মিতু হত্যা - সাবেক এসপি বাবুল আক্তার গ্রেফতার

মিতু হত্যা - সাবেক এসপি বাবুল আক্তার গ্রেফতার
 

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার বাদী তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

মঙ্গলবার (১১ মে) সন্ধ্যায় তাকে গ্র্রেফতার করা হয়। এর আগে মিতু হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা থেকে বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রামে নেওয়া হয়। চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী এলাকায় পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে পুলিশের এই সাবেক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতার করা হয়। 

জিজ্ঞাসাবাদের পর পিবিআই মহাপরিচালক বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘মিতু হত্যা মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে, বাদী বাবুল আক্তারের সাথে পিবিআইয়ের লাগাতার আলোচনা হচ্ছে। আজও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।’ 

গত ৩০ জানুয়ারি মিতু হত্যা মামলায় তদন্তের সর্বশেষ লিখিত অগ্রগতির তথ্যসংবলিত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। 

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরের ও.আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। 

এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। তবে বাবুল  আক্তার মামলার বাদী হলেও তার শ্বশুর মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করে আসছেন, বাবুল  আক্তার তার মেয়ের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। 

এ মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আবু নসুর গুন্নু, শাহ জামান ওরফে রবিন, সাইদুল আলম শিকদার ওরফে সাক্কু ও শাহজাহান,
আনোয়ার ও মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিমকে আটক করে পুলিশ।

এ হত্যার ঘটনায় অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে আটক হন এহেতাশামুল হক ভোলা ও তার সহযোগী মনির। তাদের কাছ থেকে পয়েন্ট ৩২ বোরের একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়, যা মিতু হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছিল তখন।

গ্রেফতার আনোয়ার ও মোতালেব মিতু হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তাদের স্বীকারোক্তিতে মিতু হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম আসে বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে পরিচিত মো. মুছার।

২০১৭ সালের ২৪ জুন রাতে ঢাকার বনশ্রীর শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবুল আক্তারকে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

চাঞ্চল্যকর এই মামলার কোনো কূলকিনারাও করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এর আগে সেটি নগর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করেছিল।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger][facebook]

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget