রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি : ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়নের জালালকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে খালের উপর ব্রীজটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসা এটি কি ব্রীজ না মরণ ফাঁদ? ব্রীজটির প্রায় অর্ধেক পরিমান ঢালাই খসে পড়েছে এবং খসে পড়া জায়গায় রড বেড় হয়ে ফাঁকা হয়ে গেছে। সেই রডের উপর ভাঙ্গা জায়গায় কাঠের তক্তা বিছিয়ে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে কোনমতে চলছে হোন্ডা ও অটোরিকসাসহ নানা রকম যানবাহন। জানা গেছে প্রায় ৫/৬ বছর যাবত ব্রীজটির এই ভগ্নদশা থাকলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি জেলা পরিষদের সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুর রহমান সিন্টু জানান, এ ব্রীজটি দিয়ে দৈনিক সহস্রাধিক লোক যাতায়াত করে। নথুল্লাবাদ ও বিনয়কাঠি ইউনিয়নের জনগন ঝালকাঠি ও বরিশাল শহরে এই ব্রীজটির উপর দিয়ে যাতায়াত করে। জেলা পরিষদের এত অর্থ বরাদ্দ দেয়া সম্ভব নয় বিধায় জেলা পরিষদ কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এজন্য ঝালকাঠির এলজিইডি’র ব্যবস্থা নেয়া দরকার। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও জন গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রীজটি অজানা কারণে নির্মাণ হচ্ছে না।
বিনয়কাঠি ইউপি চেয়ারম্যান এ জে এম মঈন উদ্দিন পলাশ সাংবাদিকদের জানান, “ব্রীজটি নির্মাণের জন্য আমি চেষ্টা চালাচ্ছি। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি ব্রীজ। জরুরী ভিত্তিতে ব্রীজটি নির্মাণ করা একান্ত প্রয়োজন। তিনি এ ব্যাপারে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।”
নথুল্লাবাদ ইউনিয়ের চেয়ারম্যান মো: জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, “আমার জানামতে জনগুরুত্বপূর্ণ এই ব্রীজটি নির্মাণের জন্য ষ্টিমিট করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই ব্রীজটি নির্মাণের ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।”
ঝালকাঠির প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রুহুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, “এ বিষয়টি সদর উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার ভালো বলতে পারবেন। তিনি লোকেশান জানেন। আপনারা তার সাথে কথা বলেন, তিনি আমাকে বিষয়টি জানাবেন।”
ঝালকাঠি সদর উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল বাকী চৌধুরী জানান, “ব্রীজটি আইবিআরপি প্রকল্পে প্রস্তাবিত রয়েছে। ইতিমধ্যে ব্রীজটির সয়েল টেষ্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। এলজিআরডি সদর দপ্তর অনুমোদন দিলে অচিরেই ব্রীজটির কাজ শুরু হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন