কাগজের ফুল বিক্রি করেই চলে সংসার

 

কাগজের ফুল বিক্রি করেই চলে সংসার
সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ : ফুলকে ভালবাসে না এমন মানুষ হয়তো পাওয়া যাবে না। ফুল ভালবাসার প্রতীক। তাই প্রকৃতি ও ফুল প্রতিটা মানুষকে কাছে টানে। সে কারণে প্রতিটি মানুষ প্রকৃতি ও ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভালোবাসে।

‘কাগজের ফুল আমি, গন্ধ কোথায় বলো পাবো’ আজো মুখে মুখে শোনা যায় এই বিখ্যাত গানটি। ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক। ফুলকে কেনা ভালোবাসে? সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ বাড়ির আঙিনায় ফুল চাষ করেন। কেউ বা আবার মৌসুমি ফুলের টব রাখেন বাড়ির ছাদ বা ঘরের বারান্দায়। আর শিশুদের খেলনা কিংবা ঘরের সৌন্দয্য বৃদ্ধিতে ঘরে রাখেন কৃত্রিম ফুল। তাছাড়া বিয়ে, জন্মদিন, শুভ হালখাতাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাগজের ফুলের কদরতো রয়েছেই। তাই প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লার পথে পথে ঘুরে ঘুরে রঙ্গিন কাগজের ফুল ও প¬াস্টিকের ফুল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন আত্রাই উপজেলার নিভৃতি পল্লী জামগ্রাম গ্রামের বাহার সরদারের ছেলে রহিদুল ইসলাম।

সারাদিন কাঠফাটা রোদ কিংবা মুষলধারে বৃষ্টি যাই হোক না কেন ব্যবসা করতে যেতেই হবে তাকে। ফুল বিক্রি করতেই হবে। তানা হলে সংসার চলবে কি করে? নিজ হাতে তৈরী কাগজের ফুলই তো তার অন্ন জোগাতে সিংগভাগ ভ’মিকা রাখছে। ফুল নেবে.... ফুল....লাল-নীল রঙ্গিন কাগজের ফুল। এমন করে গ্রামের পথে ঘাটে কাগজের ফুল বিক্রেতার হাঁক শুনলেই গ্রামের ছোট বড় সকলেই ছুটে আসেন ফুল নিতে।

কাগজের ফুল শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, আত্রাইয়ের অর্ধশত পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করতে বিশেষ ভ’মিকাও পালন করছে। আত্রাই উপজেলার জামগ্রাম গ্রাম ঘুরে দেখলে মনে হয় যেন ফুলের মেলা বসেছে। আর কাগজের ফুল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে উপজেলার জামগ্রাম গ্রামের রহিদুল ইসলামসহ অর্ধশত পরিবার।

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভবানীপুর বাজার এলাকায় দেখা রহিদুল ইসলাম নামের এক কাগজের ফুল বিক্রেতার সাথে। ফুল বিক্রির পাশাপাশি দীর্ঘ সময় আলাপচারিতায় তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি আগে বিভিন্ন ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলাম। জীবিকা অর্জন আর অল্প পুঁজিতে এ ব্যবসা করা যায় বলেই আজ আমি এ ব্যবসা শুরু করেছি। বাবা-মা ভাইকে সঙ্গে নিয়েই অভাবের সংসারে এভাবেই জীবন যুদ্ধো চালিয়ে যাচ্ছি। প্রতিদিন সকাল হলেই ফুল বিক্রি করতে চলে যায় উপজেলার ভবানীপুর, কাশিয়াবাড়ি, নওদুলি, বান্ধাইখাড়া, সিংসাড়া, ধর্মপুর, লালপাড়া, বিষা ও হাটকালুপাড়াসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা গুলোতে। প্রতিদিন আমি কম পক্ষে ২৫০ টাকা থেকে ৩ শত টাকা পর্যন্ত আয় করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। তিনি আরো বলেন, ব্যবসা যদিও লাভজনক তার পরও জীবনের যথেষ্ট ঝুঁকি নিয়ে আমাদের এ ব্যবসায় করতে হয়। আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাসের ছাদে কখনও বা ট্রাকে করে গন্তব্যে যাই। এভাবেই চলে আমার জীবন জীবিকা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger][facebook]

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget