মিলাদ মোদাচ্ছির, সন্দ্বীপ : জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহামুদ স্বপন এমপি, সন্দ্বীপের সাবেক সাংসদ মুস্তাফিজুর রহমানের স্মরণসভার বক্তৃতায় প্রথমেই বলেন, এইযে অনুষ্ঠানে গলায় ব্যাচ পড়ে যারা দাড়িয়ে আছেন তাদের কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে অনুষ্ঠানের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কিন্তু তারা অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বেশি বিশৃঙ্খলা করে, তারা শৃঙ্খলার দায়িত্ব নিয়ে একেকজন হিরো সাজে, তাদের পিছনে যে মুরুব্বিরা রয়েছেন তাদের কোন দাম নেই, এবং এ সমস্ত এলিয়েনদের কারনে রাজনীতি আজ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। মঞ্চের সামনে অনেক জায়গা তারা সেখানে না বসে মঞ্চে দাড়িয়ে বিশৃঙ্খলা করে ছবি তুলে পড়ে দেখা যাই সাত দিন পর এ সমস্ত কিছু ছবি গোল দাগ পড়ে পত্রিকায় নিউজ হয় নাম খারাপ হয় আমাদের, মনেহয় উনাদের ছেয়ে বড়নেতা আর সন্দ্বীপে নাই। আর বাকিরা সবাই ছলিম-কলিম উদ্দিন! এত কথা বলার পরও তারা মঞ্চ থেকে নামে না। তাদের চামড়া মোটা হতে হতে কোন জায়গায় পৌঁছেছে তা আমরা জানি না। এদের কারনে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন আজ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। তিনি বলেন ১৯৭৫ সালের পড়ে যারা ঘরের ফসল ও নিজের জমি বিক্রি করে নিজের স্ত্রী সন্তান কে বঞ্চিত করে আওয়ামী লীগের জন্য জীবন উৎসর্গ করছেন সেসব মানুষ গুলি আজ উপেক্ষিত। আল্লাহ না করুক আবার যদি ৭৫/৯৬/২০০১ সাল পরবর্তী সময়ের মতো দুঃসময় আসে তখন এসব সুবিধা বাদীদের খুজে পাওয়া নাও যেতে পারে ।
দ্বীপবন্ধু মুস্তাফিজুর রহমান কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন দ্বীপবন্ধু মুস্তাফিজুর রহমানের কারনে আজ সন্দ্বীপ সুপরিচিত, তার অবদান সন্দ্বীপ বাসী কেন দিন ভুলবে না, তিনি ছিলেন মানবতাবাদী নেতা, মানুষের কল্যানের জন্য কাজ করে গেছেন। দ্বীপবন্ধু কথা বলতে তিনি বলেন জীবন মহিমান্বিত হলে মৃত্যু ও মহিমান্বিত হয়, আজকের স্মরণ সভার উপস্থিত সেটা প্রমান করে। তিনি বলেন সন্দ্বীপ এখন বাংলাদেশের অনেক থানা হেডকোয়ার্টার বা জেলা শহর থেকে অনেক উন্নত।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মাস্টার শাহাজাহানের সভাপতিত্বে ও সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনউদ্দীন মিশন, আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দীন বেদন, ও সফিকুল মাওলার সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, ও জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মাহফুজুর রহমান মিতা এমপি, বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, পৌর মেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিম, বাউরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, মগধরা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান আলাল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান সুমন প্রমুখ। স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ, যুব মহিলালীগ, তাতীলীগ, মৎস্যজীবিলীগ,বীর মুক্তিযুদ্ধা বৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন