তৌফিক তাপস : ঢাবি ছাত্রের মৃত্যু তদন্তে এ মাদকের সন্ধান মেলে।
ফেসবুকে দু’টি গোপন গ্রুপ ‘আপনার আব্বা’ এবং ‘বেটার ব্রউরি অ্যান্ড বিয়ন্ড’ খুলে এই মরণ নেশার ব্যবসা করছিল।
টেলিগ্রাম অ্যাপসের মাধ্যমে পেপ্যাল মেইলের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে নেদারল্যান্ডস থেকে এলএসডি
কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আমদানি করতো।
দেশে প্রথমবারের মতো ভয়ঙ্কর নতুন মাদক (LSD) - এলএসডি (লাইসার্জিক এসিড ডাইথ্যালামাইড)
জব্দ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
ডিবি বলছে, এই মাদকগুলোর ছদ্মনাম MDMA,
N, M-Dimethyltryptania, psilocybin mushroom সহ LSD-25, Acid, Delysid ইত্যাদি নামের হয়ে থাকে। এই মাদকের ভয়াবহতার কারণে একে LSD (Last State of Drug) বলা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে ‘লাস্ট স্টেট অব ড্রাগ’টির (LSD) সন্ধান পায় ঢাকা মহানগর পুলিশ। এই মাদক বিক্রিতে জড়িত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সাদমান সাকিব ওরফে রূপল (২৫), আসহাব ওয়াদুদ ওরফে তূর্য (২২) ও আদিব আশরাফ (২৩)। এর মধ্যে রূপল ও তূর্য নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএর ছাত্র এবং আদিব আশরাফ ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র। তিনজনই প্রতিষ্ঠিত পরিবারের সন্তান। তাদের কাছ থেকে এলএসডির দুইশটি ব্লট জব্দ করা হয়েছে, যার মূল্য ছয় লাখ টাকা। সাধারণত ব্লটার পেপার বা নকশা করা বিশেষ কাগজে এলএসডি মিশিয়ে বিক্রি করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল, তরল বা কিউব আকারেও পাওয়া যায়।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতরা ফেসবুকে দু’টি গোপন গ্রুপ খুলে এই মরণ নেশার ব্যবসা করছিল।
গ্রুপ দুটিতে সদস্যসংখ্যা এক হাজারের বেশি। তারা বলছেন, এই মাদক সেবনের ফলে অতীতের স্মৃতি মনে পড়ে যায়। অনেক সময় মনে হয় সে ট্রেন ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে পারে। অনেক সময় আবার উগ্র আচরণ করতে পারে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, বাংলাদেশে প্রথম আমরা এলএসডির সন্ধান পাই গত ২৬ মে। ওই তিন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতারের পর এই ভয়ঙ্কর মাদকের তথ্য জানতে পারে পুলিশ।চক্রটির কাছ থেকে গাঁজার নির্যাস থেকে
কেক তৈরি ও বিক্রির তথ্য পাওয়া যায়। তবে এই কেক এখনো উদ্ধার করা যায়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ ছাত্রের মৃত্যু হয় গত ১৫ই মে ঢাকা মেডিকেল কলেজে। সে সময় তার পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। এর সপ্তাহ খানেক পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে ঐ ছাত্রের লাশ শনাক্ত করা হয়।
এরই মধ্যে বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে ঐ ছাত্রর গলা দিয়ে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। ভিডিওর শেষভাগে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি রিকশায় উঠতে দেখা যায় তাকে।
জানা গেছে, ঈদের পরদিন ১৫ মে কার্জন হল এলাকায় তিন বন্ধুর সাথে মাদক সেবন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র হাফিজুর রহমান। এর প্রতিক্রিয়া শুরু হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে এক ডাব বিক্রেতার ভ্যানে রাখা দা নিয়ে নিজের গলায় আঘাত করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন হাফিজুর। এই মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে রাজধানীর ধানমন্ডি ও লালমাটিয়া এলাকা থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগ।
অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, প্রায় এক বছর ধরে ফেসবুকে ‘আপনার আব্বা’ এবং ‘বেটার ব্রউরি অ্যান্ড বিয়ন্ড’ নামে দুটি গ্রুপের মাধ্যমে এলএসডির ব্যবসা করছিল গ্রেফতারকৃতরা। এক হাজারের বেশি সদস্যের গ্রুপ দুটি পরিচালনা করে রূপল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর ছাত্রত্ব বাতিল হওয়ার পর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় রূপল। এরা টেলিগ্রাম অ্যাপসের মাধ্যমে যোগাযোগ করে পেপ্যাল মেইলের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে নেদারল্যান্ডস থেকে এলএসডি আমদানি করে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে মাদকটি গ্রহণ করত তারা।
তিনি বলেন, খুবই শক্তিশালী এলএসডির ডোজগুলো সাধারণত মাইক্রোগ্রাম হিসেবে নেয়া হয়। এই মাদক উত্তেজক ও আনন্দদায়ক। মনের ওপরও এর প্রভাব পড়ে। কখনো কখনো এতে ভীতিকর অনুভূতি তৈরি হয়, যাকে ব্যাড ট্র্যাপ বলা হয়। ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, উদ্ধারকৃত এলএসডিগুলো দেখতে ডাক টিকিটের মতো। এগুলো যে মাদক তা দেখে বোঝার উপায় নেই। সেবনকারীরা ঠোঁটের নিচে এলএসডি রেখে দিত।
৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া থাকে।
অতিরিক্ত সেবনে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া হয়।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, এটি সেবনকারী নিজেকে অনেক শক্তিশালী ভাবে। সেভাবে সে উড়তে পারে। তার অতীত স্মৃতি চলে আসে। অনেকে বলেছে, এটি সেবনের পর তারা মনে করে তারা ট্রেনকেও ধাক্কা দিতে পারবে। তিনি বলেন, যারা নেদারল্যান্ডস থেকে এই মাদকটি দেশে পাঠিয়েছে তাদের শনাক্তের জন্য পুলিশ সদর দফতরের এনসিবি বিভাগে চিঠি দেয়া হবে।
এদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক (ঢাকা গোয়েন্দা) মো. শামিম আহম্মেদ
বলেন, ২০১৯ সালের জুলাই মাসের ১৫ তারিখে রাজধানীর কাফরুল থানায় একটা মামলা হয়েছিল যার মামলা নং ২১। তখন এলএসডির ৪৬টি স্ট্রিকসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
জানা গেছে, এলএসডি এক ধরনের তরল পদার্থ। ১৯৩৮ সালে সুইস রসায়নবিদ আলবার্ট হফম্যান প্যারাসাইটিক ফাঙ্গাস নিয়ে কাজ করতে গিয়ে এলএসডি আবিষ্কার করেন। আবিষ্কারের প্রথম দিকে এলএসডি ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হতো। তবে ওষুধটি মস্তিষ্কের ক্ষতি করে বলে একে নিষিদ্ধ করা হয়।
এলএসডি অত্যন্ত দামি একটি মাদক। সাধারণত ব্লটিং পেপারের ওপরে এই তরল মাদক ফেলে সেই কাগজ শুঁকে নেশা করে মাদকাসক্তরা। এলএসডি মাখা এক টুকরো ব্লটিং পেপারের দাম কয়েক হাজার টাকা।
বিজ্ঞানীরা জানান, সাধারণত এলএসডি নেয়ার পর একজন মানুষ চোখ বন্ধ করেও দেখতে পায়। তার দেখা এসব দৃশ্য সবসময় বাইরের পৃথিবী বা স্মৃতি থেকে আসে না বরং তাদের কল্পনাশক্তি অনেক বেড়ে যায়।এলএসডির প্রভাবে মস্তিষ্কের অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। তারা বলেন, এলএসডি নেয়ার পর প্রকৃতি ও বাইরের জগতের সাথে এমন এক সম্পর্ক অনুভূত হয় যাকে অনেক সময় ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক রূপ দেয়া হয়ে থাকে।এই মাদকের প্রভাব কেটে গেলে ও ওই রকম অনুভূতি থেকে যেতে পারে।
এলএসডি ব্যবহার করলে মানুষের স্মৃতির ভার খুলে যায়।নেশার চূড়ান্ত পর্যায়ে কেউ কেউ মাতৃগর্ভের স্মৃতি ও মনে করতে পারেন।
তবে সেসব স্মৃতির ভার অধিকাংশ মানুষই সহ্য করতে পারেন না। ফলে মস্তিষ্ক বিকৃতির প্রবল আশঙ্কা থাকে। এছাড়া অধিকাংশ মাদকগ্রহণকারীই স্মৃতির চূড়ান্ত স্তরে প্রবেশের আগে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
এলএসডি গ্রহণকারী অনেকেই এমন দাবি করেন। তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলছেন, হ্যালুসিনেশনই এসব অনুভূতির মূল কারণ।
ভারতের অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর এই মাদকটি আলোচনায় আসে। তার বিরুদ্ধে এই মাদক নেয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনস্থ মাদক বিষয়ক গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ড্রাগ অ্যাবিউজের তথ্য অনুযায়ী, ডি-লাইসার্জিক অ্যাসিড ডায়েথিলামাইড বা এলএসডি রাসায়নিক সংশ্লেষণের মাধ্যমে তৈরি একটি পদার্থ যা রাই এবং বিভিন্ন ধরণের শস্যের গায়ে জন্মানো এক বিশেষ ধরনের ছত্রাকের শরীরের লাইসার্জিক অ্যাসিড থেকে তৈরি করা হয়।
এটি স্বচ্ছ, গন্ধহীন একটি পদার্থ। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের মতে এটি পাউডার, তরল, ট্যাবলেট বা ক্যাপসুলের আকারে পাওয়া যায়।
এলএসডি'কে 'সাইকাডেলিক' মাদক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই ধরনের মাদকের প্রভাবে সাধারণত মানুষ নিজের আশেপাশের বাস্তবতাকে ভিন্নভাবে অনুভব করে এবং কখনো কখনো 'হ্যালুসিনেট' বা অলীক বস্তু প্রত্যক্ষও করে থাকে।
১৯৩৮ সালে প্রথমবার এলএসডি সংশ্লেষণ করা হয়। এরপর ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে নানা ধরনের মানসিক রোগের চিকিৎসায় এলএসডি ব্যবহারের জন্য প্রচারণা চালান গবেষকরা। সেসময় এই বিষয়ে বহু বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালিত হয়, আয়োজিত হয় একাধিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনও।
১৯৩৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এলএসডিসহ সব ধরনের সাইকাডেলিক ড্রাগ নিষিদ্ধ করে। এরপর ১৯৭১ সালে জাতিসংঘ চিকিৎসা কাজে এলএসডি ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে এই বিষয়ে গবেষণায় ভাটা পড়ে।
তবে বিশ্বের নানা দেশে বিষণ্ণতা, দুশ্চিন্তা, মানসিক অবসাদের মতো অসুস্থতার চিকিৎসায় এলএসডি'র কার্যকারিতা নিয়ে এখনো গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন মনোচিকিৎসক ও রসায়নবিদরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনে ২০১৭ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় উঠে আসে যে, চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে নির্দিষ্ট মাত্রায় এলএসডি গ্রহণের ফলে অসুস্থতার কারণে দুশ্চিন্তায় ভুগতে থাকা রোগীদের দুশ্চিন্তা কমে।
লন্ডন, বাসেল এবং জুরিখ শহরের ৯৫ জন রোগীর ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করেন সুইজারল্যান্ডের বাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিসিন বিভাগের গবেষক মাথিয়াস লিখটি।
✓এলএসডি কেন ক্ষতির কারণ হতে পারে?
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চিকিৎসার প্রয়োজনে বা গবেষণার কাজে চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে নির্দিষ্ট মাত্রায় এলএসডি গ্রহণ করে থাকে মানুষ।
তবে এটি মূলত ব্যবহার হয়ে থাকে মাদক হিসেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের ভাষ্য অনুযায়ী,এটি মানুষের মস্তিষ্কের সেরোটোনিন নামক রাসায়নিকের কার্যক্রম প্রভাবিত করে ব্যবহার, অনুভূতি এবং পারিপার্শ্বিকতা সম্পর্কে ধারণা পরিবর্তন করে।
এলএসডি নেয়ার পর সাধারণত মানুষ 'হ্যালুসিনেট' করে বা এমন দৃশ্য দেখে যা বাস্তবে নেই। অনেক সময় অলীক দৃশ্য দেখার কারণে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকে মানুষ। এলএসডি গ্রহণ করে ভুল রাস্তা দেখে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া, বাড়ির জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়া বা অহেতুক আতঙ্কিত হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার বেশ কিছু ঘটনা নথিবদ্ধ রয়েছে।
ইউরোপের বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট রিসার্চগেইট'এ ২০১৭ সালে প্রকাশিত এক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী ১৯৫৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডায় মোট
৬৪ জনের মৃত্যু হয় এলএসডি গ্রহণের পরবর্তী জটিলতায়।
বিষণ্ণতা বা দুশ্চিন্তায় ভোগা ব্যক্তিরা এলএসডি গ্রহণের পর আরো বেশি বিষণ্ণতা বা দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত হতে পারেন বলেও উঠে এসেছে অনেক গবেষণায়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন বলছে, এলএসডি গ্রহণের পর অনেকে মনে করেন যে তিনি সবকিছু পরিষ্কার দেখছেন এবং তার শরীরে অতিমানবিক শক্তি এসেছে। এরকম বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ার ফলেও অনেকে নানা ধরণের দুর্ঘটনা শিকার হতে পারেন।
অতিরিক্ত আতঙ্কের কারণে মানুষ অনেক সময় মনে করতে পারে যে,সে শিগগিরই মারা যাবে বা মারা যাচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতেও মানুষ আতঙ্কের বশবর্তী হয়ে নানা ধরণের কাজ করে থাকে যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
আতঙ্কিত হওয়ার পাশাপাশি অতি দ্রুত অনুভূতির পরিবর্তন হওয়ার কারণেও মানুষ মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করতে পারে বলে বলছে ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন।
সংস্থাটি বলছে, এলএসডি গ্রহণের আগে এটা বোঝা সম্ভব নয় যে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন হতে যাচ্ছে। এছাড়া এলএসডি মানুষের শরীরে বিভিন্ন রকম প্রভাব ফেলে থাকে।
এলএসডি নেয়ার ফলে মানুষের হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাত্রা এবং শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এছাড়া অনেকের ক্ষেত্রে অনিদ্রা, ক্ষুধামন্দা, অতিরিক্ত ঘাম সহ নানা ধরণের মানসিক সমস্যাও তৈরি হয় বলে জানাচ্ছে ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন