আজকের দেশ সংবাদ : শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বিদায়ই নিতে হলো। পাকিস্তানের এ পর্যন্ত অন্য সব প্রধানমন্ত্রীর মতো তাঁকেও পাঁচ বছরের মেয়াদ পূরণের আগেই বিদায় নিতে হলো। যদিও ইমরানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিলেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার।
অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব খারিজ হয়ে যাওয়ার পর রবিবারই পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রেসিডেন্টকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে ইমরান ভিন্ন রকম এক কৌশল খাটালেন। এই কৌশলে তিনি অনাস্থা ভেটে হেরে মাথা নিচু করে বিদায় নেওয়া থেকে বেঁচে গেলেন। ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া ইমরান অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের পর বলেছিলেন, ক্রিকেট ম্যাচের মতোই ‘শেষ বল’ পর্যন্ত লড়াই করতে চান। আগের রাতে বলেছিলেন চমক দেখাবেন ভোটের দিন। সেটাই যেন করে দেখালেন তিনি। এটা কার্যত নিশ্চিত ছিল অনাস্থা ভোটে হেরে বিদায় নেবেন ইমরান খান। এখন সংবিধান অনুযায়ী পাকিস্তানে ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
গত রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হওয়ার পর ডেপুটি স্পিকার কাশিম সুরি প্রধানমন্ত্রী ইমরানের বিরুদ্ধে আনা বিরোধী দলের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেন। স্পিকার বলেন, এই অনাস্থা প্রস্তাব সংবিধানের পরিপন্থী। সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিককে রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকা মৌলিক দায়িত্ব। ইমরান ও তাঁর দল তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) অভিযোগ ছিল, এই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে বিদেশি ষড়যন্ত্রে।
বিদায়ি পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় নেতা শাহবাজ শরিফ গত ২৮ মার্চ পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পিএমএলের (এন) এই নেতা ডেপুটি স্পিকারের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়াকে সংবিধানের লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেন।
সংবাদ সূত্রঃ এএফপি / ডন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.