রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি : শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে ঝালকাঠির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ঝালকাঠি পৌরসভার সরকারী হরচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী কায়নাদ মম। সকালে স্কুলে এসে দুপুর ১২ টায় স্কুল শেষ বাড়ি ফিরছিল খুশি মনে। এছাড়াও ক্লাস শেষ করে বন্ধুদের সাথে সেলফি তুলতে দেখা যাচ্ছে অনেককে। এতদিন পর স্কুলে এসে কেমন লেগেছে জানতে চাইলে তাজ বলে, এ যেন ঈদের দিনের মত। ঈদের দিন বন্ধুদের সাথে দেখা হলে যেমন আনন্দ হয়, তেমন আনন্দ হচ্ছে আজ। দীর্ঘদিন পর স্কুলে আসতে পেরেছি প্রিয় সহপাঠী বন্ধু, শিক্ষকদের সাথে দেখা হয়েছে , এতে টানা দেড় বছর বাড়িতে থাকার কথা ভুলে গিয়েছি। সবার মাস্ক পড়া থাকলেও চিনতে অসুবিদা হয়নি বলে জানায় এ শিক্ষার্থী। শুধু তাজ নয় শত শত শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দ পরিলক্ষিত করা যায়।
আব্দুল ওহাব গাজি শিশু বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপ মাত্রা পরীক্ষা করে ভিতরে প্রবেশ করাচ্ছে। হ্যান্ড ওয়াশ স্প্রে রাখা হয়েছে স্কুল গেটে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখা যায়।
এদিকে ঝালকাঠি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরার পথে আনন্দ উৎসব করতে দেখা যায়। সবার মাঝে অন্যরকম এ অনুভূতি পরিলক্ষিত হয়েছে।
ঝালকাঠি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারুফা বেগম জানান, “স্কুল খোলাতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সকলে খুব খুশি। সকলেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করছে। আমরা চাই কোভিট-১৯ মহামারিতে আর যেন কেহ আক্রান্ত না হয়। শিক্ষার্থীরা যেন স্কুলে এসে লেখাপড়া করতে পারে। মানুষের স্বাভাবিক জীপনযাত্রা ফিরে আসুক এ কামনা করছি।”
“ঝালকাঠি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো: তুহিন হোসেন জানান, শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে চায়, ক্লাস করতে চায় এবং আমরাও স্কুলে ফিরে যেতে চাই। আমদের শিক্ষাদান অব্যাহত থাকুক এটাই প্রত্যাশা করছি।”
অভিভাবক মো: হাবিবুর রহমান জানান, “অনেক দিন পর বাচ্চারা স্কুলে যেতে পেরে খুব খুশি এবং আমাদের ভালো লাগছে। তবে সকলের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা উচিত।”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন