অনলাইন নিউজ ডেস্ক : চিত্রনায়িকা পরী মণিকে আটক করেছে র্যাব। তাঁর বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ, এলএসডি ও আইস জব্দ করা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে দুই সহযোগীসহ তাঁকে আটক করা হয়। রাত ৮টা ১০ মিনিটে তাঁদের গাড়িতে তুলে র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে বিকেল থেকে পরী মণির বাসায় তল্লাশি চালায় র্যাব। অভিযান চলাকালে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘পরী মণিকে র্যাবের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আমরা তাঁর বাসায় অভিযান চালাচ্ছি। বাসার ভেতর তল্লাশি করা হচ্ছে। বাসায় কোনো অবৈধ জিনিস আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাসায় অভিযান শেষে অনৈতিক কিছু পাওয়া গেলে তাঁকে আটক করা হতে পারে।’
এর আগে বিকেলে পরী মণির বাসার সামনে থাকা এক র্যাব কর্মকর্তা উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, র্যাব সদর দপ্তরের নির্দেশে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। তারা এখানে নিরাপত্তার জন্য দায়িত্ব পালন করছেন।
বিকেল ৪টার দিকে পরী মণি তাঁর ফেসবুক লাইভে বলেন, ‘আমি ফেসবুক লাইভে আছি। লাইভেই থাকব। লাইভ থেকে বের হব না। আমার কিছু হবে, আর তা বিশ্ব দেখবে না? মরতে তো হবেই। সবাইকে নিয়ে মরব। আপনারা বুঝতে পারতেছেন আমার অবস্থা? আমি এই ভয়টাই পাইতেছিলাম। ভাই, আপনারা কিছু দেখতেছেন না? বলতেছেন না? আচ্ছা, আমার পরিচিত লোকজন দেখতেছে না এরা কারা? একটু আসবেন? দেখবেন? এরা কারা? ঘর-দরজা ভাঙচুর করছে। আমি এখন কী করব? আপনারা সবাই দেখতেছেন। পুরো মিডিয়ার লোক দেখতেছে। কিন্তু কিছু বলতেছে না। আপনারা যারা মিডিয়ার লোকজন আছেন, তারা একটু বাঁচাতে আসবেন? আমি মরে যাচ্ছি একদম। একজন কালো পোশাক, লাল পোশাক পরে এসেছেন। শুধু বলতেছে আমরা পুলিশ। তারা বাড়ির মেইন গেট-দরজা ভাঙাভাঙি করতেছে। গেট ভেঙে উপরে এসেছেন। আপনারা কেউ আসবেন? এভাবে আসার মানে কী? তারা কি আমাকে মেরে ফেলবে? আমি এই ভয়টাই পাচ্ছিলাম।
আমি বনানী থানায় ফোন দিলাম। হারুণ (ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. হারুন অর রশীদ) ভাইকে ফোন দিলাম। তখন হারুন ভাই আমাকে বললো, আমার এখান থেকে কোনো টিম যায়নি। আপনি দরজা খুলবেন না। থানায় ফোন দিলাম, আসতে বললাম। কিন্তু কেউ আসছে না। আমি লাইভ শুরু করার পর থেকে ৩০ মিনিট হয়ে গেছে। কিন্তু, পুলিশ আসছে না।
যারা আসছে তাদের কাছে প্রথমে সালাম দিয়ে জানতে চাইলাম, আপনারা কারা? তারা শুধু বলে আমরা পুলিশ। খুলেন, তারপর দেখাইতেছি। এ কথাই তো আমি নিতে পারিনি।’
লাইভ চলাকালে পরী মণি ফোনে একজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তিনি ফোনে বলছিলেন, ‘তোমরা দেখতে পারছো না আমার অবস্থা?’
লাইভের ৩০ মিনিটের সময় পরী মণি দরজা খুলতে যান। সে সময় বাইরে থাকা লোকজনের কাছে পরী মণি জানতে চান, ‘আপনারা কারা?’
তখন ওপাশ থেকে বলা হয়, ‘আমরা র্যাব সদর দপ্তর থেকে আসছি। আপনাকে বলা হচ্ছে, দরজা খোলেন, কিন্তু আপনি আমাদের অসহযোগিতা করছেন। আপনি লাইভটা প্লিজ কেটে দেন।’
তখন পরী মণি বলেন, ‘কেন লাইভ কেটে দিতে হবে? আপনারা মোবাইল নিয়ে নিচ্ছেন কেন?’ সে সময় র্যাব থেকে বলা হয়, ‘আমরা আইনানুগভাবেই এগুলো নিচ্ছি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন