তৌফিক আহম্মেদ (তাপস) নওগাঁ : নওগাঁয় অনলাইনের মাধ্যমে আম ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। গতকাল শনিবার বিকেলে ঢাকা থেকে নওগাঁর আম বাজারজাতকরণ মতবিনিময় সভায় যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নওগাঁ জেলা এখন আম চাষে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জকে ছাড়িয়ে গেছে। আম উৎপাদনে নওগাঁ জেলা এখন প্রথম স্থান অধিকার করে আছে।
মন্ত্রী বলেন, এখন দেশে করোনাভাইরাস মহামারী চলছে। তাই যারা বাইরে থেকে আম কিনতে আসবে তাদেরকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে টেস্ট রিপোর্ট নিয়ে প্রবেশ করতে হবে। এবং বিভিন্ন পয়েন্টে বুধ তৈরি করে স্যানিটাইজার ও মাস্ক রাখতে হবে।
এছাড়াও অনেক খারাপ আড়তদার স্লিপ দিয়ে প্রতারণা করে। তাই সকল আড়তদারকে লোকাল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে নির্বাহী অফিসারের কাছে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং সেই রেজিস্ট্রেশন এর এক কপি থানায় জমা দিতে হবে।
মন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদার আরো বলেন, করোনাভাইরাসের এই মুহূর্তে দেশের অর্থনীতি ৭০ থেকে ৮০ ভাগ কৃষকদের উপর দাঁড়িয়ে আছে। সেটা আমচাষি হোক বা ধান চাষ হোক। তাই কৃষকরা যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সব সময় বলা হচ্ছে আমে এখন ফরমালিন নাই, এখন ফরমালিনমুক্ত আম। আপনারা আম খেতে পারেন। এবং ঢাকাসহ দেশের আনাচে কানাচে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে মিটিং করা হচ্ছে।
তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, রহনপুর থেকে যেমন ট্রেনে আম যায় আপনারা চাইলে সান্তাহার থেকে আমের একটি বগি থাকবে সে ব্যবস্থা আমি করে দিবো। ইতিমধ্যে সাপাহারে ইকোনমিক জোন এর অনুমোদন হয়েছে এবং জমি অধিগ্রহণ চলছে। সেখানে আমের শুধু জুস নয় জুস থেকে শুরু করে আর কি কি করা যায় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং আম প্রসেসিং সেন্টারের জন্য অনেকে প্রস্তুত হয়ে আছে। তখন এই আম শুধু দেশে নয় বিদেশেও রপ্তানি হবে বলেও জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মো: হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে অন্যান্যর মধ্যে পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্না মিয়াসহ, ১১টি উপজেলার নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছর নওগাঁ জেলায় ৩ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন আম বাজারজাত হবে বলে জানা গেছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন