মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া, সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বালিয়াঘাট, চারাগাঁও, টেকেরঘাট, বীরেন্দ্রনগর ও চাঁনপুর সীমান্ত এলাকায় সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চলছে জমজমাট চোরাচালান বাণিজ্য। মাদক, কয়লা, হুন্ডি ও চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলার জেলখাটা আসামীরা চোরাকারবারীদেরকে নিয়ে সীমান্ত এলাকায় তৈরি করেছে সিন্ডিকেড। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- আজ মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট ও লাকমা এলাকা দিয়ে লালঘাট গ্রামের একাধিক মাদক মামলার জেলখাটা আসামী ইয়াবা কালাম তার সহযোগীদেরকে নিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে ২০ মেঃটন কয়লা, মদ, গাঁজা ও ইয়াবাসহ বরশির ছিপ পাচাঁর করে ২টি ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করাসহ পাশর্^বর্তী চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা তেতুলগাঁছ, ১১৯৬ পিলার সংলগ্ন লালঘাট ও জঙ্গলবাড়ি এলাকা দিয়ে চোরাকারবারী রমজান মিয়া, খোকন মিয়া, শফিকুল ইসলাম ভৈরব, মানিক মিয়া, একদিল মিয়া, কুদ্দুস মিয়া, শহিদুল্লাহ, আনোয়ার মিয়া, বাবুল মিয়া গং ৩৫ মেঃটন কয়লা ও বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে ৩টি ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে টাঙ্গুয়ার হাওর দিয়ে নদীপথে নেত্রকোনো জেলার কমলাকান্দা উপজেলার সদরের মনতলা এলাকার আজিজ মিয়া ও সাজু মিয়া কয়লার ডিপুতে নিয়ে মজুত করে। কিন্তু এব্যাপারে নেওয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ।
তবে এই উপজেলার লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদীতে বিজিবি অভিযান চালিয়ে ভারত থেকে পাচাঁরকৃত ৫৬হাজার ৫শত টাকা মূল্যের অবৈধ ৫শ কেজি চোরাই কয়লা ও ১টি বারকি নৌকাসহ পাশর্^বর্তী এই সীমান্তের সাহিদাবাদ নামকস্থান থেকে ১৪হাজার ৮শত টাকা মূল্যের অবৈধ ৪০ ঘনফুট ভারতীয় পাথর ও ২টি ঠেলাগাড়ি আটক করেছে। অপরদিকে টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া শুল্কষ্টেশন এলাকা দিয়ে নারী চোরাকারবারীরা ভারত থেকে অবৈধ ভাবে বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক্স পাচাঁরের সময় ৪হাজার ৬০টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকার অবৈধ মালামাল আটক করেছে। কিন্তু চিহ্নিত চোরাকারবারীদেরকে কখনোই গ্রেফতার করতে পারেনা বিজিবি। অথচ পুলিশ ও র্যাব সীমান্ত এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, জাল টাকা তৈরির মেশিন, ইয়াবা ও মদসহ বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী ও মাদক ব্যবসায়ীসহ একাধিক সীমান্ত চোরাকারবারীদেরকে গ্রেফতার করেছে।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল তসলিম এহসান সাংবাদিকদের বলেন, জব্দকৃত নৌকা, গাড়ি ও অবৈধ মালামাল শুল্ক কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন