ঢাকা, শুক্রবার,
৭ জুলাই,২০২৩: কুষ্টিয়ার সাংবাদিক রুবেল হত্যা মামলা; গত এক বছরেও হত্যা
রহস্য উন্মোচন হয়নি। মামলা তদন্তে কোন অগ্রগতি নেই। দুশ্চিন্তায় আছেন
রুবেলের পরিবার। দীর্ঘ একবছরেও এ পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডে কোন অগ্রগতি না
থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএমএসএফ।
সংগঠনটি
দাবি করছে কুষ্টিয়ার প্রভাবশালী এক ঠিকাদারের ইন্ধনে এই হত্যাকাণ্ডটি
সংগঠিত হয়েছে। পুলিশ যেকোনো রহস্যজনক কারণে হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের
দিকে পা বাড়াচ্ছে না। ওই ঠিকাদার দেশের বাইরে থেকে তার লেলিয়ে দেয়া
বাহিনী দ্বারা ঠান্ডা মাথায় হত্যাকান্ডটি সংগঠিত করে। কুষ্টিয়ার অনেক
সাংবাদিকরা ওই প্রভাবশালী ঠিকাদার ও তার লালিত বাহীনির লোকজনের কারণে ভয়ে
মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় লক্ষ্মীকুণ্ডা নৌ থানা
পুলিশ মামলাটির তদন্ত করছেন। মামলাটির ক্লু উদঘাটনের জন্য সিআইডি কিবা উচ্চ
ক্ষমতা সম্পন্ন কোন বাহিনীকে দিয়ে তদন্তেরও দাবি করছে সংগঠনটি।
নিখোঁজের
৫ দিন পরে গত বছরের গতবছর ৭ জুলাই দুপুর দেড়টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী
উপজেলার কুমারখালী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তেবাড়িয়া গ্রামের গোলাম
কিবরিয়া ব্রিজের (নির্মাণাধীন) নিচে গড়াই নদী থেকে হাসিবুর রহমান রুবেলের
(৩১) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরের দিন ৮ জুলাই ময়নাতদন্ত শেষে
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌর গোরস্থানে জানাজা শেষে নিহত সাংবাদিক রুবেলের
দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এরআগে
৩ জুলাই রাত ৯টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের সিঙ্গার মোড়ে তার পত্রিকা অফিসে
অবস্থান করছিলেন। এসময় মোবাইলে একটি কল এলে তিনি অফিস পিয়নকে ‘বাইরে থেকে
আসছি’ বলে বের হন। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। পরে
নিখোঁজের ৫ দিন পরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ
ঘটনায় গত ৮ জুলাই রাতে কুমারখালী থানায় রুবেলের চাচা মিজানুর রহমান মেজর
বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
নিহত
রুবেল কুষ্টিয়া জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় দৈনিক
কুষ্টিয়ার খবর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও দৈনিক আমাদের নতুন সময়
পত্রিকার কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এ
ব্লক এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে।
বাংলাদেশ
মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর
বলেন, যে কোন সাংবাদিকের মামলার ক্ষেত্রে তদন্তে গাফিলতি পুরাতন কোন ঘটনা
নয়।। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন ৯৯ বারের মতো পিঁছিয়েছে, যা
দেশের ইতিহাসে বিরল। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে প্রায় ৩৯ জন সাংবাদিক হত্যার
শিকার হলেও অধিকাংশ সাংবাদিক হত্যার বিচার তদন্তে গাফিলতি, দুর্বল
চার্জশীটের কারণে বিচারে ভালো কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি দ্রুত সময়ের মধ্যে
রুবেল হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্ট তদন্ত
কর্মকর্তার প্রতি আহবান জানানো হয়, নচেৎ দেশব্যাপী প্রতিবাদ -প্রতিরোধ গড়ে
তোলারও হুশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন