মো. সাইদুল ইসলাম,বেনাপোল : লেখাপড়ার সর্বচ্চো ডিগ্রী অর্জনকারী প্রতিবন্ধি সাহিদার স্বপ্নের প্রতিবন্ধি স্কুলের কাজ ৭০ ভাগ দৃশ্যমান হয়েছে। চোখে রঙিন স্বপ্ন আর ঠোঁটের কোনে মৃদু হাসি ফুটেছে তার। যশোরের শার্শা উপজেলার কৃতি সন্তান দেশ সেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমানের অক্লান্ত চেষ্টা ও পরিশ্রমের বিনিময়ে খুব শিঘ্রয় উদ্বোধনের মাধ্যমে আলোর মুখ দেখবে স্কুলটি।
সাহিদা খাতুন ঝিকরগাছার অদম্য মেধাবী ও জীবন যুদ্ধে হার না মানা এক বিশেষ প্রতিবন্ধি নারী। জন্ম থেকেই যার দুই পা আর অতি প্রয়োজনীয় ডান হাতটি নেই তার। এক হাতে ভর করেই লেখাপড়ার সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জনের পাশাপাশি কয়েকবার পেয়েছেন গুণিজন সম্মাননা। সমাজিক কর্মকান্ডে অগ্রনি ভূমিকা রাখার সাথে কুঠির শিল্প ও হস্তশিল্পে তার রয়েছে বিশেষ খ্যাতি।
এমনি নানান কর্মক্ষমতা ও যোগ্যতার অধিকারি হয়েও সাহিদার হয়নি বিশেষ কোঠায় কোন সরকারি বা বেসরকারি চাকরি। তার কুঠির শিল্পের ও হস্তশিল্পের পায়নি কোন সহযোগীতা। ফলে সমাজের একজন বোঝা মনে করেই চরম হতাশার মধ্যে জীবন যাপন করছিলো সাহিদা খাতুন।
হতাশার শেষ সময়ে সাহিদার স্বপ্ন ছিলো একটি প্রতিবন্ধি স্কুল করা। যেখানে হতাশাগ্রস্ত সমাজের বিশেষ প্রতিবন্ধি নারী পুরুষের পাশাপাশি বয়স্কদের বিনামূল্যে লেখাপড়া ও হস্তশিল্পের কাজের প্রশিক্ষন দেবে সে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.