ডেস্ক নিউজ : বাংলাদেশের ক্রিকেটার ইলিয়াস সানির সাথে বাদানুবাদের ঘটনায় তদন্ত শেষে ক্রিকেট কমিটি অফ ঢাকা মেট্রোপলিস ক্রিকেটার সাব্বির রহমানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
অভিযোগকারী ক্লাব শেখ জামাল ধানমন্ডির ম্যানেজার সুলতান মাহমুদকেও একই পরিমাণ আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
সেই সাথে ইলিয়াস সানীকেও সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
এর আগে ক্রিকেটার সাব্বির রহমানের বিরুদ্ধে আরেক ক্রিকেটারকে ইট মারা এবং গালি দেয়ার অভিযোগ আসার পর তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। সাব্বির বলেন, এই ধরনের কোন ঘটনাই তিনি ঘটাননি।
বুধবার ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব এবং ওল্ড ডিওএইচএসের মধ্যে একটি ম্যাচ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় পাঁচ-সাত মিনিটের জন্য। দেখা যায়, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ক্রিকেটার ইলিয়াস সানি আম্পায়ারের কাছে অভিযোগ করেন মাঠের বাইরে থেকে সাব্বির রহমান তাকে গালি দিচ্ছেন এবং ইট মারছেন।
সাব্বির রহমান বলেন, মাঠের অনেকেই ছিল। অন্য কাউকে জিজ্ঞেস করা উচিৎ ঠিক কী ঘটেছিল। সাব্বির বলেন, ইট মারার প্রশ্নই আসে না এখানে। আমি ইট মারা বা গালিগালাজ দেয়ার মতো কোন কাজই করিনি।
তিনি যোগ করেন, এখন মাঠের খেলায় মন দেয়াই আমার একমাত্র কাজ। আমি অন্য কোন দিকে চিন্তা করতে পারি না।
তবে ঘটনার পর শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, ক্রিকেট কমিটি অফ ঢাকা মেট্রোপলিস বা সিসিডিএমের কাছে একটি লিখিত চিঠি দিয়েছে । যেখানে সাব্বির রহমানের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ এসেছে।
সাব্বির এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলছেন লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জের হয়ে, শেখ জামালের সেই চিঠিতে লেখা হয় মাঠের বাইরে থেকেই সাব্বির ইট মারেন।
ক্লাব কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা একটি চিঠিতে লেখা, "জনাব মোহাম্মদ ইলিয়াসকে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের খেলোয়াড় জনাব সাব্বির রহমান রুম্মন মাঠের বাইরে হতে বিনা কারণে উপুর্যপুরি ইট ছুঁড়ে মারেন, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও উচ্চস্বরে বর্ণ বৈষম্যমূলক আচরণ করে।"
অভিযোগে বলা হয়েছে, বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে ফিল্ডিং করছিলেন ইলিয়াস সানি। যেখানে সাব্বিরের লেজেন্ডস অব রুপগঞ্জের খেলা শুরু হওয়ার অপেক্ষা করছিলেন পাশের ৪ নম্বর মাঠে। নির্ধারিত সময়ের আগে সাব্বির খেলা দেখতে দাঁড়িয়ে যান ৩ নম্বর মাঠে শেখ জামাল ও ওল্ড ডিওএইএচএসের।
মাঠের ক্রিকেট নয়, মাঠের বাইরের নানা ঘটনায় বিতর্কে জড়িয়ে পড়া নিয়মিত ঘটনা সাব্বির রহমানের জন্য।
নানা সময়ে সাব্বির রহমান জড়িয়েছেন বিতর্কে। সাব্বির রহমান নিষিদ্ধও হন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ডিসিপ্লিনারি কমিটির সিদ্ধান্তে।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতেও সাব্বির রহমানকে তৎকালীন অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার অনুরোধে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে জাতীয় দলে ফিরিয়ে আনা হয়।
কিন্তু ২০১৯ বিশ্বকাপের পরেই দুটো সিরিজ খেলার পর সাব্বিরকে আর বিবেচনায় আনা হয়নি জাতীয় দলে।
সাব্বির বাংলাদেশের হয়ে দুটো ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও একটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলেন।
প্রথম বিশ্বকাপে সাব্বির কিছু ক্যামিও খেলেন কিন্তু ২০১৯ বিশ্বকাপে সাব্বির রহমানের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক।
তারই পথ ধরে সাব্বির রহমান এখন জাতীয় দলের বাইরে তো বটেই ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা তাকে বিবেচনাও করছেন না এখন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন