রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু , ঝালকাঠি : ফেসবুকে মিথ্যা পোষ্ট ছড়িয়ে হয়রানি ও ২০হাজার টাকা চাঁদার দাবীর হাত থেকে বাঁচতে প্রশাসনের সহযোগীতা চেয়ে ঝালকাঠির রাজাপুরের এক মুক্তিযোদ্ধার পুত্র আঃ রহিম সিকদার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। রবিবার বেলা ১২টায় ঝালকাঠি টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে রাজাপুরের ছৈাট কৈবত্যখালী এলাকার কথিত ফেসবুক সাংবাদিক ইমন ওরফে নাইম মোল্লার বিরুদ্ধে ভূক্তভুগীরা এ সংবাদ সম্মেলন করেন। ইতিমধ্যে ইমন মোল্লা একটি ফেসবুক আইডিতে তার ছবিসহ মিথ্যা অপপ্রচার করায় তার পরিবারসহ নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলে দাবী করেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, তিনি মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইহসাক আলী সিকদারের পুত্র ও কার্গো জাহাজে কর্মরত আঃ রহিম সিকদার। বর্তমানে বাড়ীতে আসার পর গত ১আগষ্ট থেকে কৈবত্যখালী এলাকার মৃত ওয়ারেচ মোল্লার পুত্র কথিত ফেসবুক সাংবাদিক ইমন ওরফে নাইম মোল্লা নিজেকে সাংবাদিক দাবী কওে তার কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। সে বলে ঝালকাঠির সাংবাদিক আক্কাস সিকদার আমার ভাই, আমি তার অধীনে রাজাপুরে সাংবাদিকতা করি। চাঁদা না দিলে মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ দিয়ে চরম হয়রানি করবে।
তিনি চাঁদা প্রদানে অস্বীকৃতি জানাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে সে ‘দৈনিক প্রতিদিনের খবর ঝালকাঠি’ নামের আইডিতে তার ছবির সাথে ইয়াবার ছবিযুক্ত করে ফেসবুকে মিথ্যা পোষ্ট দিলে তারা চরম হয়রানি ও আতংকের মধ্যে পরে। সর্বশেষ গত ৭ আগষ্ট বিকালে ইমন মোল্লা পুনরায় তার বাড়ীতে গিয়ে দাবীকৃত ২০ হাজার টাকা না দিলে নিয়মিত একের পর এক এ ধরনের সংবাদ চলতে থাকবে বলে ঘোষনা দেয়ায় নিরুপায় হয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তার আবেদন করেন।
এ বিষয় ইমন মোল্লা নাইম সংবাদ সম্মেলনের অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা ও হয়রানি মূলক জানিয়ে বলেন, অভিযোগকারী পক্ষের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। সম্প্রতি তাদের সাথে গাছকাটা সংক্রান্ত এক বিরোধের ঘটনায় সে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। উক্ত বিষয়টি রাজাপুর থানায় তদন্তাধীন রয়েছে। সেক্ষেত্রে চাদা দাবী ও কারো নাম বলে হুমকি প্রদানের অভিযোগ সম্পূর্ন বানোয়াট।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন