শাহিনুর রহমান পিন্টু ;ঝিনাইদহ : মৌসুমী খাতুন 25 বিধবা মায়ের একমাত্র কন্যা ,বাড়ি ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলা বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে ,পিতার মৃত্যুর পর দীর্ঘ 17 বছর আগে জীবন জীবিকার তাগিদে বিধবা মা রেহেনা খাতুন এর হাত ধরে রাজধানী ঢাকায় চলে যায়,এরপর মা ও মেয়ে দুজনেই ঢাকার আশুলিয়া জামঘড়া নামক স্থানে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নাই ,প্রায় দুই বছর আগে জামঘড়ায় 'ডেবনিয়ার' নামক ওই পোশাক কারখানায় কর্মরত মোহাম্মদ অন্তর হোসেন নামের বগুড়া জেলার সোনাতলী থানার অধীন এক যুবকের সাথে প্রেম করে বিয়ে করে ।
কিছুদিন পর অন্তর হোসেন ও মৌসুমী খাতুন পোশাক কারখানায় চাকরি ছেড়ে পালিয়ে বগুড়ায় নিজ গ্রামে চলে যায় ,তিন মাস পর আবারও অন্তর মৌসুমী ঢাকায় এসে বিরানিবাজার এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো ,যতদূর জানা জানা যায় ,স্বামী অন্তর হোসেন বিরানী বাজারে একটি আবাসিক হোটেলে চাকরি নেয়। মৌসুমী খাতুন ও সাংসারিক প্রয়োজনে নিজেও গার্মেন্টস কারখানায় পুনরায় চাকরি করতে চাইলে , স্বামী - স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক চিরধরতে শুরু করে ,মেয়ে মৌসুমি খাতুন নিজ মোবাইল ফোন দিয়ে মা রেহেনা বেগম কে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ এবং স্বামীর কর্তিক শারীরিক নির্যাতনের কথা জানাতেন । সম্পতকলহ নিয়ে এই ভাবেই চলছিল অন্তর হোসেন ও মৌসুমী খাতুন এর সংসার। মৌসুমীর বিধবা মাতা রেহেনা খাতুন এর অভিযোগ ,দীর্ঘ 20 দিন তার মেয়ে ও জামাই এর সবগুলো মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে ।
স্বামী হারা রেহেনা ঝরঝরিয়ে চোখের পানি ফেলে বলেন ,হয়তোবা আমার জামাই তার স্ত্রীকে নারী পাচারকারী দের হাতে তুলে দিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে । তিনি তার কন্যাকে উদ্ধারের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের আই জি পি , RAB মহাপরিচালক ,সি আই ডি ,আশুলিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সকল বিভাগের সাহায্য কামনা করছেন ।
তার ধারণা জামাতা মো: অন্তর হোসেনকে আটক করলে তার কন্যা মৌসুমী খাতুন কে উদ্ধার করা সম্ভব হবে |
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন