আজকের দেশ সংবাদ ডেস্ক : নওগাঁ পৌরসভার মেয়র নজমুল হক সনির বিরুদ্ধে মৃত্যু ও কলেজ ছাত্রের নামে ডে লেবার টাকা উত্তোলন ও অনিয়ম দুর্নীতি ও অর্থ আতœাসাৎ বিষয়ে অভিযোগ এনে নওগাঁ পৌর সভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান সাগর মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ শহরের ঠিকানা কমিনিউটি সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে।
আসাদুজ্জামান সাগর এক লিখিত বক্তব্যে বলেন, পৌরবাসীর সেবা করার জন্য আমরা জনপ্রনিধি হিসেবে নির্বাচন করেছি আর সেজন্য ভোটারগণ আমাদেরকে নির্বাচিত করেছেন। নির্বাচিত হওয়ার পর গত বছরে ২রা ফেব্রæয়ারীতে নওগাঁ পৌর সভার নির্বাচিত সকল জনপ্রতিনিধি শপথ গ্রহন করেছি। কিন্তু পৌর মেয়র নজমল হক সনি জনগনের সেবা করার নামে দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক ড্রেন লেবার তালিকায় মৃত ইনছের আলী ও স্থানীয় কলেজে দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রের নাম উল্লেখ্য করে (জুলাই-আগস্ট) মাসের টাকা উত্তোলন করেছেন। এ ব্যাপারে আমি গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করি। একই বছরের ১৩ অক্টোবরে প্রাপ্ত পত্র নং ১১৬৪ সচিব বরাবর কর্মচারীদের নামের তালিকা প্রাপ্তির জন্য আবেদন করি। তারপরও তালিকা না পাওয়ায় পুনরায় ২রা অক্টোবরে তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ এর ক ফরমে তথ্য প্রাপ্তির আবেদন করি। কিন্তু অদ্যবধি পর্যন্ত কোন তথ্য পাইনি।
তিনি আরো বলেন, গত বছরের ৩১ শে অক্টোবর মাসিক সভার বিবিধ আলোচনায় আমি বঙ্গবন্ধুর মোরাল স্থাপন, পৌর সেবার সকল মুল্য তালিকা প্যানা দিয়ে সাইনবোর্ড স্থাপন করা এবং পৌর সভার কয়টি রোলার আছে এসব বিষয় উপস্থাপন করি। সেসয়ম পৌর মেয়র নজমুল হক সনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন, এটা কোন পাটি অফিস নয়,এটা কারো বাপের পৌরসভা নয়, যে তার মোরাল এখানে করতে হবে বলে রেজুলেশন বহি ছুড়ে ফেলে দেন। এ ব্যাপারে সকল পৌর কাউন্সিলর আলাপ করে স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক বরাবরে অভিযোগ দাখিল করি। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে চলতি মাসের ২১ তারিখে পৌর সভায় সরেজমিনে তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেয়রের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে দাখিলকৃত অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে শেখ হাসিনা যে ভাবে দুর্নীতিমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছেন। সেজন্য মেয়র নজমুল হক সনির নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানান তিনি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন