Articles by "অর্থনীতি"
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় দুই সার ডিলারকে মোট ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। আজ বুধবার দুপুরে আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকতেখারুল ইসলাম এই অভিযান পরিচালনা করেন।

ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকতেখারুল ইসলাম বলেন, কৃষকদের নিকট ন্যায্য দামের চাইতে বেশি দামে সার বিক্রি করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার জাতআমরুল বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ওই বাজারের মেসার্স সুমি ইন্টারপ্রাইজের মালিক সার ডিলার সাইফুল ইসলামকে ৫০ হাজার এবং একই বাজারের সার ডিলার মেসার্স নজরুল ট্রেডার্সকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

মাছ শূন্য আত্রাইয়ের শুঁটকি পল্লী লোকসানের শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা

তৌফিক তাপস, নওগাঁ : উত্তরাঞ্চলের মৎস্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ে এবার দেশীয় প্রজাতি মাছের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে শুঁটকি তৈরির ভরা মৌসুমেও শুঁটকি ব্যবসায়ীদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম স্থবিরতা।

মৌসুমের শুরুতেই শুঁটকি তৈরির জন্য সাজ-সরাঞ্জাম প্রস্তুত করা হলেও মাছের অভাবে সেগুলো এখন মাছ শূন্য ফাঁকা পড়ে রয়েছে। অন্যান্য বারের মত এবারে এলাকায় তেমন বন্যা না হওয়ায় নদী ও খাল বিলের পানি আগাম সুখিয়ে যাওয়ায় যে সময় দেশী মাছে বাজার সয়লাব থাকার কথা সেই সময় দেখা মিলছে না দেশী মাছের। ফলে শুঁটকি ব্যবসায়ীদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা।

জানা যায়, উত্তর জনপদের মৎস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত স্থান সমুহের মধ্যে আত্রাইও একটি বিখ্যাত স্থান। প্রতিদিন শতশত টন মাছ আত্রাই থেকে রেল, সড়ক ও নৌ পথে দেশের বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করা হয়। সে অনুযায়ী শুঁটকি উৎপাদনেও আত্রাইয়ের যথেষ্ট প্রসিদ্ধি রয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ উত্তরাঞ্চলের রংপুর, নিলফামারী, সৈয়দপুর, কুড়িগ্রাম, দিনাজুপরসহ দেশের প্রায় ১৫/২০ জেলাতে বাজারজাত করা হয় আত্রাইয়ে শুঁটকি মাছ। আর এ মাছের শুঁটকি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন প্রায় শতাধিক পরিবার। উপজেলার ভরতেঁতুলিয়া গ্রাম শুঁটকি তৈরীতে বিশেষভাবে খ্যাত। এ গ্রামের শতাধিক শুঁটকি ব্যবসায়ী এ পেশার সাথে সম্পৃক্ত। শুধু বর্ষা মৌসুমে শুঁটকি তৈরি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করে তারা পরিবারের সারা বছরের ভরণপোষণ নিশ্চিত করেন। এবারে বন্যা কম হওয়ায় নদী ও খাল-বিল আগাম সুখিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে দেশীয় প্রজাতি মাছের সংকট। ফলে বাজারে মাছ কম কিন্তু মূল্য বেশি হওয়ায় শুঁটকি তৈরিতে খরচ অনেব বেড়ে যাওয়ায় শুঁটকি ব্যাবসায়ীদের গুণতে হচ্ছে লোকসান।
ভরতেঁতুলিয়া গ্রামের শুঁটকি ব্যবসায়ী মঞ্জুর মোল্লা, উসমান শেখ, আব্দুস ছাত্তার সরদার, মোজাহার মোল্লা, নাফিকুল সরদার বলেন, শুটকি ব্যবসার সাথে আমরা দীর্ঘদিন থেকে সম্পৃক্ত। শুঁটকি তৈরিতে অর্থ খরচের সাথে সাথে যথেষ্ট শ্রম ব্যয় হয়। সর্বপোরি রৌদ্র বৃষ্টি ও মাছের দুর্গন্ধ সবকিছুকে উপেক্ষা করে পরিবার পরিজন নিয়ে এ পেশা চালিয়ে আসছি। পুঁটি, খোলসানী, চাঁন্দা, রাইখর, সাটিসহ বিভিন্ন জাতের দেশি মাছের শুঁটকি আমরা তৈরি করি। এর মধ্যে বিশেষ করে পুঁটি ও সাটি মাছের শুঁটকির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এবারে মাছ কম কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় আমাদের লোকসান গুণতে হচ্ছে। অনেকে শুঁটতি তৈরির সাজসরাঞ্জাম তৈরি করলেও মাছ অভাবে সেগুলো পড়ে রয়েছে। এবারে ব্যবসা মন্দা হওয়ায় সারা বছর পরিবার পরিজন নিয়ে আমরা কিভাবে চলবো তা নিয়ে আমরা চরম উদ্বিগ্ন রয়েছি।

 

বেড়েছে ইলিশের সরবারহ তবে দাম বেশি

অর্থনীতি ডেস্ক : ইলিশে ভরপুর এখন মুন্সিগঞ্জের মাওয়ার মাছের আড়তগুলো। ক্রেতা বেশি হওয়ায় দাম বেশি। এরই মধ্যে বড় ইলিশের দাম প্রতি কেজি বেড়েছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত।

রুপালি ইলিশে সয়লাব পদ্মাপারে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া আড়ত। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে এখানে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়।

তবে দামেও যেন আগুন। প্রকারভেদে প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত।
এ বাজারে পদ্মার প্রতি কেজি বড় ইলিশের দাম  ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশ ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রামের ইলিশের ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।

এতে জেলে আর আড়তদাররা খুশি হলেও অসন্তুষ্ট ক্রেতারা।

জেলে ও আড়তদাররা বলেছেন, মাছে অনেক স্বাদ এবং বাজারে অনেক ক্রেতাদের অনেক ভির। ইলিশ হচ্ছে ১৪০০ টাকা কেজি। একদিনের ব্যবধানে ইলিশ মাছ কেজিতে ৩০০ টাকা বেড়েছে।

তবে বাজারে আসা ক্রেতারা অভিযোগ করছেন উচ্চমূল্যের। তারা জানিয়েছেন, আসলাম এখানে একটু কম মূল্যে মাছ কেনার জন্য। কিন্তু এখানে এসে দেখি মাছের দাম আরও বেশি। তাহলে আমাদের দিয়ে কীভাবে সম্ভব?

মাছ দেখে বেশ টাটকা মনে হচ্ছে। কিন্তু দাম বেশি হওয়ার কারণে এটি কেনা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আরেকজন ক্রেতা।
 
এদিকে হাটের নানা সমস্যার কথা জানিয়ে স্থায়ী সমাধানের দাবি জানালেন আড়তদাররা। মুন্সীগঞ্জ মাওয়া মৎস্য আড়তের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, নভেম্বরের ৫ তারিখে উঠে যাওয়ার জন্য পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ আমাদের ১৫ দিনের একটি নোটিশ দিয়েছে। আমরা এখন কোথায় যাব?

মুন্সীগঞ্জ মাওয়া মৎস্য আড়তের সভাপতি ছানা রঞ্জন দাস বলেছেন, জায়গা নেই এবং আমরা জায়গা পাচ্ছিও না। তাই সরকারের কাছে আবেদন আমাদের যেন সুব্যবস্থা করা হয়।
প্রতিদিন এই হাটে ২৯টি আড়তের মাধ্যমে প্রায় কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা হয়।



ধামাকার সিইও প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক : প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকার সিইও সিরাজুল ইসলাম রানাসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) গণমাধ্যম শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।

এর আগে টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ না করায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকা শপিং ডটকমের চেয়ারম্যান এবং পরিচালকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন এক ব্যবসায়ী।
 
গত ২৩ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করেন ওই থানাধীন উত্তর আউচপাড়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. শামীম খান। শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো. শাহ আলম সময় নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
 
মামলার আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএমডি জসিমউদ্দিন চিশতী (৫৭), চেয়ারম্যান ডা. এম আলী ওরফে মোজতবা আলী (৬০), সিইও সিরাজুল ইসলাম রানা, প্রধান ব্যবসা কর্মকর্তা ডিএমডি দেবকর দে শুভ (৩২), নাজিম উদ্দিন আসিফ (২৮), এজিএম হেড অব একাউন্টস সাফোয়ান আহমেদ (৪১), ডেপুটি ম্যানেজার আমিরুল হোসাইন (৪৬), আসিফ চিশতী (২৬), সিস্টেম ক্যাটাগরি হেড ইমতিয়াজ হাসান (৩৫), ভাইস প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম স্বপন (৩৫) ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরোধ বারান রয় (৪৫)।
 
জানা গেছে, চলতি বছরের গত ২০ মার্চ অনলাইনে ‘ধামাকা শপিং ডটকম’-এর ফেসবুক পেজে পণ্য কেনার অফার দেয়। অনলাইনে অফারটি দেখে বাদী ৮৪টি ইনভয়েসের মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। প্রতিষ্ঠানটি অর্ডার কনফার্ম করে এবং কনফার্ম ইনভয়েস তার জিমেইল আইডিতে পাঠায়। কিন্তু প্রতিষ্ঠান থেকে নির্ধারিত ৪৫ দিনেও তার কাছে পণ্য সরবরাহ করেনি।
 
পরে ৫০ দিন পর তিনি হেল্পলাইনে যোগাযোগ করলে তাকে অপেক্ষা করতে বলা হয়। এক মাস অপেক্ষা করার পর তাদের প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও ডিরেক্টর অপারেশন কর্তৃক স্বাক্ষরিত তাকে সাউথ ইস্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার দুটি চেক দেওয়া হয়। ওই চেক নিয়ে টাকা তুলতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায় অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই।
 
গত ৫ আগস্ট প্রতিষ্ঠানের সিইও মামলার ৩নং আসামি মো. সিরাজুল ইসলামের কাছে যাওয়ার পর তিনি টাকা না দিয়ে তাকে হুমকি দেন। পরে ৫ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অফিসে গিয়ে দেখেন অফিস তালাবন্ধ। তিনি বুঝতে পারেন তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। তাই টাকা পরিশোধের ইনভয়েজ, ব্যাংকের চেকের ফটোকপিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে মামলা করেন।

 

তথ্যসূত্র : সময় নিউজ

১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি

অর্থনিতী ডেস্ক : ২০২০-২১ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) এক লাখ ১২ হাজার ১৮৮ কোটি ২৪ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে।  ‘নিরাপদ’ বিনিয়োগ ও ব্যাংকের চেয়ে প্রায় তিন থেকে চারগুণ বেশি মুনাফা পাওয়ায় সঞ্চয়পত্র কিনছেন সাধারণ মানুষ।


জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরে (জুলাই-জুন) এক লাখ ১২ হাজার ১৮৮ কোটি ২৪ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল বাবদ ৭০ হাজার ২২৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। সে হিসাবে গত অর্থবছরের নিট বিক্রির পরিমাণ ৪১ হাজার ৯৫৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা দাঁড়িয়েছে, যা আগের অর্থবছরের (২০১৯-২০) চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেশি। সে অর্থবছরের পুরো সময়ে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নিট ঋণ ছিল ১৪ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা।

ব্যাংকগুলো আমানতের সুদ কম দেওয়ায় সাধারণ মানুষরা সঞ্চয়পত্রের দিকে ঝুঁকছেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।  ‘নিরাপদ’ বিনিয়োগ ও বেশি মুনাফার আশায় বিভিন্ন শর্ত মেনেও সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়ছে। এর ফলে বাজেট ঘাটতি মেটাতে চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে সরকারের ঋণ নেওয়ার নির্ধারতি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) বাজেটে ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা ঘাটতি ধরা হয়েছে।  অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ হচ্ছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। বাজেটের আয়-ব্যয়ের ঘাটতি পূরণে সঞ্চয়পত্র থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।

উন্নয়নে ১৭৮ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি

অনলাইন নিউজ : ঢাকা-সিলেট করিডোরে আঞ্চলিক বাণিজ্যের গতিশীলতা ও সড়ক নিরাপত্তার উন্নয়নে মাল্টি ট্রান্স ফিন্যান্সিং ফ্যাসিলিটির (এমএমএফ) আওতায় ১৭৮ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবি।

ম্যানিলাভিত্তিক এ ঋণদাতা সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বলা হয়, ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়কের কাজ শেষ হলে তা বাণিজ্যের নতুন একটি পথের জন্য সহায়ক হয়ে উঠবে।

এই সড়ক চট্টগ্রাম বন্দরকে তিনটি স্থল বন্দর আখাউড়া, শেওলা এবং তামাবিলের মাধ্যমে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে যুক্ত করে সেখান থেকে মিয়ানমার এবং ভুটানের সঙ্গেও যুক্ত করবে।

সরকারের ‘নর্থইস্ট বাংলাদেশ ইকোনমিক করিডোর’ এর কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠবে এই করিডোর। যার লক্ষ্য ওই অঞ্চলে জ্বালানি উৎপাদন এবং নির্মাণ সামগ্রীসহ প্রধান শিল্পগুলোর উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে আরও সংহত করা।

দক্ষিণ এশিয়ায় এডিবির পরিবহন বিশেষজ্ঞ সাতোমি সাকাগুচি বলেন, “বাংলাদেশের রপ্তানি নির্ভর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আঞ্চলিক বাণিজ্য এবং পরিবহনের কেন্দ্র হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে এর অনন্য সম্ভাবনাকে তুলে ধরেছে।”

সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) প্রকল্পের আওতায় ৫ নম্বর রোড করিডোরের প্রধান অংশ এই সড়ক। এর উন্নয়ন পণ্য পরিবহনের খরচ কমিয়ে আনবে, প্রতিযোগিতা বাড়াবে

এবং প্রতিবেশী দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়াবে। সেইসঙ্গে সাধারণ মানুষকেও নিরাপদ প্রবেশাধিকার দেবে। এই বিনিয়োগ প্রকল্প এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সমন্বিত এবং টেকসই উন্নয়নে সরকারের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।”  

‘সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে’ বিনিয়োগের এই অর্থ চারটি ধাপে দেওয়া হবে। প্রথম দফায় ‘এমএমএফ’ থেকে দেওয়া ৪০ কোটি ডলার ‘জাতীয় মহাসড়ক নম্বর ২’ প্রশস্ত করাসহ ঢাকা-সিলেট করিডোর দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীত করার প্রধান চুক্তিগুলোর প্রাথমিক কাজগুলোর ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

এর মধ্যে রয়েছে ৬০ কিলোমিটার ফুটপাথ, ২৬টি পদচারী সেতু, ১৩টি ওভারপাস। জলবায়ু এবং দুর্যোগের ঝুঁকিসহ বয়স্ক, নারী, শিশু এবং ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের কথা বিবেচনা করে এসবের নকশা করা হবে।

২৬৯ কোটি ডলারের এই প্রকল্পে সরকার ৯১ কোটি ডলারের তহবিল দেবে। এমএফএফ ছাড়াও ‘টেকনিক্যাল অ্যাসিস্টেন্স স্পেশাল ফান্ড’ থেকে কারিগরী সহায়তা হিসেবে ১০ লাখ ডলার দেবে এডিবি। এছাড়া দারিদ্র্য কমানোর জন্য জাপান সরকারের অর্থায়নে ‘জাপান ফান্ড’ থেকে অতিরিক্ত আরও ২০ লাখ ডলার দেওয়া হবে।

এছাড়া সড়কের নিরপত্তা ও ব্যবস্থাপনার জন্য ‘সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর’ এর সক্ষমতা বাড়ানো, জলবায়ু পরিবর্তন, লৈঙ্গিক সমতা এবং সামাজিক অন্তর্ভূক্তিকরণের জন্যও তহবিল দেবে ঋণদাতা সংস্থাটি।

‘সাসেক’ সদস্য দেশগুলোতে পরিবহন এবং বাণিজ্য সুবিধাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই অঞ্চলে ২০০১ সাল থেকে বিভিন্ন প্রকল্পে ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৩টি পরিবহন প্রকল্পে খরচ হয়েছে ১ হাজার ১৪০ কোটি ডলার।


রেমিট্যান্স কমেছে অর্থবছরের প্রথম মাসে


অর্থনীতি নিউজ ডেস্ক : গত দেড় বছর ধরেই করোনা ভাইরাসের প্রকোপে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক টানাপোড়েন চলছে। এরপরও রেমিট্যান্স আয় ভালো হয়েছে। গত অর্থবছরের পুরোটা সময় জুড়েই আগের বছরের চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে হঠাৎ করে রেমিট্যান্স কমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে তেমনটাই দেখা গেছে।

এদিকে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই মাসে দেশে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এসেছে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। যা প্রায় ১৫ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনের চেয়ে ছয় কোটি ৯৩ লাখ ডলার কম। এই অঙ্ক গত চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম।

সোমবার (২ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে উল্লেখ করা হয়, জুলাই মাসে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে প্রায় ২৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ কম। আর গত বছরের জুলাই মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স আহরিত হয়েছে ৪৩ কোটি ১৮ লাখ ডলার এবং বিশেষায়িত দুটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে তিন কোটি ২২ লাখ ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৪০ কোটি ১২ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬১ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।

সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। প্রায় ৫৫ কোটি মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২২ কোটি ৯১ লাখ ডলার। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে সর্বোচ্চ ১৯ কোটি ৪৮ লাখ ডলার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ৭৫ লাখ ডলার এবং জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে পাঁচ কোটি ৯২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।

২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে আসে। যা আগের অর্থবছরের (২০১৯-২০) চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। অর্থবছরের হিসাবে এ যাবতকালে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ২০২০-২১ অর্থবছরে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১৭৮ কোটি ৬ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। আর গত বছরের জুলাইয়ে এসেছিল ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার, যা ছিল এক মাসের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স।

এ বিষয়ে অর্থনীবিদ অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বলেন, কোভিডের সংক্রমণ বিভিন্ন দেশে বেড়ে যাওয়ায় আয় কমেছে অনেক শ্রমিকের। আর কোরবানি ঈদের আগে প্রয়োজনটা বেড়ে যায়, তাই টাকা পাঠানোর পরিমাণটাও বেড়েছে। বিশ্ব পরিস্থিতি ভাল হলে শ্রমিকদের আয়ের ক্ষেত্রগুলো স্বাভাবিক থাকলে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোরবানির ঈদের আগে ১৯ দিনে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১৫৫ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স। ঈদের পর মাসের বাকি ১১ দিনে এসেছে ৩২ কোটি ১৫ লাখ ডলার।

ইভ্যালির এমডি ও চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে দুদকের নিষেধাজ্ঞা
 

অনলাইন ডেস্ক : ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

শুক্রবার ( জুলাই) পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে এই নিষেধাজ্ঞার চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) কমিশন থেকে এ বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়। আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে আদালত থেকে এ বিষয়ে অনুমতি নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার ( জুলাই) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এক্ষেত্রে নতুন অভিযোগ আগের অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। নতুন অভিযোগটি আরও সুনির্দিষ্ট হওয়ায় এখন অনুসন্ধান কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ইভ্যালির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুই সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে দুদক।

এরআগে গত জুলাই ইভ্যালির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদক সহ চার সরকারের চার প্রতিষ্ঠানকে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়েছে, গ্রাহক মার্চেন্টদের কাছ থেকে ইভ্যালির অগ্রিম নেওয়া ৩৩৯ কোটি টাকার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ বিদেশে পাচার হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এর আগে গত নভেম্বরে ইভ্যালির বিরুদ্ধে একটি অনুসন্ধান দুদকে তদন্তনাধীন রয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে আসে ইভ্যালির মোট দায় ৪০৭ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম নিয়েছে ২১৪ কোটি টাকা, আর মার্চেন্টদের কাছ থেকে বাকিতে পণ্য নিয়েছে ১৯০ কোটি টাকার।স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিষ্ঠানটির কাছে কমপক্ষে ৪০৪ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা। কিন্তু সম্পদ আছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠালে দুদক তদন্ত কমিটি গঠন করে।

এবার উত্তরাঞ্চল থেকে গরু আসবে ট্রেনে

ডেস্ক নিউজ : এবার ঢাকায় কোরবানির পশু আনতে 'ক্যাটল সার্ভিস' নামে ট্রেন পরিচালনা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশনে নামানো হবে সেইসব গরু। ঢাকায় হাট শুরু হলেই প্রতিদিন চলবে ৬টি করে ট্রেন। গরু প্রতি খরচ পড়বে ৫০০ টাকা করে।
এবারও উত্তরাঞ্চল থেকে গরু আসবে ট্রেনে, কম খরচে

সড়ক পথে যানজটসহ নানা ঝক্কি ঝামেলা পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোরবানির পশু আসে ঢাকায়। কম খরচ আর নিরাপদে পশু পরিবহনের কথা চিন্তা করে গত বছর থেকে ‘ক্যাটল সার্ভিস’ নামে বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
গত বছর শুধু মাত্র পশু পরিবহরেন সুযোগ ছিল ময়মনসিংহ আর জামালপুর অঞ্চলের। এবার এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে দেশের উত্তরাঞ্চলও। গত বছর দু'টি ট্রেন চললেও এবার চলবে ছয়টি ট্রেন। ঢাকায় কোরবানির হাট শুরুর দিন থেকেই ক্যাটল সার্ভিস চলবে জানিয়ে মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে এরইমধ্যে ব্যবসায়ী ও খামারিদের সঙ্গে শুরু হয়েছে আলোচনা।
মন্ত্রী বলেন, এরইমধ্যে ব্যাপারী ও খামারিদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। সবার সঙ্গেই আমাদের লোকজন যোগাযোগ করছেন।  
স্থান স্বল্পতার কারণে এবার কমলাপুর নয় গরু নামানো হবে তেজগাঁও রেলস্টেশনে। ঢাকায় আনতে গরু প্রতি খরচ পড়বে ৫০০ টাকা।

মন্ত্রী আরও বলেন, এসব পশু আনতে খরচ খুবই কম। চাহিদার ওপর নির্ভর করে যে কয়টা ট্রেন আমাদের দরকার হবে সেই কয়টা ট্রেন দেওয়া হবে।  
নিরাপদে পশু পরিবহনে নিয়োজিত থাকবে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী আর এনবি ও রেলওয়ে পুলিশ।

বঙ্গোপসাগর থেকে বছরে ৯৬০ কোটি ডলারের সম্পদ আহরণ
 

বিশেষ প্রতিনিধি : ব্ল ইকোনমি থেকে বিপুল আয়ের অপার সম্ভাবনা হাতছানি দিচ্ছে। কিন্তু কাজে লাগানো যাচ্ছে খুব সামান্য। সমুদ্রসীমা চিহ্নিত হওয়ার পর বঙ্গোপসাগর থেকে বাংলাদেশ বছরে ৯৬০ কোটি ডলারের সম্পদ আহরণ করছে। যদিও সম্ভাবনা আকাশচুম্বী। কোনো কোনো পরিসংখ্যানে বছরে আড়াই লাখ কোটি ডলারের সম্পদ আহরণ সম্ভব বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

সমুদ্র সম্পদ আহরণে সমন্বিত পদক্ষেপের অভাবে বিপুল সম্ভাবনা হাতছাড়া হচ্ছে। বিশেষ করে সমুদ্র খাতে বিনিয়োগ সীমিত। বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করছেন, খাতে সরকারের নীতি বিনিয়োগের অনুকূল নয়। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দেশের অর্থনীতি মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সমুদ্র সম্পদ আহরণের প্রতি জোর দেওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক আদালতে রায়ের মাধ্যমে ২০১২ সালে মিয়ানমার এবং ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা চিহ্নিত হয়েছে। ফলে এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি টেরিটোরিয়াল সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে অবস্থিত সব ধরনের প্রাণিজ অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

সমুদ্রসীমা চিহ্নিত হওয়ার প্রায় বছর পরও সমুদ্র সম্পদ আহরণে তেমন অগ্রগতি হয়নি। ছিটেফোঁটা কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও তার বাস্তবায়নের গতি খুবই ধীর। কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকে সমুদ্র সম্পদ আহরণে সব উদ্যোগ বলতে গেলে থেমে গেছে।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য মোতাবেক, বিশ্বের ধনী দেশগুলোর ৯০ ভাগই ২০২২ সাল নাগাদ মহামারির পূর্বের অর্থনৈতিক অবস্থায় ফিরে যাবে। পর্যাপ্ত টিকা প্রাপ্তির কারণে ধনী দেশগুলোর অর্থনীতি এত বেশি দ্রুত বেড়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তবে নিম্নআয়ের দেশগুলোর উত্তরণের গতি অনেক ধীর। ফলে মহামারি পরবর্তী বিশ্বে ধনী উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বৈষম্য অনেক বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের মতো নিম্ন আয়ের দেশগুলোর জন্যে সমুদ্র সম্পদ আহরণের পরিমাণ বৃদ্ধি করা মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে ওঠায় সহায়ক।

জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম ইউনিটের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলম বুধবার যুগান্তরকে বলেন, ‘এখনও বাংলাদেশের জিডিপির মাত্র থেকে শতাংশ ব্লু ইকোনমি থেকে আসে। এটার পরিমাণ বার্ষিক ৯৬০ কোটি ডলার। তবে এই খাত থেকে আয়ের সম্ভাবনা অবারিত। স্কাই ইজ দ্য লিমিট।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকার মতো আয় হয়। সমুদ্রের শুধু মাছ রপ্তানি থেকেই ১০-১২ হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব

সম্ভাবনাময় সমুদ্র খাত থেকে আয় অর্জনে সমস্যা কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেকে সমুদ্র অর্থনীতি সম্পর্কে খুব ভালো জানেন না। তারা বিনিয়োগ করতে চান না। আবার কেউ কেউ মনে করেন, রাষ্ট্রীয় পলিসি খাতে বিনিয়োগে সহায়ক নয়।

সমুদ্র-যোগাযোগ পথ সমুদ্র পরিবহণ, মৎস্য সম্পদ, খনিজ সম্পদ, জ্বালানি নিরাপত্তা, জাহাজ নির্মাণ জাহাজ ভাঙা শিল্প, দক্ষ জনবল সরবরাহ, পর্যটন পরিবেশ সংরক্ষণ করে সমুদ্র সম্পদ আহরণ করা যায়।

বাংলাদেশের বার্ষিক বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রায় ৯০ শতাংশ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ হতে আগত ২৫০০ বাণিজ্যিক জাহাজের সাহায্যে চট্টগ্রাম মোংলা বন্দরের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। বিদেশি জাহাজগুলোকে প্রায় ৬০০ কোটি ডলার ভাড়া পরিশোধ করতে হচ্ছে। সমুদ্রগামী বাণিজ্যিক জাহাজের সংখ্যা বৃদ্ধি করে ব্যয় কমানো সম্ভব।

বাংলাদেশের মিঠা পানিতে যেখানে ২৫০ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়, সেখানে বঙ্গোপসাগরে রয়েছে প্রায় ৪৭৫ প্রজাতির মাছ। তার মধ্যে ৩৬ প্রজাতির চিংড়ি রয়েছে। সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের ওপর প্রত্যেক্ষ পরোক্ষভাবে নির্ভর করছে উপকূলীয় প্রায় ৩০ লাখ মানুষের জীবিকা। বড় ট্রলারের সংখ্যা সীমিত হওয়ায় বঙ্গোপসাগরে ৫০ থেকে ৬০ হাজার ছোট নৌকা ব্যবহার করে জেলেরা মাছ ধরছেন।

জানতে চাইলে মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব . মশিউর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে স্বল্প, মধ্য দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এখন এগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে বড় ট্রলারের অভাব এবং গভীর সমুদ্রে মাছ ধরায় দক্ষতা না থাকায় পর্যাপ্ত মাছ আহরণ করা যাচ্ছে না। তিনি দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে বলেন, ‘সামুদ্রিক টোনা মাছের চাহিদা অনেক বেশি। মাছ খুব দ্রুত বিভিন্ন সাগরে ঘোরাফেরা করে। এগুলো গভীর সমুদ্র থেকে আহরণ করতে হয়। কিন্তু আমরা এসব মাছ আহরণ করতে পারছি না।

বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী অঞ্চল থেকে প্রচুর লবণ উৎপাদন করা সম্ভব। বঙ্গোপসাগর থেকে গ্যাস হাইড্রেট যা থেকে মিথেন গ্যাস উৎপাদন সম্ভব, পলিমেটালিক ম্যাঙ্গানিজ নডিউলস যাতে কপার, ম্যাগনেশিয়াম, নিকেল, কোবাল্টসহ মূল্যবান ধাতু রয়েছে। গ্যাস হাইড্রেট, পলিমেটালিক ম্যাঙ্গানিজ নডিউলস ছাড়াও পলিমেটালিক সালফাইড এবং কোবাল্ট সমৃদ্ধ ফেরোম্যাঙ্গানিজ ক্রাস্ট বাংলাদেশের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং

হীসোপানে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা তা যাচাই-বাছাইয়ের লক্ষ্যে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের সময় এসেছে। সমুদ্র সৈকতে প্রাপ্ত জিরকন, ইলেমেনোইট, ম্যাগনেটাইট, রিউটাইলসহ বিভিন্ন মূল্যবান খনিজ সম্পদ পাওয়া গেছে। এসব খনিজ সম্পদের উত্তোলন ব্যবহার প্রয়োজন। সমুদ্রসীমা নির্ধারণের ফলে সমুদ্রের ব্লকগুলোতে গ্যাস অনুসন্ধানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশে ব্লু ইকোনমিতে বেসরকারি বিনিয়োগ পর্যাপ্ত নয়। এটার কারণ কি জানতে চাইলে আমেরিকান চেম্বার ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, ‘ব্লু ইকোনমিতে কিছু কিছু বেসরকারি বিনিয়োগ হচ্ছে। বিশেষ করে মাছ ধরার ট্রলার, সমুদ্র ভ্রমণে পর্যটন, মালামাল পরিবহণ, আরও অনেক খাতে বিনিয়োগ হচ্ছে। তবে বিনিয়োগে মানুষকে আগ্রহী করে তোলার জন্য ব্র্যান্ডিং ঠিকমতো হচ্ছে না। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে পলিসির বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, ‘বিস্তৃত সমুদ্র তলদেশ উপরিভাগ থেকে সর্বোচ্চ সুযোগ কাজে লাগাতে সরকারি কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ বেসরকারি খাতের অর্থায়নে সমুদ্রের নৈকট্য পরিমাপসহ জরিপ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি, দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হাতে নিতে হবে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget