দেশে ফিরেই কি তবে ডমিঙ্গোর পদত্যাগ!
খেলাধুলা ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব হারানোর পর ছুটি কাটাতে দেশে গিয়েছিলেন টাইগার হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তবে এ যাওয়াই কি তার শেষ যাওয়া হলো! অবস্থাদৃষ্টে তেমনটাই মনে হচ্ছে। গণমাধ্যমের খবর, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের পাঠ চুকাতে চলেছেন ডমিঙ্গো! যদিও হেড কোচের পদত্যাগ গুঞ্জনের বিষয়ে বিসিবি সিইওর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সাড়া মেলেনি।
দলের টানা ব্যর্থতায় টাইগার হেড কোচের চাকরী নিয়েই সংশয় ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি দলের কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেলেও বাকি দুই ফরম্যাটের নাটাই তার হাতেই রেখে দেয় বিসিবি। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন গণমাধ্যমকে জানান, ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকান এ কোচের সঙ্গে থাকা চুক্তি শেষ করতে চায় তারা। টি-টোয়েন্টির পরিকল্পনা থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন খোদ ডমিঙ্গোও। জানিয়েছিলেন, এটা দারুণ ব্যাপার হবে। কিছুটা অবসর পাওয়ায় আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে আরও ভালোভাবে কাজ করার সুযোগ থাকবে বলেও জানান তিনি।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিসিবিকে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা জমা দেয়ার কথা ছিল ডমিঙ্গোর। তবে ছুটি কাটাতে দেশে ফিরে বাংলাদেশের চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্তই নিয়ে ফেলেছেন। যদিও বিসিবির পক্ষ থেকে যা আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তাতে বোঝা য়ায় এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেননি ডমিঙ্গো।
ডমিঙ্গো জানান, টি-টোয়েন্টি দলের ক্রিকেটাররা খারাপ পারফরম্যান্স করলে তাদের চিৎকার-চেঁচামেচি করার জন্য বোর্ডের তরফ থেকে বলে দেয়া হতো, যা তার কোচিং দর্শনে একেবারেই নেই। এ ছাড়া বোর্ডের বিভিন্ন কর্তার মন্তব্যের কারণে তিনি নিজের কাজটা ঠিকমতো করতে পারতেন না বলেও জানান ডমিঙ্গো। আরও বলেন, আসলে চিৎকার-চেঁচামেচি করে খুব একটা লাভ হয় না। যখন ওরা ভুল করে, তখন বাজেভাবে সমালোচনা করলে ক্রিকেটারদের সেরাটা পাওয়া যাবে না। আমি এটা করতে চাইনি ।
ডমিঙ্গোর এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খেপে গেছে বোর্ড। বুধবার (২৪ আগস্ট) ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনূস গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, বিষয়টা আগে আমরা খতিয়ে দেখি এবং এটা নিয়ে আমার কাছে মনে হয়, বোর্ড থেকে তার কাছে একটা চিঠি যাওয়া উচিত যে, বক্তব্যগুলোতে আসলে কী বোঝাতে চেয়েছেন তিনি। যদি আমাদের পরিষ্কার করে, তাহলে আমরা বুঝতে পারব কোথায় সমস্যা হচ্ছে।
ডমিঙ্গো যেসব কথা বলেছেন, সেগুলোর ব্যাপারে তার সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নিতে চায় বিসিবি। এ সম্পর্কে জালাল ইউনুস জানান, ডমিঙ্গোর সঙ্গে আগে আলাপ করি। পরবর্তী সময়ে আমাদের অ্যাকশনটা কী হবে, সেটা আপনাদের জানাতে পারব। এ জন্য বিষয়টা আমাদের পরিষ্কার হতে হবে। প্লেয়ারদের সঙ্গে কাদের বেশি কথা হয়, সেটা তো পরিষ্কার। যখন দল কোনো সফরে যায়, তখন সেখানে হেড কোচ থাকে, টিম ডিরেক্টর থাকেন, সাপোর্ট স্টাফরাও থাকেন।