ইমাম বিমান : সিলেটে প্রত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যম ফেইসবুক শেয়ার করায় পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিকসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে
ডিজিটাল আইনে মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দেশের একমাত্র
বৃহত্তম সাংবাদিক বান্ধব সংগঠন " বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম "
বিএমএসএফ।
রোববার(০৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সাংবাদিক বান্ধব সংগঠন " বাংলাদেশ
মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম " বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক শহীদুল ইসলাম
পাইলট ও সদস্য সচিব আহমেদ আবু জাফর বলেন, রাষ্ট্রীয় চোর,দখলবাজ,ঘুষখোরদের
বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা কলম ধরলেই জেল জুলুম- হুলিয়া ভোগ করতে হয়। শুধু তাই নয়
দেশে দেশে সাংবাদিকদের নির্যাতন করে তাদের উপহর হামলা করা হচ্ছে। আর যখন
নির্যাতন হামলা করেও সাংবাদিকদের দমন পিড়ন সম্ভব হচ্ছে না ঠিক তখনই
সাংবাদিকদের কলম বন্ধ করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দ্বারা বাক স্বাধীনতায়
হস্থক্ষেপ করার মাধ্যমে কন্ঠরোধ করা হচ্ছে। বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা
আইনের ধারায় সাংবাদিকদের ওপর দমনপীড়ন চলছেই। এই আইনটি রাষ্ট্রের
সাংবাদিকদের ওপর কার্যকর রাখা আর ফুটো কলসিতে পানি ঢালা একই কথা।
দখল-দূর্ণীতিবাজ, ঘুষখোর, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সংবাদ
লিখলেই একেরপর এক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দ্বারা সাংবাদিকদের হেনস্থা,
হয়রাণী ও গ্রেফতার করে জেলের ঘানি টানতে হচ্ছে। তাই অবিলম্বে ডিজিটাল
নিরাপত্তা আইনের ধারায় সাংবাদিকদের আর হয়রাণী না করার আহবান জানিয়েছেন
দেশের বৃহত্তম সাংবাদিক বান্ধব সংগঠন " বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম "
বিএমএসএফ।
তারা আরও জানান, সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের পাহাড়াদার হিসেবে আইন শৃঙ্খলা
বাহীনিকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে চোর দেখিয়ে দিচ্ছেন। ফলে সেই সাংবাদিকরাই যদি
উল্টো রাষ্ট্রের কাছে আসামী হন; তবে রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন স্বপ্নের মাঝে লুকিয়ে
থাকবে। তাই এখনও সময় আছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দ্বারা আর কোনো সাংবাদিক
যেন হয়রাণীর শিকার না হন। এরুপ একটি ঘটনায় শুক্রবার সিলেটের শাহজালাল
উপশহরে দীর্ঘদিন ধরে চলা চাদাঁবাজি, প্রবাসীদের জমি ও বাসা দখল,
মাদকব্যবসার গডফাদার স্থানীয় ক্ষমতাশীন দলের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে
সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিকসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
এ মামলায় সিলেট থেকে প্রকাশিত দৈনিক একাত্তরের কথার সম্পাদক চৌধুরী
মুমতাজ আহমদসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে সিলেটে ডিজিটাল
নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ মামলায় উল্লেখিত আসামী
সাংবাদিকদের বাড়ি বাড়ি তল্লাসি চালাচ্ছেন।
এদিকে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সংশ্লিষ্ট সংবাদের কোন প্রতিবাদ কিংবা
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে মামলা করারও পথ ছিল। কিন্তু তা না করে
পত্রিকাটিকে একেবারে বন্ধ করে দেবার প্রয়াসে সম্পাদক, মালিক সহ
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অ-জামিনযোগ্য ধারায় থানায় মামলা করেছেন
ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ নেতা ২২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও নগর আওয়ামী লীগের
প্রস্তাবিত কমিটির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক ছালেহ আহমদ সেলিম।
একটি সংবাদ প্রকাশ ও শেয়ার করার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলা
দায়েরের ঘটনা নিঃসন্দেহে পেশাদার সাংবাদিকদের প্রতি নিপীড়নের সর্বশেষ
একটি উদাহরন বলে আমরা মনে করি।
" বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম "
বিএমএসএফ এই মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। একই সাথে মামলার বাদী
কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা যাচাই করার মাধ্যমে মামলার
সুষ্ঠু তদন্তের দাবী জানায়। অন্যথায় বিএমএসএফ কঠোর কর্মসূচী দেয়ারও
হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন