ঝলিকাঠি প্রতিনিধি : “লঞ্চ ডুবিতে অনেক মানুষ মারা যায় কিন্তু যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিকান্ডে এরকম বেদনাদায়ক মৃত্যুর ঘটনা আমার জানামতে ইতিপূর্বে বাংলাদেশে ঘটেনি।
মানুষ আগুনে দগ্ধ হয়ে বাঁচার জন্যে স্ত্রী সন্তান ও আপনজনকে সাথে নিয়ে অন্ধকারের মধ্যে গভীর নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে নদীতে ডুবে সলিল সমাধি হয়েছে আবার কারো । বাবা বাচলেও সন্তান বাঁচেনি আবার স্বামী বাঁচলেও স্ত্রী বাঁচেনী।
এ রকম নির্মম ঘটনার অবতারনা আর কখনও দেখি নাই। জেলা প্রশাসন খবর পেয়ে সাথে সাথে উদ্ধার কার্যক্রমে সহাযতা করেছে। আমি নিজেই ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিযন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখের অনেকেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে কেউ কেউ পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করেছে। অনেকেরই পরিচয় মেলেনি। আজকেও নদীতে একজনের মৃত্যুদেহ পাওয়া গেছ।
” সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় ঝালকাঠি টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে বৈশাখী টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মো: শফিউল আজম টুটুলের সভাপতিত্বে বিএমএসএফ জেলা সেক্রেটারী প্রভাষক রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু’র সঞ্চালনায় ঝালকাঠিতে বৈশাখী টেলিভিশনের ১৭তম প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো: জোহর আলী এসব কথাগুলো বলেন।
এসময় জেলা প্রশাসক আরো বলেন, আমরা অনেক তত্ত্বই সাংবাদিকদের মাধ্যমেই পেয়ে থাকি এবং সাংবাদিকদের সহযোগীতায় আমরা অনেক কার্য সম্পাদন করে থাকি। তিনি বিজয় টেলিভিশনের সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
তিনি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদ পরিবেশনার জন্যে সকল সংবাদকর্মী ও মিডিয়ার প্রতি আহ্বান জানান।এসময় বিশেষ অতিথী হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওপ্যানেল মেয়র বাবু তরুন কুমার কর্মকার, জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো: আহসান কবীর, , বিটিভি ঝালকাঠি জেলাপ্রতিনিধি মো: হেমায়েত উদ্দিন হিমু, দৈনিক দূরযাত্রার সম্পাদক ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি মো: জিয়াউল হাসান পলাশ, সময় টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার পলাশ রায় প্রমুখ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.