আজকের দেশ সংবাদ ডেস্ক : শিক্ষায় জাতীর মেরুদন্ড, দেশ গড়ার প্রধান হতিয়ার ই শিক্ষা। আর এ শিক্ষায় যিনি শিক্ষিত করেন তিনি শিক্ষক। বাবা মায়ের আদর ভালোবাসা, বিত্ত বৈভবের মাঝে বেড়ে উঠা ও অদম্য মেধাবী হবার পড়েও অন্য পেশায় না গিয়ে স্যার এনামুল হক ১৯৮৪ সালের ৮ ডিসেম্বর মানুষ গড়ার কারখানা নামে পরিচিত স্কুল শিক্ষকতায় যোগ দিয়েছিলেন । নিজ হাতে গড়েছেন অনেক পেশায় নিয়োজিত তার অনেক ছাত্রদের। আজ সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) ছিল তার অবসর জনিত বিদায়। নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে তার প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রী এবং তার সহকর্মীরা অশ্রুশিক্ত নয়নে তাকে বিদায় জানান। বিশেষ সম্মানে করেন সম্মানিত।
ঝরেপড়া ছাত্রদের উদজীবিতকরে তাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে সুন্দর জীবন গড়ায় সহায়তা করা বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অগ্রনী ভূমিকা রাখা যার অদম্য নেশা তিনি নওগাঁর দুবলহাটী রাজা হরনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক স্যার এনামুল হক। প্রাইভেট আর কোচিং ব্যানিজ্য যখন শিক্ষাকে গ্রাস করছে তখন নিজ দ্বয়িত্বে কঠোর পরিশ্রমে স্কুলেই ছাত্র/ছাত্রীদের জটিল ও কঠিন বিষয়গুলোকে সহজ সমাধানের মাধ্যমে সহায়তা করাছিল যার নৈতিকতা, তার শিক্ষকতায় কোন ছাত্রছাত্রীর প্রইভেট কোচিংরে প্রয়োজন ছিলনা। যিনি অসংখ্য ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞানের আলো বিলিয়ে করেছেন আলোকিত। বিদায় বেলায়ও তিনি দিয়ে গেলেন অদম্য এক শিক্ষা, ছাত্রছাত্রীদের উদ্দ্যেশে তিনি বলেন, “কিছু চাইবার থাকলে সৃষ্টিকর্তার কাছে চেও, হালাল রিজিকের সন্ধান করো”।
এ বিদায় অনুষ্ঠানে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাফর আলী শেখ, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ময়নুল হাসান রানা, শিকারপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও সহকারী শিক্ষক কাজী রুকুনুজ্জামান টুকু, সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল লতিফ, সিনিয়র সহকারী শিক্ষিকা আসমা খাতুন, শ্রীমতি শুকলা রানী সহ তার অসংখ্য প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।
তৌফিক তাপস
নওগাঁ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন