তৌফিক তাপস,নওগাঁ : নওগাঁর মান্দায় আসামী ধরার নামে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফার বাড়িতে তান্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে সাদা পোশাকের কয়েকজন পুলিশের বিরুদ্ধে। আপ্যায়ন কক্ষের দরজাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুরেরও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া একজন নারীকে হেনস্তা করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার মান্দা সদর ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামে চেয়ারম্যান তোফার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় মান্দা থানার উপ-পরিদর্শক আতিউর রহমানকে লাঞ্ছিতসহ অবরুদ্ধ করে রাখে উত্তেজিত জনতা। পরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমানের নেতৃত্বে ৩ ঘন্টা পর মুক্ত হন এসআই আতিউর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়দের অভিযোগ, অতি উৎসাহী হয়ে আসামী ধরার নামে একজন জনপ্রতিনিধির বাড়িতে সন্ত্রাসী কায়দায় তাণ্ডব চালিয়েছেন এসআই আতিউর রহমান। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলেও দাবি করেন তাঁরা।
চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা জানান, সদর ইউনিয়নের ঘাটকৈর গ্রামের এক নারী একই ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর মৎস্যজীবীপাড়ার আলাউদ্দিনের ছেলে রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ দেন। বিষয়টি মিমাংসা করে দেওয়ার জন্য জোরাজুরি করছিলেন ওই নারী। শুক্রবার সকালে মিমাংসার জন্য দুইপক্ষ বাড়িতে আসেন। এ অবস্থায় স্থানীয় ইউপি সদস্য রুস্তম আলীকে ডেকে নিই।
চেয়ারম্যান অভিযোগ করে বলেন, দুইপক্ষকে নিয়ে অ্যাপায়ন কক্ষে আলোচনা চলাকালে হঠাৎ করেই সাদা পোশাকে এসআই আতিউর রহমানসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য সেখানে উপস্থিত হন। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে রুবেল হোসেনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন পুলিশ সদস্যরা।
তিনি আরো বলেন, এসময় বাধা দিলে কয়েকজন নারীকে হেনস্তা করাসহ ওই কক্ষের বেশকিছু আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। সংবাদ পেয়ে স্থানীয় লোকজন এসআই আতিউর রহমানকে লাঞ্ছিত ও অবরুদ্ধ করে রাখে।
ইউপি সদস্য রুস্তম আলী অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ সদস্যরা আসামী ধরার নামে কয়েকজন নারীর পরনের কাপড় ছিঁড়ে লাঞ্ছিত করে। পরে রুবেল হোসেন ও ওই নারীকে ধরে থানায় নিয়ে যান। পরে এ ঘটনায় একটি মামলা রেকর্ডভূক্ত করে পুলিশ। মামলার আগেই পুলিশি তাণ্ডবের নিন্দা জানিয়ে তদন্ত করে দোষী পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।
মান্দা থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) শাহিনুর
রহমান বলেন,
ধর্ষণের ঘটনায়
ভিকটিম ওই
নারী থানায়
মামলা করেন।
মামলার আসামীকে
ধরতে চেয়ারম্যান
তোফার বাড়িতে
অভিযান দেন
এসআই আতিউর
রহমান। সেখানে
অপ্রীতিকর ঘটনা
ঘটেছে। পরে
তাঁকে উদ্ধার
করা হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন