নওগাঁর বদলগাছীতে বানিজ্যিকভাবে সৌখিন কবুতরের খামার করে সাফল্য অর্জন করেছেন এক যুবক

নওগাঁর বদলগাছীতে বানিজ্যিকভাবে সৌখিন কবুতরের খামার করে সাফল্য অর্জন করেছেন এক যুবক

সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ : নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা সদরে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম নামের এক যুবক বানিজ্যিকভাবে সৌখিন কবুতর পালন করে আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হয়েছেন। সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা এবং অভাবনীয় সাফল্য। তার এই সৌখিন কবুতরের খামার দেখে অনেকেই এমন খামার গড়ে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
বদলগাছি উপজেলা সদরের জিয়ল মহল্লার ঐ যুবক আজ থেকে ৪ বছর আগে তার বাড়িতে মাত্র ৫টি সৌখিন কবুতর নিয়ে শুরু করেন কবুতর পালন। এরই মধ্যে সেই কবুতর থেকে এখন তার একটি পূর্নাঙ্গ খামারে রয়েছে ৫শ কবুতর । সিরাজী, লাক্কা, বিউটি, ম্যাকপাই, জার্মানী শীল, লালচিলা, হাউজ প্রিজন, বারামবাগ, ময়নাকাড়ি, কালো বেরিয়ার, হলুদ বার্ক হোমার, বাগদাদ, ককা, আউল, হলুদ সিরাজী, কালো সিরাজী, লাল সিরাজীসহ প্রায় একশ জাতের দামী দামী কবুতর রয়েছে তাঁর এই খামারে। বাড়ির দু’টি ঘরে সারি সারি খাঁচা। মোট একশটি খাঁচায় এসব কবুতর শোভা পাচ্ছে। কবুতরের বিভিন্নরকমের ডাকে মুখরিত হয়ে রয়েছে পুরো বাড়ি। বাড়ির কাছাকাছি গেলেই এসব কবুতরের ডাক শোনা যাবে। কোন খাঁচায় ডিম, কোন খাঁচায় সদ্য প্রস্ফুটিত বাচ্চা আবার কোন খাঁচায় বেড়ে উঠা বাচ্চা দেখা যাচ্ছে। মা কবুতর নিজেদের খাবার পাশাপাশি বাচ্চাদের খাওয়াতে ব্যস্ত। মায়ের মমতায় ভরা এ এক অপরুপ প্রাকৃতিক দৃশ্য। খামারটি এখন বেশ লাভজনক। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মাসে কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা আয় করছেন এই খামারী।
খামারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন প্রতিদিন গম, ভুট্টা, হিন্টি, সরিষা, মসুর ইত্যাদি খাবার হিসেবে দেয়া হয় এসব কবুতরকে। আর খাবার দিয়ে নানাভাবে পরিচর্যা করে পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে সময় কাটাচ্ছে খামারীর কলেজ পড়–য়া পুত্র। এ কাজে সহযোগিতা দিয়ে আসছেন তার স্ত্রীও।
প্রতিবেশীসহ এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে কবুতর প্রেমীরা এই খামার দেখতে আসেন। দেখে খুশি হন। এমন কি এই খামারের লাভের কথা শুনে নিজেরাও খামার গড়তে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন অনেকেই।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সৌখিন কবুতর প্রেমীরা এই খামারে কবুতর ক্রয় করতে আসেন। পুলিশ বিভাগের অনেক কর্মকর্তা তাঁর এই কবুতরের খামার থেকে বাচ্চা এবং বড় কবুতর ক্রয় করে থাকেন। এই খামার থেকে  ১০ হাজার থেকে  ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত এক জোড়া কবুতর বিক্রি হয়ে থাকে।  
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মহির উদ্দিন বলেছেন এসব সৌখিন কবুতর পালন অত্যন্ত লাভজনক। কবুতর পালণ করে যে কারও সংসার নির্বাহ করা সম্ভব। তিনি বলেন যারা এসব খামার গড়ে তুলতে আগ্রহী তাদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদানসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করতে প্রস্তুত প্রাণীসম্পদ বিভাগ।
হাঁসমুরগীর খামারের মত এসব সৌখিন কবুতরের খামার গড়ে তুলে একদিকে যেমন শখ মেটানো এবং পাশাপাশি আর্থিকভাবেও লাভবান হওয়া সম্ভব বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

[blogger][facebook]

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget