ডেস্ক নিউজ : আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আউটের অনেক নিয়ম আছে। টাইমড আউট নামে যে একটি আউট আছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এর আগে আর কখোন দেখেনি বিশ্ববাশি।আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো টাইমড আউট হয়েছেন শ্রীলঙ্কান ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। বাংলাদেশের বিপক্ষে সোমবার এই ঘটনা ঘটে। নিয়ম অনুযায়ী, একজন ব্যাটার আউট হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী ব্যাটারকে ৩ মিনিটের মধ্যে খেলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। কিন্তু ম্যাথিউস সেটি হতে পারেননি।
এই সময় ম্যাথিউসের বিপক্ষে ‘টাইমড আউটে’র আপিল করে বাংলাদেশ। ক্রিকেটারদের আপিল ও ক্রিকেটের আইন মেনে ম্যাথিউসকে ‘টাইমড আউট’ দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না আম্পায়ারদের। অবশ্য এই বিষয় নিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেছেন শ্রীলঙ্কার এই ব্যাটার। একপর্যায়ে বিষয়টা নিয়ে সাকিবের কাছে গেছেন তিনি। কিন্তু সাকিব তাঁকে আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। কিন্তু আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত বদলান নি। হতাশায় মাঠ ছাড়তে হয় ম্যাথিউসকে।
টাইমড আউট প্রসঙ্গে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ম্যাথিউস। এছাড়া এই বিষয়টি নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন সাবেক ক্রিকেটাররা। ধারাভাষ্যকক্ষে থাকা সাবেক পাকিস্তান পেসার ওয়াকার ইউনূস বলেছেন, ‘এটা ক্রিকেটের চেতনার পরিপন্থী। ক্রিকেটের জন্য ভালো কোন ঘটনা নয়। হেলমেটের জন্য ২-৩ মিনিট দেরি হলে কিছুই হতো না।’ কমেন্ট্রি বক্স থেকে বের হয়ে রাসেল আর্নল্ড বলেন, ‘এটা প্রতিপক্ষ অধিনায়কের ব্যাপার। এখানে আমার কিছু বলার নেই।’
রমিজ রাজা বলেন, ‘দেখুন, আইনে এই আউট রয়েছে। তাই সাকিব সেটা আবেদন করেছে। এখানে সাকিবতো অন্যায় কিছু করেনি। তা ছাড়া বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে একজন অধিনায়কের সব দিকেই চোখ রাখতে হয়। আমি নিজেই ক্রিকেটে প্রথমবার ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য বল’ আউট হয়েছি। আমার মনে হয়, প্রশ্নটি আপনি ভুল লোকের কাছে করেছেন।’ আরেক ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জেকারও তেমনই বললেন। কমেন্ট্রি বক্সের দরজা ঠেলে বেরিয়েই বলতে থাকেন– ‘ক্রিকেটে আরও একটি নতুন ইতিহাসের সাক্ষী হলাম।’
গৌতম গম্ভীর টুইট করেছেন, ‘দিল্লিতে আজ যা দেখা গেল, সত্যিই হৃদয়বিদারক।’ ডেল স্টেইন লিখেছেন, ‘এটাকে ভালো ঘটনা বলা যাচ্ছে না।’ এদিকে ভুক্তভোগী ম্যাথিউস জানান, এ ম্যাচের পর বাংলাদেশের প্রতি তাদের আগের মতো সম্মান নেই। সাকিব ও বাংলাদেশ যা করেছে, তা অসম্মানজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ম্যাথিউস বলেন, ‘আমি ভুল কিছু করিনি। আমি যথাসময়েই মাঠে গিয়েছি। এটা হেলমেটের ভুল ছিল।’
ম্যাথিউস আরও বলেন, ‘আমি জানি না সাকিবের কমনসেন্স কোথায় গেল তখন, এটা সাকিব ও বাংলাদেশের কাছ থেকে অসম্মানজনক। তারা খেলাটাকে এতো নিচে নামাল। আইন অনুযায়ী আমি দুই মিনিটের মধ্যেই সেখানে ছিলাম। যখন হেলমেটে সমস্যা দেখি তখনও আমার হাতে ৫ সেকেন্ড ছিল। কোচকেও আম্পায়ার বলেছিল তারা দেখেনি যে আমার হেলমেট ভেঙ্গেছে। আমি মানকাড বা অবস্ট্রাকশন নিয়ে বলছি না, এটা কমন সেন্সের কথা বলছি। এটা অবশ্যই অসম্মানজনক।’
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন