ঢাকা, রোববার, ৬ মার্চ ২০২২: বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক
ফোরাম- বিএমএসএফের নাম, লোগো অবৈধ ভাবে ব্যবহারের অভিযোগে কতিপয়
বহিস্কৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার ৬মার্চ ঢাকা জেলা জজ
আদালতে কপি রাইট আইনে এ মামলা দায়ের করা হয়। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক
ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা, ট্রাষ্টি ও প্রধান সমন্বয়কারী আহমেদ আবু জাফর বাদী
হয়ে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায়
বাদী পক্ষে আইনজীবি ছিলেন এডভোকেট খন্দকার হাসান শাহরিয়ার। সহযোগিতায়
ছিলেন এ্যাড. সাইজুল ইসলাম, এ্যাড. সালেহীন ও এ্যাড. ইসমাতুল্লাহ লাকি।
ঐতিহ্যবাহী
সংগঠন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামকে ব্যবহার করে নানা অনৈতিক,
প্রতারণা, সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের দায়ে বহিস্কৃত সাবেক
সভাপতি শহিদুল ইসলাম পাইলট এবং সাঈদুর রহমান রিমন, সোহাগ আরেফিন, শারমিন
সুলতানা মিতু, এনামুল কবির সোহেল, রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু ও জুয়েল
খন্দকারকে আসামী করা হয়েছে।
তারা
অবৈধভাবে বিএমএসএফের নাম, লোগো ও মনগড়া পদপদবী ব্যবহার করে সংগঠনের
অন্যান্য সদস্য ও শাখাসমুহের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে যাচ্ছে। এরা
সংগঠনকে অন্যায় ভাবে ব্যবহার করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। তাদের এই অবৈধ
কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের বিভিন্ন পর্যায়ের
নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন।
রোববার
আদালত প্রাঙ্গনে ঢাকা জেলা দক্ষিণ সভাপতি রেজা নওফল হায়দার, মোশারফ হোসেন
নীলু, ময়মনসিংহ জেলা সভাপতি শিবলী সাদিক খান, ট্রাস্টি সদস্য রফিকুল
ইসলাম খান মিরপুরী, জাতীয় পরিষদ সদস্য ইমন দাস, আলী হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা
মাহবুব আলম জীবন চৌধুরী, রেজাউল করিম, এসএম রাসেল, আল আমিন তাওহীদ, সুমন
খান, জীবন চৌধুরী, সোহেল রানা, স্বাধীন সরকার, আফজাল হোসেন জাকির,
ওয়াহিদুজ্জামান মোল্লা, শাম্বু শাকিল প্রমূখসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত
ছিলেন।
সাংবাদিকদের
প্রশ্নের জবাবে এ্যাডভেকেট খন্দকার হাসান শাহরিয়ার বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে
কপি রাইট ২০০০(২০০৫ সালের সংশোধিত ৭৬ ধারা) আইন লঙ্ঘনের সুস্পষ্ট অভিযোগ
থাকায় আমরা স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের
করেছি। আশা করছি বিএমএসএফ ন্যায় বিচার পাবো।
উল্লেখ্য,ন্যায়সঙ্গত
অধিকার, মর্যাদা রক্ষায় বিএমএসএফ ১০ বছর ধরে প্রায় সাড়ে ৩শ শাখায় ১৫ হাজার
সদস্য সাংবাদিক ১৪ দফা দাবি বাস্তবায়নে কাজ করছে। ইতিমধ্যে একটি চক্র
সংগঠন ও সাংবাদিকদের মাঝে স্বার্থবিরোধী অবস্থান সৃষ্টি করে অনৈতিক
কর্মকান্ডের দ্বারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চালায়। এ ধরনের অভিযোগের
প্রেক্ষিত ৮ জনকে সদস্যপদ থেকে বহিস্কার করা হয়। বহিস্কারের পরেও তারা
সংগঠনের নাম-পদবী, লোগো ব্যবহার করে সদস্যদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টির
অপচেষ্টা চালিয়েছিল। এ ব্যাপারে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে
লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর পরেও তারা অব্যাহত ভাবে
সংগঠনের নামপদবী ব্যবহার করে সভা, নেতাকর্মীদের বিভ্রান্তিসহ সিনিয়র
নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে যাচ্ছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন