে ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শোনিত কুমার গায়েন ঘটনাস্থান পরিদর্শন করে থানায় অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ দেন। থানা ওসির পরামর্শ মোতাবেক বড় ভাই কাঞ্চন আলি মিয়াকে নিয়ে ৩ জুলাই বিকেলে ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে যাই। তিনি আমাদের একটি অভিযোগ দায়ের করতে বললে আমরা ডাকাতি মামলার অভিযোগ লেখার কথা বললে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাকে চুরি মামলা করার পরামর্শ দেন। তার পরামর্শ মোতাবেক আমি একটি চুরি মামলা দায়ের করি যাহার নম্বর ০৫/১৬৭।

মামলা দায়েরর পর কিছুদিন অতিক্রম হলে মামলার বিষয় থানা পুলিশের কোন তৎপরতা না দেখায় আমি ও আমার বড় ভাই ঝালকাঠি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ হাসানের স্বরনাপন্ন হই। তিনি মামলাটির বিষয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাষ দেন। গতকাল ১৫ জুলাই  আমরা দুই ভাই পুনরায় ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপারের নিকট স্বরনাপন্ন হয়ে তাকে ডাকাতির বিষয় অবগত করলে তিনি আজ ১৬ জুলাই আমাদের বাড়ীতে এসে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহেনের আশ্বাস দেন।

কোচিং বাণিজ্যকে নতুন ধরনের অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেছেন, ক্লাস রুমে পড়ানোর ব্যর্থতার কারণেই কোচিং বাণিজ্য হচ্ছে। এসময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও কার্যকর করার কথা বলেছেন আদালত।রোববার এ বিষয়ে শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন আদালত।এই বাণিজ্য বন্ধে করা নীতিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটের রায় ঘোষণার তারিখ আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়।

এ বিষয়ে করা কয়েকটি পৃথক রিটের ওপর শুনানির পর আজ রোববার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।আদালতে রিটকারীদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল-ইসলাম এবং দুদকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।শুনানির সময় অ্যামিকাস কিউরি ফিদা এম কামাল আদালতকে বলেন, ‘সিস্টেম ফেইলের কারণে কোচিং বাণিজ্যের মতো বিষয় ক্লাসের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

’দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, কোচিং বাণিজ্য নিয়ে আজকে রায় দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। এ মামলায় দুজন অ্যামিকাস কিউরি ছিলেন, একজন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল হাসান আরিফ, তিনি তার বক্তব্য আগেই শেষ করেছেন। আজকে আরেকজন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল তার বক্তব্য দিয়েছেন। উনি খুব বিশদভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, কোচিং বাণিজ্য হলে কী কী হতে পারে, না হতে পারে। আদৌ এটা অ্যালাউ করা ঠিক কিনা- উনি আদালতের কাছে সময় চেয়েছেন লিখিত আর্গুমেন্ট দিবেন।

আদালত উনার কথা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে শুনেছেন এবং আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি রায় দেওয়ার জন্য দিন ধার্য করেছেন। আগামী রোববারের মধ্যে ফিদা এম কামালকে উনার লিখিত বক্তব্য জমা দিতে বলেছেন।’প্রসঙ্গত, কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষককের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সেজন্য কারণ দর্শাতে নোটিশ দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ওইসব নোটিশ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২ নিয়ে ওই শিক্ষকেরা হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। তখন হাইকোর্ট রুল জারি করেন।

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর ধামইরহাটে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে ১৪ জন কে আটক করেছে থানা পুলিশ। জানা গেছে, গত সোমবার ও মঙ্গলবারে ধামইরহাটের বিভিন্ন এলাকায় থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালায়। এ বিশেষ অভিযানে নেতৃত্বদেন পতœীতলা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তারেক জুবায়ের। এব্যাপারে ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো.ছানোয়ার হোসেন বলেন,পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৪ জন আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো উপজেলার খয়েরবাড়ী গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী শামসুল (৬০),দাদনপুর গ্রামের মাদকসেবী আব্দুর রশিদ,আব্দুল মমিন (৩৫), অমল চন্দ্র পাহান (২৮), বাখরপুর গ্রামের মাদকসেবী কবিরাজ আব্দুল হাকিম (৩০), ফার্শিপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৩০), উত্তর চকরহমত গ্রামের ইয়াকুব আলী (৫৫), কালুপাড়া গ্রামের মো.আমিনুল ইসলাম (৩৫),পৌর সদরের আমাইতাড়া গ্রামের রাসেল (২০),জোতওসমান গ্রামের খোরশেদ আলম (৫৮),চকহরিহরপুর গ্রামের শ্রী মিঠু (৩০),বৈদ্যবাটি গ্রামের শ্রী সনাতন বর্মন (৪৫),উত্তর জাহানপুর গ্রামের আজাদুল (২০)। এদের মধ্যে আজাদুল ইসলাম কে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সফিউজ্জামান ভুইয়ার ভাম্যমান আদালতে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। অপরদিকে উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত বড় শিবপুর ধানগোলা গ্রামের আব্দুল মজিদের মেয়ে সদ্য এসএসসি পাশকৃত মরিয়ম আক্তার (১৬) কে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করার অপরাধে একই গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে ইউসুফ আলী (১৮) কে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। আটককৃদের কাছ থেকে হেরোইন, ইয়াবা,গাজাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক আটক করা হয়। এলাকাবাসী এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে তা অব্যহত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আরো দুই মামলায় জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হবে আজ। মামলা দুটি হলো, বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা অবমাননা করা ও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালন। মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

 সোমবারের কার্যতালিকায় থাকা দুটি মামলা উত্থাপন করা হলে আদালত শুনানির জন্য আজকের দিন ঠিক করেন।

এদিন আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা।

এদিকে গতকাল সকালে কুমিল্লার দুটি মামলায় ৬ মাসের জামিন পান খালেদা জিয়া। এ ছাড়া নড়াইলে মানহানির একটি মামলায় উত্থাপিত হয়নি মর্মে তার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

পরে দুপুরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম চেম্বার আদালতে বেগম খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল করেছেন।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলায় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। সেই থেকে তিনি পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরান কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। ওই মামলায় আপিলের পর খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। যেটি গত বৃহস্পতিবার বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। আইনজীবীরা জানান, খালেদার বিরুদ্ধে অন্তত আরও ছয়টি মামলা গ্রেপ্তার দেখানো রয়েছে। তাকে কারাগার থেকে মুক্তি পেতে ওই সব মামলায় জামিন পেতে হবে।

পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয় তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন মহামান্য হাইকোর্ট। রবিবার বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এ সময় আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিইআরসি, বিইআরসি-এর চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

২০১৭ সাল্বের ২৩ নভেম্বর বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। প্রতি ইউনিট (এক কিলোওয়াট ঘণ্টা) বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয় গড়ে ৩৫ পয়সা বা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।

পরে বিদ্যুতের ওই দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ২৩ মে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে বাংলাদেশ কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন (ক্যাব)।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget