তৌফিক তাপস নওগাঁ : সারাদেশে সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের আজ প্রথমদিন । নওগাঁয় ও কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে মাঠে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি। এই লকডাউন বাস্তবায়নে নওগাঁর ১১টি উপজেলায় সেনাবাহিনীর ৫টি, বিজিবির ৮টি টিম মোতায়েন আছে।
এছাড়া জেলা প্রশাসনের ৩৪টি নির্বাহী ম্যাজিষ্টেটের ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং গুরুত্বপূর্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। তবে সকাল থেকে অযথা রাস্তাঘাটে মানুষকে চলাচল করতে দেখা গেছে।
আবার অনেকে জীবনের তাগিদে পায়ে হেঁটে ও বাইসাইকেল চালিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা যায়। দুই একটি রিকশা ভ্যান, জরুরি পরিসেবার যানবাহন ছাড়া বন্ধ রয়েছে সকল ধরনের ইঞ্জিনচালিত যানবাহন।
এছাড়াও যারা অযথা রাস্তাঘাটে চলাচল করছে তাদের পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। বন্ধ আছে সকল ধরনের দোকানপাট, শপিংমল ও বিপনী বিতান। তবে কাঁচাবাজার গুলোতে স্বাস্ত্যবিধি মেনে বেচা-কেনা করার নির্দেশ থাকলে তা মানা হচ্ছেনা ঠিকমতো।
জেলা প্রশাসক মোঃ হারুন অর রশিদ জানান, সারা দেশে করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত সাতদিনের কঠোর লকডাউন জারি করেছে। জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নওগাঁয় আজ থেকে এই লকডাউন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সে অনুযায়ী নওগাঁয় সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।
বিধিনিষেধ চলাকালীন নওগাঁয় জেলার অভ্যন্তরীণ সকল রুটে এবং আন্তঃজেলা বাস, ও সকল প্রকার গণপরিবহনসহ সিএনজি, ভ্যান, মোটরসাইকেল, থ্রি-হুইলার, হিউম্যান হলার বন্ধ থাকবে। তবে রোগী পরিবহনকারী অ্যাম্বুলেন্স, পণ্য বহনকারী ট্রাক এবং জরুরি সেবাদানকারী পরিবহন এই বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে।
এছাড়া কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান স্বাস্থ্য বিধি মেনে খোলা থাকবে। তবে সকল ধরনের দোকানপাট, শপিংমল, হোটেল, রেস্তোরাঁ, চায়ের দোকান বন্ধ থাকবে। ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা রাখা যাবে বলে জানান তিনি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন