মো. রাসেল ইসলাম,বেনাপোল : শরীরে বিরল এক রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ ১০ বছর জীবনের কঠিন সময় পার করছে যশোরের শার্শা উপজেলার মোশারেফ হোসেন নামে এক যুবক। অর্থাভাবে চিকিৎসা না হওয়ায় সমাজে আজ সে প্রতিবন্ধিদের একজন। সন্তানের উন্নত চিকিৎসার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ সমাজের বিত্তশালী মানুষের মাঝে পিতৃহীন সন্তানের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করেছেন অসহায় মা।
সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, যশোরের শার্শা উপজেলার কণ্যাদাহ গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদিন ও মা কহিনুর বেগমের মেজো ছেলে মোশারেফ হোসেন। বয়স ২৮ বছর বৎসর পূর্ণ হলে হঠাৎই শরীরে শিরা জনিত সমস্যার কারণে অদ্ভুত ভাবে হাত পা ছুঁড়তে থাকে সে। বর্তমান বয়স ৩৮ চলছে তার। প্রথম অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের সরনাপন্ন হলেও অর্থাভাবে থমকে গেছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। পিতা নেই, নেই কোন অর্থের ব্যবস্থা। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এই অদ্ভুত রকমের খিচুনি আর জালাযন্ত্রনা নিয়ে দুর্বিষহ মানবেতর জীবনযাপনে কাটছে মোশারেফ ও তার মায়ের জীবন। সামান্য ভিটে ও ভাঙ্গাচোরা ঘর ছাড়া সহায় সম্বল কিছু নেই তার। অন্যের কাজ করে মায়ের কিছু রোজগার করা অর্থ ও সামান্য প্রতিবন্ধি ভাতা দিয়েই টেনেটুনে চালাতে হয় তাকে। ফলে, বর্তমানে কোন চিকিৎসা চলছেনা তার। সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন মোশারেফের আত্মীয় স্বজন ও গর্ভধারিনী মমতাময়ী মা।
বিরল রোগে আক্রান্ত মোশারেফকে প্রতিবন্ধি ভাতার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তার উন্নত চিকিৎসার জন্যে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার কথা জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য মশিয়ার রহমান। স্বচক্ষে না দেখলে কেউ বুঝবেনা মানুষ জীবনে কতটা অসহায় হতে পারে। আমি নিজেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিষয়টিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
একমাত্র আর্থিক সহযোগিতাই পারে মোশারেফ হোসেনকে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে। তাকে দেখে এগিয়ে আসবে অনেকে এমনটা কামনা করছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
মোশারেফ হোসেন সম্পর্কে জানতে এবং আর্থিক সাহায্য করতে চাইলে পরিবারের পক্ষে যোগাযোগ নং- সাহাবুল (ভাই) ০১৯৪৭-৪৯৪১৩০
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.