তাপস কর, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ
সিটিতে মশা নিধনে অবমুক্ত করা হচ্ছে ব্যাঙ। সিটির ড্রেনেগুলোতে ব্যাঙ
ছেড়ে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহ সিটি মেয়র মো.
ইকরামুল হক টিটু।
মশক নিধনে ময়মনসিংহ নগরীর বিভিন্ন
জলাশয়ে ব্যাঙ ছাড়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর
হরিকিশোর রায় রোডস্থ মাকরজানি খালে মশার লার্ভা ধ্বংসকারী দুই হাজার ব্যাঙ
অবমুক্ত করার মাধ্যমে জৈবিকভাবে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন
মসিক মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু।
এ সময় সিটি মেয়র
বলেন, মশক নিধনে নিয়মিত প্রতিটি ওয়ার্ডে লার্ভিসাইড ও এডাল্টিসাইড প্রয়োগ
করা হচ্ছে। কর্মসূচিকে আরো বেগবান করার জন্য জৈবিক পদ্ধতিতে মশক নিধনের
বেশকিছু কার্যক্রম গত বছর হাতে নেওয়া হয়েছিল। সে সময়ে উন্মুক্ত জলাশয়ে মশা
খেকো মাছ অবমুক্ত করা হয়েছিল। মশক নিধনে জৈবিক প্রক্রিয়া ব্যবহারের বিষয়ে
বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ রয়েছে। এ কারণে এ বছরও আমরা জৈবিক প্রক্রিয়ায় মশক
নিয়ন্ত্রণকে জোরদার করছি।
তিনি আরো বলেন, নগরে
উন্মুক্ত জলাশয় কমে আসছে। এসব জলাশয়ে প্রাকৃতিকভাবে মশক নিধনে সুযোগ
সীমাবদ্ধ হয়ে আসছে। তাই আমরা নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে মশার লার্ভাকে ধ্বংস
করে এমন ব্যাঙ উন্মুক্ত করছি। যেসব জলাধারে কিছুটা গভীরতা পাওয়া যাবে
সেখানে মশার লার্ভা খেকো মাছ ছাড়া হবে। এছাড়া যেসব জলাশয়ে হাঁস চাষের সুযোগ
রয়েছে সেখানে মশক নিধনে হাঁস চাষেরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মশক
নিধন একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া উল্লেখ করেন মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, সিটি
করপোরেশন প্রত্যেক জলাধার, ড্রেন ইত্যাদি পরিস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে
একই সাথে প্রত্যেক নাগরিককেও তার আঙিনা পরিস্কার আছে কিনা তা খেয়াল রাখতে
হবে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ নিয়মিত পরিস্কার রাখতে হবে। তবেই
কার্যকর মশক নিধন সম্ভব।
এ সময় প্যানেল মেয়র-১ মো.
আসিফ হোসেন ডন, প্যানেল মেয়র-৩ শামীমা আক্তার, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আরিফুর
রহমান, নগর পরিকল্পনাবিদ মানস বিশ্বাস, খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক
মজুমদার প্রমুখ ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্ধ
উপস্থিত ছিলেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন