তৌফিক তাপস, নওগাঁ : ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শেষে মৃত্যুর ৪০ ঘণ্টা পর তৃতীয় লিঙ্গের ববিতার ঠাঁই হলো আত্রাই কেন্দ্রীয় সরকারি কবরস্থানে। তার আত্মীয়-স্বজন লাশ নিতে রাজি না হওয়ায় এবং তার গ্রামের কবরস্থানে দাফন করতে রাজি না হওয়ায় প্রশাসনের সহায়তায় তাকে আত্রাই কেন্দ্রীয় সরকারি কবরস্থানে দাফন করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আত্রাই রেল কলোনিতে প্রায় ১৬ বছর ধরে বসবাস করতো নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা গ্রামের মৃত আকালার তৃতীয় লিঙ্গের নারী ববিতা (৪০)। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দিবাগত রাতে নিজ শয়ন-ঘরে সে বিষপানে আত্মহত্যা করেন। বুধবার (১৪ জুলাই) বিকেলে সংবাদ পেয়ে তার লাশ উদ্ধার করে আত্রাই থানা পুলিশ। এদিকে লাশ উদ্ধারের পর থেকে তার দাফন নিয়ে বিপাকে পড়ে পুলিশ। রেল কলোনি সংলগ্ন ভরতেঁতুলিয়া কবরস্থানের সভাপতি জানিয়ে দেন তাকে সেখানে দাফন করতে দেয়া হবে না। তার আত্মীয়-স্বজনও লাশ নিতে রাজি নয়।
আত্মহত্যার ৪০ ঘণ্টা পর তার লাশ ময়নাতদন্তের পর স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায়, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ আক্কাস আলী প্রামানিক, ছাত্রলীগের সভাপতি মাহদী মসনদ স্বরুপ ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ব্যবস্থাপনায় বুধবার (১৪ জুলাই) বাদ আছর জানাজা শেষে আত্রাই উপজেলা কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহদী মসনদ স্বরুপ বলেন, তার কোনো ওয়ারিশ নেই তাই নৈতিক ও ধর্মীয় দায়িত্ববোধ মনে করেই আমরা তার লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেছি।
আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ববিতার বাবা, মা, ভাই-বোন কেউ জীবিত নেই। তার অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনও লাশ নিতে রাজি নয়। বাধ্য হয়ে সরকারি কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার আত্মহত্যার ব্যাপারে আত্রাই থানায় একটি ইউডি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন