রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি : ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় এবার প্রাধানমন্ত্রীর উপহার ‘জমিনাই, ঘর নাই’ প্রকল্পের হতদরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত ঘর এক ইউপি সদস্যকে বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্যকেও একটিঘর বরাদ্দ করেছে। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৩২৮ টি গৃহহীন ও ভূমিহীন হতদরিদ্র পরিবারকে ঘর বরাদ্দ দেখানো হলেও উক্ত তালিকার মধ্যে অর্ধ শতাধিক স্বচ্ছল-স্বাবলম্বী ও জমি ঘরের মালিকের নামও অন্তর্ভূক্ত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আবেদনকরেও বঞ্চিত হওয়া প্রকৃত গৃহহীন ও ভূমিহীন অনেক পরিবারের দাবী ‘সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যদি প্রকৃত সহায় সম্পদহীন পরিবারকে অন্তর্ভূক্ত করে বিতরন তালিকা করা হতো তাহলো প্রাধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার সত্যিকারে স্বার্থক হতো।
কাঠালিয়া পিআইও অফিস সূত্রে জানা গেছে,জমি নাই ঘর নাই প্রকল্পে কাঠালিয়া উপজেলায় সর্বমোট বরাদ্দকৃত ৩২৮টি ঘরের মধ্যে চেঁচরীরামপুর ইউনিয়নে ৩০টি, পার্টিখালঘাটা ইউনিয়নে ৪৯টি, আমুয়া ইউনিয়নে ৫৪টি, কাঠালিয়া সদর ইউনিয়নে ৮৩টি, শৌলজালিয়া ইউনিয়নে ৫৭টি ও আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে ৫১টি বরাদ্দ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার সভাপতি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: আহম্মোদুর রহমান সদস্য সচিব ও উপজেলা চেয়ারম্যান এমাদুল হক মনিরকে উপদেষ্টা করে গঠিত প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গৃহহীন ও ভূমিহীনের তালিকা চুড়ান্ত Íকরে ঘরগুলো বিতরণ করেছে বলে জানানো হয়েছে।
কাঠালিয়ার গৃহহীন ও ভূমিহীন হতদরিদ্র পরিবারের বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন, জমিনাই ঘর নাই প্রকল্পে কাঠালিয়া উপজেলায় সর্বমোট বিতরনকৃত ৩২৮টি ঘরের মধ্যে তার এখোন পর্যন্ত ৪৮টি পরিবারকে শনাক্ত করেছে যাদের নিজেস্ব সহায়-সম্পদ ও জমি-ঘর রয়েছে এবং আর্থিকভাবেও তারা স্বচ্ছল। যার মধ্যে শৌলজালিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন আকাশও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে একটি ঘর বরাদ্দ নিয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। যদি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘরবিতরণ করা হতো তাহলে সঠিক যাদের জমি নাই ঘর নাই সেই মানুষগুলো মাথা গোঁজার ঠাঁই পেত।
এ ব্যাপারে শৌল জালিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন আকাশ বলেন, ঘরটি আমার নামে নয়,আমার মায়ের নামে বরাদ্দ হয়েছে। সে ঘরে আমি থাকি না আমার মা থাকে। আমি ইউপি সদস্য হওয়ার পুর্বে সে এ ঘর পেয়েছে। আমি কাঠালিয়া সদরে ভাড়া বাসায় থাকি।
এই বিষয় প্রকল্প সভাপতি কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, আমিদিনরাত পরিশ্রম করে ঘর নির্মাণ করিয়েছি। মাইকিং করে ও বোর্ড গঠন করে যাচাইয়ের মাধ্যমে ঘর বিতরণ করা হয়েছে। তবে ইউপি সদস্য কি করে ঘর পেলেন প্রশ্ন করলে বলেন, প্রথমে ঘর বরাদ্দ হয়ে ছিলো কিন্তু দলিল হয়নি। আবার বলেন, ঘরটি অন্য লোকের নামে বরাদ্দ করা হয়েছে, কিন্তু ‘অন্য লোকটি কে তা ষ্পষ্ট করেননি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন