রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি : ঝালকাঠির কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়নে কৃষিজাত ফলজ বৃক্ষের সাথে এ কেমন শত্রুতা! জানাগেছে জায়গাজমি নিয়ে বিরোধের জেরে স্থান সিংহপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে মোঃ মনির হোসেন এর আবাদকৃত কৃষিজাত ফলজ বৃক্ষ পেপে, লাউ, কলা, কুমড়া, ফুঠ ও আমড়া গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির অর্ধশতাধিক গাছ কেটে ফেলে দুষ্কৃতিকারীরা যার মূল্য আনুমানিক মূল্য এক লক্ষ টাকা ।
এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত মোঃ মনির হোসেন(৪৮) বাদী হয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্ত্ত্বিপাশা গ্রামের মৃত শাহজাহান হাওলাদারের পুত্র তাওহীদ ইসলাম(২৩), মোঃ জসিম উদ্দিন তপ(২৮), মৃত আশ্রাব আলরি পুত্র শাহজাহান হাওলাদার (৫০)সহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন সংঘবদ্ধ হয়ে বাদীর জোর পূর্বক ফল ফলাদী নিয়ে যায়।২৫ অক্টোবর দুপুর ৩.৩০টার দিকে বাদীরন ভোগ দখলীয় সম্পত্তিতে কৃষিজাত ফলজ বৃক্ষ পেপে, লাউ, কলা, কুমড়া, ফুঠ ও আমড়া গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির অর্ধশতাধিক গাছ কেটে নিয়ে যায় এবং আনুমানিক এক লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি করে।
অভিযোগের ভিত্তিতে ঝালকাঠির অফিসার ইনচার্জ পুলিশ কর্মকর্তা খোকন হাওলাদারকে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করেন। দায়িত্ব প্রাপ্ত পুণিশ কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার ২৭ (অক্টোবর) সকালে ঘটনা স্থলে তদন্তে যান।
পুলিশ কর্মকর্তা খোকন হাওলাদার জানান, “বাদী বিবদীর মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ আছে। ইতিপূর্বে গাছ কাটাকাটি নিয়ে মামলা হয়েছিল এবং চার্জশীটও হয়েছে। বর্তমানে বাদী মো: মনির হোসেনের অভিযোগ পেয়ে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি এবং বাদী বিবাদতীর সাথে আলাপ আলোচনা করেছি। বিবাদীগন জমির কাগজপত্র নিয়ে আজ(৩০অক্টোবর) হাজির হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তারা আজ হাজির হয়নি। বিবাদীগন আমাকে ফোনে জ্বর হয়েছে বলে আসতে পারবে না বলে জানিয়েছে।"
২নং বিবাদী মো: জসিম উদ্দিন তপু জানান, বাদী মো: মনির হোসেনের অভিযোগ অসত্য ও মিথ্যা। বাস্তবে অভিযোগে বর্ণিত ঘটনা আদৌ ঘটে নাই।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.