সালমান ফার্সী (সজল): নওগাঁ আদালত চত্ত্বরে আইনজীবি আবু সাঈদ মুরাদকে মারপিট ও লাঞ্ছিত অভিযোগে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে দোষী পুলিশদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় আদালতের কার্যক্রম শনিবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার থেকে আদালতের কার্যক্রম শুরু করা হলেও কালো ব্যাচ ধারনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও দোষিদের শাস্তির জন্যে রবিবার হাই কোর্টে রিটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি)দুপুরে নওগাঁ বার এ্যাসোসিয়েশন হল রুমে জরুরী বৈঠক শেষে বারের সভাপতি এ্যাড. খোদাদাদ খান পিটু এ তথ্য জানান।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা এ্যাডভোকেট বার এ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এ্যাড. আবু সাঈদ মুরাদ পেশাগত দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে কোর্ট চত্বরে প্রবেশ করার সময় প্রধান গেইটে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তাঁকে বাধা প্রদান করে। নিজেকে আইনজীবি পরিচয় দেয়ার পরও তাকে রিক্সা নিয়ে ঢুকতে দেয়া হয় না এবং তাকে অশালীন ভাবে গালিগালাজ করা হয়। এরপর কর্তব্যরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রাজিব, পুলিশ সদস্য মুক্তার হোসেনসহ ১০/১৫ জন পুলিশ তাকে লাঠিসোটা দিয়ে মারপিট শুরু করে। এ সময় কোর্ট চত্বরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনার পর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে কোর্টের সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। গতকাল সকাল ১১টার মধ্যে দোষী পুলিশদের সাময়িকভাবে বরখাস্তসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.