নওগাঁয় দিনব্যাপী ক্যান্সার চিকিৎসা ও স্টেকহোল্ডারদের করণীয় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

নওগাঁয় দিনব্যাপী ক্যান্সার চিকিৎসা ও স্টেকহোল্ডারদের করণীয় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি : নওগাঁর পত্নীতলায় দিনব্যাপী ক্যান্সার চিকিৎসা সেবা ও স্টেকহোল্ডারদের করণীয় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।  উপজেলার সরদারপাড়ায় ইম্প্রেশন ফাউন্ডেশন হলরুমে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডাক্তার গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক।  এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্যান্সার ফাউন্ডেশন এর জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক ডাক্তার কাজী মোস্তাক হোসেন,  পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ,  জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নরেন পাহান,  বাংলাদেশ কেমিস্ট ও ড্রাগিষ্ট সমিতি পত্নীতলা শাখার সভাপতি হাসান শাহরিয়ার পল্লব প্রমুখ।  


প্রগতি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন, নো ক্যান্সার মুভমেন্ট এবং ইম্প্রেশন ফাউন্ডেশন এর যৌথ উদ্যোগে চিকিৎসা সেবা হিসেবে ৩০ জন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। সেমিনারে বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠন, নজিপুর ও মডেল প্রেসক্লাব, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর মালিক, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী এবং তাদের অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ অংশগ্রহণ করেন।  
সেমিনারে বক্তাগণ জানান প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় এক লক্ষ ৬০ হাজার মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং প্রায় এক লক্ষ দশ হাজার মানুষ ক্যান্সারের মৃত্যুবরণ করেন।  দেশের মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশ ক্যান্সার, হৃদরোগ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। মূলত সচেতনতার অভাবে ক্যান্সারের প্রকোপ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ মনে করেন ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, সবুজ শাক-সবজি, ফল, সিম জাতীয় সবজি, বাদাম এবং দানা জাতীয় শস্য খাওয়া, অতিরিক্ত ওজন এড়িয়ে চলা, তামাক জাতীয় পণ্য এবং মদ্যপাণ এড়িয়ে চলা, নিয়মিত ক্যান্সার ও অন্যান্য রোগের শারীরিক পরীক্ষা করা, এইচপিভি ও হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধে টীকা গ্রহণ করা। 


ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে হলে প্রত্যেককে ক্যান্সার বিরোধী জীবন যাপন করতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের তত্ত্বাবধায়করা ক্যান্সার মোকাবেলায় বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। সরকারি, বেসরকারি পর্যায়ের সঠিক সহায়তা আক্রান্ত মানুষকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সমাজের সকল শ্রেণী -পেশার মানুষকে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করলে ক্যান্সার সচেতনতা বাড়বে। এ ব্যাপারে একটি সামাজিক গণ আন্দোলন গড়ে তোলা সময়ের দাবি।

লেবেলসমূহ:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger][facebook]

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget