রিপোর্ট : ইমাম বিমান : ঝালকাঠিতে
করোনা আক্রান্ত অসুস্থ মাকে বাঁচাতে পিঠে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেঁধে জীবনের
ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেলে করে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া সেই সন্তান ও তার
গর্ভধারিনী মমতাময়ী মা কে জেলার নলছিটি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে
সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
২২মে শনিবার জেলার নলছিটি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কক্ষে সকাল ১১টায়
আলোচিত সেই মমতামীয় মা ও ছেলেকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: সিদ্দীকুর
রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুম্পা সিকদার এ সংবর্ধনা প্রদান করেন।
কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান টিটু ও তার স্কুল শিক্ষিকা করোনা জয়ী
মা রেহেনা বেগমের হাতে সম্মামনা ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন উপজেলা
পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুম্পা
সিকদার। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সেই মা ও ছেলে। বিষয়টি
মিডিয়ায় তুলে ধরায় সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য গত ৯ এপ্রিল রেহানা বেগমের করোনা শনাক্ত হলে নলছিটির সূর্যপাশা
বাড়িতে বসেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ১৭ এপ্রিল দুপুরে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করাতে বলেন চিকিৎসকরা। লকডাউনের মধ্যে
কোন গাড়ি না পেয়ে সংকটাপন্ন মায়ের জীবন বাঁচাতে ছেলে জিয়াউল হাসান টিটু
নিজের শরীরে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেঁধে মোটরসাইকেলে মা কে বসিয়ে মায়ের মুখে
অক্সিজেন মাস্ক পরিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতে নিয়ে
ভর্তি করায়।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ছবি তুলে এক
পুলিশ সদস্য ফেসবুকে আপলোড করলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। হাসপাতালে মায়ের
সেবাযত্ম করেছেন দুই ছেলে জিয়াউল হাসান টিটু ও রাকিবুল হাসান ইভান। ৬ দিন
চিকিৎসা শেষে সুস্থ অবস্থায় মাকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন তাঁরা। মা সুস্থ হলেও
করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন টিটু। ১৫ দিন বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে ৯ মে সুস্থ হন
সে।
এ ঘটনা নিয়ে
দেশ ও বিদেশের মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার কে এম সবুজ, ঝালকাঠি রিপোর্টার্স
ইউনিটির সভাপতি আল আমিন তালুকদার, সাংবাদিক অলোক সাহা সহ আরো অনেকে উপস্থিত
ছিলেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন