ডেস্ক রিপট : করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে। রোববার দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এদিন সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৮৭৪ জন নতুন শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ২১ হাজার ১৮৯ জনে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোববারের বুলেটিনে আরও জানানো হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট ১৬ হাজার ৪১৯ জনের মৃত্যু হলো।
সর্বাত্মক লকডাউন দিয়েও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না পরিস্থিতি। মানুষের চলাচল সেইভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।
এদিকে সর্বাত্মক লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৪ জুলাই। সামনে কোরবানির ঈদ। এমতাবস্থায় কঠোর লকডাউন আরও বাড়ানো হবে কিনা সেই প্রশ্ন এখন মুখে মুখে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন রোববার জানান, সোমবার রাতে এ সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সে অনুযায়ী ১৩ জুলাই বিধিনিষেধ সংক্রান্ত আদেশ জারি হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
দেশের করোনা সংক্রমণ রোধে আরও এক সপ্তাহ চলমান ‘কঠোর লকডাউন’ বা কঠোর বিধিনিষেধ বাড়ানো হতে পারে বলেও এসময় ইঙ্গিত দেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা ও কোরবানির হাট- এ দুটোই নিয়ন্ত্রণ করাই সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এসব পরিস্থিতি সুনিয়ন্ত্রিতভাবে মোকাবিলা করতে চায় সরকার।
এদিকে লকডাউন নিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী একই দিন বলেছেন, ১৪ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ আছে। সরকারের পরামর্শক কমিটি আছে। তারা যদি মনে করে চলমান বিধিনিষেধ এগিয়ে নেয়া দরকার, তাহলে এগিয়ে নিতে হবে। তবে সবকিছু পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.