স্টাফ রিপোটার, নওগাঁ : নওগাঁ সদরের গুমারদহ এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাই ফজলুর রহমানের (৫৫) কোদালের হাতলের আঘাতে আহত ছোট ভাই নজরুল ইসলাম (৫২) মৃত্যুর অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার ৭ দিন পর গতকাল সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃতত্যু হয়েছে। সংবাদ পেয়ে নওগাঁ মডেল থানার পুলিশ নিহত নজরুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
গত ১০ জানুয়ারি নওগাঁ সদর উপজেলার শৈলগাছি ইউনিয়নের গুমারদহ গ্রামের মাঠে তাদের পারিবারিক একটি জমিতে বোরো ধান লাগানোর জন্যে জমি তৈরী করার সময় এই মারপিটের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। নিহত নজরুল ইসলাম গুমারদহ গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।
নিহতের স্বজন, স্থানীয়রা জানায়, নজরুল ইসলামেরা দুই ভাই ও দুই বোন। তাদের বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা না হওয়ায় নজরুল ইসলাম ও তার বড় ভাই ফজলুর রহমানের মধ্যে মাঝে মাঝেই বিরোধ লেগে থাকতো। গত ১০ জানুয়ারি ফজলুর রহমান গ্রামের মাঠে একটি জমিতে বোরো ধান লাগানোর জন্য আইল দিতে যান। এ সময় নজরুল তাকে বাধা দিতে যান। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ফজলুর রহমানের হাতে থাকা কোদালের হাতল দিয়ে নজরুলকে বেশ কয়েকটি আঘাত করেন। এতে নজরুল গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে ওই দিনই তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
শৈলগাছী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ফজলুর ও নজরুল দুই ভাই। দীর্ঘদিন ধরে তাদের দুজনের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। পাঁচ-ছয় দিন আগে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ফজলুর তার ছোট ভাইকে কোদালের হাত দিয়ে মারধর করেন। এতে নজরুল গুরুতর আহত হন। সোমবার রাতে রাজশাহীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। আজ সকালে লাশ গ্রামের বাড়িতে আসার পর পুলিশ খবর পেয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ থানায় নিয়ে যায়।
ওসি ফয়সাল আরো জানান, যেহুতু হত্যার অভিযোগ উঠেছে সে জন্যেই মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই সঠিকভাবে বলা যাবে এটি হত্যাকান্ড নাকি স্বাভাবিক মৃতত্যু। ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরর প্রক্রিয়া চলছে। ইত্যে মধ্যে অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নিহত নজরুলের বড় ভাই ফজলুর রহমান ও তার স্ত্রী নার্গিস সুলতানা পলাতক রয়েছেন ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন