ডেস্ক নিউজ : লকডাউনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি মানবিকতা প্রদর্শন পূর্বক সরকার বয়সে ছাড় দিতে যাচ্ছে ।
কোভিট নাইন্টিন অতিমারিতে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়নি, তাই চাকরিতে সুযোগ বা আবেদনের ক্ষেত্রে কারো নির্ধারিত বয়স পেরিয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্তদের ২১ মাসের ছাড় সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।
অনুমোদনের পরে বয়স শিথিলের জন্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নির্দেশনা দেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
প্রস্তাব অনুযায়ী, গত বছরের ২৫ মার্চ পর্যন্ত যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি চাকরির নিয়োগে যত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে সেখানে তাদের আবেদনের সুযোগ থাকবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম জানান , করোনা মহামারির কারণে গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ চলছে। এর মধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়নি। তাই গত বছরের ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ ছিল, তারা আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত যত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে সেখানে আবেদন করতে পারবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগামী দু-একদিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাব। তিনি এই প্রস্তাবে অনুমোদন দিলে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতে নিয়োগের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের।
করোনাভাইরাস অতিমারি দেশের বেকারত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কয়েক লাখ চাকরিপ্রার্থীর ন্যূনতম বয়স লকডাউনের মধ্যে চলে গেছে বলে জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের বয়স বাড়ানোর আন্দোলন করা সংগঠনগুলো।
তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে আগেই একাধিক সূত্র জানায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.