রাহাদ হাসান মুন্না,তাহিরপুর (সুনাসগঞ্জ) : সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ইসলাম উদ্দিন (৫২) নামে
এক ব্যাক্তি পুত্রের হাতে খুন হলেন! শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বাদাঘাট
বাজারে বাদাঘাট-সুনামগঞ্জ সড়কের কলাপট্রিতে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত ইসলাম উদ্দিন উপজেলার বাদাঘাট উওর
ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের মৃত ফালু মিয়ার ছেলে। তিনি দুই ছেলে ও তিন মেয়ের
জনক।ঘাতক পুত্রের নাম নাজমুল হোসেন (২০)। সে উপজেলার বাদাঘাট বাজারের কলাপট্রিতে
ষ্টেশনারী মালামাল পান সিগারেট বিক্রয় করে আসছিলেন।
উপজেলার বাদাঘাট বাজারে ঘটনার
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যবসায়ী ও কেনাকাটা করতে আসা লোকজন জানান,
উপজেলার বাদাঘাট বাজারে কলাপট্রিতে ষ্টেশনারী মালামাল বিক্রেতা
নাজমুল হোসেনের দোকানের সামনে এসে শনিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে তারই পিতা ইসলাম
উদ্দিন চিৎকার চেঁচামেচি বকাঝকা করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে নাজমুল ক্ষিপ্ত হয়ে সুপারি ছোলার
সরতা দিয়ে পিতার মাথায় কয়েকটি আঘাত করেন।এরপরই ইসলাম উদ্দিন দোকানের সামনে পাকা
সড়কের উপর সজ্ঞাহীন হয়ে লুটিয়ে পড়লে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের মুখে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর
কোলে ঢলে পড়েন।পরে ঘাতক পুত্র নাজমুল ঘটনাস্থল হতে দ্রæত পালিয়ে যান।
নিহতের পরিবার,
বাজারের ব্যবসায়ী ও গ্রামের প্রতিবেশীরা জানান, দুই ছেলে ও তিন মেয়ের জনক
ইসলাম উদ্দিন এক সময় বাদাঘাট বাজারের ভাল ব্যবসায়ী ছিলেন। বিগত ৫ হতে ৬ বছর
ধরে তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন।
বাড়িতে ও পুত্রের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে
প্রতিনিয়ত ক্ষিপ্ত হয়ে বকাঝকা ও গালিগালাজ করতেন তিনি।মুলত পারিবারীক অশান্তি
লোকসমাজে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার ক্ষিপ্ত হয়ে
নিজ হাতেই পিতার মাথায় আঘাত করে কিছুটা আহত করতে গিয়ে শেষ অবধি খুনের মত বর্বর
ঘটনাই ঘটিয়েছেন জেষ্ট পুত্র নাজমুল।
রাতে ঘটনাস্থলে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীতে
থাকা থানার এসআই সুজন চন্দ্র শ্যাম জানান,আঘাতের
কারনে ইসলামের মাথার ২টি ফাটল দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে ।
তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ
(তরফদার) বলেন,তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনা জানার পর
অভিযুক্ত নাজমুলকে আটক করতে পুলিশকে রাতেই অভিযানে নামানো হয়েছে।