অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে দ্বিতীয় বছরের হজের খুতবায় ইহসান তথা বৈশ্বিক কল্যাণ কামনা ও ভাইরাস সংক্রমণে সতর্কতার আহ্বান জানানো হয়েছে। সোমবার হজের দ্বিতীয় দিন আরাফাতের ময়দানে সমবেত হাজীদের মসজিদে নামিরা থেকে খুতবা দেন মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব ড. শেখ বানদার বিন আবদুল আজিজ বালিলা।
এর আগে রোববার শুরু হওয়া হজের মূল আনুষ্ঠানিকতায় মক্কা থেকে পূর্বে মিনায় জমায়েত হয়ে সারাদিন ও রাত ইবাদতে কাটান হাজীরা। সোমবার সকাল থেকে তারা দক্ষিণ-পূর্বে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হন।
খুতবায় শেখ বানদার বলেন, মানুষের নিরাপত্তা ও জনপদের স্থিতিশীলতা ইহসানের অন্তর্ভুক্ত। তিনি বলেন, এই লক্ষ্যে দেশের শাসকদের মান্য করা মানুষের কর্তব্য। এছাড়া মুসলমান-অমুসলমান নির্বিশেষে সকলের প্রতি হাজীদের ইহসানের আহ্বান জানান শেখ বানদার।
খুতবা শেষে জামায়াতে একত্রে যোহর ও আসর নামাজ আদায় করেন হাজীরা। আরাফাতের ময়দানে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করবেন হাজীরা। সারাদিন অবস্থানের পর সন্ধ্যায় হাজীরা মিনা ও আরাফাতের মধ্যবর্তী মুজদালিফায় গিয়ে রাত্রিযাপন করবেন।
মুজদালিফায় একত্রে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করে সেখান থেকে মিনায় শয়তানকে প্রতীকি পাথর নিক্ষেপের জন্য নুড়িপাথর সংগ্রহ করবেন তারা। সারারাত মুজদালিফায় অবস্থানের পর মঙ্গলবার মিনায় গিয়ে হাজীরা তিন জামরাতে শয়তানকে প্রতীকি পাথর নিক্ষেপ, কোরবানী ও চুল কাটার মধ্য দিয়ে ইহরাম থেকে মুক্ত হবেন।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণে সতর্কতায় এই বছর করোনা প্রতিরোধী টিকা নেয়া মাত্র ৬০ হাজার আবেদনকারী হজের অনুমতি পেয়েছেন। সৌদি আরবের বাইরে থেকে এই বছরও কোনো আবেদনকারীকে হজে অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি। শুধু ১৫-৬৫ বছর বয়সী সৌদি নাগরিক ও দেশটিতে বাস করা ১৫০ দেশের নাগরিক হজ করার সুযোগ পেয়েছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন