বিএমএসএফ নিউজ: নওগাঁয় দৈনিক যুগান্তর জেলা প্রতিনিধি আব্বাস আলীকে অব্যাহতির ঘটনাটি আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছে বিএমএসএফ। একজন প্রতিনিধিকে পৃলিশি হয়রাণীকালে পাশে না দাঁড়িয়ে বরং তাকে পত্রিকা থেকে অব্যাহতির ঘটনা গোটা সাংবাদিক সমাজকে ভাবিয়ে তুলছে। কারণ; একজন প্রতিনিধি জীবন যৌবন উৎসর্গ করে একটি পত্রিকা আকঁড়ে ধরে থাকেন। সেই প্রতিনিধিকে যখন পুলিশ বা কোন গোষ্ঠীর হয়ে হয়রাণী করেন ঠিক সেই মূহুর্তে প্রতিনিধিকে না বাঁচিয়ে বরং বাঘের মুখে ঠেলে দেয়া আত্মঘাতিই নয় চরম বেঈমানীও বটে। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি, বাংলাদেশের সমন্বয়কারী আহমেদ আবু জাফর এমন মন্তব্য করেছেন।
দৈনিক যুগান্তর থেকে অব্যাহতির শিকার সাংবাদিক আব্বাস আলী বিএমএসএফকে জানান, তিনি এলাকার নানা অনিয়ম-দূর্ণীতির খবর বিভিন্ন মিডিয়ায় তুলে ধরে আসছিলেন। সম্প্রতি তার এক ভাইয়ের স্ত্রীর স্বাভাবিক মৃত্যুকে পুঁজি করে পরিবারের নিকট একলক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেন। আমার পরিবার ঘুষ দিতে রাজী না হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে নানামূখী ষড়যন্ত্র করতে থাকেন।
সম্প্রতি নওগাঁর মান্দার গনেশপুর ইউনিয়নের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও জন্মনিবন্ধনে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে যান আব্বাস ও তার সহকর্মীরা। এসময় গনেশপুর বিট পুলিশিং কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললে স্থানীয় মেম্বর ও নাইটগার্ডের সহযোগিতায় ভিডিও সাক্ষাতকার গ্রহন করে চলে আসেন। এ ঘটনার জেরধরে বিট পুলিশের পক্ষ থেকে একটি জিডি করা হয়েছে। জিডিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অফিসে ঢুকে নথি চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে সাংবাদিক আব্বাস আলীসহ ৫জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনাকে পুঁজি করে পুলিশের উর্ধতন একজন অফিসারের ফোনে যুগান্তর কর্তৃপক্ষ আব্বাস আলীকে ২৬ জুন অব্যাহতিপত্র পাঠান।সাংবাদিক আব্বাস জানান, আমি ৪/৫ বছর ধরে দৈনিক যুগান্তরের সাথে নিয়মিত কাজ করে আসছি। পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্স-মাষ্টার্স সম্পন্ন করে গত ৭/৮ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথেই যুক্ত আছি। আব্বাস আলী বিষয়টি যুগান্তর কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করে পুনরায় বিবেচনা করতে বিশেষ অনুরোধ করেছেন। এভাবে একজন প্রতিনিধির বিপদে কর্তৃপক্ষ যেন ছেড়ে না যান।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন