সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগের প্রতিবাদে ভবেরচর ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগের প্রতিবাদে ভবেরচর ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন


শাকিল প্রধান, মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়ম এবং আঠারো'শ কেজি চাল আত্মসাতের অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শাহিদ মোহাম্মদ লিটন।

শনিবার (১৭ জুলাই) ভবেচরচর ইউনিয়ন পরিষদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইঞ্জিনিয়ার শাহিদ মোহাম্মদ লিটন বলেন, একটি দৈনিক পত্রিকা এবং কয়েকটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এ-সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে ভবেরচর ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফের চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। উপকারভোগীদের মধ্যে গড়ে তিন কেজি করে চাল কম দিয়ে আঠারো'শ কেজি চাল নাকি আত্মসাৎ করা হয়েছে যা একেবারেই মিথ্যা। 

তিনি বলেন, তার ইউনিয়নে উপকারভোগীর সংখ্যা ১১৯৫জন। এখনো পর্যন্ত ৬০০জন উপকারভোগীর মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ ০৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা সরকার আঁখি ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে ইউনিয়নের কয়েকটি জায়গায় প্রায় চার শতাধিক মানুষের মধ্যে চাল বিতরণ করেছেন। তাদের বিতরণ করা চালে প্রত্যেক উপকারভোগী ১০কেজি করে চাল পেয়েছেন এখানে এক মুঠো চাল কেউ কম পেয়েছেন এ কথা বলার সুযোগ নেই। 

পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোকারম হোসেন কয়েকজন ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে ২০০ জন উপকারভোগীর মধ্যে চাল বিতরণ করেন সেখানেও কোন অনিয়ম হয়নি। দু'একজন চাল কম পেয়েছে এই মর্মে কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে যেটা একটা ষড়যন্ত্র। চাল বাসায় নিয়ে যাওয়ার পথে বা বাসায় নিয়ে সেখান থেকে কিছু চাল সরিয়ে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে একটি চক্র। 

বিশেষ একটি মহল আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। তিনি তার মেয়াদে তিনবার উপজেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে এই চক্রটি তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। 

এদিকে ওই পোস্টে বলা হয়েছে ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মামুন শিকদার চার বস্তা চাল নিজের বাসায় নিয়ে গেছেন এ বিষয়ে মামুন শিকদার বলেন, তার বিষয় আনীত অভিযোগ শতভাগ মিথ্যা। তার ওয়ার্ডে উপকারভোগীর সংখ্যা ৬০ জন।করোনাকালীন সময় অনেক উপকারভোগী গণজমায়েত করে ইউনিয়ন পরিষদ এ এসে চাল নিবেন না বলে জানালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে জ্ঞাত করে তিনি ব্যক্তি উদ্যোগে ৪০ জন উপকারভোগীর চাল তাদের বাসায় পৌঁছে দিয়েছেন। বাকি ২০ জন সশরীরে ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে তাদের চাল নিয়ে গেছেন। 

এ ক্ষেত্রে প্রমাণ হিসেবে চাল বুঝে পাওয়া সাপেক্ষে দেওয়া উপকারভোগীদের স্বাক্ষরের কাগজ দেখান তিনি। তার ওয়ার্ডে চাল বিতরণে ন্যূনতম অনিয়ম হয়নি উল্লেখ করে তিনি চ্যালেঞ্জ করেন কারো কোন সন্দেহ থাকলে প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল মেপে সেটা পরীক্ষা করতে পারেন। এই ঘটনা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন, ইউনিয়ন সচিব মোকাররম হোসেন প্রমূখ।

লেবেলসমূহ:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger][facebook]

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget